• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyle Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

MAKEUP (মেকআপ)

শুষ্ক ত্বকের ব্রাইডাল মেকআপ টিপস

by রূপকথন ডেস্ক 1 Comment

বিয়ের আসর! উপস্থিত অনেক অতিথি।

এটা পাত্রীর জন্য অনেক চাপের। কারন এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ নববধূ।

ধরা যাক এটা আপনার বিয়ে !

আপনি কতটা চাপের থাকবেন জানেন ?

ভাববেন

  • আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?
  • আমার সাজ কি ঠিক আছে?
  • আমার ছবি কেমন আসবে?
  • আমার মেকআপ টা কি ঠিক আছে এবং শেষ পর্যন্ত কি ঠিক থাকবে?

আর আপনার শুষ্ক ত্বক হলেত আরো চিন্তার!

শুষ্ক ত্বকের পাত্রীর জন্য মেকআপটা ঠিক হওয়াটা খুবই জরুরি। শুষ্ক ত্বকে যদি খুব জোর দিয়ে মেকআপ করা হয় তাহলে এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর । আমি শুষ্ক ত্বকের নববধূদের সাজানোর জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি, যা সহজেই আপনি আপনার ত্বক ভাল রেখে, আপনার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।

শুষ্ক ত্বকের নববধূর মেকআপ টিপসঃ

শুষ্ক ত্বকের নারীদের বিয়ের মেকআপ সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

১. আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখুন

  • আশঁ তুলে ফেলা (Exfoliation) :

মৃত চামড়া থেকে পরিত্রাণ পেতে এটি প্রথম ধাপ। শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ধরনের ত্বকে মৃত চামড়া অনেক বেশি হয়। একটি পরিষ্কার ত্বক (Clean skin) বিয়ের মেকআপ দেয়ার জন্য নিখুঁত ক্যানভাস হিসাবে কাজ করে। তাই আপনার ত্বক যতটা পরিষ্কার (Clean) হবে আপনার মেকআপ ততটাই নিখুঁত হবে।

  • মুখ পরিষ্কার করা (Cleanse ):

সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রতিদিন pH ব্যলেন্সড ফেসওয়াশ (face wash) দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা খুবই প্রয়োজন। শুষ্ক ত্বকের জন্য কঠোর (Harsh) ফেইস ওয়াসের বদলে সবসময় কোমল (Mild) ফেইস ওয়াস ব্যবহার করা উচিত। সাবান কখনই ব্যবহার করবেন না।

  • টোন (Tone) :

ফেসওয়াশ(face washes) দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর টোনিং (Toning) করা অপরিহার্য। লক্ষ্য রাখবেন যেই টোনার ব্যবহার করবেন সেটি যেনো ত্বককে খুব বেশি টান টান না করে।

  • ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer) ব্যবহার :

যদি আপনার ত্বক বেশি শুষ্ক হয় তাহলে ভারি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. রাতের রুটিন সঠিকভাবে অনুসরন করুন (Night Routine)

পানিতে গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন। আপনি চাইলে এর সাথে ২-৩ ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

অনুষ্ঠানের আগের দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।

৩. সঠিক মেকআপ পণ্য ব্যবহার করুন

  • সঠিক ফাউন্ডেশন নির্বাচন:

শুষ্ক ত্বকের নববধূদের জন্য সঠিক মেকআপ পণ্য বাছাই করা খুবই প্রয়োজন। যদি ত্বকে শুষ্ক হয় তাহলে তৈলাক্ত বা জেলা ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত। জেল ভিত্তিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে কারন এটি আপনার ত্বককে আর শুষ্ক করে তুলবে।

  • কনসিলার(Concealer) নির্বাচন:

ক্রিম ভিত্তিক কনসিলার ব্যবহার করুন যেটা আপনি ছোট ব্রাশ দিয়ে লাগাতে পারবেন।

  • সঠিক ব্লাশ (Blush) ব্যবহার করুন:

সব সময় চেষ্টা করবেন গোলাপী রঙের ব্লাশ (Blush) ব্যবহার করতে যেটি আপনার ত্বকের সাথে মানায়। সর্বদা ক্রিম ব্লাশ বা স্টিক (Stick) ব্লাশ ব্যবহার করবেন। পাউডার ব্রাশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি আপনার মেকআপকে শুষ্ক করে তুলে এবং মেকআপ ফেটে যায়।

  • চমৎকার একটা ঠোঁট (The Lovely Lips):

নববধূ হিসাবে আপনার ঠোঁটও অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে। তাই মনে রাখবেন আপনার ঠোঁটেরো যথেষ্টো যত্ন নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে প্রথমে ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলতে হবে। এর পর পরেই ভারি মইয়েশ্চারাইজেশন করতে হবে।

ঠোঁটের বেইস হিসেবে তৈলাক্ত ফাউন্ডেশন (Oily Foundation) লাগান। এবার আপনার পছন্দের লিপ লাইনার এবং একই রঙের লিপস্টিক লাগান

এখন ঠোঁটের উজ্জ্বলতা (Brightness) আরো বাড়ানোর জন্য  লিপ গ্লস (Lip gloss) লাগান।

  • চোখ:

চোখে ক্রিম আই শেইড প্রয়োগ করুন। শুষ্ক ত্বকে পাউডার আই শেইড ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। চোখে উজ্জ্বল গোলাপী রঙের শেইড ব্যবহার করুন যেটা আপনার ত্বককে গোলাপী দেখাতে সাহায্য করবে।

