• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

ত্বক সুস্থ রাখার জন্য ডিমের ৬ টি অজানা অসাধারণ ফেইস প্যাক এবং মাস্ক

by Mohona Leave a Comment

আপনার রূপচর্চার পদ্ধতি পরিবর্তন করার সময় এখনি।

কারণ, আপনি কি আপনার স্থানীয় স্পা এবং পারলারের পিছনে সময় এবং টাকা খরচ করতে করতে ক্লান্ত? আপনার কি মনে হচ্ছে এই ব্যয়বহুল ট্রিটমেন্ট গুলো শুধুই আপনার ব্যাগের টাকার উপর প্রভাব ফেলছে কিন্তু আপনার সৌন্দর্যের উপর কখনই কোন প্রকার প্রভাব ফেলছে না? তাহলে ঘরে তৈরি ফেইস প্যাক এবং মাস্কগুলোর ব্যবহার আপনার ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। কারণ এরা শুধু সস্তাই নয়, এদের থেকে পাওয়া ফলাফল পারলারের তুলনায় অনেক বেশি ভালো।

যখন স্বাস্থ্য অথবা সৌন্দর্যের কথা আসে, তখন রান্নাঘর আমাদের সমাধানের ভান্ডার। কারণ, রান্নাঘরে পাওয়া কিছু খাবার এতটাই পুষ্টিকর যে এরা মুহূর্তের মধ্যে ফলাফল দেখায়।

এদের মধ্যে একটি উত্তম বিকল্প হলো ডিম।

হ্যাঁ, বিশ্বের একটি বড় অংশের মুখ্য ব্রেকফাস্ট, যা দিয়ে ঘরেই চমৎকার ফেইস মাস্ক/প্যাক বানানো যায়। ডিম আমাদের গায়ের রঙ ও গঠনের উন্নতি করা এবং ফাইন লাইন ও বলিরেখা কমানোর এক অলৌকিক ক্ষমতার প্রমান দিয়েছে।

সুস্থ ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ডিমের ফেইস মাস্ক এবং প্যাক

১. ডিমের ফেইস প্যাকঃ ডিমের সাদা অংশের রেসিপি

  • আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • একটি ডিম ভাঙ্গুন এবং ডিমের সাদা অংশ কুসুম থেকে আলদা করে নিন।
  • এখন এক টুকরো তুলা দিয়ে ডিমের সাদা অংশ আপনার মুখে সরাসরি লাগান।
  • ১০-১৫ মিনিট এটিকে পুরোপুরি শুকাতে দিন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেইস মাস্কটি আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বক টান টান করতে সাহায্য করে।

২. শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ ডিমের কুসুমের রেসিপি

  • একটি ডিমের কুসুম নিন।
  • ১ চা চমচ মধু নিন।
  • দুইটি উপাদান খুব ভালোভাবে মিশান এবং আপনার পরিষ্কার মুখে লাগান।
  • ১০-১৫ মিনিট আপনার মুখে রেখে দিন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেইস প্যাকটি শুষ্ক ত্বকে আদ্রতা প্রদানে বেশ উপকারী।

৩. তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ ব্রণের জন্য ডিমের সাদা অংশের রেসিপি

  • একটি ডিমের সাদা অংশ নিন।
  • মুলতানি মাটির সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • ঘন না হওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে মিশাতে থাকুন।
  • এবার আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট এটিকে শুকাতে দিন।
  • এরপর আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেইস প্যাকটি তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের সকল সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

৪. ডিমের ফেইস প্যাকঃ দুধ, গাজর এবং ডিমের সাদা অংশের রেসিপি

  • ডিমের সাদা অংশ নিন।
  • দুধ এবং ছোট গাজর নিন।
  • গাজর পেস্ট করে নিন।
  • ডিমের সাদা অংশ এবং দুধের সাথে গাজরের পেস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • আপনার পরিষ্কার মুখে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট আপনার মুখে রেখে দিন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেইস মাস্কটি সকল প্রকার ত্বকের এ্যান্টি-এজিং এর জন্য একটি খুব ভালো ঘরোয়া প্রতিকার।

৫. উজ্জ্বল ত্বকের জন্যঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসন এবং লেবুর রেসিপি

  • কিছু পরিমান বেসন নিন।
  • ডিমের সাদা অংশের সাথে বেসন ভালোভাবে মিশান।
  • এখন মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা লেবু যোগ করুন।
  • আপনার মুখে সমানভাবে মিশ্রণটি লাগান এবং ২০ মিনিট রেখে দিন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৬. ডিমের ফেইস প্যাকঃ ফাইন লাইন এবং বলিরেখা দূর করার রেসিপি

