• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Weight Gain

প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়ানোর ১০ টি বিস্ময়কর উপায়

by Mohona Leave a Comment

বর্তমানে সবাই যখন ওজন কমানোর পিছনে ছুটছে তার মাঝে অনেকেই আছে যার ওজন বাড়াতে আগ্রহী। কিন্তু অনেক সময় অনেকের কাছে প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়ানো অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

আপনার হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা নেই তারপরেও ওজন বাড়াতে পারছেন না। কিংবা ওজন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখার আশা করছেন।

তাই, আমরা আপনার কাছে প্রাকৃতিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করার সবচেয়ে উপযুক্ত ১০ টি পদ্ধতি তুলে ধরবো এবং পদ্ধতি গুলো অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। আশাকরি এই পদ্ধিতি গুলো অনুসরন করার মাধ্যমে আপনি কিছু কেজি ওজন বাড়াতে পারবেন!

১. লাল মাংস (Red Meat)

গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া প্রভৃতি পশুর মাংসকে রেড মিট বা লাল মাংস বলে। লাল মাংসে প্রচুর পরিমান কলেস্টেরল, প্রোটিন, ভিটামিন বি, জিংক এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীর গঠনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত লাল মাংস খেতে পারেন। মনে রাখবেন ভালো করে রান্না করে খাবেন। প্রক্রিয়াজাত বা বাসি খাবেন না।

মাংসের সবচেয়ে ভাল অংশ গুলো, যেমন পাঁজরের টুকরো (rib), টি-বোন (t-bon), স্ট্রিপ (strip) এবং হাঁড় ছাড়া মাংস, এগুলো চর্বির সবচেয়ে ভালো উৎস।

কিন্তু মনে রাখবেন উচ্চ মাত্রার চর্বিযুক্ত মাংস আপনার খাদ্যতালিকাতে রাখবেন না কারন এটি কোনভাবেই ওজন লাভ করার স্বাস্থ্যকর উপায় নয়।

২. পিনাট বাটার (Peanut Butter)

স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা খেতে চাইলে অবশ্যই পিনাট বাটারকেও আপনার সকালের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পিনাট বাটার তৈরী করা হয় বাদাম থেকে। বাদামে প্রোটিন এবং ফ্যাটে পরিপূর্ণ।

যারা প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। মাত্র ১ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। পিনাট বাটারে ভিটামিন যেমন ম্যাগ্নেসিয়াম, ফলিক এ্যাসিড, ভিটামিন “বি” এবং ভিটামিন “ই” রয়েছে।

পিনাট বাটার সাধারণত আমরা পাউরুটি দিয়ে খাই তাই খাওয়ার সময় পাউরুটিতে পিনাট বাটারের অনেক পুরু প্রলেপ লাগান এবং আপনার দেহে ক্যালোরি বৃদ্ধি করুন।

৩. ফ্যাটযুক্ত দুধ (Full Cream Milk)

ওজন বাড়ানোর একটি সহজ সমাধান হলো আপনি পাস্তুরিত দুধের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ গ্রহন করুন। প্রতি গ্লাস ফ্যাটযুক্ত দুধ আপনাকে পাস্তুরিত দুধের চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি ক্যালোরি প্রদান করবে। দুধে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টি রয়েছে।

এছাড়াও এটি একটি ভিটামিন “ডি” এবং “এ” সমৃদ্ধ উৎস। ওটমিল এবং সিরিয়ালের সাথে আপনি এই দুধ খেতে পারেন। আপনি এটি যেভাবেই গ্রহন করুন না কেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যকে অনেক সুন্দর করবেই।

৪. ফল (Fruits)

সাধারনত, গ্রীষ্মকালীন ফল আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আম, কলা, পেঁপে এবং আনারসে ভালো প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যেটি ওজন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত এই ফল গুলো আপনার পেট পরিপূর্ণ করবে এবং আপনাকে তাত্ক্ষণিক শক্তি প্রদান করবে।

আপনি এই ফল গুলো দিয়ে খুব সহজ মিষ্টি জাতীয় খাবার বানাতে পারবেন এবং যার ফলে আপনি কৃত্রিম চিনি বাদ দিতে পারবেন। যদি আপনার কাছে ফল বিরক্তিকর মনে হয়, তাহলে আপনার পছন্দের ফল বা কয়েকটি ফল একসাথে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করুন।

৫. আভাকাডো (Avocado)

আপনার খাদ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আভাকাডো চমৎকার একটি উপায়। আভাকাডোর ১০০ গ্রামে প্রায় ১৬০ ক্যালোরি থাকে।

এছাড়াও এই আভাকাডো ভিটামিন এবং মিনারেলের খুব ভালো উৎস, যেমন এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন “ই”, ফলিক এসিড এবং পটাশিয়াম। তাই, আভাকাডোকে সবসময় সালাদ হিসেবে খেতে ভুলবেন না। এমনকি আপনি আপনার টোস্টের উপরেও আভাকাডো ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন।

৬. গমের পাউরুটি (Wheat bread)

গমের পাউরুটিতে প্রচু পুষ্টি এবং ক্যালোরি রয়েছে তাই সকালের নাস্তাতে শুধুমাত্র এই পাউরুটি খাওয়াও যথেষ্ট। এছাড়াও এই পাউরুটিতে ফাইবার এবং মিনারেল রয়েছে যা সাধারণ সাদা পাউরুটিতে পাওয়া যায় না। তাই সকালের নাস্তায় এই গমের পাউরুটি খেলে এটি আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করবে।

৭. মাখন অথবা ঘি (Butter or Ghee)

মাখনে উচ্চ মাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে। যদি প্রতিদিন দুধ খেতে খেতে আপনি বিরক্ত হয়ে যান, তাহলে পাউরুটিতে মাখন লাগিয়ে মৃদু আঁচে ভালোভাবে ভেজে নিন। এটি সকালের নাস্তা হিসেবে খুব ভালো এবং সারাদিনে আপনার যতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন তার সবটূকুই এর থেকে পাবেন। মনে রাখবেন, মাখনে অনেক বেশি ফ্যাট রয়েছে, তাই নিয়ন্ত্রনে রেখেই মাখন খান এবং উপভোগ করুন।

আপনি যদি মাখন পছন্দ না করেন, তাহলে আপনি বিকল্প হিসেবে ঘি খেতে পারেন। মাখনের পরিশোধিত রূপ হলো ঘি। আপনি রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন কারন এর একটি ভালো স্বাদ আছে যা খাবারকে আরো সুস্বাদু করে তুলে। মাখন অথবা ঘি তে ডিম হালকা ভাবে ভেজে নিয়ে ডিমকে আরো সুস্বাদু করতে পারেন, এটি আপনাকে স্বাস্থ্যকর নাস্তা গ্রহণের পাশাপাশি আপনার ক্যালোরিও বৃদ্ধি করবে।

৮. বাদাম (Nuts)

যখন ওজন বৃদ্ধির কথা আসে তখন বাদাম একটি দুর্দান্ত খাবার। এরা ফ্যাট এবং পুষ্টির জন্য খুব ভালো উৎস। এছাড়াও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের বাদামের মিশ্রণ একসাথে খেলে এটা আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ পূর্ণ রাখবে।

বর্তমানে নানা ধরনের বাদামের মিক্সড পাওয়া যাই আপনি চাইলে এই মিক্সড বাদাম ও খেতে পারেন। এগুলোকে আপনি ব্যাগে করে আপনার কর্মস্থলে অথবা কলেজে খুব সহজেই নিয়ে যেতে পারেন।

