• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Hair Fall ( চুল পড়া)

চুল পড়া রোধে ১৫ টি কার্যকরী হেয়ার মাস্ক

by Mohona Leave a Comment

সারা বিশ্ব জুড়ে বেশিরভাগ নারীদের জন্য চুল পড়া একটি বিশাল উদ্বেগের কারন, এবং আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন তাহলে আপনার জেনে রাখা ভালো যে এই সমস্যা সমাধানের অনেকগুলো উপায় আছে।

কিন্তু একটা মাত্র সমস্যা হল পার্লারে গিয়ে এই সব ট্রিটমেন্ট নেওয়ার মত যথেষ্ট সময় সবার থাকে না। আপনার ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আপনার চুলের ট্রিটমেন্টের জন্য সময় বের করা খুব কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।

যাইহোক, এখানে আরো অনেক উপায় রয়েছে। চুল পড়া স্থায়ীভাবে বন্ধ ও প্রতিরোধ করার একটি ফলপ্রসূ এবং স্মার্ট পথ হলো ঘরে তৈরি কিছু মাস্ক ব্যবহার করা।

আমরা প্রাকৃতিক ট্রিটমেন্টের কিছু কৌশল একসাথে তুলে ধরলাম যা আপনি আপনার রান্না ঘরের কিছু উপকরণ দিয়ে বানাতে পারবেন।

চুল পড়া প্রতিরোধের কার্যকর হেয়ার মাস্ক

১. ডিমের চুলের মাস্ক

২. কলার মাস্ক

৩. দইয়ের মাস্ক

৪. অ্যাভাকাডো মাস্ক

৫. স্ট্রবেরি মাস্ক

৬. কারি পাতা এবং নারিকেলের হেয়ার মাস্ক

৭. ক্যাস্টোর অয়েল হেয়ার মাস্ক

৮. রোজমেরি মাস্ক

৯. গ্রিন টি মাস্ক

১০. ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাস্ক

১১. দারচিনির মাস্ক

১২. লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেলের মাস্ক

১৩. শুষ্ক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১৪. স্বাভাবিক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১৫. তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১. চুলের জন্য ডিমের মাস্ক

ডিমে প্রচুর পুষ্টি এবং প্রোটিন আছে যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য খুবই ভালো।

ডিম সকল ধরণের চুলে খুব ভালো কাজ করে এবং আপনার চুলে খুব ভালো পুষ্টি প্রদান করে। যার ফলে চুল পড়া কমে।

এছাড়াও এতে প্রচুর ভিটামিন বি আছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য ঘরে তৈরি কার্যকর হেয়ার মাস্কগুলোর মধ্যে এটি একটি।

কিভাবে আপনি আপনার চুলের জন্য ডিমের মাস্ক তৈরি করবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ১ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়া

  • ডিম ফাটিয়ে নিন এবং অন্যান্য উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে দিন এবং আপনার চুলে মিশ্রণটি ২০ মিনিট রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্পভাবে, আপনি শুধুমাত্র ডিম চুলে ব্যবহার করতে পারেন নিচের কয়েকটি ধাপের মাধ্যমেঃ

  • কয়েকটি ডিম একসাথে ফাটিয়ে নিন। কুসুম এবং সাদা অংশ ভালোভাবে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
  • আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
  • ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের মাস্কের উপকারিতা

  • প্রোটিন এবং অ্যামিনো সমৃদ্ধ, যা চুলে পুষ্টি জোগায়
  • উজ্জ্বলতা প্রদান করে
  • চুল পড়া কমায়
  • চুল বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগায়

২. কলার হেয়ার মাস্ক

কলা পটাশিয়াম, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক তেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ, যা চুল পড়া রোধের জন্য আদর্শ উপকরণ।

কলা সারা বছর ধরে পাওয়া যায় এবং চুল পড়ার জন্য চমৎকার হেয়ার মাস্ক হিসেবে কাজ করে।

নিচে উল্লেখিত কলার হেয়ার মাস্কগুলো অনুসরণ করে আপনার চুল পড়া রধ করতে পারেন।

ঘরেই কিভাবে আপনি আপনার চুল পড়া রোধে কলার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ টি পাকা কলা
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একটি পাত্রে মিশান এবং একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। পুরো মাথা মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে ফেলুন।
  • ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এখানে আরেকটি হেয়ার মাস্কের রেসিপি দেওয়া হল যেটি কলা এবং বাদাম তেল দিয়ে তৈরিঃ

