• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Dandruff (খুশকি)

খুশকি নিয়ন্ত্রণে ৬টি সেরা চুলের তেল

by রূপকথন ডেস্ক

খুশকির সাথে মোকাবিলা করা খুবই বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। এটা বিব্রতকর এবং অবাঞ্ছিত।  কিন্তু আপনি কি কখনও খুশকির জন্য চুলের তেল ব্যবহার করার কথা ভেবেছেন? তেল খুশকির জন্য  একটি নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী চিকিৎসা, যার ঝুঁকি বেশির ভাগ বাণিজ্যিক  অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ পণ্যের তুলনায় কম, এইসব পণ্যে অনেক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তবে অপরপক্ষে তেল ব্যবহারে আপনার চুলের  ক্ষতি করবে না এবং মাথার ত্বক শুকিয়ে যাবে না।

খুশকির চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে আপনি কোন তেল  ব্যবহার করতে পারেন তা পরীক্ষা করতে নিচের লিখাটি খুবই কার্যকর হবে।

খুশকির কারণ কী?

শীতকালে বাতাস শুষ্ক হয়ে গেলে খুশকি বেশি হয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা বা খুশকি নির্মূলের জন্য, খুশকি হওয়ার কারণগুলি সনাক্ত করা অপরিহার্য। 

  • মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং মাথার ত্বক থেকে তেলের অতিরিক্ত নিঃসরণ (অবস্থাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসও বলা হয়) খুশকির কারণ হতে পারে।
  • অনিয়মিত  মাথার ত্বক পরিষ্কার করার ফলে ত্বকে মৃত কোষ জমে যায়, যার ফলে ফ্লেক্স এবং চুলকানি হয়।
  • ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধি ম্যালাসেজিয়া গঠন করতে পারে,এটি এক ধরনের ফাংগাস যা মাথার ত্বকের জ্বালা বাড়ায়।
  • কেমিক্যালযুক্ত কিছু চুলের পণ্য মাথার ত্বকের ডার্মাটাইটিসকে আরও খারাপ করতে পারে।

মাথার ত্বকে খুশকির কারণ যাই হোক না কেন, এর চিকিৎসা হিসেবে চুলে তেলের ব্যবহার সকলকেই বিস্মিত করবে।

যারা ক্যামিকেল মিশ্রিত চুলের পণ্য এড়িয়ে চলতে  চান তারা হারবাল চুলের তেল বেশি ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের গোড়ায় হালকা গরম তেল ব্যবহার করা, খুশকি নির্মূলে একটি কার্যকর পন্থা হিসেবে কাজ করে, কারণ তারা চুলের স্ট্র্যান্ডগুলিকে মসৃণ করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক খুশকির জন্য সেরা কিছু তেল সম্পর্কে:

 ১. নারকেল তেল (Coconut Oil):

নারকেল তেল মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বকে খুশকির কারণ হতে পারে এমন ছত্রাক কমাতেও সাহায্য করে। 

২. রোজমেরি তেল (Rosemary Oil):

খুশকির জন্য রোজমেরি তেল ব্যবহার করতে পারেন কারণ এতে নির্দিষ্ট অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি একটি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এজেন্ট হিসাবেও কাজ করে। কেউ কেউ মতামত দিয়ে থাকেন যে এটি মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

৩. তুলসী তেল (Basil Oil):

তুলসী তেলের গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিকের ঘন অনুপাত খুশকি কমাতে পারে এবং চুল পড়া নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। এটি চুলকানিযুক্ত মাথার ত্বকের চিকিৎসা করতেও সহায়তা করতে পারে।

৪. টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil):

চা গাছের তেলে বা টি ট্রি অয়েল এ অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি এবং মাথার ত্বকের জ্বালা/চুলকানি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. লেমনগ্রাস তেল (Lemongrass Oil)

একটি গবেষণায় দেখা যায় যে,অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ হেয়ার টনিক ধারণকারী লেমনগ্রাস তেল, খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো অনেক গুলো গবেষণা এই তেলকে খুশকি নিরোধক বলে আখ্যায়িত করেছে। 

৬. পেপারমিন্ট তেল (Peppermint Oil):

পেপারমিন্ট তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাই এটি খুশকির চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।

অ্যান্টি-ড্যান্ড্রাফ হেয়ার অয়েল কীভাবে প্রয়োগ করবেন?