৯. পনির (Cheese)

পনির আমার খুব পছন্দ এবং আমি নিশ্চিত আপনিও পনির খুব ভালোবাসেন। এর সবচেয়ে সেরা বিষয়টি হলো আপনি আপনার প্রায় সকল পছন্দের রান্নায় এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আবার, আপনি যদি দুধ পান করা থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন, তাহলে পনির খুব ভালো একটি বিকল্প কারণ এতে দুধের সকল পুষ্টিগুণ আছে। সাধারণত, বেশিরভাগ পনিরে প্রচুর ফ্যাট থাকে, তাই একজন ব্যক্তি পনির খেলে এটা প্রাকৃতিকভাবে তার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

১০. আলু (Potatoes)

সবাই আলু খেতে ভালোবাসে। দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার খাদ্যে এই উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সবজিটি যোগ করতে পারেন। আলুতে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন “সি” রয়েছে। আমরা প্রায়ই আলু ছিলকা ছাড়াই খাই, কিন্তু মনে রাখবেন আলুর ছিলকাতেই সবচেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। তাই আপনি আলুর ছিলকা তুলে ফেলার মানে হলো আপনি আলুর প্রধান ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ অংশ তুলে ফেলছেন।

এগুলো হলো ওজন কমানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার। আপনি ওজন বাড়াতে বা কমাতে যেটাই করতে চান না কেন, এর জন্য আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন না। যদি কোন খাবারে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি থাকেও তার মানে এই না যে আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য এটি খেতে পারবেন।

আমাদের শরীরের বেশিরভাগ পানি তাই সারা দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি খান। তবে, খেতে বসার ঠিক আগে পানি খাবেন না বা খাওয়ার মাঝখানেও পানি খাবেন না। এতে ক্ষিদা নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যত হালকা-পাতলাই হন না কেন ব্যায়ামে আপনিও দারুণ উপকৃত হবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। ফলে আপনার যদি ক্ষুধা মন্দা থাকে তা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন।

ট্রান্স ফ্যাট, যেটি প্রধানত প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারে পাওয়া যায়, এই ধরণের খাবার সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো আসলে ভুল খাবার যেগুলো আপনাকে হৃদরোগের দিকে পরিচালিত করবে।

এটা সত্য যে চিনি জাতীয় পানীয় যেমন সোডা এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে, কিন্তু এগুলো কোন স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করাই হলো ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে উত্তম উপায়।

সবশেষ একটা কথা আপনার যদি কোনো বদ অভ্যাস থাকে তা পরিহার করুন এবং রাতে ঠিকঠাক ঘুমিয়ে পড়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মতো অভ্যাসের গড়ে তুলুন।

Filed Under: Weight Gain

ওজন বাড়ানোর জন্য ৫টি সেরা প্রোটিন শেইক

by Mohona 1 Comment

বর্তমানে প্রায় সবাই ওজন হ্রাস করতে চাই , তবে অনেকেই অনেকে আছেন যারা ওজন বাড়িয়ে নিতে চান।

যদিও পেশী অর্জনের জন্য সুষম খাদ্য এবং সঠিক ব্যায়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তবে ফুড সুপ্প্লিমেন্ট গুলি ক্যালরি এবং প্রোটিন সরবরাহ করে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

প্রোটিন শেইক সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুড সুপ্প্লিমেন্ট যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

কিন্তু, আমরা শুধু জানিনা না যে ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উত্তম প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কোনটি! এছাড়াও, এই প্রোটিন শেইক গুলো কীভাবে আপনার শরীরকে প্রভাবিত করে এবং ওজন বাড়াতে এরা আসলে কিভাবে সাহায্য করে? এবং আপনি কিভাবে এই সকল সাপ্লিমেন্ট থেকে প্রোটিন শেইক তৈরি করবেন?

আপনি এই পোস্টটিতে এই সব প্রশ্নের সকল উত্তর পেয়ে যাবেন! সুতরাং, পড়তে থাকুন!

১. হোয়ে প্রোটিন পাউডার শেইক (Whey Protein Powder Shake)

হোয়ে প্রোটিন (Whey Protein) পেশী বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। সাধারণত, প্রোটিন পাউডার চর্বি হিসেবে আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে না। আমাদের দেহে যা বৃদ্ধি পায় তা হলো পেশী, এবং এই পেশী বর্ধনের জন্য হোয়ে প্রোটিন সবচেয়ে উত্তম একটি সাপ্লিমেন্ট। এই প্রোটিন অনেক কোম্পানি দ্বারা প্যাকেটজাত হয়, এবং ভ্যানিলা, চকলেট, স্ট্রবেরি, এবং আনারস এই কয়েকটি স্বাদে বাজারে পাওয়া যায়।

খাওয়ার পর পরই হোয়ে (Whey) খুব দ্রুত হজম হয় এবং আপনার পেশীতে দ্রুত পৌঁছে যায়। এই প্রোটিনে ছোট ছোট পেপ্টাইডস আছে, যা পেশীতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। হোয়ে (Whey) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ২ চা চামচ হোয়ে প্রোটিন পাউডার মিশান এবং এরপর আপনার হোয়ে প্রোটিন শেইকটি উপভোগ করুন। ব্যায়াম করার পর পরই এই প্রোটিন শেইক খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

২. ক্যাসিন প্রোটিন পাউডার শেইক (Casein Protein Powder Shake)

ক্যাসিন হলো আরেকটি দুধ ভিত্তিক প্রোটিন। হোয়ে এর মতই এটিও ব্যায়ামের পর পরই খেলে আপনার পেশীতে প্রোটিন উত্পাদন হার বাড়াতে পারে। এতে এ্যামিনো এসিডের খুব পুষ্টিকর ভারসাম্য বজায় আছে। যদিও এটি খুব ধীরে হজম হয়, ক্যাসিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়ার জন্য একটি আদর্শ খাবার কারন ঘুমন্ত অবস্থায় এটি আপনার শরীরে ক্যাটাবোলিজম প্রতিরোধ করে।

ক্যাসিন সাপ্লিমেন্ট বিভিন্ন ধরণের স্বাদে খুব সহজেই পাওয়া যায়, অনেকটা হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের মতই। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ব্যায়াম করার পরে হোয়ে প্রোটিন এবং ক্যাসিন প্রোটিন একসাথে মিশিয়ে খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে পেশী খুব দ্রত বৃদ্ধি পায়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট, ১ চা চামচ ক্যাসিন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট মিশিয়ে নিন, আপনার প্রোটিন শেইকটি তৈরি।

৩. ক্রিয়েটিন প্রোটিন শেইক (Creatine Protein Shake)

ক্রিয়েটিন প্রোটিন শেইক তিনটি এ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পছন্দের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। এতে আর্জিনিন, মিথিওনিন এবং গ্লিসিন রয়েছে।

অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট মানুষের ওজন ৫-১০ পাউন্ডের মত বাড়াতে সাহায্য করে। ক্রিয়েটিন গ্রহণকারী মানুষের দেহে নাটকীয়ভাবে শক্তিমত্তার উন্নতি হয় এবং আরো বেশী কঠোর পরিশ্রমের ব্যায়াম করতে পারে এবং আরো দীর্ঘক্ষন ব্যায়ামে স্থায়ী হতে পারে। ক্রিয়েটিন পেশীর ভিতরে আই.জি.এফ-১ (IGF-1) এর মাত্রা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য, যা দেহের বৃদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে।