  • পরিষ্কার মুখে ডিমের সাদা অংশ লাগান।
  • এটিকে পুরোপুরি শুকাতে দিন।
  • ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • মুখ ধুয়ে পানি মুছে আপনার চোখের নিচের ক্রিম অথবা জেল লাগান।

যদি এটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন তাহলে এই ফেইস মাস্কটি আপনার ফাইন লাইন এবং বলিরেখা কমানোর খুব ভালো ফলাফল দেখাবে।

ডিম শুধু আপনার দেহের পুষ্টির জন্যই নয়, এরা আপনার নিখুঁত ত্বকের জন্যও যেটি আপনি সবসময় চেয়েছিলেন। ঘরে তৈরি এই ফেইস মাস্ক গুলো ব্যবহার করুন এবং স্বাস্থ্যকর ও নিখুঁত ত্বকের অধিকারী হোন।

Filed Under: Face Packs and Masks

কি ভাবে সহজে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসা করবেন?

by Mohona Leave a Comment

অ্যালোভেরা একটি যাদুকরী উদ্ভিদ যা আমাদের সকলের বাড়িতেই চাষ করা উচিত। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং পুড়ে যাওয়া নিরাময়ে এই অ্যালোভেরা খুবই দক্ষ।

অ্যালোভেরাতে যে রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে তা ব্যাথা এবং জ্বালা-পোড়া কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এরা ত্বক পুনর্গঠন করে এবং ত্বকের কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে এবং এর স্বাভাবিক বৃদ্ধি  করতেও সাহায্য করে।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে অ্যালোভেরা সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রতিকারের উপাদানগুলোর মধ্যে একটি। এবং যখন আপনি একে অন্য নিরাময়কারী উপাদানগুলোর সাথে সমন্বয় করবেন তখন ফলাফল আরো দ্বিগুণ ভালো হবে। আমরা আপনার পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসা করার জন্য নিচে চমৎকার কিছু প্রতিকার তুলে ধরলাম। এক নজরে দেখে নিন।

প্রাকৃতিকভাবে জ্বালা-পোড়ার চিকিৎসায় অ্যালোভেরা ব্যবহারের কয়েকটি উপায়

১. খাঁটি অ্যালোভেরা।

২. টি ট্রি অয়েল এবং অ্যালোভেরা।

৩. মধু এবং অ্যালোভেরা।

৪. ল্যাভেন্ডার তেল এবং অ্যালোভেরা।

৫. ভিটামিন-ই এবং অ্যালোভেরা।

৬. হলুদ এবং অ্যালোভেরা।

৭. গমের বীজের তেল এবং অ্যালোভেরা।

৮. বরফের টুকরো এবং অ্যালোভেরা।

৯. নারিকেল তেল এবং অ্যালোভেরা।

১. খাঁটি অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • অ্যালোভেরার নির্যাস

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা গাছ থেকে একটি মাংসল পাতা ছিঁড়ে নিন। পাতাটি কেঁটে খুলে নিন এবং দেখবেন ভিতর থেকে জেলের মত নির্যাস বের হচ্ছে।
  • অ্যালোভেরা জেল সংগ্রহ করুন এবং আপনার শরীরের পুড়ে যাওয়া স্থানে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন যতক্ষণ না পর্যন্ত ত্বক এই জেল শুষে নেয়।

কতবার লাগাবেন ?

আপনি প্রতিদিন একবার বা দুইবার এটি করতে পারেন।

এটি কিভাবে কাজ করে?

অ্যালোভেরা ত্বককে ঠান্ডা এবং কোমল করে। এটি খুব দ্রুততার সাথে নিরাময় কাজ করে।

২. টি ট্রি অয়েল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • অ্যালোভেরা নির্যাস/জেল
  • কয়েক ফোঁটা খাঁটি টি ট্রি অয়েল

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা জেলের একটি দলা নিন এবং এতে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন।
  • আপনার আঙ্গুল দিয়ে এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান। জেলটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ত্বকে ম্যাসাজ করতে থাকুন।

কতবার লাগাবেন?

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি করবেন।

এটি কিভাবে কাজ করে?