চুলে তেল ব্যবহার করা সহজ। আপনার আঙ্গুল দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে কয়েক ফোঁটা তেল ম্যাসাজ করুন। আপনি হয় আপনার চুলে তেলটি সারারাত রেখে দিতে পারেন বা এটি দিয়ে ১ থেকে ২ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই তেল লাগান।  প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল লাগানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। 

হেয়ার অয়েল প্রয়োগ করার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হওয়া উচিত?

একবার আপনি আপনার পছন্দের তেল প্রয়োগ করার পরে, আপনাকে পরবর্তী ক্ষতি রোধ করতে অবশ্যই যত্ন নিতে হবে।

  • চিরুনি দিয়ে চুল টানবেন না (হয় ব্রাশ দিয়ে বা আপনার আঙ্গুল দিয়ে যত্ন করে টেনে নিবেন)। গরম তেল দেয়া অবস্থায় চুল দুর্বল হতে পারে তখন এটি টানলে চুল ভেঙে যেতে পারে বা পড়ে যেতে পারে।
  • টাইট করে চুল বাধা এড়িয়ে চলতে হবে। আঁটসাঁট পনিটেল বা আঁটসাঁট বিনুনি করা  উচিত না। যদি চুল বাঁধতে চান সেক্ষেত্রে ক্লিপ ব্যবহার করে বাঁধতে পারেন। 
  • চুলে তেল দেয়া অবস্থায় চুলের মাস্ক বা ক্রিম বা  চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে না। একসাথে  একাধিক চিকিৎসা চুল পাতলা করতে পারে। অতএব, ফোকাস শুধু একটিতেই হতে হবে। 
  • তেল দেওয়ার সাথে সাথে চুল ধুয়ে ফেলবেন না। তেলটিকে চুলের মরা চামড়া তুলে আনার জন্য এবং আপনার মাথার ত্বকের গোড়ায় প্রবেশ করতে কিছু সময় দিতে হবে । চুলের তেল মাথার ত্বকে প্রায় ১ থেকে ২ ঘন্টা রেখে দিতে পারেন।

আসলে খুশকি হওয়ার কারণ অনেক যার কারণে সর্বদাই চুলের যত্ন নেওয়া আমাদের জন্য অপরিহার্য। খুশকির চিকিৎসার জন্য অনেক ওভার-দ্য-কাউন্টার লোশন এবং শ্যাম্পু পাওয়া গেলেও, এই পোস্টে উল্লিখিত তেলের মতো প্রাকৃতিক প্রতিকার বেছে নিতে পারেন অনেকেই, এতে খুশকি নিয়ন্ত্রণে করা যাবে অনেকখানি। ফলাফল পেতে নিশ্চিত করতে হবে যে, এটি নিয়মমতো এবং নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে কিনা।  কিন্তু সমস্যা সমাধান না হলে, একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

Filed Under: Dandruff (খুশকি), HAIR CARE (চুলের যত্ন)

খুশকি দূর করতে মেহেদির ব্যবহার (বিস্তারিত নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona Leave a Comment

খুশকি স্ক্যাল্পের একটি সাধারণ সমস্যা যা শুষ্কতা এবং চুলকানির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

স্ক্যাল্পে থাকা ক্ষুদ্র, আলগা সাদা আঁশগুলো চুলকানির মূল কারণ। যদি আপনার খুশকি শুষ্ক হয় তাহলে যখন আপনি চুল আঁচড়াবেন তখন এই আঁশগুলো আপনার পিঠে এবং কাঁধে ঝরে পরবে। তৈলাক্ত আঁশগুলো স্ক্যাল্পে লেগে থাকে এবং ওখানেই জমতে থাকে।

খুশকি বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন, হরমোনের পরিবর্তন, সঠিকভাবে চুল না ধুলে ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর এবং ঘন চুল পাওয়ার জন্য খুশকি দূর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খুশকির চিকিৎসায় মেহেদি

মেহেদির উপকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি বহু বছর ধরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এটি চুলের প্রাকৃতিক রং হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং চুলের গভীর কন্ডিশনিং করে। এটি কঠিন খুশকি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে।

আমি কিছু মেহেদি প্যাকের তালিকা করেছি যেগুলো আপনাকে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং খুশকির বার বার ফিরে আসা প্রতিরোধ করবে। মেহেদির প্যাক চুলে পনেরো দিন পর পর ব্যবহার করা উচিত।

কারন, মেহেদি আপনার চুলকে শুষ্ক করে দিতে পারে তাই এটি সবসময় ব্যবহার করবেন না। আরেকটি নোট হল, খুশকি দূর করতে চুলের মেহেদি প্যাকগুলো তেল দেওয়া চুলে কাজ করে না।