  • চোখের পাপড়ি (Lashes):

আপনাকে সবসময় ঘাম বর্জনকারি (Sweat Proof) এবং পানি বর্জনকারি (Waterproof) মাসকারা ব্যবহার করতে হবে। বিয়ের আগে আরো বেশি উজ্জ্বলতার জন্য প্রতিদিন রাতে চোখের পাতায় অলিভ অয়েল দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে।

You can moisturize your lashes with olive oil every night for the extra sheen on the lashes before your wedding. আপনি আপনার বিয়ের আগ পর্যন্ত আপনার চোখের পাতায় প্রতিরাতে olive oil দিয়ে ময়শ্চারাইজ করুন। এতে করে আপনার চোখের পাপড়ি ঘন কালো এবং অতিরিক্ত উজ্জ্বলতা(extra sheen) করবে।

৪. ক্রিম ভিত্তিক মেকআপ প্রয়োগ করুন

মেকআপ এর সময় ক্রিম-ভিত্তিক মেকআপ ব্যবহারের চেষ্টা করুন যা আপনার ত্বককে সারা দিন আর্দ্র রাখবে। এছাড়াও, ক্রিম-ভিত্তিক মেকআপে টাচ-আপগুলি করা সহজ।

৫. আরো উজ্জ্বলতা পাওয়া (Get the Sheen On):

ত্বকে বাড়তি উজ্জ্বলতা পেতে গ্লিটার পাউডার ব্যবহার করুন। সামান্য কিছুটা লাগান এবং আপনি তৈরি বিয়েতে সবার নজর কারার জন্য।

শুষ্ক তকের জন্য আমাদের দেওয়া এই ব্রাইডাল মেকআপ টিপস গুল অনুসরন করুন। আপনাকে অবশ্যি আপনার বিয়েতে অনেক জমকালো দেখাবে!

অতিরিক্ত রেগ্যুলার কিছু টিপস:

১) মুখের শুষ্ক খুব বেশি থাকলে ফেইস সিরাম ব্যবহার করুন।
২) প্রতিদিন পরিমিত পানি পান করুন। ৮ থেকে ১০ গ্লাস।
৩) চা, কফি, জাঙ্ক ফুড, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।
৪) প্রোগ্রাম শেষে মেকআপ ভালো করে উঠাবেন যেকোনো ক্লিঞ্জিং মিল্ক বা অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল দিয়ে।
৫) মেকআপ উঠানোর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে, নাইট ক্রিম লাগান।
৬) রাতে যথাসময়ে পর্যাপ্ত ঘুমাবেন অন্তত ৬-৮ ঘন্টা

Filed Under: Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)

১৫ টি উপায়ে কালো ঠোঁটে করুন নরম, মসৃণ এবং গোলাপী

by Mohona

গাঢ় এবং কালো ঠোঁটের সমস্যা বিরল নয়… বিশেষ করে তখন যখন আমরা সবাই নরম মসৃণ এবং গোলাপী ঠোঁট পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি।

কিন্তু কেন এই ঠোঁট কালো হয়ে যায়? কেনই বা ঠোঁটের এই তথাকথিত বিবর্ণতা ঘটে?

এর কয়েকটি কারণ হতে পারে, তার মধ্যে একটি হলো সঠিক যত্নের অভাব, পাশাপাশি রয়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। বলা হয় যে, ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ নষ্ট হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে যা ঠোঁটকে কালো করে ফেলে।

কালো ঠোঁটের সমস্যা দূর করার টিপসঃ

১. ধূমপানকে “না” বলুন

Young beautiful woman holding broken cigarette

ঠোঁটের জন্য প্রতিটি টিপস এটাই বলে যে নিকোটিন ঠোঁট কালো এবং বিবর্ণ করার জন্য দায়ী। এছাড়া ধূমপান ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের জন্যও দায়ী।

২. কফি কম পান করুন

অতিরিক্ত চা এবং কফি পান করলে আপনার ঠোঁট কালচে হয়ে যাবে তাছাড়াও আপনার দাঁতে দাগ পরে যাবে। তাই, ক্যাফেইন গ্রহণ সীমাবদ্ধ করুন এবং আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন।

৩. সূর্যের তাপ থেকে দূরে থাকুন

সূর্যে প্রচুর মেলানিন রঙ্গক রয়েছে, তাই রোদে বের হলে আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাবে। তাই যদি আপনি বাহিরে সময় কাটান তাহলে অবশ্যই ঠোঁটে SPF/UV protector আছে এমন কসমেটিক ব্যবহার করুন।

৪. লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

দীর্ঘ সময় ধরে এবং মাত্রাতিরিক্ত লিপস্টিক এবং ঠোঁটের কসমেটিক্স এর ব্যবহার, বিশেষ করে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার ঠোঁটকে কালো করে তুলে।

তাই লিপস্টিক কম ব্যবহার করুন (তখনই ব্যবহার করুন যখন আপনার তা খুব দরকার) এবং সবসময় ভালো বা বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য কিনুন।

মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে কিনুন এবং মেয়াদ শেষ হওয়া লিপস্টিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

লিপস্টিক কিনার সময় আপনার লিপস্টিকে এই উপকরণগুলো অথবা এগুলোর যে কোনো একটি আছে কিনা দেখে কিনুনঃ শিয়া বাটার, ঘি, ভিটামিন ই এবং জজবা তেল। এগুলো আপনার ঠোঁটকে নমনীয় রাখে এবং শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