  • কয়েকটি কলা নিন এবং এগুলোর মশ্রিণ পেস্ট করে নিন।
  • এই পেস্টে ৫ থেকে ৮ ফোঁটা বাদাম তেল মিশান।
  • আপনার চুলে মাখুন। চুল বাধুন এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এরপর অনেক কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা

  • আপনার চুলকে উজ্জ্বল করে
  • আপনার চুল নরম করে
  • খুশকি কমায়
  • ক্ষতি হওয়া কমায়
  • আপনার চুল ময়েশ্চারাইজ করে

৩. দইয়ের হেয়ার মাস্ক

দই ভিটামিন বি, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি দ্বারা গঠিত, যা এটিকে চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বানিয়েছে।

কিভাবে দইয়ের হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ কাপ দই
  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে উপকরণগুলো মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • ১৫ মিনিট মাথায় রাখুন, এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দইয়ের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে।
  • চুলে পুষ্টি জোগায়।
  • চুল মজবুত করে এবং চুলের ভাঙন কমায়।

৪. অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্ক

অ্যাভাকাডো ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ, যা চুল জন্মাতে উৎসাহ জোগায় এবং চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর করে। এতে  এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য আছে, যা একে স্ক্যাল্পের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।

আপনার চুলের গঠন উন্নত করা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে এক অথবা দুইবার অ্যাভাকাডো মাস্ক ব্যবহার করুন।

কিভাবে ঘরেই অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ছোট পাঁকা অ্যাভাকাডো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে মশ্রিণ ঘনত্বের একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
  • চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • ১৫ মিনিট চুলে রেখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • আগা ফাঁটা কমায়
  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে
  • কোঁকড়াভাব কমায়

৫. স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক

আপনার চুল যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক সবচেয়ে ভালো উপায়। দূষিত লোমকূপের ফলে সৃষ্ট চুল ঝরা কমাতে এই মাস্কটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

চুল জন্মানোর জন্য কিভাবে স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক বানাতে হবে?

উপকরণ

  • ৩-৪ টি তাজা স্ট্রবেরি
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু_বাদাম

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার চুলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্কটি লাগান।
  • ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • তৈলাক্ততার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
  • লোমকূপ দূষণমুক্ত করে
  • চুল মজবুত করে
  • চুল পড়া কমায়

৬. কারিপাতা এবং নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্ক

কারি পাতায় প্রচুর প্রোটিন এবং বেটা ক্যারোটিন আছে, যা চুল ঝরার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। নারিকেল তেলের তীব্র বৈশিষ্ট্য এবং এর ফ্যাটি এসিড চেইন একটি সঠিক কম্বো যা চুলের পাতলা হয়ে যাওয়ার বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে। এই মাস্কটি ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার বযবহার করুন।

কিভাবে নারিকেল তেল দিয়ে কারি পাতার হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১০-১২ টি তাজা কারি পাতা
  • ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

প্রক্রিয়া

  • নারিকেল তেলে কারি পাতাগুলো শব্দ না হওয়া পর্যন্ত গরম করুন।
  • তেল সহনীয় পর্যায়ের গরম তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তেলটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • ২০ মিনিটের জন্য মাথায় রাখুন এবং একটি শযাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কারি পাতা এবং নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল ঝরা কমায়
  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে
  • চুলে পুষ্টি জোগায়

৭. ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার মাস্ক

ক্যাস্টর অয়েল প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। এটি ক্ষতিগ্রস্থ চুল ঠিক করে এবং চুল পুনরায় জন্মাতে উৎসাহ জোগায়।

কিভাবে ক্যাস্টোর অয়েল হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টোর অয়েল
  • ২ টেবিল চামচ ব্র্যান্ডি (এক ধরণের করা মদ)
  • ১ টি ডিম

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে ম্যাসাজ করুন।
  • ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • কোঁকড়াভাব হ্রাস করে।
  • চুল জন্মাতে সাহায্য করে।
  • চুল পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৮. রোজমেরি হেয়ার মাস্ক

যদি আপনি চুল জন্মানোর জন্য সেরা হেয়ার মাস্কটির সন্ধান করে থাকেন, তাহলে এটিই সেই হেয়ার মাস্ক। অনেক বছর ধরেই চুলের বৃদ্ধির জন্য রোজমেরি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে যা র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ ভালোভাবে কুচি করা রোজমেরি
  • ১ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • এক কাপ পানিতে কুচি করা রোজমেরি কয়েক মিনিট সেদ্ধ করে নিন।
  • পানিটা ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
  • ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর, লিকুইডটি আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
  • ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রোজমেরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে
  • চুল মজবুত করে
  • র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