প্যাক ১ঃ মেহেদি, লেবু এবং দই

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • একটি লেবুর রস
  • দই

মেহেদির গুড়ো লেবুর রস এবং দইয়ের সাথে মিশান। ভালোভাবে মিশান যাতে দলা পাকিয়ে না যায়। মশ্রিণ একটি পেস্ট বানান যা গড়িয়ে পরবে না। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এই মেহেদির পেস্টটি লাগান। ৩০ মিনিট প্যাকটি মাথায় রাখুন এবং একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ২ঃ মেহেদি, অলিভ অয়েল এবং মেথির চুলের প্যাক

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • একটি লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার এবং মেথির বীজের গুড়ো
  • ২ টেবিল চামচ দই

একটি পরিষ্কার কাঁচের পাত্রে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং ১২ ঘন্টা রেখে দিন। সারারাত এটিকে রেখে দিন, যাতে আপনি পরেরদিন সকালে এটি সবার প্রথমে লাগাতে পারেন। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সব জায়গাতে লাগান। ২-৩ ঘন্টা পেস্টটি চুলে রেখে দিন এবং হালকা শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ৩ঃ ডিম এবং মেহেদির প্যাক

উপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • মিশানোর জন্য পানি
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ২ টেবিল চামচ ফ্যাটানো ডিমের সাদা অংশ

সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশান যাতে দলা পাকিয়ে না যায়। আপনার স্ক্যাল্পে লাগান, চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। পেস্টটি মাথায় ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ৪ঃ সরিষার তেল এবং মেহেদি

উপকরণ

  • ২৫০ মিলি সরিষার তেল
  • ২ মুঠো তাজা মেহেদি পাতা
  • ১ চা চামচ মেথির বীজ
  • একটি শুকনো পাত্র

এটি সবচেয়ে কার্যকরী তেলগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্যানে তেল ঢালুন এবং গরম করে নিন। গ্যাস বন্ধ করুন। যখন তেল সামান্য ঠান্ডা হবে তখন মেহেদি পাতা এবং মেথির বীজ এতে ঢালুন। কৌশলটি হল তেলের রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত মেহেদি পাতা তেলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তেল ঠান্ডা হতে দিন এবং সারারাত প্যানে রেখে দিন।

পরের দিন সকালে তেল ছেঁকে নিয়ে একটি বায়ুরোধী বোতলে বা পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। চুলের ম্যাসাজ করতে এই তেলটি ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার আগে এই তেল ১ ঘন্টা মাথায় রাখুন। একটি হালকা শ্যম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং কন্ডিশনার লাগান।

তাহলে আর দেরি কেনো? খুশকি দূর করার এই ৪ টি মেহেদি প্যাকের যে কোন একটি আজই ট্রাই করুন এবং খুশকিকে বিদায় জানান।

Filed Under: Dandruff (খুশকি)

পেঁয়াজের রসের ১১ টি সহজ এবং কার্যকরি উপায় যা আপনাকে দিবে প্রথম দিন থেকে খুশকি মুক্ত চুল [আজই পছন্দের পদ্ধতি বেছে নিন]

by Mohona Leave a Comment

খুশকি খুব ভয়াবহ একটি সমস্যা। খুশকি আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার আগেই আপনাকে এর থেকে পরিত্রান পেতে হবে। স্ক্যাল্প চুলকানোর থেকেও বিব্রতকর বিষয় হলো খুশকির সাদা আঁশগুলো। এবং আপনি এই সমস্যার একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান।

খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেঁয়াজের রস সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক সমাধান কারণ এটা সহজলভ্য এবং এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। খুশকি দূর করার জন্য আমরা আপনাদেরকে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর ১১ টি ঘরোয়া উপায় বলবো।

এর আগে, চলুন জেনে নেই খুশকি দূর করার জন্য কেন পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়।

পেঁয়াজের রস কিভাবে খুশকি কমাতে সাহায্য করে

খুশকি এবং চুল পরা সমস্যা দূর করার জন্য পেঁয়াজের রস একটি প্রাচীনতম সমাধান। এটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং স্ক্যাল্পের সাদা আঁশ দূর করে। এছাড়াও এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় ও মজবুত করে এবং স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও চুল ঝরা বন্ধ করতে এটি খুবই উপকারি প্রতিকার।