আপনার ঠোঁটের মেইকাপ একটি ভালো লিপ মেইকাপ রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন অথবা জলপাই/ বাদাম/ নারিকেল তেল দিয়ে তুলে ফেলুন।

৫. ঠোঁটের জন্য প্রাকৃতিক লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করুন

ঠোঁটের শুষ্ক এবং মরা চামড়া দূর করার জন্য এবং রক্ত চলাচল প্রবাহ ঠিক রাখতে অন্তত সপ্তাহে একবার ঠোঁটের স্ক্রাব করা উচিত। স্ক্রাবের জন্য আপনি ৫-৬ ফোঁটা অলিভ অয়েলের সাথে ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলার পর, লিপ বাটার বা আপনার পছন্দের লিপ ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৬. ঠোঁটের মৃত কোষ তুলুন

বেবি টুথব্রাশে অল্প ভেসলিন লাগিয়ে নিন এবং আপনার ঠোঁটে আলতো করে ঘষুন। এটা আপনি প্রতিদিন করেত পারেন।

৭. সবসময় ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখুন

আপনার ঠোঁট সবসময় ময়েশ্চারাইজড এবং হাইড্রেট রাখুন। ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখার জন্য, আপনার ঠোঁটের হাইড্রেশন স্তর বজায় রাখতে সারাদিন ধরে পরিমিত পরিমান পানি পান করুন। শীতকালে যখন আমরা খুব কম পানি পান করি, তখনই ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। তাই শীতকালে পরিমিত পরিমান পানি পান করতে ভুলবেন না।

এছাড়াও আপনার খাবারে পানির পরিমান বেশি এমন ফল যেমন শসা, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি রাখুন।

আমাদের দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি কোমল। তাই, ঠোঁটের শুষ্কতা এবং ফেটে যাওয়া দূরে রাখতে সবসময় একে ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে, বিশেষ করে তখনই বেশি যত্ন নিতে হবে যখন ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।

আপনার ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড রাখতে যে সকল লিপ বামে মোম এবং কোকো বাটার রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন।

৮. আপনার ঠোঁটে জিহ্বা লাগাবেন না

ডারমাটলোজিস্ট ঠোঁট ভিজা রাখতে জিহ্বা দিয়ে চাটতে নিষেধ করেছেন। যদি এটি না মানা হয় তাহলে আস্তে আস্তে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাবে, যা ঠোঁটকে কালো করে ফেলবে। এমনকি ঠোঁটে কামড় দেওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে কারণ এতে ঠোঁটের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৯. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা

ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট বিবর্ণ হতে পারে। তাই, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে ভিটামিন সি খুব ভালো কাজ করে, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সম্পন্ন খাবার খেতে হবে।

১০. ক্লোরিনযুক্ত পানি বর্জন করতে হবে

কালো ঠোঁটের জন্য ক্লোরিনযুক্ত পানিও দায়ী। তাই এই পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. বংশগত

বংশগত কারণেও ঠোঁট কালো হতে পারে। তাই, যদি জন্ম থেকে আপনার ঠোঁট কালো হয়, তাহলে কসমেটিক সার্জারি করা ছাড়া এই ঠোঁট ঠিক করার আর কোন পদ্ধতি নেই।

কিছু প্রাকৃতিক টিপস যা আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবেঃ

১. ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার ঠোঁটে বাদাম তেল লাগান কারণ এটি আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং বিবর্ণতা দূর করে।

২. এছাড়াও আপনি লেবুর রসের সাথে বাদাম তেল মিশিয়ে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন।

৩. প্রতিদিন ঠোঁটে শসার রসের ব্যবহার আপনার কালো ঠোঁট উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

৪. আরেকটি পরীক্ষিত এবং বহুল ব্যবহৃত প্রতিকার হলো লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং মধুর মিস্রন প্রতিদিন ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে।

Filed Under: Lip Make up (লিপ আপ করুন)

আপনার ঠোঁটের ধরন অনুযায়ী ৭টি আকর্ষণীয় লিপস্টিক ব্যবহারের সহজ নিয়ম আজই জেনে নিন

by রূপকথন ডেস্ক 1 Comment

মানুষের চেহারার অন্যতম গুরুত্বপর্ণ অংশ হচ্ছে তার ঠোঁট। একজন নারী বা পুরুষের চেহারার সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে তার ঠোঁটের ওপর। ঠোঁট আমাদের মুখের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দেয় । তাই ঠোঁটে নিখুঁতভাবে মেকআপ করা অত্যন্ত জরুরী।

সেই প্রাচীন কাল অর্থাৎ সভ্য জগতের শুরুর দিন থেকেই নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার লক্ষে ঠোঁট রাঙিয়ে আসছে মেয়েরা। আদিযুগে মেয়েরা পান-সুপারি খেয়ে সে রসেই টুকটুকে লাল করে রাখত ঠোঁট। এরপর ধীরে ধীরে সেই রংকে মডেল করে এলো বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক। কিছুদিন আগেও নারীরা গাঢ় রঙের লিপস্টি্কে ঠোঁট রাঙাতে বেশি পছন্দ করত। তবে বর্তমানে লিপস্টিকের হালকা ন্যাচারাল কালারটিকেই বেশি পছন্দ করছে মেয়েরা। এ কারণে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক।

কিন্তু সব ধরনের ঠোঁটে একই রকম লিপ মেকআপ মানায় না। আমরা বিভিন্ন ধরনের ঠোঁট দেখতে পাই। কারো মোটা, কারো পাতলা / সরু, আবার কারো অসমান ঠোঁট দেখা যায় ।