৯. গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক

গ্রিন টি এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং র‍্যাডিকেলের কারণে চুল ঝরা প্রতিরোধের সহজ সমাধান।

কিভাবে ঘরেই গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ডিমের কুসুম
  • ২ টেবিল চামচ গ্রিন টি

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো একসাথে নিয়ে একটি ক্রিমি গঠন না হওয়া পর্যন্ত মিশান।
  • একটি ব্রাশ দিয়ে মিশ্রণটি আপনার চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শ্যাম্পু করার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • প্রোটিন চুল এবং স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায়
  • চুল ঝরা কমায়
  • এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

১০. ভিটামিন ই ক্যাপসুল হেয়ার মাস্ক

ভিটামিন ই তেল এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি এ্যান্টি-ফাংগাল এবং এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে এবং চুল ঝরা কমায়। এই মাস্কটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ ভিটামিন ই ক্যাপসুল
  • ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল
  • কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এ্যাসেন্সিয়াল তেল

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণ একসাথে মিশান। আপনি চাইলে বেশি পরিমাণে বানিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।
  • আপনার সম্পূর্ণ চুলে তেলটি লাগান।
  • তেলটি সারারাত চুলে রাখুন এবং পরের দিন সকালে শ্যাম্পু ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভিটামিন ই হেয়ার প্যাকের উপকারিতা

  • এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্যে স্ক্যাল্প সুস্থ রাখে।
  • এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
  • গোড়া মজবুত করে।
  • চুল পড়া কমায়।

১১. লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেল

লেবু আপনার কোষ এবং চুল পরিষ্কার করার জন্য উপযুক্ত এবং ধুলাবালি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি ভালো উপায়।

কিভাবে ঘরে লেবুর হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন?

উপকরণ

  • ২ টি লেবু
  • ১/৪ কাপ টক ক্রিম
  • ১/৪ কাপ গম বীজের তেল

প্রক্রিয়া

  • লেবুর রসগুলো বের করে নিন এবং সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান এবং এক ঘন্টা রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগান।

লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেলের মাস্কের উপকারিতা

  • গ্রন্থিগুলো দূষনমুক্ত করে
  • জমে থাকা ধুলাবালি দূর করে
  • গোড়া মজবুত করে
  • বিভিন্ন রকম চুলের জন্য এটি আদর্শ হেয়ার মাস্ক

১২. শুষ্ক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

এই হেয়ার মাস্কটি আপনার চুলকে খুবই ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে, নরম করে এবং কোঁকড়াভাব কমায়। এটি একটি উপযুক্ত কন্ডিশনিং মাস্ক।

শুষ্ক চুলের জন্য কিভাবে ঘরেই হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মধু
  • ১ চা চামচ বাদামের পেস্ট (৪ টি বাদাম ১/২ টেবিল চামচ গোলাপজল দিয়ে ব্লেন্দ করে নিন)
  • ২ টেবিল চামচ ক্রিম

প্রক্রিয়া

  • মধু এবং বাদামের পেস্ট একটি পাত্রে একসাথে মিশান।
  • ক্রিম সামান্য ফুলে না যাওয়া পর্যন্ত ফাটিয়ে নিন এবং মধু-বাদামের মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
  • আপনার চুলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্কটি লাগান। ৩০ মিনিট পর্যন্ত মাথায় রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন। একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং আপনার চুলকে স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন।

নোটঃ আপনি ক্রিমের পরিবর্তে দই ব্যবহার করতে পারেন, ফলাফল সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

শুষ্ক চুলের জন্য ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুলকে ময়েশ্চারাইজড করে
  • স্ক্যাল্পকে শীতল করে
  • স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদান করে

১৩. স্বাভাবিক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

এটি সম্ভবত বানাতে সবচেয়ে সহজ হেয়ার মাস্ক, এবং এটি আপনি এক সপ্তাহ ধরে রেখে দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই ফ্রিজে রাখতে হবে। এই মাস্ক চুল থেকে হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও এই মাস্ক চুলের কোমলতা পুনরুদ্ধার করে।

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ বাদাম তেল
  • ১ চা চামচ মধু
  • ৪ টেবিল চামচ ফ্ল্যাট বিয়ার