চা গাছ এ্যান্টি-ফাংগাল, এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে ইহা আক্রান্ত স্থানকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৩. মধু এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১ চা চামচ মধু
  • অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • মধু এবং অ্যালোভেরা মিশিয়ে একটি পুরু পেস্ট তৈরি করুন।
  • আক্রান্ত স্থানে আস্তে আস্তে লাগান এবং কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার লাগাবেন?

আপনি দুই দিন পর পর একবার এটা ব্যবহার করতে পারেন।

এটি কিভাবে কাজ করে?

মধু একটি এ্যান্টিসেপ্টিক এবং পুড়ে যাওয়া স্থানকে শীতল করতে সাহায্য করে।

৪. ল্যাভেন্ডার তেল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • অ্যালোভেরা জেল
  • কয়েক ফোঁটা খাঁটি ল্যাভেন্ডার তেল

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা জেলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ঢালুন এবং হাতের তালুতে রেখে একসাথে ঘষে নিন।
  • পুড়ে যাওয়া ত্বকে আস্তে আস্তে লাগিয়ে নিন।

কতবার লাগাবেন?

২-৩ দিন পর পর একবার লাগাতে পারেন।

এটি কিভাবে কাজ করে?

ল্যাভেন্ডার তেল পুড়ে যাওয়া স্থানের জ্বালা-পোড়া করা বন্ধ করে এবং ত্বকে ফোসকা পড়া প্রতিরোধ করে।

৫. ভিটামিন-ই এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ভিটামিন-ই ক্যাপসুল
  • অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • ক্যাপসুল থেকে ভিটামিন-ই নির্যাস বের কর নিন এবং অ্যালোভেরা জেলের সাথে যোগ করুন।
  • এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান।

কতবার লাগাবেন?

আপনি এটা প্রতিদিন করতে পারেন – সকালে একবার এবং রাতে একবার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন-ই তে এ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা র‍্যাডিকেলের সাথে যুদ্ধ করে এবং র‍্যাশ ও জ্বালা-পোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৬. হলুদ এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১ চিমটি হলুদ
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • পেস্ট তৈরি হওয়া পর্যন্ত হলুদ এবং অ্যালোভেরা জেল মিশাতে থাকুন।
  • পুড়ে যাওয়া স্থানে পেস্টটি আস্তে আস্তে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এটি রেখে দিন এবং শুকিয়ে গেলে এটি নিজে নিজে ঝরে যাবে।

কতবার লাগাবেন?

পুড়ে যাওয়া স্থান ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপনি দিনে যতবার ইচ্ছা এটা লাগাতে পারবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

পেস্টটি চামড়া পু্নরায় জন্মাতে সাহায্য করে এবং ক্ষতস্থানকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ইহা পুড়ে যাওয়া স্থান শীতল রাখে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখে।

৭. গমের বীজের তেল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ৪-৫ ফোঁটা গমের বীজের তেল
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা গমের বীজের তেল যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • পুড়ে যাওয়া স্থানে আস্তে আস্তে পেস্টটি লাগান এবং মলমের মত এটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন।

কতবার লাগাবেন?

আপনি এই পেস্টটি প্রতিদিন লাগাতে পারবেন, সকালে একবার এবং রাতে একবার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

পেস্টটি পুড়ে যাওয়া স্থানের চারপাশ এবং এর পার্শ্ববর্তী ত্বকের চুলকানি হ্রাস করে। এটি ত্বককে জ্বালা-পোড়া থেকে রক্ষা করে এবং র‍্যাডিকাল থেকে মুক্ত করে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।

৮. বরফের টুকরো এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • এক বাটি অ্যালোভেরা জেল
  • ৪ টি গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি
  • বরফের টুকরো রাখার ট্রে

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা জেলের ভিতর গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি মিশিয়ে নিন এবং তৈরি করা সিরাপটি বরফের টুকরো রাখার ট্রে তে ঢেলে দিন। সিরাপটি ফ্রিজে বরফ হতে দিন।
  • কিছু বরফের টুকরা নিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড়ে এগুলো বাধুন।
  • বরফের টুকরাগুলো গলে যাওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত স্থানে কাপড়টা আস্তে আস্তে ঘষতে থাকুন। ত্বককে নিজে থেকে শুকাতে দিন।

কতবার লাগাবেন?