এখন চলুন দেখে নেই পেঁয়াজের রস ব্যবহারে খুশকি দূর করার অনেকগুলো উপায়।

খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের কয়েকটি উপায়

১. পেঁয়াজের রস

২. মেথির বীজ এবং পেঁয়াজের রস

৩. অ্যালোভেরা এবং পেঁয়াজের রস

৪. সবুজ কলাইয়ের পাউডার এবং পেঁয়াজের রস

৫. বীটরুট এবং পেঁয়াজের রস

৬. চিচিঙ্গা এবং পেঁয়াজের রস

৭. লেবুর রস এবং পেঁয়াজের রস

৮. অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস

৯. নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস

১০. আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস

১১. আপেলের রস এবং পেঁয়াজের রস

১. পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • একটি বড় পেঁয়াজ
  • একটি ব্লেন্ডার

প্রক্রিয়া

  • পেঁয়াজটা টুকরো করে কেঁটে নিন এবং ব্লেন্ড করুন।
  • স্ক্যাল্পে জুসগুলো ম্যাসাজ করুন।। ৩০ মিনিট এগুলো চুলে রেখে দিন।
  • একটি কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. মেথির বীজ এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মেথির বীজ
  • ১ বাটি পানি
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • মেথির বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • পরের দিন এদের মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান।
  • স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগান এবং আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে এক অথবা দুইবার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

মেথির বীজে এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এরা প্রচুর প্রোটিন এবং নিকোটিনিক এসিড সমৃদ্ধ, এই দুইটিই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩. অ্যালোভেরা এবং পেঁয়াজ রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা জেল পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান এবং আপনার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ১০ মিনিট মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

আপনি এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন।

কেন কাজ করে?

অ্যালোভেরা চুলকানি যুক্ত স্ক্যাল্পে প্রশান্তি দেয়। এটি আপনার চুলকে হাইড্রেটেড রাখে এবং এর উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর প্রদান করে। এটি প্রোটোলাইটিক এনজাইমও বহন করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৪. সবুজ কলাই পাউডার এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ সবুজ কলাই পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • কলাই পাউডার নিন এবং এতে পেঁয়াজের রস মিশান। মশ্রিণ পেস্ট না পাওয়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে মিশান।
  • চুলের মাস্কের মত করে পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে রাখুন।
  • পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য আপনাকে এই পেস্টটি সপ্তাহে ২ বার লাগাতে হবে।

কেন কাজ করে?

সবুজ কলাই ভিটামিন এবং এনজাইম বহন করে যা চুলকে পুনর্যৌবন করে তুলে এবং চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগায়। পেঁয়াজের রস খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে।

৫. বীটরুট এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২-৩ টি বীটরুট
  • পানি
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • পানিতে বীটরুট সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। তাদের ভর্তা করে পেস্ট করে নিন।
  • বীটরুটের পেস্ট পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিশ্রণটি আপনার আঙুলের সাহায্যে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।

কতবার?

খুশকির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আপনি এটি প্রতিদিন করতে পারেন।

কেন কাজ করে?

বীটরুট পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস, যা চুলের ঝরে পরা প্রতিরোধ করে এবং চুল বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার চুলে উজ্জ্বলতাও প্রদান করে।

৬. চিচিঙ্গা এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ চিচিঙ্গার রস
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • চিচিঙ্গার রস এবং পেঁয়াজের রস একসাথে মিশান এবং আপনার পুরো মাথায় লাগান।
  • আধা ঘন্টা চুলে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য মিশ্রণটি সপ্তাহে ২-৩ বার লাগাবেন।

কেন কাজ করে?

চিচিঙ্গার রস আপনার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড করে এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। এটি শুধু খুশকি থেকে মুক্তি দেয় না, এটি খুশকির বার বার ফিরে আসাও প্রতিরোধ করে।

৭. লেবুর রস এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • পেঁয়াজের রসের সাথে লেবুর রস মিশান এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে রাখুন (প্রায় ২০ মিনিট) এবং ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য দুই দিন পর পর ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

লেবুর রস চুলের থেকে পেঁয়াজের দুর্গন্ধ দূর করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি খুশকি দূর করে এবং স্ক্যাল্পের চুলকানি কমায়।

৮. অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
  • ৩ চা চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • অলিভ অয়েল পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান। মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • একটি গরম তোয়ালে আপনার মাথায় আধা ঘন্টা পেঁচিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