প্রক্রিয়া

  • ডিম এর কুসুমটি সাদা অংশ থেকে আলাদা করে নিন এবং বাকি উপকরণগুলোর সাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান।
  • এখন ডিমের সাদা অংশটির সাথে ৪ টেবিল চামচ ফ্ল্যাট বিয়ার মিশান। ফুলে না উঠা পর্যন্ত ফ্যাটাতে থাকুন।
  • এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার চুল ঢেকে দিন এবং ৩০-৪০ মিনিট আপনার চুলে মিশ্রণটি রাখুন।
  • একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং চুল স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন।

স্বাভাবিক চুলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুলকে রেশমি এবং ঘন করে
  • চুলে উজ্জ্বলতা প্রদান করে
  • চুলে পুষ্টি জোগায়
  • স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে

১৪. তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

অনেক মানুষ তৈলাক্ত চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে ভয় পায় কারণ তখন হয়ত চুল আরো তৈলাক্ত হয়ে যাবে। তৈলাক্ত চুলের মাস্কের জন্য এমন উপকরণ খুঁজতে হবে যা তেলের নিঃসরণ কমায়, এবং আপনার চুলের পুষ্টিগুণ দূর করে দেয় না। এই হেয়ার মাস্কটি তৈলাক্ত চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এবং নিখুঁতভাবে কাজ করে।

কিভাবে ঘরে তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ পানি
  • ১ চিমটি ফ্রুট সল্ট
  • ২ টি আমলকির পেস্ট
  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ

প্রক্রিয়া

  • ডিমের সাদা অংশ ফ্যাটিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত না সাদা অংশ ফুলে উঠে এবং অন্যান্য উপকরণগুলো মিশান।
  • চুলে মিশ্রণটি লাগান।
  • ২০-৩০ মিনিট চুলে রাখুন এবং ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • একটি ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন এবং বাতাসে শুকিয়ে নিন।

তৈলাক্ত চুলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চিটচিটে ভাব দূর করে
  • চুলকে ঘন করে।
  • লোমকূপ ধুলাবালি মুক্ত করে এবং চুল পড়া কমায়

কার্যকর এবং প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্কগুলোর মধ্যে এখানে কিছু দেওয়া হল যা আপনি আপনার চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সহায়তা করে।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া)

ডিম কিভাবে চুল ঝরা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে (১৩ টি উপায়)

by Mohona Leave a Comment

স্বাস্থ্যকর, লম্বা এবং ঘন চুল বেশিরভাগ সময়ই অসাধ্য স্বপ্ন বলে মনে হয়। বিশেষ করে তখনই, যখন আপনার চুল ঝরে পড়া এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যা আছে। কিন্তু, আপনি কি জানেন একটি সহজলভ্য উপকরণ ডিম আপনার সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে? ডিম শুধু চুলের ক্ষতি এবং ঝরে পরাই প্রতিরোধ করে না, তারা চুলের বৃদ্ধির জন্যও উত্তম। কেন? তা নিচে দেওয়া হলঃ

ডিম কি আপনার চুলের জন্য ভালো?

ডিম প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দ্বারা পরিপূর্ণ যা চুলের পুষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টিগুণগুলো, বিশেষ করে বায়োটিন এবং অন্যান্য বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে ঝরে পরা রোধ করতে সাহায্য করে। এই পুষ্টিগুলো নতুন চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুলের ঘনত্ব বাড়ায় এবং চুলকে পুরু করে তুলে। ডিমের প্রোটিন চুল মজবুত করতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট চুলকে কন্ডিশন করে চুলের গঠন উন্নতি করে।

চুলের জন্য ডিমের উপকারিতা

যখন আপনি চুলে ডিম লাগাবেন তখন এর উপকারিতা কতটা মূল্যবান তা বুঝতে পারবেন। কিভাবে ডিম আপনার চুলের উপকার করে তা দেওয়া হলঃ

১. চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ডিম প্রচুর প্রোটিন এবং পুষ্টির উৎস যা “চুলের খাদ্য” হিসেবে পরিবেশিত হয়। এই পুষ্টিগুলো আপনার চুলের বৃদ্ধির হার বাড়াতে সাহায্য করে যা আপনার চুল বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

২. চুলের ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

ডিম আপনার স্ক্যাল্পে পুষ্টি জুগিয়ে চুলের ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।

৩. চুলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে

ডিমের কুসুমে প্রচুর লুটিন আছে, যা আপনার চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং চুলের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