যদি আপনার ঠোঁট মোটা , পাতলা / সরু  বা অসমান হয়, তাহলে অবশ্য সেই ঠোঁটের আকার অনুসারে মেকআপ করতে হবে।

আর এই সঠিক মেকআপটি আপনাকে করে তুলবে আরো আবেদনময়ী।

আজ আমি আপনাদের দেখাব কিভাবে বিভিন্ন ধরনে ঠোঁটের আকার অনুযায়ী সঠিক মেকআপ করে আপনি অন্যের চেয়ে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।

১। শীর্ষ/উপরের মোটা ঠোঁট
২। নীচের ভারি/মোটা ঠোঁট
৩। অসমান ঠোঁট (Uneven Lips)
৪। চ্যাপ্টা ঠোঁট (Flat Lips)
৫। পাতলা/ সরু ঠোঁট (Thin Lips)
৬। অতিমাত্রার বড় ঠোঁট (Overlarge Lips)
৭। ছোট আকৃতির ঠোঁট (Small Lips)

১. শীর্ষ/উপরের মোটা ঠোঁটঃ

অনেক মহিলাদের শীর্ষ / উপরের ঠোঁট মোটা হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেকআপ টিপসের মাধ্যমে আপনি সহজেই উপরের ঠোঁট নিজের মনের মত করে সাজাতে পারবেন। এতে করে আপনার মুখের সৌন্দর্য্য অনেকটা বাড়িয়ে দিবে।

নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করুণঃ

  • একটি লিপ লাইনার দিয়ে আপনার ঠোঁটের স্বাভাবিক আকার অনুযায়ী উপরের ঠোঁটের মাঝখান থেকে শুরু করে সামান্য বাহিরের দিকে একটি লাইন টানুন।
  • তারপর, আপনার নিচরে ঠোঁটে একটি উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক লাগান এবং এই উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিকের কিছুটা গাঢ় শেইড (Darker Shade) আপনার উপরের ঠোঁটে লাগান। এতে করে আপনার ঠোঁটে হালকা ভ্রম (illusion) তৈরী হবে যার জন্য আপনার ঠোঁটকে ছোট দেখাবে।
  • আপনি উপরের ও নিচের ঠোঁটে একই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন এবং এরপর নিচের ঠোঁটের মাঝখানে সাদা লিপ পেন্সিল বা আইশেডো (eyeshadow) হালকা/আলতোভাবে লাগান যাতে আপনার উভয় ঠোঁটের ভারসাম্য রক্ষা হয় এবং এতে করে আপনি মসৃণ ও পূর্ণাঙ্গ ঠোঁট পাবেন।
  • উপরের মোটা ঠোঁট পাতলা / সরু দেখানোর জন্য আপনি আরেকটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন। একটি লিপ পেন্সিল দিয়ে আপনার ঠোঁটের ভিতরে ভরাট করা শুরু করুন এবং শেষে লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট আকা সম্পূর্ণ করুন।
  • আপনার মোটা ঠোঁট পাতলা দেখানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি হলো একটি গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন কারন গাঢ় রঙ আপনার মোটা ঠোঁটের আকার লুকাতে সাহায্য করে।

২. নীচের ভারি/মোটা ঠোঁটঃ

মোটা/ভারী ঠোঁট আসলে অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। কিন্তু অনেক নারী তা লুকিয়ে রাখতে চায়।

কিভাবে আপনি আপনার নিচের মোটা ঠোঁট আর্কষণীয় করে তুলবেন সেই সর্ম্পকে আলোচনা করা হলঃ

ছোট একটি সহজ কৌশলের মাধ্যমে আপনি আপনার নিচের মোটা ঠোঁটকে আরো সুন্দর ও মসৃণ করে তুলতে পারবেন। আপনার উপরের এবং নিচের ঠোঁটে একই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।তারপর সাদা লিপলাইনার বা ক্রিমি ম্যাট আইশেডো (Matte Eyeshadow) শুধুমাত্র উপরের ঠোঁটের মাঝখানে আলতোভাবে লাগান এতে করে আপনার ঠোঁটের ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং আপনার ঠোঁট মসৃণতা ও পূর্ণাঙ্গতা পাবে।

৩.  অসমান ঠোঁট (Uneven Lips):

আপনার উপরের এবং নিচের ঠোঁটের আকৃতি এবং আকার যদি না মিলে, তাহলে আপনার ঠোঁট অসমান।

অসমান ঠোঁট সমানভাবে সাজানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেখানো হলঃ

  • যাদের ঠোঁট অসমান তাদের প্রথমেই উচিত একটি লিপ পেন্সিল দিয়ে উপরের ঠোঁটে সমানভাবে রেখা টানা।লক্ষ্য রাখতে হবে ঠোঁটের দুইপাশ যেন একই রকম হয়। এখন উপরের ঠোঁট হয়ে গেলে নিচের ঠোঁটও একই ভাবে রেখা টেনে ফেলতে হবে।
  • এরপর, ঠোঁটের অমসৃণ এবং অনমনীয় প্রান্তগুলো লুকাতে লিপ লাইনার দিয়ে টানা রেখা আলতোভাবে ঘষে দিন। এতে আপনার ঠোঁট সুন্দর, মসৃণ এবং সমান দেখাবে।
  • তবে এই কৌশলটি প্রয়োগ করার সময় সতর্ক থাকবেন। লিপ লাইনার অবশ্যই খুব হালকাভাবে আঁকতে হবে এবং খুব ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। তা নাহলে আপনার ঠোঁট দেখতে অমানানসই হয়ে যাবে।