কার্যকর ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

অলিভ অয়েল চুলকে মজবুত, কোমলতা এবং উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এই মিশ্রণটি চুল এবং স্ক্যাল্পে আদ্রতা প্রদান করে এবং আপনার স্ক্যাল্প চুলকানিমুক্ত এবং খুশকিমুক্ত রাখে।

৯. নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ৫ চা চামচ নারিকেল তেল
  • ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • একটি মিক্সারে লেবুর রস, নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস মিশান।
  • এই মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

এটি খুশকি কমায়, আঁশ পরিষ্কার করে, চুলে আদ্রতা দেয় এবং চুলকে সতেজ এবং গন্ধমুক্ত রাখে ।

১০. আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস একসাথে মিশান।
  • ৫-৭ মিনিট আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

আপেল সিডার ভিনেগারে প্রাকৃতিক এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং খুশকি কমায়। এটি স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরে ভারসাম্য প্রদান করে এবং ফাংগাস বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

১১. আপেলের রস এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ আপেলের রস
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেলের রসের সাথে পেঁয়াজের রস মিশান এবং আপনার স্ক্যাল্পে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট এটি আপনার চুলে রাখুন এবং এরপর আপনার চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

কতবার?

কার্যকর ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

আপেলের রস স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং মৃত চামড়ার কোষ ও খুশকির আঁশ দূর করে।

খুশকি একটি ভয়াবহ সমস্যা যা আপনাকে হতাশাগ্রস্থ করে দিতে পারে। কিছু সহজ টিপস এবং পদ্ধতি প্রতিদিন ব্যবহার করলে খুব সহজেই খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আপনার সমস্যা ভয়াবহ হওয়ার আগেই পেঁয়াজের রস ব্যবহারের এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করুন এবং আপনার চুলে পরিবর্তন দেখুন।

Filed Under: Dandruff (খুশকি)

শীতকালে কিভাবে চুলের খুশকি প্রতিরোধ করবেন?

by রূপকথন ডেস্ক Leave a Comment

শীতকাল হল বছরের সেই সময়, যখন তাপমাত্রা কমে আসার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব পরে। আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে এবং মৃত চামড়ার কোষ ভেসে উঠে। এই শুষ্কতা শুধু ত্বক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা, এটি মাথার ত্বকেরও একটি সাধারণ সমস্যা। মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো ছোট ছোট আঁইশে রুপান্তরিত হওয়া শুরু করে এবং ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই শীতকালে আপনাদের কাঁধে ঝরে পড়া সাদা আঁইশ বা কণাগুলো তুষারকণা নাও হতে পারে, এগুলো খুশকিও হতে পারে।

শীতকালীন ঠান্ডা বাতাস আপনার ত্বককে নষ্ট করে ফেলে এবং এই ঋতুতে আপনার মাথার ত্বকের আদ্রতাই খুশকি হওয়ার জন্য দায়ী। এই সময় সবসময় গরম উননের সামনে বসে থেকে মরুভুমির বাতাসের অনুভূতি নেওয়া মোটেও ঠিক নয়,  যার জন্য শীতকালে মাথায় খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা। উনন দ্বারা উত্পাদিত কৃত্রিম তাপ শীতের হিমশীতল বায়ুর সাথে মিশে গিয়ে এমন একটি আদ্রতা তৈরী করে যা আপনার মাথার ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই কারনেই শীতকালে খুশকি হওয়া একটি সাধারন সমস্যা।

কিভাবে শীতকালে খুশকি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন?

শীতকালে খুশকি হওয়া থেকে রক্ষা পাবার কিছু উপায় নিচে দেয়া হলঃ

১. নতুনদের জন্য, আপনি একটি কোমল ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।  আপনার মাথার ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করা এবং মাথার ত্বক যাতে শুষ্ক হয়ে চুলকানির সৃষ্টি না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি হারবাল পণ্য ব্যবহার করতে চান, তাহলে সেই হারবাল পণ্যে আপনার এলার্জি আছে কিনা তা পরীক্ষা করার করার জন্য প্রথমে খুবই অল্প পরিমাণ নিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে দেখুন। কিছু মানুষের হারবাল পণ্যে এলার্জি থাকে এবং তখন এই পণ্য ব্যবহারে মাথার চুলকানি বেড়ে যেতে পারে এবং মাথার ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।

২. টি ট্রি তেল এবং শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং চুলের যত্নের অন্যান্য পণ্য যা চা গাছের তেল থেকে তৈরি, এসব পণ্য মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং খুশকি প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত ভাল কাজ করে। আপনি সপ্তাহে দুইবার মাথায় টি ট্রি তেল ম্যাসাজ করতে পারেন এবং কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো ফল লক্ষ্য করবেন।