৪. চুলের ভাঙন প্রতিরোধ করে

ডিমের কুসুমে থাকা লুটিন ভঙ্গুর চুলের চিকিৎসা করে, আপনার চুলের গঠন উন্নতি করে ভেঙে যাওয়া এবং চুলের আগা ফেঁটে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৫. উজ্জ্বলতা প্রদান করে

ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন আপনার চুলে পুষ্টি জোগায় এবং একটি স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা প্রদান করে।

৬. ক্ষতি নিরাময় করে

চুলের ৭০% প্রোটিন হওয়ার কারণে, ডিমের ভেতর থাকা প্রোটিন আপনার চুলের গঠনের ক্ষতিগ্রস্থ কেরাটিন পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

ডিমের কোন অংশটি আপনার চুলের জন্য ভালো?

যখন আপনি ডিমের কোন অনশ আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে কথা বলেন, তখন আপনাকে আপনার চুলের ধরণ কেমন তা জানতে হবে। তৈলাক্ত চুলের নারীরা ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পছন্দ করে অপরদিকে শুষ্ক চুলের নারীরা ডিমের কুসুম ব্যবহার করেন। নিচে কারণ দেওয়া হলো;

ডিমের সাদা অংশ – একটি ডিমের সাদা অংশে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে মিনারেল আছে যেমন নিয়াসিন, রিবোফ্লেবিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম, এদের সবগুলোই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত চুলের মানুষেরা শুধুমাত্র সাদা অংশটি ব্যবহার করতে পছন্দ করে কারন তারা তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। সাদা অংশটি হলুদ অংশের মত চুল কন্ডিশন করে না।

কুসুম – কুসুমও প্রোটিন সমৃদ্ধ (সাদা অংশ থেকে কম) এবং প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ফলিক এসিডে পরিপূর্ণ, যা প্রায়ই “চুলের খাদ্য” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কুসুমের চর্বিজাতীয় বস্তু একে খুবই ভালো একটি কন্ডিশনিং উপকরণ বানিয়েছে, যার কারণে এটি প্রায়ই শুষ্ক চুলের মানুষেরা ব্যবহার করে।

পুরো অংশ – সাদা অংশ এবং কুসুম দুইটিই প্রোটিনের খুব ভালো উৎস; কিন্তু সাদা অংশ বেশি পুষ্টিকর। পুরো ডিম ব্যবহারে আপনি আপনার চুলে সাদা অংশ এবং কুসুম দুইটির মিশ্রিত উপকারিতা পাবেন। এটি স্বাভাবিক এবং মিশ্রিত চুলের জন্য আদর্শ।

কিভাবে চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করতে ডিমের ব্যবহার করবেন?

১. স্বাভাবিক এবং মিশ্রিত চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিমের মাস্ক

উপকরণ

  • ১ টি সম্পূর্ণ ডিম (আপনার লম্বা চুল হলে ২ টি নিবেন)
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • এটি পাত্রে ডিম এবং অলিভ অয়েল ফাটিয়ে নিন। সাদা অংশ এবং কুসুম একসাথে ভালোভাবে মিশাবেন।
  • আপনার চুলে ফ্যাটানো ডিম লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

এই চুলের মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্পের তেলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে আপনার চুলকে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলের গোড়া এবং আগা পুষ্টিকর করে তুলবে, চুলের গঠন উন্নত করবে এবং চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ঘটাবে। আপনি চাইলে অলিভ অয়েল বাদ দিতে পারেন, কিন্তু তেল আপনার চুলকে আরো নরম করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত কন্ডিশনিং এ সাহায্য করে।

২. শুষ্ক চুলের জন্য ডিমের কুসুমের চুলের মাস্ক

date: 2007/04/25 | release status: MR | release references: mr32.jpg | notes: Dos NumÈrique P21 | date created: 2007:06:15

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের কুসুম
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

অলিভ অয়েল এবং ডিমের কুসুমের মিশ্রণ সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলোর মধ্যে একটি। শুধু আপনার চুলকে নরম এবং মশ্রিণই করে না, চুল পুনরায় বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পে পুষ্টিও জোগায়।

৩. তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশের মাস্ক

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের সাদা অংশ
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

এই চুলের প্যাকটি চুলের গঠন এবং আয়তনের উন্নতি করে তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মিশ্রণে থাকা অলিভ অয়েল আপনার চুলকে তৈলাক্ত না করে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিমের মাস্ক

১. চুলের বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরা এবং ডিম

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের সাদা অংশ
  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ৩০-৬০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

