শুষ্ক এবং চুলকানী সৃষ্টিকারি স্ক্যাল্প আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে? শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণে আপনার মাথায় সারাদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত চুলকানো শুরু হলে কতটা কষ্ট হয় তা আমরা জানি। আপনি এই সমস্যাটি ঘরে তৈরি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন।
শুষ্ক স্ক্যাল্প খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। কিন্তু আপনাকে আর এই অসুবিধা নিয়ে সারাজীবন কাটাতে হবে না। শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার অনেকগুলো সহজ পদ্ধতি আছে যা আপনার সমস্যা দূর করতে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে। টিপস এবং প্রতিকার যেগুলো যেগুলো আমাদের শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করেতে সাহায্য করবে তা শিখার আগে এই সমস্যার মূল কারণ বুঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণ কি?
মাথার ভিতর থাকা সুপ্ত এবং নিষ্ক্রিয় তেল গ্রন্থিই স্ক্যাল্পের শুষ্কতার কারন, যা আপনার ত্বকের ভেতর প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল উৎপাদনে সক্ষম নয়। স্ক্যাল্পের শুষ্কতার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ
- রুক্ষ প্রকৃতির শ্যাম্পু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাতে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে
- ছত্রাকের সংক্রমণ
- রাসায়নিকযুক্ত পানির বেশি ব্যবহার
- অনুপযুক্ত খাদ্যের কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব
- মাত্রাতিরিক্ত খারাপ আবহাওয়া
- স্টাইলিং পণ্যের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার
- চুলের যত্নে অবহেলা, সেই সাথে অস্বাস্থ্যকর রূপচর্চার অভ্যাস, তেলের অভাব এবং কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট
তাই, শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার প্রথম পদক্ষেপটি হল এর কারণ সবার আগে খুঁজে বের করা। একবার আপনি কারণ জেনে গেলে, আপনি আপনার চুলের যত্ন করার রুটিনে কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবেন।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
৩. তেল
৫. দই এবং ডিম
৬. লিসট্রিন
৭. মেয়োনিজ
৯. ভিটামিন ই
শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি শীর্ষ প্রতিকার
১. টি ট্রি শ্যাম্পু
উপকরণ
- টি ট্রি অয়েল
- শ্যাম্পু
প্রক্রিয়া
- আপনার নিয়মিত শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশান এবং বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
- চুল ধুতে শ্যাম্পুটি যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবেই করুন সবসময়।
কতবার?
এই তেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুটি দিয়ে সপ্তাহে দুইবার চুল ধুবেন।
কিভাবে কাজ করে?
যখন শুষ্কতা ছত্রাকের সংক্রমণের কারনে হয় তখন টি ট্রি অয়েল খুব ভালো কাজ করে কারণ এই তেলটি খুব ভালো ছত্রাকবিরোধী প্রতিনিধি। এটি চুলের গ্রন্থিগুলো খুলে দেয় এবং প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
উপকরণ
- ২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
- তুলা
প্রক্রিয়া
- তুলার সাহায্যে আপনার স্ক্যাল্পে ভিনেগারটা লাগান।
- আঙ্গুল দিয়ে ২-৩ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
- ১০ মিনিট ভিনেগারটি মাথায় রেখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
কিভাবে কাজ করে?
অ্যাসট্রিনজেন্ট হওয়ার কারণে আপেল সিডার ভিনেগার স্ক্যাল্পের ক্ষতিকারক জীবাণু পরিষ্কার করে এবং ত্বকের পিএইচ স্তর ব্যালেন্স করে।
সতর্কতা
আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে তারপর চুলে লাগান। এছাড়াও আপনি ভিনেগারের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য তেল
উপকরণ
- নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল অথবা বেবী অয়েল অথবা অরগান অয়েল অথবা ক্যাস্টর অয়েল অথবা মরোক্কান অয়েল
- কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল (ঐচ্ছিক)
প্রক্রিয়া
- একটি পাত্রে আপনার পছন্দমত তেল নিন এবং সামান্য গরম করে নিন।
- টি ট্রি অয়েলটি মিশান
- আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
- চুল ধোয়ার আগে তেলটি এক ঘন্টা মাথায় রাখুন। তবে সারারাত তেল মাথায় রাখাটা অনেক বেশি ভালো।
কতবার?
তেলের এই ট্রিটমেন্টটি সপ্তাহে দুইবার করবেন।
কিভাবে কাজ করে?