৩. আপনার মাথার ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য আপনার খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি এবং জিংক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডও অবশ্যই থাকতে হবে! এগুলো আপনি আখরোট, ডিম, পাতা যুক্ত সবজি ইত্যাদিতে পাবেন। যদি আপনি সবুজ শাকসবজি খুব একটা পছন্দ না করেন, তবে শাকসবজি দিয়ে সালাদ তৈরি করুন এবং মেয়নেজ (mayonnaise) মিক্স করুন, এটিকে একটি মজাদার এবং লোভনীয় খাবারে পরিণত করুন।

৪. একটি আদ্রতা রক্ষাকারী যন্ত্র বাতাসের আদ্রতা রক্ষা করে এবং আপনার ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আদ্রতা বজায় রাখে। তবে আপনাকে যন্ত্রটি ২-৩ দিন পর পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। ঠিকমত যত্ন না নিলে এটি ছত্রাক এবং ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস স্থলে পরিণত হবে এবং এর কারনে এলার্জি এবং সংক্রমণজনিত রোগ হতে পারে।

৫. শীতকালে অধিক হেয়ার স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করা যাবেনা যেহেতু এই সময় মাথার ত্বক ইতিমধ্যেই শুষ্ক এবং চুল তার আর্দ্রতা থেকে বঞ্চিত, সেহেতু এরা খুব সহজেই চুলের পন্যের কেমিক্যাল দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে এবং এটি মাথায় চুলকানী বাড়িয়ে দিতে পারে এবং এতে খুশকি আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।

৬. বেশি বেশি চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন, এটা আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক করে দিবে এবং খুশকি বাড়িয়ে দিবে। মাথায় খুব গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন; তার পরিবর্তে কুসুম গরম পানি বা তার তেকে অধিকতর ঠান্ডা পানি যতটুকু ঠান্ডা আপনি সহ্য করতে পারেন ব্যবহার করুন, তাহলেই খুশকি এড়াতে পারবেন।

৭.আলতোভাবে আপনার মাথায় শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ম্যাসাজ করুন। খুব জোরে ঘষবেন না, এটি খুব সহজেই মাথার ত্বকে র‍্যাশ তৈরি করে এবং মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায়। চুলের রঙ করাও মাথার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং খুশকির কারণ হতে পারে, শীতকালে চুলে রঙ করা থেকে দূরে থাকুন অথবা এমন একটি রঙ বেছে নিন যা আপনার চুলের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখবে।

৮. উষ্ণ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল আপনার মাথায় ম্যাসাজ করুন এবং ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ক্ষারমুক্ত শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে।

৯. খুশকি দূর করার জন্য যখন আপনি শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন তখন ভালো ফলাফলের জন্য তা ধোয়ার আগে অবশ্যই ২/৩ কিংবা ৫ মিনিট মাথায় রাখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

১০. খুশকি দুষচিন্তার কারনেও হতে পারে পাশাপাশি চুলের যত্নের পন্যগুলোও চুল থেকে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।। প্রথমত, আপনাকে যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার মাথা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন যাতে কোন ধরনের হেয়ার ক্রিম বা চুলের স্টাইলিং পণ্য মাথার ত্বকে না থাকে। নিয়মিত লেবুর পানি দিয়ে চুলে ধুয়ে নিন, এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে।

উপরের টিপস দিয়ে, এই শীতকালে খুশকির সাথে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং উপভোগ করুন সতেজ, ঝলমলে, শক্তিশালী চুল।

Filed Under: Dandruff (খুশকি)

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৫টি লো-শুগার ফল ও সবজি যা আপনার লো-কার্ব ডায়েটের জন্য উপযুক্ত

ত্বকে গ্লো চাই? ২০টি ফল যা আপনার স্কিনকে করে তুলবে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়

অক্সিজেন-সমৃদ্ধ খাবার: ফল, পানীয়, সবজি ও প্রোটিন – সুস্থ শরীরের জন্য সেরা ১২টি খাবার!

ভেগান ডায়েট ওজন কমানোর: একটি টেকসই পথ যা আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখবে

প্যালিও ডায়েট রেসিপি: স্বাস্থ্যকর এবং সহজ প্রস্তুত করার জন্য ১৫টি সেরা রেসিপি

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®