অ্যালোভেরা জেলে প্রচুর পরিমানে এ্যামিনো এসিড, গ্লুকোমাননান্স, স্টেরোলস, লিপিডস এবং ভিটামিন আছে। এই পুষ্টিগুণ গুলো স্ক্যাল্প এবং চুলে পুষ্টি জোগায় এবং অ্যালোভেরার এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, এন্টিসেপ্টিক এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। যার ফলে স্বাস্থ্যকরভাবে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।

২. চুলের বৃদ্ধির জন্য মেহেদি এবং ডিম

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ
  • ১ কাপ বিশুদ্ধ মেহেদি গুড়ো
  • ১ টি ডিমের কুসুম

প্রক্রিয়া

  • মেথির বীজ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালবেল, মশ্রিণ পেস্ট পাওয়ার জন্য মেহেদির গুড়োতে সামান্য পানি মিশান। (আপনি যদি এর রঙ উন্নত করতে চান তাহলে ২ ঘন্টার জন্য রেখে দিন।)
  • মেথির বীজ পেস্ট করে নিন এবং ডিমের কুসুমের সাথে মেহেদির পেস্টে যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার চুল ও স্ক্যাল্পে লাগান এবং এক ঘন্টার জন্য রেখে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

কিভাবে কাজ করে?

মেহেদিতে শীতলকরণ বৈশিষ্ট্য আছে যা উত্তেজিত স্ক্যাল্পকে শীতল করে। এতে এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্যাকটি তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আপনার চুলে উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এটি খুশকি এবং চুল ঝরে পরা প্রতিরোধ করে চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলে।

৩. চুলের বৃদ্ধির জন্য নারিকেল তেল এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি পুরো ডিম
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

প্রক্রিয়া

  • ডিম এবং নারিকেল তেল একটি পাত্রে ফাটিয়ে নিন। সাদা অংশ এবং কুসুম যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড আছে যা চুল কন্ডিশন করতে সাহায্য করে, শুষ্কতা এবং ভাঙন থেকে রক্ষা করে। এতে শক্তিশালী এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা আপনার স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, আর এর ভিটামিন চুলের গোড়াতে পুষ্টি জোগাতে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে। এই চুলের প্যাকটি চুল ঝরে পরা প্রতিরোধ করে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া)

খুব সহজে কারি পাতা ব্যবহার করে চুলের বৃদ্ধির এবং চুল পড়া রোধে করুন ঘরে বসে! (আলটিমেট গাইড)

by Mohona Leave a Comment

কারি পাতা

বেশিরভাগ সময়, চুল ঝরে পড়ার কারন চুলের গ্রন্থিকোষের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়। মাথার তৈলাক্ত ত্বক, ধূলাবালি এবং বিভিন্ন রকম হেয়ার প্রোডাক্ট মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুলের গ্রন্থিকোষ গুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর এই বন্ধ গ্রন্থিকোষ গুলো মাথার ত্বকে জালা-পোড়া, চুলকানি, খুশকি এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করে।

কারি পাতা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারনে কার্যকরভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেঃ

  • কারি পাতাতে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে চুলের মৃত কোষগ্রন্থি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে।
  • এরা প্রোটিন এবং বিটা-ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস, এর দুটিই চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া প্রতিরোধ করে।
  • এই পাতা গুলোতে প্রচুর এ্যামিনো এসিডও রয়েছে যা কোষগ্রন্থি গুলোকে মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর হতে সাহায্য করে।

কারি পাতা ব্যবহার করার বিভিন্ন উপায়

কারি পাতা আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ

  • হেয়ার টনিক হিসেবে।
  • হেয়ার মাস্ক হিসেবে।
  • আপনার খাদ্যে যোগ করে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য কারি পাতার ব্যবহার

সতর্কতা: কারি পাতার পেস্ট ব্যবহারে আপনার ত্বকে এলার্জি হতে পারে। তাই মাথার তালুতে দেওয়ার আগে সামান্য একটু ত্বকে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। কারি পাতার বীজ থাকে, কিন্তু সেগুলো খাবেন না কারন এগুলো বিষাক্ত।

১. হেয়ার টনিক হিসেবে

চুলের বৃদ্ধির জন্য কারি পাতার ব্যবহার

আপনার যা যা প্রয়োজন

  • এক মুঠো সতেজ কারি পাতা
  • ২-৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