আপনি দিনে কয়েকবার এটি করতে পারবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই প্যাকটির ত্বকের উপর শীতল প্রভাব ফেলার ক্ষমতা আছে। ফুলগুলোতে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা পুড়ে যাওয়া নিরাময় করে এবং জ্বালা-পোড়া কমাতে সাহায্য করে।

৯. নারিকেল তেল এবং অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • ১/২ কাপ নারিকেল তেল
  • ১/২ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • পাত্রে রাখা অ্যালোভেরা জেলে নারিকেল তেল ঢালুন অনবরত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত ফোমের মত মিশ্রণ তৈরি হয়।
  • একটি বোতলে মিশ্রণটি ঢালুন এবং একটি ময়েশ্চারাইজারের মতই ত্বকের আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগান এবং রেখে দিন।

কতবার লাগাবেন?

আপনি ময়েশ্চারাইজার যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবেই এই প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই প্যাকটি এ্যান্টি-ফাংগাল এবং এই কারণে এটি ত্বকের পুড়ে যাওয়া এবং জ্বালা-পোড়া প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করতে পারে। এটি ত্বককে শীতল করে এবং একে হাইড্রেট এবং পুনরুজ্জীবিত করে।

পুড়ে যাওয়া ত্বক আপনার জীবন কেড়ে নিতে পারে। এর কারণে ব্যাথা, চুলকানি, জ্বালা-পোড়া এবং আরো কত কষ্টই না সহ্য করতে হয়। আপনি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এটি নিরাময় করার আগে একবার অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন – এটি প্রাকৃতিকভাবে পুড়ে যাওয়া নিরাময় করে এবং খুব অল্প সময়ে এদের অদৃশ্য করে দেয়।

Filed Under: SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)

মুলতানি মাটির ১১ টি সহজ ফেইস প্যাক [যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গোপন রহস্য]

by Mohona Leave a Comment

পারলারে গিয়ে ফেইস ক্লিনআপ অথবা ফেসিয়াল করার ব্যাপারে কি আপনি খুব বেশি বাজেট সচেতন? তাহলে আপনি মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন – আপনার ত্বকের সকল সমস্যা থেকে মুক্তির একটি প্রাকৃতিক সমাধান।

আপনি হয়তো এতক্ষনে বুঝে ফেলেছেন, আমরা সম্পূর্ণ লিখাটি উৎসর্গ করেছি আপনি মুলতানি মাটি কত রকমভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তার উপর।

মসৃণ ও কোমল ত্বক পাওয়া থেকে শুরু করে, মুখের কালো দাগ এবং ত্বকের অমসৃণতা দূর করা পর্যন্ত – মুলতানি মাটির কাছে সব সমস্যার সমাধান আছে। এটি একটি চমৎকার ত্বক পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত। মুলতানি মাটি সূর্যের তাপ এবং দূষিত বায়ূতে যাওয়ার ফলে ত্বকের ভিতরে যে দূষিত তেল, ধূলাবালি এবং ত্বকে সঞ্চিত মৃত কোষ আছে তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

এই চমৎকার উপকরণটির সম্পর্কে জানতে আরো পড়তে থাকুন এবং জানুন আপনার মুখের সমস্যাগুলো দূর করতে এই মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ফেইস প্যাক কিভাবে ঘরে বানাবেন।

মুলতানি মাটি কি?

মুলতানি মাটি আসলে কি? কেন এটি মুলতান শহরের নামে নামকরণ করা হয়েছে?

আঠারোশ শতাব্দীতে, মুলতান শহরের মাটির নিচ থেকে চুনযুক্ত কাদামাটির দলা বের করা হয়েছিল, এবং শহরের অধিবাসীরা এর আশ্চর্যজনক পরিষ্কারক বৈশিষ্ট্য দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছিল। এর জনপ্রিয়তা এত বেশি বেড়ে গিয়েছিল যে এটি দিয়ে পুরাতন স্মৃতিসৌধগুলিকে পরিষ্কার ও পুনঃনির্মাণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।

এবং এখন, কয়েক বছর পর, মুলতানি মাটি প্রত্যেক পরিবারের একটি অংশ হয়ে উঠেছে, এবং এই মাটি কয়েকটি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হত – ত্বককে ঠান্ডা করা থেকে শুরু করে ত্বক উজ্জ্বল করা পর্যন্ত। এই ঐতিহ্যবাহী উপাদান খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ, যেমন অ্যালুমিনিয়াম সিলিকেট, যা উচ্চ শোষন ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা ত্বককে সতেজ এবং উজ্জ্বল করে তুলে।

তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি অত্যন্ত উপকারী। এর ভিতরে থাকা চুন ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে এবং অতিরিক্ত তেল ও ধূলাবালি দূর করে, ত্বককে পরিষ্কার ও নরম করে তুলে। এটি ত্বকে ঠান্ডা অনুভুতি প্রদান করে এবং ব্রণের কারণে সৃষ্ট তীব্র প্রদাহ থেকে মুক্তি প্রদান করে। এই মাটি ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে। আপনার শুষ্ক ত্বকই হোক অথবা স্বাভাবিক ত্বকই হোক না কেন, মুলতানি মাটি আপনাকে কখনই হতাশ করবে না।

মুলতানি মাটি যখন বেশ কিছু উপাদানের সাথে ব্যবহার করা হয় তখন আরো উপকারী হয়ে উঠে। চলুন দেখে নেই কিভাবে!

মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

1. তৈলাক্ত ত্বক।

২. মসৃণ ত্বক।

৩. দাগহীন ত্বক।

৪. উজ্জ্বল ত্বক।

৫. ডার্ক প্যাচেস দূর করে।

৬. টান টান এবং তেলহীন ত্বক।

৭. ফর্সা করা।

৮. মসৃণ ত্বক।

৯. পিগমেন্টেড ত্বক।

১০. রোদে পোড়া।

১১. ব্রণ বা মেছতার দাগ।

১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জলের ফেইস প্যাক

আপনার তেল চিটচিটে ত্বক এবং ব্রণ প্রবণ ত্বক নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন?

মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জলের পেস্ট ফেইস প্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে এই প্যাক আপনাকে তৈলাক্ত এবং অনিয়ন্ত্রিত ত্বককে কিছু দিনের মধ্যে বিদায় বলতে সাহায্য করবে। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জলের মাস্ক আপনার ত্বকের pH স্তরের ভারসাম্য রক্ষা করে, প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ঠান্ডা করে এবং তৈলাক্ততা হ্রাস করে। এটি বাহিরের ত্বকের মৃত চামড়া দূর করে আপনাকে তেলবিহীন এবং উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করে।

উপকরণ

  • ছোট কাপের ১ কাপ মুলতানি মাটি
  • ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই ঘরোয়া সুন্দর সুবাসযুক্ত প্যাকটি আপনার মুখে সমানভাবে লাগান এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন।
  • পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক মসৃণ এবং তেলহীন হবে।

ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার ব্যবহার করুন।

২. মসৃণ ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি, বাদাম এবং দুধের ফেইস প্যাক

আপনি কি এমন একটি ত্বক চান যা একটি শিশুর ত্বকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে?

মুলতানি মাটি যখন বাদাম এবং দুধের সাথে মিশানো হয়, আপনার ত্বক আরো মসৃণ ও কোমল করে তুলে। তবে, আমাদের অনেকে কাছে এটা আশীর্বাদ স্বরূপ, বিশেষ করে যারা শুষ্ক ত্বকের অধিকারী এবং ত্বকে সামান্য ময়েশ্চার পাওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন থাকে।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ ভেঙ্গে গুড়ো করা বাদাম
  • ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ
  • ছোট কাপের ১ কাপ মুলতানি মাটি

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি, বাদামের পেস্ট এবং দুধ দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং ১ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • পরিস্কার ও শুকনো মুখে লাগান। শুকিয়ে যাবার পর স্পঞ্জের সাহায্যে প্যাকটি তুলে ফেলুন।

মসৃণ ও নমনীয় ত্বকের জন্য সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করুন।

৩. দাগহীন ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং টমেটোর রসের ফেইস প্যাক

আপনি কি আপনার মুখের কালো এবং কুৎসিত দাগ গুলো থেকে মুক্তি পেতে চান?

আমরা সবাই জানি টমেটোর রস একটি খুব ভালো ত্বক পরিস্কারক, কিন্তু আপনি কি জানেন মুলতানি মাটির সাথে টমেটো ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল এবং দাগহীন করে তুলবে? মুলতানি মাটি, টমেটোর রস এবং চন্দন কাঠের গুড়োর পেস্ট আপনার মুখের দাগ কমাতে সাহায্য করবে এবং এই পেস্টের সাথে সামান্য হলুদ গুড়ো মিশালে এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় দীপ্তি দিবে।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ টমেটো রস
  • ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ চা চামচ চন্দন কাঠের গুড়ো
  • ১ চা চামচ হলুদ গুড়ো

কিভাবে বানাবেন

  • সব উপকরন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ১০ মিনিট আগে এটি মুখে লাগান।

দীপ্তিময় ত্বক পাওয়ার জন্য মুলতানি মাটির এই ফেইস প্যাকটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

সতর্কতাঃ টমেটোর রস সবার ত্বকে মানানসই নাও হতে পারে, তাই এটি ফেইস প্যাকে ব্যবহার করার আগে আপনার হাতের কব্জির নিচের দিকে সামান্য একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।

৪. উজ্জ্বল ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং মধু ফেইস প্যাক

আপনি কি আপনার শুষ্ক এবং প্রাণহীন ত্বক নিয়ে ক্লান্ত?