৪. চ্যাপ্টা ঠোঁট (Flat Lips):

চ্যাপ্টা (Flat) ঠোঁটের আকার,মাত্রা বা গভীরতা নেই এবং সঠিক রেখা ছাড়া এই ঠোঁট আর বেশি চ্যাপ্টা দেখায়। তাই চ্যাপ্টা ঠোঁটে উজ্জ্বল এবং মসৃণ রং (light and softer lip colors) ব্যবহার করা উত্তম। কারণ গাঢ়ো রং ঠোঁটকে আরো চ্যাপ্টা এবং ছোট আকারের দেখায়।

এই কৌশল গুলোর মাধ্যমে আপনার চ্যাপ্টা ঠোঁটে একটি ভালো আকৃতি দেওয়া যাবে। টিপসগুলো নিচে লক্ষ্য করুনঃ

  • আপনার ঠোঁটের সামান্য বাইরে থেকে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটে লাইন টানা শুরু করুন।
  • পাতলা এবং চ্যাপ্টা ঠোঁটের জন্য শিমারি ও ফ্রস্টি (Shimmery and frosty) লিপিস্টিক ভাল কাজ করে। কারন এটি আপনার ঠোঁটের পূর্ণাঙ্গ সৌর্ন্দয্য ফুটিয়ে তুলে।
  • অম্ব্রে (Ombre) রঙ ও পাতলা/সরু এবং চ্যাপ্টা ঠোঁটে ভালো মানায়।
  • আপনার ঠোঁটের বহিঃস্থ কোণে একটি গাঢ়ো রঙের লিপস্টিক দিয়ে ভরাট করা শুরু করুন এবং ঠোঁটের মাঝখানে একটি কোমল ও উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক দিয়ে ভরাট করুন যাতে জমকালো অম্ব্রে (Ombre) রঙ তৈরি হয়।
  • যদি আপনি অম্ব্রে ঠোঁট তৈরি করতে না চান, তাহলে আপনি পুরো ঠোঁটে একই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন এবং উপরের ও নিচের ঠোঁটের মাঝখানে একটি শিমারি হাইলাইটার দিয়ে ঠোঁট আর আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

৫. পাতলা/ সরু ঠোঁট (Thin Lips):

পাতলা/ সরু ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর জন্য আরো মাত্রা এবং স্থান প্রয়োজন।

তাই আমি পাতলা/ সরু ঠোঁট সাজানোর জন্য কিছু টিপস দিচ্ছি যা আপনার ঠোঁটের সাথে সাথে আপনার চেহারা মাধুর্য্যও বাড়িয়ে দিবেঃ

  • একটি লিপ লাইনার দিয়ে আপনার ঠোঁটের সামান্য বাহিরের থেকে ঠোঁটে দাগ টানুন এবং এরপর হাত দিয়ে আলত করে ঘষে দিন।
  • তারপর নিচের ঠোঁটে গাঢ় রঙের এবং উপরের ঠোঁটে তার থেকে হাল্কা রঙের লিপস্টিক লাগান এবং একটি পরিষ্কার ঠোঁটের ব্রাশ (lip brush) দিয়ে সবকিছু একসাথে মিশিয়ে দিন।

[আরো জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। https://www.rupkothon.com/perfectly-use-lipstick-on-thin-lips/]

৬. অতিমাত্রার বড় ঠোঁট (Overlarge Lips):

অতিমাত্রার বড় ঠোঁটের পুরো চেহারা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলার অসাধারন ক্ষমতা আছে। তাই সবসময় মসৃণ/কোমল এবং খুবই ভালো মানের ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটে লাগাতে হবে যাতে আপনার ঠোঁট মসৃণ এবং কোমল দেখায়।

আপনার বড় ঠোঁট আকর্ষণীয় করে তুলার টিপসসমূহঃ

  • নুড শেইডের (Nude Shade) লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
  • চোখে ভারী স্মোকি সাজ অথবা গালে হাইলাইট করে আপনি আপনার বড় ঠোঁট থেকে সকলের মনোযোগ সরাতে পারবেন।

৭. ছোট আকৃতির ঠোঁট (Small Lips):

ছোট ঠোঁটে অনেককে দেখতে আকর্ষণীয় দেখায়। তাই অনেকেই এই সুন্দর ঠোঁটটি আশা করে।

আপনার ছোট ঠোঁটকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে নিচের টিপস অনুসরণ করুনঃ

  • আপনি  শিমারি (shimmery), ফ্রস্টি (Frosty) এবং গ্লসি (Glossy) লিপিস্টক ব্যবহার করতে পারেন যেটি আপনার ছোট ঠোঁটকে সম্পূর্ণ করে তুলবে।
  • খুব গাঢ় রঙের লিপিস্টিক ব্যবহার করবেন না। কারন এতে আপনার ঠোঁট আরো ছোট দেখাবে।
  • আপনার ঠোঁটের উপযোগী এধরনের উজ্জ্বল এবং মসৃণ (Soft) লিপিস্টিক ব্যবহার করুন। যাতে করে আপনার পুরো চেহারার মাধুর্য্য ফুটে উঠে।

ঠোঁটের মেকআপ সুন্দরভাবে দেয়ার জন্য অনুশীলন করা প্রয়োজন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার ঠোঁটের আকার লক্ষ্য করুন এবং আমার দেয়া টিপসগুলো অনুসরণ করুন।

Filed Under: Lip Make up (লিপ আপ করুন)