আপনার যা করতে হবে

  • একটি প্যানে নারকেল তেল ঢালুন এবং কারি পাতা গুলো এর মধ্যে ঢেলে দিন।
  • পাতার চারপাশ কালো না হওয়া পর্যন্ত নাঢ়তে থাকুন। প্যান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন কারন যখন আপনি কারি পাতা ভাজবেন তখন প্যান থেকে তেল ফুটে এর ছিটা গায়ে আসার সম্ভবনা থাকে।
  • চুলার আঁচ বন্ধ করুন এবং মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন।
  • টনিকটি ঠান্ডা হয়ে গেলে তেল গুলো ছেঁকে নিন। আপনি এখন আপনার চুলে মিশ্রণটি লাগাতে পারবেন।
  • তেল আঙ্গুলের অগ্রভাগে লাগিয়ে আপনার মাথার ত্বকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। আপনার চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগাবেন।
  • ম্যাসাজের পর ১ ঘন্টা তেলটি মাথায় রাখুন এবং এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এটা কেন কাজ করে

নারিকেল তেল তীক্ষ্ন গুণ সম্পন্ন চুলের তেল হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত এবং এই তেল আপনার চুল পরিপুষ্ট এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। আর যখন এই তেল কারি পাতার সকল পুষ্টিগুণ এবং এর ভিটামিন বি-৬ এর সাথে মিশে যায়, তখন এটি একটি মিশ্রণে পরিণত হয়ে চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুলের ঝড়ে পরা প্রতিরোধ করে।

সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করা উচিত

এক মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে সপ্তাহে ২-৩ বার আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং প্রতিবার লাগানোর পর চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন মাথার তালুতে তেল লাগালে এবং ম্যাসাজ করলে এটি আপনার চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

২. চুলের মাস্ক হিসেবে

চুলের মাস্ক

আপনার যা যা প্রয়োজন

  • এক মুঠো কারি পাতা
  • ৩-৪ টেবিল চামচ দই

আপনাকে যা করতে হবে

  • কারি পাতাগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • ৩-৪ টেবিল চামচ দইয়ের সাথে ১ টেবিল চামচ কারি পেস্ট যোগ করুন। (দই এবং কারি পাতার পেস্টের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার চুল কতটুকু লম্বা তার উপর)
  • এই দুইটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই হেয়ার মাস্কটি দিয়ে আপনার মাথার তালু এবং চুল ম্যাসাজ করুন। এই পেস্টটি দিয়ে আপনার চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত ঢেকে দিন।
  • ৩০ মিনিট মাথায় রেখে দিন এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনি চাইলে দইয়ের বিকল্প হিসেবে ২ টেবিল চামচ দুধ মিশাতে পারেন।

এটা কেন কাজ করে

দই মাথার ত্বকে একটি খুব ভালো হাইড্রেটিং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি মৃত কোষ ও খুশকি দূর করে এবং আপনার মাথার ত্বক এবং চুল অনেক নরম এবং সতেজ করে। এতে অপরিহার্য পুষ্টিগুণ রয়েছে যা কোষল্গ্রন্থির উন্নয়ন করে মাথার তালুকে দূষনমুক্ত করতে সাহায্য করে। দই মিশানোর ফলে এই মিশ্রণটি অকালে পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করা উচিত

আপনার মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে সপ্তাহে ওকবার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন এবং আপনার চুল কোমল এবং উজ্জ্বল করে তুলুন।

৩. আপনার খদ্যে যোগ করুন

চুলে কারি পাতা ব্যবহারের উপকারিতা

চুলের যত্নের মানে হলো আপনি আপনার শরীর যে খাদ্য গ্রহণ করবে তাই আপনার চুলও গ্রহণ করবে। চুল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করতে এবং চুলের বৃদ্ধি জন্য একটি আদর্শ উপায় হলো আপনার খাদ্যে কারি পাতা যোগ করুন। আপনি কারি পাতার পাউডার বানিয়ে ভাত অথবা তরকারির সাথে খুব সহজেই মিশিয়ে খেতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি কুচি কুচি করা পুদিনা পাতা এবং কারী পাতার মিশ্রণের সাথে দুধ অথবা বাটারমিল্ক মিশিয়ে খেতে পারেন।

কারিপাতা একটি সুন্দর গন্ধ আছে যা খিদে বাড়ানোর উপাদান বা এপেটাইজার (appetizer) হিসেবে কাজ করে। কিছু কারিপাতা ভেজে নিয়ে তার মধ্যে সেদ্ধ করা সবজি মিশিয়ে নিলে আপনার রোজকার একঘেয়ে খাবারে একটি সুন্দর গন্ধ যোগ হয় এবং একইসাথে এটি আপনার চুলের উপকারেও আসে।