যদিও আপনি শুধু ক্রিয়েটিন গ্রহন করতে পারবেন কিন্তু কার্নোসিন সাপ্লিমেন্টের সাথে সমন্বয়ে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট এবং ১ চামচ কার্নোসিন সাপ্লিমেন্টে মিশান এবং আপনার তৈরি শেইকটি উপভোগ করুন।

৪. ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড শেইক {Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) Shake}

সাধারনত, ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড আইসোলিউসিন (Isoleucine), লিউসিন (leucine) এবং ভ্যালাইনের (valine) সাথে সম্পর্কিত। এই এ্যামিনো এসিড গুলি কোলাজেন সৃষ্টি এবং পেশীর টিস্যুর ক্ষয়পূরণের জন্য অপরিহার্য। লিউসিন এখানে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এটি পেশীর বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এখানে উল্লিখিত তিনটি অ্যামিনো এসিডই আপনাকে শক্তি প্রদানের মাধ্যমে, পেশীর বিকাশ ঘটিয়ে এবং অবশ্যই পেশীর টিস্যুর ক্ষয়পূরণের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে কাজ করে। ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড কর্টিসোলও (একটি হরমোন যা টেস্টোস্টেরনকে বাঁধা দেয় এবং পেশীর ভাঙন বৃদ্ধি করে) হ্রাস করে।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ২ চা চামচ বি.সি.এ.এ.এস. সাপ্লিমেন্ট মিক্স করুন এবং বি.সি.এ.এ.এস. প্রোটিন শেইক পান করুন।

৫. বিটা-অ্যালানিন/কার্নোসিন  শেইক (Beta-Alanine/Carnosine Shake)

বিটা-অ্যালানিন শেইক বিটা-অ্যালানিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত যা কার্নোসিন গঠন করার জন্য হিস্টিডিনের সাথে মেশে।

উচ্চ মাত্রার কার্নোসিন উচ্চ মাত্রার সহনশীলতার সমান। কার্নোসিন আপনার পেশীর তন্তু বৃদ্ধির ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।

সাধারণত, দু’টির পরিবর্তে একটি খাওয়ার চেয়ে বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট এবং ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট সমন্বয় করে খেলে এটি আপনার পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট নানা রকম স্বাদে কিনতে পাওয়া যায়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট এবং ১ চা চামচ ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট মিক্স করুন এবং আপনার বিটা-অ্যালানিন/কার্নোসিন এবং ক্রিয়েটিন শেইক উপভোগ করুন।

সুতরাং, এই প্রোটিন শেইক গুলো গ্রহণ করুন এবং ওজন বৃদ্ধি করুন।

Filed Under: Weight Gain

ওজন বাড়ানোর জন্য ১০ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

by Mohona Leave a Comment

যদি আপনি সেই সব সংখ্যালঘুদের দলে থাকেন যারা ওজন হ্রাসের পরিবর্তে ওজন বৃদ্ধি করতে বেশি আগ্রহী, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম পথটি হল ঘরে তৈরি প্রতিকার গুলো গ্রহন করা।

এগুলো তৈরি খুবই সহজ এবং এগুলো খুব কার্যকরী, এবং এগুলো ব্যবহারে কোন ক্ষতিকর দিক নেই। এগুলো গ্রহন করার সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো আপনি আপনার নিয়মিত জীবনধারায় এই প্রতিকার গুলোর কোন প্রকার পরিবর্তন না করেই বেশিরভাগই খুব কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন এবং খুব সহজেই ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। ওজন বাড়ানোর জন্য ঘরোয়া প্রতিকারই সবচেয়ে সহজ একটি পথ।

ওজন বাড়ানোর জন্য সেরা ১০ টি ঘরোয়া উপায় দেওয়া হল যেগুলো তেমন কোন কষ্ট ছাড়াই আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

১. পরিশোধিত মাখন এবং চিনি

  • ১ টেবিল চামচ পরিশোধিত মাখন এবং তার সমপরিমান চিনি মিক্স করুন।
  • খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খালি পেটে এই মিশ্রনটি খাবেন।
  • শুধু ১ মাস এই মিশ্রনটি গ্রহন করলে আপনি চমকপ্রদ ফলাফল লক্ষ্য করবেন।

২. বিকালের ঘুম

  • বিকাল বেলা কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
  • এটা শুধু আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে না, বরং এটা আপনাকে রাতের বেলা ভালোভাবে ঘুমাতেও সাহায্য করবে।

*দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য এটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় একটি ঘরোয়া প্রতিকার!

৩. আম এবং দুধ

  • দিনে ৩ বার ১ টি করে আম (পাকা) খাবেন।
  • আম খাওয়ার পর অবশ্যই এক গ্লাস গরম দুধ পান করবেন।
  • ১ মাস পর আপনি লক্ষ্যণীয় ফলাফল দেখতে পাবেন।

৪. ডুমুর ফল এবং কিশমিশ

  • শুকনো ডুমুর ফল এবং কিশমিশ প্রচুর ক্যালরিতে পরিপূর্ণ, তাই তারা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ৬ টি শুকনো ডুমুর এবং প্রায় ৩০ গ্রাম কিশমিশ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • এরপরের দিন এগুলোকে ২ ভাগ করে সকালে এবং রাতে খেয়ে নিন।
  • বেশিরভাগ মানুষ প্রায় ২০-৩০ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট ফলাফল দেখতে পায়।

৫. পিনাট বাটার/বাদামের মাখন

বর্তমানে সবাই জানে যে পিনাট বাটারে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রতিকার হলো পিনাট বাটার।

আপনার পাউরুটিতে বেশি করে পিনাট বাটার লাগান এবং দেখতে থাকুন আপনার ওজন কত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে।

৬. আলু

আলু কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ, তাই এখানে কোন সন্দেহ নেই যে প্রতিদিন আলু খেলে এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

আলুতে মাখন লাগিয়ে গ্রিল অথবা ওভেনে বেক করুন, অথবা আপনি যদি পছন্দ করেন তাহলে এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল দিয়ে আলু গুলোকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করুন, তবে সপ্তাহে ২ বারের বেশি আলু খাবেন না।

৭. বাদাম

বাদাম যেমন আমন্ড, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ এবং শস্য বীজ এগুলোতে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে এবং দিনে ৩ বেলা আহার গ্রহন করার মাঝখানের বিরতি গুলোতে খাওয়ার জন্য সেরা হলো বাদাম।

এদের দারুণ স্বাদ উপভোগ করার জন্য, পুষ্টি পাওয়ার জন্য এবং অবশ্যই ওজন বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি বাদাম খাবেন। বাদামে স্বাস্থ্যকর তেল রয়েছে এবং এটি আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।

৮. স্ট্রেস মুক্ত থাকা

ওজন কমে যাওয়ার একটি প্রধান কারন হলো স্ট্রেস বা চাপ। তাই আপনি যদি ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে চাপগ্রস্থ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তাহলে যোগ ব্যায়াম করুন অথবা শ্বাস নিয়ন্ত্রন করার কৌশল আয়ত্ত করার চেষ্টা করুন।

এই কৌশল গুলো আপনার শরীরকে চাপমুক্ত করতে সাহায্য করবে। যখন আপনি আপনার চাপ নিয়ন্ত্রন করা এবং নিজেকে চিন্তা মুক্ত করার কৌশল আয়ত্ত করে ফেলবেন, তখন দেখবেন ওজন বৃদ্ধি করা আপনার জন্য খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।