শুষ্ক ত্বকে গরম তেলের ট্রিটমেন্ট বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এই তেলগুলোর বেশিরভাগই ঘরে সবসময় থাকে এবং এগুলো স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে এবং খুশকি ও স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে। তেল শুধু স্ক্যাল্পে আদ্রতা প্রদান করে না, এটা স্ক্যাল্পের আদ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। যদি স্ক্যাল্প প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদন করতে সক্ষম না হয় তাহলে বাহ্যিক তেল স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগাতে এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।
৪. জুসিং (ফল অথবা সবজির রস)
ক. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লেবুর রস
উপকরণ
- একটি লেবুর অর্ধেক
প্রক্রিয়া
- যখন লেবুর রস বের করার জন্য লেবুতে চাপ প্রয়োগ করবেন তখন আপনার স্ক্যাল্পে হালকাভাবে লেবুটি ঘষুন।
- ৫ মিনিট রস মাথায় রাখুন।
- ধুয়ে সবসময়ের মত চুলে কন্ডিশনিং করে নিন।
কতবার?
সপ্তাহে দুইবার
কিভাবে কাজ করে?
লেবুর রস একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খুশকির সাথে সম্পর্কিত ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে।
খ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য আপেলের রস
উপকরণ
- ১-২ টি আপেলের রস
প্রক্রিয়া
- আপেলের থেকে রস নিন এবং রসগুলো দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
- স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে রসগুলো ১০ মিনিট চুলে রেখে দিন।
কতবার?
সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে কাজ করে?
আপেলের রসে সামান্য এসিড রয়েছে যা স্ক্যাল্পকে স্ক্রাব করে সকল মৃত, শুষ্ক এবং আলগা চামড়া দূর করে। এটি স্ক্যাল্পের পিএইচ পূনরুদ্ধার করে, এরপর তেল উৎপাদনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে।
গ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য পিয়াঁজের রস
উপকরণ
- ১/৪ কাপ পিয়াঁজের রস
- ১ টেবিল চামচ মধু
- তুলা
প্রক্রিয়া
- একটি পিয়াঁজ কুচি করে নিন এবং এর থেকে রস বের করে নিন।
- এতে মধু যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- তুলো দিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে এটি লাগান এবং ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- আপনার নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
প্রাথমিকভাবে আপনি পিয়াঁজের রস সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করবেন। একবার শুষ্ক স্ক্যাল্পের অবস্থার উন্নতি হলে, চুলের বৃদ্ধির জন্য আপনি ১৫ দিন পর পর এই রস ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে কাজ করে?
পিয়াঁজে থাকা উচ্চ মাত্রার সালফার খুশকির কারণে হওয়া শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মাথায় আর কখনো আলগা চামড়ার সৃষ্টি হবে না। এছাড়াও পিয়াঁজ স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই পরিচিত।
ঘ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য অ্যালোভেরার রস
উপকরণ
- একটি অ্যালোভেরা পাতা
- পানি
প্রক্রিয়া
- পাতার ভেতর থেকে সতেজ অ্যালোভেরা জেল বের করে নিন।
- এতে সামান্য পানি মিশান এবং ভালোভাবে মিশিয়ে জুসের মত করে নিন।
- এই জুসটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। কয়েক মিনিটের জন্য আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
- অ্যালোভেরা মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
সপ্তাহে দুইবার লাগাবেন।
কিভাবে কাজ করে?
শুষ্ক স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা খুব শীতল অনুভূতি প্রদান করে। এ্যামিনো এসিড, ভিটামিন, চিনি এবং ফ্যাটি এসিডের সাহায্যে এটি আপনার স্ক্যাল্পের ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এতে এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার সাপ্তাহিক চুলের যত্নের রুটিনে অ্যালোভেরা যুক্ত করে একটি স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প এবং উজ্জ্বল চুল খুব সহজেই পেতে পারেন।
৫. দই এবং ডিম
উপকরণ
- ১ টি ডিম
- ২-৩ টেবিল চামচ দই
- ১ টেবিল চামচ মধু
প্রক্রিয়া
- মসৃণ পেস্ট পাওয়ার জন্য ডিমটি দইয়ের সাথে ফাঁটিয়ে নিন।
- মধু যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- এই মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
- আধা ঘন্টার জন্য এটিকে বসতে দিন এবং এরপর আপনার নিয়মিত ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
কিভাবে কাজ করে?
দই স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং স্ক্যাল্পের মরা ও শুষ্ক চামড়া দূর করে। এটি চুলের গোড়ার গ্রন্থি খুলে দেয় এবং তেল গ্রন্থির স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ডিম স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় এবং এতে থাকা ফ্যাট ও প্রোটিনের সাহায্যে আপনার চুল কন্ডিশন করে।
৬. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লিসট্রিন
উপকরণ
- ১/২ কাপ লিসট্রিন
- ১/২ কাপ পানি
প্রক্রিয়া
- আপনার চুল পরিষ্কার করে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি ঝরিয়ে নিন।
- এখন, লিসট্রিন পানির সাথে মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান।
- আপনার আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন এবং এরপর ৫ মিনিটের জন্য মাথায় লিসট্রিন রাখুন।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
কতবার?