৫টি সহজ ধাপে সঠিকভাবে চোখে আইলাইনার ব্যবহার করার সম্পূর্ণ নিয়াম দেওয়া হল যা আপনার সময় বাচবে

by রূপকথন ডেস্ক 1 Comment

আপনি আপনার চোখ সুন্দর ভাবে সাজাতে চান কিন্তু অনেক সময় তা আর হয়ে না। দেখা যায়, কখনো আইলাইনারের সেইফটা সঠিকভাবে আসছে না, কখনো মোটা, আবার কখনো চিকন যেটা আপনি চান না।

যার কারণে আপনি বিয়ে বা পার্টিতে যোগ দিতে চাইলেও তা আর হয়ে উঠেনা। স্বাভাবিক আপনার মন খারাপ হবে।

আর মন খারাপ হবে না, আমি আজ আপনাদের শেখাব কিভাবে খুব সহজেই চোখে আইলাইনার দিয়ে চোখকে নিখুঁতভাবে সাজাতে পারেন।

আইলাইনার দেয়ার জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তা হলঃ

১. আইলাইনার (Eyeliner )

২. প্রিমার (Primer)

৩. কনসিলার (Concealer)

৪. আইলাইনার ব্রাশ

কিভাবে আইলাইনার ব্যবহার করতে হবে তা জানার আগে আপনাকে অবশ্যই আইলাইনারের কত রকম ধরন আছে তা জানতে হবে

আইলাইনারের ধরন

জেল আইলাইনার  (Gel Eyeliner) :

যারা প্রথম দিকে ব্যবহার করবেন, তাদের কাছে এটা দিতে একটু কষ্ট হতে পারে কিন্তু পরে এই আইলাইনারটিই আপনার কাছে খুব প্রিয় হয়ে উঠবে। যারা চোখে ক্যাটস আই (Cats Eye) করতে ভালবাসেন তাদের জন্য এই আইলাইনারটি একদম উপযুক্ত। এই আইলাইনার সধারনত কৌটাতে থাকে, তাই এটি চোখে লাগাতে আপনার একটি ব্রাশ লাগবে। ব্রাশ ব্যবহার করার ফলে এই লাইনার দিয়ে আপনি খুব সহজেই যেকোন শেইপে চোখ আঁকতে পারেন।

লিকুইড আইলাইনার Liquid Eyeliner :

লিকুইড আইলাইনার চোখে বিভিন্ন শেইপ তৈরির জন্য সেরা। লিকুইড আইলাইনার দুই ধরনের হয়ে থাকে।

  1. একটি হচ্ছে ছোট বোতলে লিকুইড লাইনারের সাথে একটি ছোট ব্রাশ ডুবানো অবস্থায় আটকান থাকে এবং
  2. অপরটি হচ্ছে মার্কার টাইপ পেন। (যদি আপনি প্রথম আইলাইনের ব্যবহার শুরু করেন তাহলে এই লাইনারটি আপনার জন্য উপযুক্ত)

পেনসিল আইলাইনার :

সাধারণত আমরা সকলেই পেনসিল আইলাইনার প্রথমে ব্যবহার করে থাকি। এটি চোখের ওয়াটার লাইন (water line) রিশেইপ করতে সাহায্য করে এবং এই আইলাইনার চোখে স্মোকি লুক তৈরি করার জন্য উপযুক্ত।

কিভাবে আইলাইনার চোখে প্রয়োগ করবেনঃ

চলুন এবার আমরা কয়েকটি ধাপে তা দেখে নিই।

ধাপ ১: আপনার চোখ প্রস্তুত করুন

আইলাইনা দেয়ার এটি প্রথম পদক্ষেপ এবং এতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদখেপ।  আপনার মুখ পরিষ্কার করার পর, মুখে একটি ময়েশ্চারাইজার (moisturizer) লাগান এবং চোখের চারপাশে একটি আই ক্রিম লাগান। এই ক্রিমটি আপনার চোখের বলিরেখা এবং চোখের চারপাশের বিবর্ণতা ঢাকতে সাহায্য করবে।

ধাপ ২: পরিষ্কার বেস (Base) দিয়ে শুরু করুন

একটি মসৃণ এবং পরিষ্কার বেস তৈরির জন্য প্রথমে অল্প পরিমান প্রাইমার (primer) নিয়ে চোখের পাতা, চোখের নিচে এবং চোখের চারপাশে যতটুকুতে আই মেকাআপ করা হয় তত টুকুতে  লাগাতে হবে। কারণ এই প্রাইমারের প্রধান কাজ হল ত্বককে আরো মসৃণ করে তুলা যাতে মেকআপ করতে সহজ হয়। এটি মেকআপকে খুব নিখুত করতে সাহায্য করে এবং মেকআপ দীর্ঘসময় স্থায়ী করতে সাহায্য করে।

চোখের পাতার উপরে এবং নিচে একটি কনসিলার লাগান। এটি ভালভাবে মিশিয়ে নিন এবং এর উপর সেটিং পাউডার দিয়ে কনসিলারটি সেট করে নিন।

ধাপ ৩: লাইন টানুন চোখের পাতায় নিখুঁতভাবে

এখন আমরা যে কাজটি করবো সেটি হচ্ছে চোখের পাতায় আইলাইনার দিব। আপনার আইলাইনারের সাথে যে ব্রাশটি আছে সেটি ব্যবহার করতে পারেন কিংবা নতুন কোন ব্রাশ কিনতে পারেন।