৯. কলা এবং দুধ

আপনি হয়ত জানেন না যে কলা প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এরা আপনাকে মুহূর্তের মধ্যে শক্তি সরবরাহ করতে পারে।

এর মাধ্যমেই বুঝা যায় কেন টেনিস খেলোয়াড়েরা প্রতি খেলার মাঝখানে প্রায়ই কলা খান। প্রতিদিন সকালে একটি করে কলা খাবেন এবং খাওয়ার পরেই এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে পান করবেন।

১০. বাদাম দুধ

কয়েক পাউন্ড ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম দুধ পান করাও একটি দুর্দান্ত উপায়। দুধের সাথে বাদাম, শুকনো ডুমুর ফল এবং খেজুর মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো হয়ে গেলে দুধ ছেঁকে নিন এবং এক মাস ধরে প্রতিদিন এই গরম দুধ পান করুন। সিদ্ধ বাদাম, ডুমুর এবং খেজুর গুলো ফেলে দিবেন না। সিদ্ধ করার পরেও এগুলোর ভিতরে অনেক পুষ্টি বিদ্যমান থাকে। তাই এগুলোও খেয়ে ফেলুন।

আপনি আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য নানা রকম ঘরোয়া প্রতিকার গুলোকে সমন্বয় করে নতুন খাবার বানাতে পারেন এবং আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওজন পাওয়া পর্যন্ত এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো চালিয়ে যান।

যদি আপনি আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর, সহজ এবং জটিলতাবিহীন ঘরোয়া প্রতিকার চান তাহলে আমাদের দেওয়া এই ১০ টি খাদ্য অনুসরন করতে পারেন।

Filed Under: Weight Gain

দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিন পাউডার কিভাবে ব্যবহার করবেন?

by Mohona Leave a Comment

সারা বিশ্বে যখন প্রায় সবাই ওজন কমানোর মিশনে নেমেছে, তখন এমন কিছু মানুষ আছে যারা সামান্য কয়েক কিলো ওজন বাড়ানোর জন্য মরিয়াভাবে চেষ্টা করেই চলেছে!

যারা অত্যাধিক মাত্রায় চর্মসার বা চিকন তাদের কাছে এই স্বাস্থ্য একদিকে যেমন বিষণ্ণতার কারন হয় তেমনি এই স্বাস্থ্য তাদের জন্য অনেক প্রতিকুলতা সৃষ্টি করে।

একজন ব্যক্তির অতি মাত্রায় পাতলা হওয়ার বিভিন্ন কারন থাকতে পারে। অনেক গুলো কারনের মধ্যে কিছু কারন হলো বিপাক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, থাইরয়েড এবং নিম্নমানের খাদ্যাভাস ইত্যাদি।

আপনি যদি পাতলা থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে যান এবং আপনার ওজন কিছুটা হলেও বাড়াতে চান তাহলে প্রোটিন পাউডার আপনার জন্য খুব ভালো একটি বিকল্প হতে পারে, যেটি আপনার দেহে কিছু অতিরিক্ত ওজন বা পাউন্ড বাড়াতে সাহায্য করবে।

কিন্তু ওজন বাড়ানোর জন্য কিভাবে প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করতে হবে তা এই আর্টিকেল পড়ে জানার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে প্রোটিন পাউডার জিনিষটা কি।

প্রোটিন পাউডার কি? [What is Protein Powder]

প্রোটিন পাউডার হলো একটি “বডি বিল্ডিং সাপ্লিমেন্ট” যা অন্যান্য খাবারের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে, দেহের পেশী বর্ধিত করে অথবা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

তিন ধরনের প্রোটিন পাউডার রয়েছেঃ-

  • হোয়ে (Whey): এই পাউডারে ২৫% থেকে ৮৯% প্রোটিন থাকে বাকিটা ল্যাকটোজ, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। ভালো মানের প্রতি ৩০ গ্রাম হোয়ে প্রোটিন কনসেনট্রেটে ২৪ গ্রাম প্রোটিন (এর মধ্যে ৫.৪ গ্রাম ব্রাঞ্চ-চেইন অ্যামিনো এসিড থাকে), ২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ১১৯ Kcal ক্যালোরি থাকে।
  • সয় (Soy): সয়া প্রোটিন হল একটি প্রোটিন যা সয়াবিন থেকে বিচ্ছিন্ন। এটি সয়াবিন খাবার থেকে তৈরি করা হয় যা অবমূল্যায়িত এবং বিকৃত করা হয়েছে।
  • কেইসিন (Casein): ক্যাসিন হলো আরেকটি দুধ ভিত্তিক প্রোটিন। গরুর দুধে প্রায় ৮০% কেসিন প্রোটিন থাকে।

এই পাউডার গুলো বাজারে বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। আপনি আপনার কাছাকাছি কোন ঔষধের দোকান থেকে এগুলো কিনতে পারেন।

ওজন বৃদ্ধিতে প্রোটিন পাউডারঃ

  • ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকাতে হোয়ে প্রোটিন (Whey Protein)  অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রোটিন আপনার দেহের পেশী বাড়াতে এবং এদের ঠিক করতে সাহায্য করে। আপনাকে অবশ্যই দিনে অন্তত ১০০-২০০ ক্যালোরি প্রোটিন গ্রহন করতে হবে। এটি আপনাকে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুই পাউন্ড ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে এক থেকে দুই পাউন্ড ওজন বাড়ানো শরীরের জন্য খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।
  • আপনি যদি প্রোটিন পাউডার খাওয়া শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই “বায়্যোলোজিকাল ভ্যালু স্কেল” (বিভি) সম্পর্কে পরিচিত হতে হবে। এটি একটি স্কেল যেটি আপনার শরীরে প্রোটিনের পরিমান পরিমাপ করতে সাহায্য করে এবং বাইরে থেকে গৃহীত প্রোটিন শরীর কতটুকু ব্যবহার করবে তাও পরিমাপ করে। বায়্যোলোজিকাল ভ্যালু স্কেলে ডিমের হার ১০০%, গরুর মাংসের হার ৭৫% এবং হোয়ের (Whey) হার ১০৪%। কিন্তু হোয়ে (Whey) এর বিশুদ্ধ রূপ হচ্ছে আইসোলেটস হোয়ে (Isolates Whey) এবং এর হার প্রায় ১৭০%।
  • যদি আপনি ওজন বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার পেশীও সুগঠিত করতে চান তাহলে আপনাকে প্রোটিন পাউডার গুলোর মধ্যে আরো ভালো সংস্করণটি বেছে নিতে হবে। টাকাও একটি বড় ব্যাপার কিন্তু যখন আপনি আপনার খাদ্যাভাস পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করেন এবং একটি নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকার উপর মনোনিবেশ করেন তখন আপনাকে একটু অর্থ ব্যয় করতেই হবে। বাজারে সহজলভ্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রোটিন পাউডারটি হলো “আইসোলেটেড হোয়ে” (Isolated Whey) এবং ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে সেরা পছন্দ এটি।

সুতরাং এখন আপনি জানেন কিভাবে প্রোটিনের সাহায্যে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আপনাদের মধ্যে যারা খুব ব্যস্ত থাকেন তারা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারও গ্রহন করতে পারেন যেমন প্রোটিন বার (এতে প্রচুর পরিমানে শর্করার এবং কার্বোহাইড্রেট আছে), গ্রিল করা মরগি, ডিম এবং দুধ। আপনি চাইলে প্রোটিন শেইক ও খেতে পারেন।