চুলে কারি পাতা ব্যবহারের উপকারিতা

  • কারি পাতা মৃত কোষ, ধূলাবালি এবং চিটচিটে ভাব দূর করে চুলের কোষগ্রন্থির উন্নতি করে। এদের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে যা চুলের গোঁড়া শক্ত করে এবং চুল পরা প্রতিরোধ করে।
  • বিভিন্ন রকম হেয়ার প্রোডাক্টের ব্যবহারও মাথার ত্বকের জ্বালা-পোড়ার অনেক বড় বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি। আপনার হেয়ার প্রোডাক্ট গুলো আপনার মাথার বহিঃত্বকের ঠিক নিচে জমা হতে পারে, যা আপনার চুলকে অনুজ্জ্বল এবং নিস্তেজ করে দেয়। এই সব প্রোডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আপনার চুলকে রুক্ষ করে দেয় যার ফলে আপনার চুলে জট বাঁধে এবং চুল ভেঙ্গে যায়। কারি পাতা চুলের বহিঃত্বকের ভিতর প্রোডাক্টের জমে থাকা প্রতিরোধ করে আপনার মাথার ত্বক এবং চুল সতেজ ও স্বাস্থ্যকর করে তুলে।
  • কারি পাতা ভিটামিন-বি এর খুব ভাল একটি উৎস, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি অপরিহার্য ভিটামিন। ভিটামিন-বি এর অভাবে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারি পাতা নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে এবং আপনার চুল স্বাস্থ্যকর ও মজবুত করে তুলে।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার চুলও প্রাণহীন এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া শুরু করে। একবার যদি আপনার মাথার কোষগ্রন্থির রঞ্জক পদার্থ নিঃশেষ হয়ে যায়, আপনার চুল সাদা হয়ে যাওয়া শুরু করে। কখনও কখনও তরুণদের চুলও পেঁকে যেতে পারে এবং তাদের চুল পাকার কারন গুলো হলো মাত্রারিক্ত চাপ নেওয়া, ধূমপান করা, বংশগত কারণ অথবা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা ইত্যাদি। কারি পাতাতে উপস্থিত ভিটামিন-বি চুলের অকালে পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং যার ফলে আপনার চুল নিজের রঙ ধরে রাখতে পারে এবং চুল দীর্ঘকাল উজ্জ্বল থাকে।
  • কারি পাতাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে ক্ষতিকারক র‍্যাডিকালের সাথে যুদ্ধ করে।
  • কারি পাতা আপনার চুলের স্থিতিস্থাপকতা এবং বৃদ্ধি শক্তির উন্নতি করে। যখন ক্ষতিগ্রস্থ চুল যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি এবং ময়েশ্চার পায়, তখন চুল তার পূর্ববর্তী শক্তি এবং দীপ্তি পুনরায় ফিরে পেতে শুরু করে। নারিকেল তেলের সাথে মিশ্রিত কারি পাতা, আপনার চুলকে সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন এবং পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করে।
  • কারি পাতাতে উপস্থিত ভিটামিন-বি৬ হরমোনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে যা আপনার চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুলের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

চুল ঝরে পড়ার সাথে যুদ্ধ করা কঠিন কাজ মনে হতে পারে, অনেক সময় অসম্ভবও মনে হতে পারে। কিন্তু, আপনাকে যা করতে হবে তা হলো সঠিক সমাধান বের করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিদিন রুটিন করে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন কারি পাতা দিয়ে আপনার চুলের যত্ন নিতে হবে যা আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া মহিমা এবং উজ্জলতা পূনরুদ্ধার করবে।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া), Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৫টি লো-শুগার ফল ও সবজি যা আপনার লো-কার্ব ডায়েটের জন্য উপযুক্ত

ত্বকে গ্লো চাই? ২০টি ফল যা আপনার স্কিনকে করে তুলবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়

অক্সিজেন-সমৃদ্ধ খাবার: ফল, পানীয়, সবজি ও প্রোটিন – সুস্থ শরীরের জন্য সেরা ১২টি খাবার!

ভেগান ডায়েট ওজন কমানোর: একটি টেকসই পথ যা আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখবে

প্যালিও ডায়েট রেসিপি: স্বাস্থ্যকর এবং সহজ প্রস্তুত করার জন্য ১৫টি সেরা রেসিপি

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®