আপনার চোখের পাতার উপর থেকে একটি লাইন টানা শুরু করুন। আপনি অবশ্যই ছোট ছোট লাইন এবং স্ট্রোক দিয়ে শুরু করবেন। ছোট ছোট স্ট্রোক আপনার চোখে খুব সুন্দর ফিনিশিং দিবে। যদি আপনি একবারেই পুরো লাইন আঁকতে যান তাহলে চোখে খুব মোটা লাইনার তৈরি হবে এবং দেখতে খুবই অদ্ভুত দেখাবে। তাই ছোট ছোট স্ট্রোকের মাধ্যমে লাইন আঁকা ভালো। এখন প্রথম চোখে আইলাইনার দেয়া হয়ে গেলে এবং আপনি এটি নিয়ে সন্তুষ্ট হলে ওপর চোখেও ঠিক একই ভাবে লাগান। চেষ্টা করবেন যাতে দুই চোখের আইলাইনার একই রকম হয়।

এভাবে আপনি আপনার চোখে খুব সহজ ধাপে আইলাইনার দিতে পারেন।

কিন্তু যদি আপনি আরো এক ধাপ আগাতে চান তাহলে নিচের ধাপটি পড়ুন।

ধাপ ৪: উয়িং ইট আউট (Wing It Out!)

আমি শুধু চোখের পাপড়িতেই আইলাইনার দিবনা, বরং চোখের পাতায় ও দিব, যাতে করে আমার চোখকে আরো বড়, টানা টানা আর পাখির ডানার মত দেখায়। তার জন্য আমাকে যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, প্রথমে সঠিক শেইপ পাওয়ার জন্য চোখের নিচের পাপড়ির লাইন অনুসরণ করতে হবে। এবার লাইনার দিয়ে চোখের নিচের পাপড়ির লাইন প্রসারিত করে এমনভাবে টেনে দিতে হবে যাতে নৌকার ধারের মত দেখায় এবং চোখ টান টান হয়। অর্থাৎ কৌণিক ভাবে একটু উপরের দিকে তুলে দিতে হবে। এবার চিকন একটি লাইন টেনে উপরের লাইনের সাথে মিলিয়ে দিতে হবে। এবার আস্তে আস্তে ভিতরে ভরাট করে দিতে হবে। শুরু থেকেই যথেষ্ট সময় নিয়ে আস্তে আস্তে এটি করতে হবে কারন একবার যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।

ধাপ ৫: লুক সম্পূর্ণ করা

সফলভাবে আপনি আপনার লাইনার উইং আউট করার পর আপনি আপনার নিচের লাইনার কাজল দিয়ে এঁকে নিতে পারেন। এবার চোখের পাপড়িতে মাসকারা লাগিয়ে আপনার মেকআপ সম্পূর্ণ করে নিন।

আইলাইনার লাগানর আরো কিছু টিপস দেয়া হলঃ নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করুন।

  • যখন আপনি আইলাইনার লাগাতে যাবেন তখন আপনার কনুইটি অবশ্যই কোন কিছুর উপর ভর দিয়ে নিবেন। এতে করে লাইনার লাগানোর সময় আপনার হাত কাঁপবে না,যার ফলে আপনি আপনার আইলাইনারের খুব মসৃণ ফিনিশিং পাবেন। আপনার যদি একটি ড্রেসিং টেবিল থাকে তাহলে তার উপর আপনি আপনার কনুই রেখে আইলাইনার লাগাতে পারবেন।
  • আপনি একটি মেকাপ আয়না ব্যবহার করুন। এই আয়না আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। এই আয়নার দুই পাশে দুই রকম কাঁচ থাকে। একপাশে সাধারন আয়না এবং অপর পাশে আঁতশ আয়না থাকে। আমি আতশ আয়নাটাই সবচেয়ে ভাল ব্যবহারযোগ্য মনে করি কারন এই আয়নাতে সাধারন আয়নার তলনায় সবকিছু অনেক বড় এবং কাছ থেকে দেখায় যার ফলে আপনি নিখুঁত এবং মসৃণ ফিনিশিং পাবেন।
  • আইলাইনার দেওয়ার সময় সবসময় নিচের দিকে তাকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, কারন উপরের দিকে তাকিয়ে আইলাইনার দিতে গেলে আপনার লাইনারের শেইপ নষ্ট হয়ে যাবে।
  • উইং তৈরির সময় চোখের পাতা কখনো টেনে ধরবেন না। এটা আপনার উইং নষ্ট করে দিবে। ত্বক টেনে না ধরে ছোট ছোট স্ট্রোকের মাধ্যমে আইলাইনার লাগাবেন।
  • এরপরেও যদি আপনার আইলাইনার দিয়ে উইং তৈরি করতে কষ্ট হয় তাহলে আপনি একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি চোখের নিচের পাপড়ির লাইনে কৌণিকভাবে ধরে উইং আঁকতে পারেন।
  • এছাড়াও আপনি উইং তৈরি করতে টেপ (tape) ব্যবহার করতে পারেন।

প্রথমে যখন আপনি উপরের নিয়মে আইলাইনার ব্যবহার করবেন, তখন কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু পরে যখন আপনি বার বার প্র্যাকটিস করবেন তখন একদম সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি আপনার কাঙ্খিত চোখের ডিজাইন পেয়ে যাবেন।

Filed Under: Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)

কম সময়ে ৪টি সহজ ধাপে সরু ঠোঁটে নিখুঁতভাবে লিপস্টিক দিন [নিয়ম দেওয়া হল]

by রূপকথন ডেস্ক Leave a Comment

নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হল তার মুখমণ্ডল। মুখই আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে। নিখুঁতভাবে ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার আপনার মুখের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলে। সকলেই সুন্দর আর গ্ল্যামার ঠোঁট পছন্দ করে।

তাই আমি সরু/পাতলা ঠোঁটে কিভাবে লিপস্টিক দিবেন সে সর্ম্পকে ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

সরু ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়ার জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তা হলঃ

  • লিপস্টিক
  • লিপ লাইনার
  • ঠোঁটের ব্রাশ
  • লিপ গ্লস (ঐচ্ছিক)

কিভাবে সরু ঠোঁটে লিপস্টিক প্রয়োগ করবেন?