আপনি এখন পাতলা হওয়া নিয়ে চিন্তা করা এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন অনুভব করা বন্ধ করেতে পারেন।

কারণ, একটি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারা পালন করার পথ আপনি সবসময়ই কোনো না কোনো ভাবে খুঁজে পাবেন।

Filed Under: Weight Gain

ওজন বাড়ানোর জন্য শেরা ১০ উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য

by Mohona Leave a Comment

বর্তমান বিশ্বে সবাই শীর্ণ দেহের অধিকারী হওয়ার জন্য অস্থির থাকে। রোগা হওয়ার জন্য মানুষ কি না করে। অন্যদিকে আবার ওজন বাড়াতে ইচ্ছুক এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর।

কিন্তু, অবশ্যই এমন কিছু মানুষ আছে যারা খুবই পাতলা/রোগা এবং তাই তারা নিজেদের ওজন আরো বাড়াতে চান যাতে তাদের শরীর অন্যদের মত আকর্ষণীয় দেখায়।

ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য কিছু উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার আছে। চলুন এসকল খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ

১. সিরিয়াল (Cereals)

প্রতিদিন সকালের নাস্তায় আপনি যে পরিমান সিরিয়াল খান তার থেকে আরো ১০-২০ গ্রাম বেশি খেলে আপনি খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। বেশির ভাগ সিরিয়াল গুলোতে প্রচুর পরিমানে ক্যলোরি থাকে এবং আপনি যদি এই ক্যালোরি অতিরিক্ত গ্রহন করে ফেলেন, তাহলে আপনি সারাদিন ধরে কাজ করে এই অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন।

২. পাস্তা এবং স্প্যাগেটি (Pasta and Spaghetti)

এটি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার এবং উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে এটি একটি। যখন ২ আউন্স পাস্তাতে কেবলমাত্র ৭৫ ক্যালোরি থাকে, তখন এর সাথে প্রচুর পরিমানে পনির এবং মিটবল মিশালে ক্যালোরির মাত্রা আকাশ ছুঁবে। ওজন বাড়ানোর জন্য এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে!

৩. বাদামের মাখন (Peanut Butter)

এই মাখনের মধ্যে অবশ্যই সল্টেড মাখনটি ব্যবহার করবেন। ২ টেবিল চামচ পিনাট মাখনে ১৯২ ক্যালোরি থাকে। তাই এটি আপনি শুধু পাউরুটির উপরেই লাগিয়ে খাবেন না, আরো বেশি ক্যালোরি পাওয়ার জন্য এই মাখন দিয়ে স্মুদি (Smoothies) এবং মিল্ক শেইক বানিয়েও খেতে পারেন।

৪. চকলেট নাট স্প্রেড (Chocolate Nut Spread)

চকলেট নাট স্প্রেড প্রায় নিউটেলার (Nutella) মত, কেবল্মাত্র ১০০ গ্রাম চকলেট নাট স্প্রেডে ৫৪১ ক্যালোরি থাকে। যদি আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন তাহলে প্রতিদিন উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ সুস্বাদু এই চকলেটি নাট স্প্রেডটি উপভোগ করতে থাকুন, যতক্ষন না পর্যন্ত আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওজন লাভ করেন।

৫. পনির (Cheese)

আপনি যখন চেডার পনির (cheddar cheese) খাবেন, তখন এই পনির থেকে আপনি ৬৯ ক্যালোরি পাবেন। এছাড়াও আরো নানা রকম পনির আছে যেগুলোতে আরো বেশি ক্যলোরি আছে। পনিরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিকল্পটি হলো ব্রি (brie), কারন এটিতে যেমন প্রচুর চর্বি আছে তেমনই এটি খুব সুসাদু।

৬. সালাদ ড্রেসিং (Salad Dressings)

আপনার সালাদটি আরো আকর্ষণীয়, আরো সুস্বাদু এবং আপনার ওজন আরো বাড়ানোর জন্য সালাদ ড্রেসিং খুবই কার্যকরী একটি উপায়। এখানে বিভিন্ন রকম ক্রিমি (Creamy) এবং জিভে জল আনা সালাদ ড্রেসিং আছে যেগুলো আপনার সালাদের স্বাদ আরো বাড়িয়ে তুল্বে এবং আপনি এই সালাদ থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি গুলোও পাবেন। ১ টেবিল চামচ সালাদ ড্রেসিং এ প্রায় ৫০-৮৫ ক্যালোরি থাকে। তবে এই ক্যালোরির পরিমান কি ধরনের সালাদ ড্রেসিং বানানো হবে তার উপর নির্ভর করে।

৭. মাখন

৫ গ্রাম সল্টেড মাখনে ৩৬ ক্যালোরি থাকে। তাই, আপনি কতটুকু ক্যালোরি গ্রহন করবেন তা আপনার টোস্টে লাগানো মাখনের উপর নির্ভর করে, আপনি চাইলে এই ক্যলোরির পরিমান বাড়াতে অথবা কমাতে পারবেন। খাবার রান্না করতেও আপনি মাখন ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার রোস্ট করা মুরগিতে অসাধারন স্বাদ দিতে পারেন।

৮. চকলেট

আপনি নিজেকে সবসময় যেরকম মোটা দেখতে চান তা পাওয়ার জন্য ক্যান্ডি বার এবং মিনি চকলেট খেতে পারেন। মিষ্টিজাতীয় খাবারের সবসময়ের একঘেয়েমি স্বাদ দূর করার জন্য এর উপর একটি চেরি ফল এবং চকলেট আর আইসিং চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন এবং তা খেয়ে উপভোগ করুন। চকলেট দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ শীর্ষস্থানীয় খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

৯. গমের পাউরুটি (Whole Wheat Bread)

গমের পাউরুটি শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি রয়েছে। এক টুকরো বাদামী পাউরুটিতে ৬৯ ক্যালোরি থাকে। তাই এখানে কোনো সন্দেহ নেই যে গমের পাউরুটি আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য প্রচুর ক্যালোরি সরবরাহ করবে এবং আপনাকে আরো আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে তুলবে।

১০. গুয়াকামোলে (Guacamole)

যদি আপনি ম্যাক্সিকান খাবার পছন্দ করেন তাহলে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে গুয়াকামোলে অন্তর্ভুক্ত করা একটি ভাল উপায়। আপনি জেনে বিস্মিত হবেন যে, আপনি গুয়াকামোলে খাওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েক পাউন্ড ওজন বাড়াতে পারবেন। আপনি যদি ২৬১ গ্রাম গুয়াকামোলে খান, তাহলে আপনি ৩৬০ ক্যালোরি পাবেন। ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও গুয়াকামোলের ভিতর থাকা অ্যাভাকাডো আপনার ত্বক এবং চুল কোমল ও মসৃণ করে তুলবে।

এগুলোই ওজন বাড়ানোর জন্য উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ ১০ টি খাবার। আশা করি, এর মাধ্যমে আপনি কোনো সময় নষ্ট না করে খুব সহজেই দ্রুত আপনার আকর্ষণীয় শরীরটি পাবেন। তাই, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে এই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করুন।

Filed Under: Weight Gain

১০ টি হরমোন নারীদের ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী

by Mohona Leave a Comment

ওজন কমানো শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়, এটি আপনার শরীরের হরমোনের অবস্থা সাথেও সম্পর্কিত। ওজন কমানো সহজ কাজ নয়।

কিন্তু, আপনি কি জানেন আপনার শরীরের হরমোন গুলোর ভারসাম্য যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনার দেহের মাত্রাতিরিক্ত মেদ ঝরানো যে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে?