সপ্তাহে একবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন।
কিভাবে কাজ করে?
লিসট্রিন একটি শক্তিশালী এন্টিসেপ্টিক এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। শুষ্ক এবং আলগা চামড়া সৃষ্টিকারি সকল ক্ষতিকর জীবাণু লিসট্রিন মেরে ফেলে। এটি আপনার স্ক্যল্পের চুলকানির অনুভূতিও কমিয়ে আনে।
৭. মেয়োনিজ
উপকরণ
- ১/২ কাপ মেয়োনিজ
- শাওয়ার ক্যাপ
প্রক্রিয়া
- আপনার স্ক্যাল্পে মেয়োনিজ লাগান এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে দিন।
- মেয়োনিজ পরিষ্কার করার জন্য গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
- এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
কয়েক সপ্তাহ ধরে সপ্তাহে ১ দিন করে মেয়োনিজ লাগালে শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
কিভাবে কাজ করে?
মেয়োনিজে প্রচুর তেল এবং ফ্যাট রয়েছে যা আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। মেয়োনিজ ব্যবহারে সকল শুষ্কতা থেকে কার্যকরভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৮. বেকিং সোডার ব্যবহার
উপকরণ
- ৩-৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা
- গোলাপ জল
প্রক্রিয়া
- বেকিং সোডা এবং গোলাপ জলের একটি পেস্ট তৈরি করুন।
- স্ক্যাল্পে লাগান এবং ২-৩ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
সপ্তাহে দুইবার করবেন।
কিভাবে কাজ করে?
একটি এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট হওয়া ছাড়াও, বেকিং সোডা একটি মৌলিক যৌগ যা স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালেন্স পুনরুদ্ধার করে। এটি শুধু স্ক্যাল্পে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদনই করে না, সেই সাথে চুল লম্বা হতেও সাহায্য করে।
৯. ভিটামিন ই ক্যাপ
উপকরণ
- ৫-১০ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
প্রক্রিয়া
- সাবধানে ক্যাপসুলের ভেতর থেকে তেল বের করে একটি পাত্রে নিন।
- আপনার স্ক্যাল্পে ভিটামিন ই তেল লাগান এবং ৫-১০ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
- ১ ঘন্টা এই তেল মাথায় রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।
কতবার?
সপ্তাহে অন্তত একদিন ভিটামিন ই তেল দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
কিভাবে কাজ করে?
ভিটামিন ই তেল আপনার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে এবং র্যাডিকেলের ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি মাথার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
১০.অলিভ অয়েল এবং ডিম
উপকরণ
- ১ টি ডিমের কুসুম
- ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
- ১ চা চামচ লেবুর রস
প্রক্রিয়া
- ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন এবং অন্যান্য উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মিশান।
- স্ক্যাল্পে এটা লাগান এবং এই হেয়ার মাস্কটি ৩০ মিনিট চুলে ভালোভাবে সেট হতে দিন।
- শ্যাম্পু এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়ার বেলায়ও একইভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
কতবার?
এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
কিভাবে কাজ করে?
ডিমের কুসুম ভিটামিন এ এবং লিকিথিন স্টেরোল বহন করে বিধায় এটি শুষ্ক ত্বকের সমস্যার জন্য খুবই উত্তম একটি প্রতিকার। এটি ত্বককে মসৃণ করে। অলিভ অয়েল ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ যা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়।। এতে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা র্যাডিকেল, জীবাণু এবং দূষণের ফলে সৃষ্ট যে কোন ক্ষতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।
এই প্রতিকার গুলো ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে এই পানিও আপনার ত্বক এবং চুল হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। তাই সবসময় আপনার চুলের যত্নের জন্য অন্যান্য উপায়ের সাথে পানিও রাখবেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প পেতে আপনার খাবারে বাদাম, ডিম, সামুদ্রিক খাবার, মুরগির মাংস, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, সয়াবিন, পেঁপে, কমলা এবং সবুজ শাক-সবজি যোগ করুন। এগুলো আপনার স্ক্যাল্পে জিংক, আয়রন, ভিটামিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অভাব পূরণ করবে। যদি আপনার স্ক্যাল্পের শুষ্কতা পুষ্টির অভাবের কারণে হয়ে থাকে তাহলে এই কৌশলটি নিশ্চিতভাবে আপনাকে সাহায্য করবে।