নিখুঁতভাবে লিপস্টিক দিতে নিচের ৪টি সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ– ১:

ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়ার আগে আপনার ঠোঁটের আকৃতি পরীক্ষা করুন। আপনার উপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের তুলনায় সরু কিনা তা লক্ষ্য করুন ।

আপনার ঠোঁটের আকৃতি কেমন তা দেখার পর, আপনার ঠৌঁটের উপর লিপ লাইনার দিয়ে আঁকতে শুরু করুন, কারন লিপ লাইনার আপনার ঠোঁটকে সুন্দর একটি শেইপে নিয়ে আসে এবং ঠোঁটকে আরো বড় দেখাতে সাহায্য করে। তবে সবার আগে অবশ্যই আপনার লাইনারটা শার্প করে নিবেন।

 

ধাপ– ২:

এবার লিপ লাইনার দিয়ে আপনার সরু ঠোঁটের প্রান্ত গুলো আলতোভাবে আঁকতে শুরু করুন এবং ঠোঁটের কিনারা পর্যন্ত এটি দিয়ে সরু ভাবে কন্টুর করুন।

উপরে একটি ছবি দেয়া হল। ছবিটি লক্ষ্য করুন।

সরু ঠোঁটে লিপ লাইনার দিয়ে একটি সফট লাইন টানুন যাতে করে আপনার ঠোঁট স্বাভাবিকভাবেই পূর্ণ হয়ে যায়।

ধাপ– ৩:

আপনার উপরের ঠোঁট হয়ে গেলে নিচের ঠোঁট আঁকা শুরু করুন।

কোণ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে ঠোঁটের কেন্দ্র পর্যন্ত লাইন আঁকুন । এক টানেই পুরো ঠোঁট না এঁকে ছোট ছোট স্ট্রোকের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে নিচের ঠোঁট আঁকুন।

উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

এখন একই লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের ভিতরে ভরাট করে ফেলুন।

আপনার লিপস্টিককে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে এটি সাহায্য করবে।

ধাপ– ৪

লিপস্টিক প্রয়োগ করার সর্বোত্তম উপায় হল একটি লিপ ব্রাশ ব্যবহার করা। কারণ এই লিপ ব্রাশ দিয়ে আপনার সরু ঠোঁটে লিপস্টিক সমানভাবে এবং কোণায় কোণায় সুন্দরভাবে দেয়া সম্ভব।

সর্বশেষ ধাপ

সর্বশেষে ঠোঁটে লিপগ্লস দিন, এতে করে আপনার সরু ঠোঁটের আলাদা একটি সৌর্ন্দয্য ফুটে উঠবে।

সরু ঠোঁটে লিপস্টিক প্রয়োগ করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

  • একটি নরম টুথব্রাশ বা একটি গরম ভিজা কাপড় নিন এবং আলতো করে আপনার ঠোঁট ঘষুন। এতে করে আপনার ঠোঁটের মৃত কোষগুলি পড়ে যাবে এবং ঠোঁট ফাঁটা কমাবে।
  • সুন্দর ঠোঁটের জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ঠোঁটে ভেস্লিন লাগিয়ে নিন।
  • উপরের ঠোঁটে ক্রিমি হাইলাইটার আঙ্গুল দিয়ে লাগান, এতে আপনার উপরের সরু ঠোঁট পুরু দেখাবে।
  •  সরু ঠোঁটের জন্য উপযুক্ত লিপস্টিকের শেইড – গোলাপি, লাল এবং নুড রঙের লিপস্টিক গুলো ব্যবহার করতে পারেন কারন এই শেইড গুল ঠোঁটকে পুরু দেখাতে সাহায্য করে।
  • ঝিলমিলে টেক্সচারের লিপস্টিক সরু ঠোঁটে ব্যবহার থেকে এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো ঠোঁটে মানায় না। এর পরিবর্তে, ম্যাট বা সার্টিন ফিনিস লিপস্টিক এবং লিপ লাইনার ব্যবহার করুন এতে করে আপনার ঠোঁটের মসৃণতা বৃদ্ধি পাবে।

সুন্দর একটি ঠোঁট সব সময় কথা বলে। সঠিক ভাবে ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করলে আপনার মুখমন্ডল আরো সুন্দর দেখাবে এবং আপনি নিশ্চিতভাবেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করবেন।

Filed Under: Lip Make up (লিপ আপ করুন)

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

রসুন তেল

রসুন তেল এর স্বাস্থ্য উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ব্যবহার

রাইস ভিনেগারের ৯টি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং ব্যবহার

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েলের ১১ টি উপকারিতা, ব্যবহার বিধি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পেপারমিন্ট

পেপারমিন্টের ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা, পুষ্টি, এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

শীতে স্ক্রাবিং করা কেন জরুরি?

শীতে স্ক্রাবিং করা কেন জরুরি?

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®