হরমোন আপনার দেহের সংকটপূর্ণ প্রতিক্রিয়া এবং ক্রিয়াকলাপ গুলো যেমন বিপাক, প্রদাহ, মেনোপোজ, গ্লুকোজের উঠা-নামা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।

হরমোন ভারসাম্য বিপর্যয়ের প্রধান কারণগুলো হলো দুশ্চিন্তা, বয়স, জিন এবং নিম্ন জীবনধারা যেটা নিষ্ক্রিয় বিপাক, বদহজম, অনিয়ন্ত্রিত ক্ষুধার দিকে ধাবিত করে — এসব কারন আপনাকে ওজন বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।

যদিও নারীরা অতিমাত্রায় হরমোন নিঃসরণে অভ্যস্ত, কিন্তু হমোনের দীর্ঘকালস্থায়ী ভারসাম্যহীনতা আপনাকে মেদবৃদ্ধিজনিত রোগে আক্রান্ত করে দিতে পারে।

সুতরাং, চলুন দেখে নেই আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য কোন হরমোনটি দায়ী এবং এ বিষয়ে আপনি কি করতে পারেন।

১. থাইরয়েড (Thyroid)

থাইরয়েড গ্রন্থি, এটি আপনার গলার তলদেশে অবস্থিত এবং এই গ্রন্থি তিনটি হরমোন উৎপাদন করে — টি৩ (T3), টি৪ (T4) এবং ক্যালসিটোনিন (Calcitonin)। এই হরমোনগুলো বিপাক, ঘুম, হৃদ কম্পন, শরীরের বিকাশ, মস্তিষ্কের বিকাশ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে। মাঝে মাঝে থাইরয়েড গ্রন্থি থাইরয়েড হরমোন কম উৎপাদন করে যার ফলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়।

হাইপোথাইরয়েডিজম প্রায়ই ওজন বৃদ্ধি, বিষণ্নতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, উচ্চ রক্তচাপ, ধীর হৃদ স্পন্দন ইত্যাদির সাথে যুক্ত থাকে। হাইপোথাইরয়েডিজম অনেক কারণে হতে পারে যেমন গ্লুটেনের অসহিষ্ণুতা, অপুষ্টি, দূষিত পরিবেশ ইত্যাদি। এমনকি থাইরয়েডের কারনে আপনি শুধু মোটা হবেন না, আপনার শরীরে পানিও চলে আসবে। শুধুমাত্র থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার কারনে আপনার ওজন ৫-১০ পাউন্ড বেড়ে যেতে পারে।

কিভাবে থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা করবেন?

  • টি৩ (T3) এবং টি৪ (T4) এর পাশাপাশি থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ) এরও পরীক্ষা করান। একজন ডাক্তার দ্বারা রিপোর্ট গুলো পর্যবেক্ষণ করান।
  • কাঁচা শাকসবজি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। ভালোভাবে রান্না করা খাবার খান।
  • আয়োডিনযুক্ত লবন খান।
  • জিংক যুক্ত খাবার যেমন অয়েস্টার এবং কুমড়োর বীজ খান।
  • মাছের তেল এবং ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট খান।
  • যদি আপনার ডাক্তার নির্দেশনা দেন তবে থাইরয়েডের ঔষধ খান।

২. ইনসুলিন (Insulin)

ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা অগ্ন্যাশয় দ্বারা নিঃসরিত হয়, যা গ্লুকোজকে কোষের ভিতর বহন করতে সাহায্য করে যা শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয় অথবা চর্বি হিসেবে দেহে জমা থাকে।

এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করা (অথবা অনেক সময় অতিরিক্ত ফল খাওয়া) ইনসুলিন প্রতিরোধ করতে পারে।

এক্ষেত্রে, পেশীর কোষগুলো গ্লুকোজযুক্ত ইনসুলিন গুলো চিনতে পারে না, এবং যার কারণে গ্লুকোজ গুলো রক্তের মধ্যে থেকে যায় ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। পরিশেষে এটি ওজন বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয়।

কিভাবে ইনসুলিনের চিকিৎসা করবেন?

  • আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • সপ্তাহে ৪ ঘন্টা ব্যায়াম করুন।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, গভীর রাতে খাওয়া, বায়ু ভর্তি এবং কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় ইত্যাদি পরিহার করুন।
  • সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, মৌসুমি সবজি (দিনে ৪-৫ বার) এবং মৌসুমি ফল (দিনে ৩ বার) গ্রহন করুন।
  • আপনার দেহে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা উন্নত করতে চর্বিযুক্ত মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি গ্রহন করুন।
  • কম ক্যালোরিযুক্ত (২০০০-২২০০ ক্যালোরি) কিন্তু অধিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাদ্য খান।
  • প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করুন।

৩. লেপটিন (Leptin)

সাধারন অবস্থায় থাকাকালীন, খাওয়ার সময় আপনার পেট ভরে গেলে হরমোন লেপটিন আপনাকে পেট ভরার সংকেত দিবে এবং আপনাকে খাওয়া বন্ধ করতে বলবে। কিন্তু যে সকল খাবারে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট, ফল (সেই সকল ফলে প্রচুর ফ্রুক্টোজ থাকে) এবং প্রক্রিয়াজাত ফল, এসব খাবার মাত্রাতিরিক্ত গ্রহন করলে, এসব খাবারে থাকা অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ চর্বিতে রুপান্তরিত হয় যা লিভার, পেট এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে জমা হয়।

এখন, এই চর্বির কোষগুলো লেপটিন নিঃসরণ করে। আপনি যত বেশি ফ্রুক্টোজ যুক্ত খাবার গ্রহন করবেন, তত বেশি লেপটিন নিঃসরিত হবে। এর ফলে শরীর থেকে লেপটিন উধাও হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করার সংকেত নেওয়া বন্ধ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত এটি আপনাকে ওজন বৃদ্ধির দিকে ধাবিত করে।

কিভাবে লেপটিন স্তর নিম্নমুখী রাখবেন?

  • আপনাকে সঠিক বিশ্রাম নিতে হবে। গবেষনায় দেখা গেছে, কম ঘুমালে দেহে লেপটিনের মাত্রা কমে যায় এবং মস্তিষ্ক খাবার খাওয়া বন্ধ করার সংকেত নেওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই, আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
  • ২ ঘন্টা পর পর খান।
  • চিনিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করুন, দিনে ৩ বার ফল খান, গাড়ো সবুজ পাতাযুক্ত সবজি খান এবং স্বাস্থ্যকর নাস্তা গ্রহন করুন।
  • নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন কারন ডিহাইড্রেশনও আপনার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিবে।

৪. ঘ্রেলিন (Ghrelin)

ঘ্রেলিনকে সবাই “ক্ষুধার হরমোন” হিসেবে চিনে, এটি ক্ষুধা বাড়াতে এবং দেহে চর্বি জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এটি প্রধানত পাকস্থলী থেকে নিঃসরিত হয়। সামান্য পরিমান ঘ্রেলিন ছোট অন্ত্র, মস্তিষ্ক, এবং অগ্ন্যাশয় থেকেও নিঃসরিত হয়। রক্তে উচ্চ মাত্রায় ঘ্রেলিনের উপস্থিতি দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং এই হরমোন মোটা মানুষের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। এমনকি যখন কেউ খাবার খুব কম খায় অথবা উপবাস বা রোজা রাখলে তখন ঘ্রেলিনের মাত্রা আরো বেশি বেড়ে যায়।

কিভাবে ঘ্রেলিনের মাত্রা কমাবেন?

  • ২-৩ ঘন্টা পর পর খান।
  • দিনে ৬ বার খাবার খান।
  • তাজা ফল, শাক-সবজি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, আঁশযুক্ত খাবার এবং স্বাস্থ্যকর তেল জাতীয় খাবার গ্রহন করুন।
  • খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে ১ কাপ পানি পান করবেন।
  • যদি সমস্যা না যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • নিজেকে কর্মক্ষম রাখুন।

৫. ইস্ট্রোজেন (Estrogen)

উচ্চ এবং নিম্ন মাত্রার ইস্ট্রোজেন দুটিই ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। প্রথমত, আমি আপনাকে জানাতে চাই কিভাবে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন আপনার ওজন বাড়াতে পারে। সাধারনত দেহে উচ্চমাত্রার ইস্ট্রোজেন ডিম্বাশয়ে এই হরমোন অত্যাধিক মাত্রায় উত্পাদনের কারনে হয় অথবা ইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের কারণেও হয়। বর্তমানে, যখন আপনি সুস্থ থাকেন তখন আপনার দেহ যথেষ্ট পরিমাণ ইন্সুলিন উৎপাদন করতে পারে এবং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও ঠিক থাকে।

কিন্তু, যখন আপনার দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন ইন্সুলিন উৎপাদনের কোষগুলিতে চাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে, এটি আপনার দেহে ইন্সুলিনের উৎপাদন প্রতিরোধ করে এবং আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে ওজন বৃদ্ধি করে দেয়।

দ্বিতীয়ত, প্রি-মেনোপোজাল নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম থাকে, যেটি একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। ডিম্বাশয়ের কোষগুলো ইস্ট্রোজেন উত্পাদন করার ফলে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা আরো হ্রাস পায়। এখন যথেষ্ট পরিমাণ ইস্ট্রোজেনের সরবরাহ পেতে দেহ অন্যান্য কোষ খোঁজা শুরু করে যেগুলো ইস্টোজেন উৎপাদন করে। এবং এরকম একটি উত্স হচ্ছে চর্বির কোষ। যখন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দেহ তার সকল শক্তির উৎসকে চর্বিতে রুপান্তর করে। পরবর্তীতে এটি দেহের নিচের অংশের ওজন বৃদ্ধি করে দেয়।

কিভাবে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখবেন?

  • প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। স্থানীয় বাজার থেকে মাংস কিনুন।
  • অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
  • প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। আপনি মেনোপোজের স্বীকার হয়ে থাকলে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য যোগ ব্যায়াম করুন।
  • শস্যজাতীয় খাবার, সতেজ সবজি এবং ফল খান।
  • আপনার দেহের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বজায় রাখার জন্য আপনার জীবনধারাতে আনা পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে আপনার ডাক্তারকে অবগত করুন।

৬. কর্টিসোল (Cortisol)

কর্টিসোল একটি স্টেরয়েড হরমোন যা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপন্ন হয়। যখন আপনি মানুষিক চাপ, বিষণ্ণ, চিন্তিত, উদ্বিগ্ন, রাগান্বিত, শারীরিকভাবে আহত ইত্যাদি থাকেন তখন এই হরমোনটি নিঃসরিত হয়। কর্টিসোলের দুটি প্রধান ফাংশন হল শক্তি নিয়ন্ত্রণ করা এবং শক্তির যোগান দেওয়া।

আমি আপনাকে বিস্তারিত জানাচ্ছি।

কর্টিসোল দেহের একটি নির্দিষ্ট কাজ পরিচালনা করতে কোন ধরনের শক্তি (শর্করা, প্রোটিন অথবা চর্বি) প্রয়োজন তা প্রথমে স্থির করে শক্তি নিয়ন্ত্রন করে। কর্টিসোল সংরক্ষিত চর্বি থেকে তেল “ক্ষুধার্ত কোষ” অথবা কর্মঠ পেশীগুলোতে পরিবহনের মাধ্যমে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। মূলত, কর্টিসোল স্বল্পমেয়াদী চাপের (মানসিক, শারীরিক, বাস্তব বা কল্পিত) প্রতিক্রিয়া সামলাতে প্রয়োজন হয়।

কিন্তু নিম্নমানের জীবনধারা নির্বাচন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বদঅভ্যাসের কারনে, আপনার শরীরে প্রতিনিয়ত চাপের সৃষ্টি হতে পারে। যেটি আপনার কর্টিসোল নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা দেহকে হাইপারিনসুলিনেমিক (Hyperinsulinemic) করে তুলে, অন্ত্রের অভ্যন্তরে চর্বি বৃদ্ধি করে এবং চর্বি কোষকে আরো পরিপক্ক করে তুলে।

কিভাবে কর্টিসোলের মাত্রা কমাবেন?

  • কি কি করতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং যেই কাজগুলো সম্পূর্ণ করেছেন তাতে টিক চিহ্ন দিন। এটি শুধুমাত্র আপনার কাজ গুলো স্মরণ করিয়ে দিবে না বরং আপনাকে ভালো অনুভব করাবে।
  • চাপ কমানোর সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নিজের জন্য সময় বের করা। আপনি সবসময় করতে চেয়ে ছিলেন এমন একটি শখ পুরন করুন, নতুন কিছু শিখুন, বই পড়ুন, আপনার পছন্দের চলচ্চিত্র দেখুন এবং আরো অনেক কিছু করতে পারেন।
  • পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। যদি আপনাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য সঠিক কেউ থাকে তাহলে এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা। বিশেষ করে যারা আপনার সমালোচনা করেন না এবং আপনার অনেক ভালো চান।
  • আপনার প্রতিদিনের জীবনযাত্রা থেকে কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিন এবং এমন কিছু করুন যা আপনি আগে কখনো করেননি।
  • লোকেরা আপনার সম্পর্কে কি ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন।
  • দেহ এবং মনের চাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন এক ঘন্টা গভীরভাবে শ্বাস নিন, যোগব্যায়াম করুন এবং ধ্যান করুন।
  • প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
  • মদ, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন।

৭. টেস্টোস্টেরোন (Testosterone)

মহিলাদের দেহে অল্প মাত্রার টেস্টোস্টেরোন উৎপন্ন হয়। টেস্টোস্টেরোন মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, হাড় ও মাংসপেশী আরো মজবুত করে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নারীদের মধ্যে, ডিম্বাশয়ে টেস্টোস্টেরোন উৎপন্ন হয়। বয়সের বৃদ্ধি এবং চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে নারীদের মধ্যে টেসটোসটের মাত্রা কমাতে পারে। এবং কম মাত্রার টেস্টোস্টেরোন হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস, পেশীর ভরের ক্ষতি, স্থুলতা বৃদ্ধি, বিষন্নতার কারনের সাথে সম্পর্কিত। এটি দেহে চাপ ও প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে যেটি দেহে মেদ আরো বাড়াতে সাহায্য করে।

কিভাবে দেহে টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়াবেন?

  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার টেস্টোস্টেরোন মাত্রা পরীক্ষা করুন।
  • ওজন হ্রাসের জন্য আপনার খাদ্যে আঁশযুক্ত খাবার যেমন ফ্লাক্স সীডস (Flaxseeds), আলুবোখারা, কুমড়োর বীজ, আস্ত শস্যদানা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা আরো উন্নত করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন আপনার বিপাক বৃদ্ধি করুন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন সি, প্রোবায়োটিক্স এবং ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিন।
  • মদ পান থেকে বিরত থাকুন কারন এটি লিভার এবং কিডনি ক্ষতি করতে পারে।
  • টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়াতে জিংক এবং প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন।

৮. প্রজেস্টেরন (Progesterone)

দেহের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ঠিক রাখতে প্রজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন অবশ্যই সঠিক ভারসাম্যে থাকতে হবে। মেনোপোজ, চাপ, গর্ভনিরোধক ঔষধ সেবন অথবা এন্টিবায়োটিক আছে এমন সব খাবার খাওয়ার কারনে এবং এমন সব হরমোন যেগুলো দেহে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তরিত হয় এ সকল কারনে প্রজেস্টেরনের মাত্রা নিচে নেমে যেতে পারে। এটি ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি এবং বিষন্নতা সৃষ্টি করতে পারে।

কিভাবে দেহে প্রজেস্টেরনের মাত্রা বাড়াবেন?

  • কোন জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি আপনার জন্য ভালো হবে তা জানার জন্য আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
  • প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া বন্ধ করুন।
  • প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
  • গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার অনুশীলন করুন।
  • শারীরিক ও মানুষিক চাপ এড়িয়ে চলুন।

৯. ম্যালাটনিন (Melatonin)

ম্যালোটনিন পাইনেল গ্রান্ড দ্বারা নিঃসরিত হয় যেটি ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠার সময় সার্কাডিয়ানের (Circadian) উঠা-নামার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ম্যালোটনিনের মাত্রা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়তে থাকে এবং খুব ভোরে কমে যায়। তাই, আপনি যদি একটি অন্ধকার রুমে ঘুমান, তাহলে ম্যালোটনিনের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং আপনার দেহের তাপমাত্রা কমে যাবে।

বৃদ্ধিজনিত হরমোন তখন মুক্তি পায়, যেটি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, শারীরিক গঠন উন্নত করে, মেদবিহীন পেশী তৈরিতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। কিন্তু সার্কাডিয়ানের (Circadian) উঠা-নামা ব্যাহত হওয়ার কারনে আপনাদের মধ্যে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না অথবা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অন্ধকার পান না। এটি চাপ বৃদ্ধি করে যেটি আপনার দেহে প্রদাহ বৃদ্ধি করে এবং ওজন ও বৃদ্ধি করে।

কিভাবে ম্যালোটনিন স্তর বাড়াবেন?

  • প্রএকটি অন্ধকার রুমে ঘুমান।
  • তিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
  • রাতে অনেক দেরি করে খাবেন না।
  • ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার সমস্ত গ্যাজেট বন্ধ করুন।
  • বাদাম। চেরী, এলাচ, ধনে পাতা এবং সূর্যমুখী ফুলের বীজ খান কারন এরা সকলে ম্যালোটনিন সরবরাহ করে।

১০. গ্লুকোকোরটিকয়েডস (Glucocorticoids)

প্রদাহ থেকে আরোগ্য লাভের প্রাথমিক পদক্ষেপ। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের কারণ হতে পারে। এবং তাদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি একটি। গ্লুকোকোরটিকয়েডস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গ্লুকোকোরটিকয়েডস দেহে চিনি, চর্বি এবং প্রোটিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। এবং গবেষনায় খুঁজে পাওয়া গেছে গ্লুকোকোরটিকয়েডস চর্বির ভাঙ্গন এবং প্রোটিনের ভাঙ্গন বৃদ্ধি করে এবং শক্তির উৎস হিসেবে গ্লুকোজ অথবা চিনির ব্যবহার হ্রাস করে।

সুতরাং, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে দেহ ইন্সুলিন প্রতিরোধক হয়ে যায়। আর দেহে ইন্সুলিন না থাকলে পরবর্তীতে দেহ মোটা হতে থাকে এবং দেহে ইন্সুলিন না থাকলে ডায়াবেটিস ও বেড়ে যেতে থাকে।

কিভাবে গ্লুকোকোরটিকয়েডসের মাত্রা কমাবেন?

  • শরীরের মধ্যে প্রদাহ কমাতে শারীরিক এবং মানসিক চাপ হ্রাস করুন।
  • প্রদাহ কমানোর জন্য তাজা শাকসবজি, ফল, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর তেল জাতীয় খাদ্য যেমন বাদাম, বীজ, জলপাইয়ের তেল, মাছের তেল ইত্যাদি খান।
  • ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
  • প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করুন।
  • নিজেকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে কর্মক্ষম রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটুন।
  • আপনার কাছের মানুষগুলোর সাথে সময় কাটান এবং নিজের জন্যও কিছু সময় রাখুন।
  • আপনি যদি বিষণ্নতা, উদ্বেগ, PTSD ইত্যাদিতে ভুগতে থাকেন তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
  • কোন কঠোর খাদ্যতালিকা অনুসরন করবেন না কারণ এরা আপনার দেহে প্রদাহ বৃদ্ধি করে।

হরমোনের কারনে ওজন বৃদ্ধি অনেক জটিল হতে পারে, এবং তাই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সঙ্গে মোকাবিলা করার সময় আপনাকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ

সতর্কতাঃ

  • কখনো নিজে নিজে ঔষধ সেবন করবেন না কারন ওজন বৃদ্ধি বিভিন্ন কারনে হতে পারে এবং আপনাকে এমন একটি ওজন কমানোর উপায় খুঁজে নিতে হবে যেটি আপনার স্বাস্থ্যর কোন ক্ষতি করবে না।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং আপনার ওজন হরমোনের কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা জানতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
  • যদি হ্যাঁ হয়, তবে একটি হরমোনই ওজন বৃদ্ধির কারন নাকি অন্যান্য হরমোন ও ওজন বৃদ্ধির কারন তা খুঁজে বের করতে হবে।

সুতরাং, এই ১০ টি হরমোন আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী হতে পারে। যদিও এটি শুনতে জটিল মনে হবে, কিন্তু এর মাধ্যমেই আপনি আপনার ওজন হ্রাস করতে না পারার কারন জানতে পারবেন এবং অনেক বড় চিন্তা থকে মুক্তি পাবেন। এবং এর থেকে বড় মুক্তি আর কোন কিছুতেই হতে পারে না।

এই অনুচ্ছেদটি অনুসরণ করুন এবং নিশ্চিতভাবে আপনি খুব দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম হবেন।

Filed Under: Weight Gain

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৫টি লো-শুগার ফল ও সবজি যা আপনার লো-কার্ব ডায়েটের জন্য উপযুক্ত

ত্বকে গ্লো চাই? ২০টি ফল যা আপনার স্কিনকে করে তুলবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়

অক্সিজেন-সমৃদ্ধ খাবার: ফল, পানীয়, সবজি ও প্রোটিন – সুস্থ শরীরের জন্য সেরা ১২টি খাবার!

ভেগান ডায়েট ওজন কমানোর: একটি টেকসই পথ যা আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখবে

প্যালিও ডায়েট রেসিপি: স্বাস্থ্যকর এবং সহজ প্রস্তুত করার জন্য ১৫টি সেরা রেসিপি

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®