প্রখর এবং ভয়ংকর সূর্যের তাপে বাহিরে যাওয়া আমাদের অনেকের জন্য কষ্টকর হতে পারে, বিশেষ করে তখন যখন এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা শুষে নেয়। এসপিএফ (SPF) ক্রিম ব্যবহার এবং মুখ ঢেকে চলা এ সময়ে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সহজে কাজে আসতে পারে। আপনি যদি আপনার হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে চান তাহলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।

ঊপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ চা চামচ টমেটোর রস
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১/২ চা চামচ কাঁচা দুধ

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি, টমেটোর রস, মধু, লেবুর রস এবং সামান্য দুধ একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

উজ্জ্বল ত্বক পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন।

৫. ডার্ক প্যাচেস থেকে মুক্তি পেতে

মুলতানি মাটি এবং পুদিনা পাতার ফেইস প্যাক

ডার্ক প্যাচেস সত্যিই খুব বিব্রতকর হতে পারে, বিশেষ করে তখনই যখন এগুলো ত্বকের দৃশ্যমান জায়গাতে হয়। এরা আমাদেরকে বাজারের পণ্যগুলোর উপর নির্ভরশীল করে ফেলে যেগুলো আমাদের সর্বোত্তম ফলাফল প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে কিন্তু আসলে এগুলো কোন কাজেই আসে না। মুলতানি মাটি, পুদিনা পাতা এবং দইয়ের ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন এবং দেখবেন ১ মাসের মধ্যে ডার্ক প্যাচেস গুলো গায়েব হয়ে গিয়েছে।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ পুদিনা পাতার পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ দই

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি, পুদিনা পাতার পাউডার এবং দই একসাথে মিশান।
  • আক্রান্ত স্থানে পেস্টটা লাগান এবং ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • ডার্ক প্যাচেস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৬. টান টান এবং তেলহীন ত্বক পাওয়ার জন্য

মুলতানি মাটি এবং চন্দন কাঠের গুড়োর ফেইস প্যাক

একজন রানওয়ের মডেলের মত টান টান এবং তেলহীন ত্বক পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন?

আপনি কি জানেন প্রাকৃতিকভাবে টান টান এবং সুন্দর মুখ পাওয়া খুব সহজ একটি ব্যাপার হতে পারে? চন্দন গুড়ো, মুলতানি মাটি এবং কাঁচা দুধ দিয়ে তৈরি ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন এবং একজন মডেলের মত হওয়ার অনুভূতি উপভোগ করুন।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ চন্দন গুড়ো
  • ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ

প্রক্রিয়া

  • চন্দন গুড়ো এবং মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশিয়ে নিন।
  • আপনার পুরো মুখে ২০ মিনিটেরো বেশি সময় ধরে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার এই প্যাকটি লাগান।

৭. ফর্সা ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং পেঁপের ফেইস প্যাক

আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য এবং ত্বক সুস্থ রাখার জন্য প্রাচীন যুগ থেকেই পেঁপের ব্যবহার করা হচ্ছে। মধু এবং মুলতানি মাটির সাথে পেঁপে ব্যবহার করলে আপনি আরো ভালো ফলাফল পাবেন।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি, মধু এবং পেঁপের পেস্ট প্রতিটি ১ টেবিল চামচ করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • পরিষ্কার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর ধুয়ে ফেলুন।

নিখুঁত ত্বক পেতে সপ্তাহে ২ অথবা ৩ বার ব্যবহার করুন।

৮. মসৃণ ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং ডিমের সাদা অংশের ফেইস প্যাক

অমসৃণ ত্বক নিয়ে ক্লান্ত?

অমসৃণ ত্বক হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে সূর্যের আলোতে থাকা থেকে শুরু করে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও হতে পারে। বর্তমানে মসৃণ ত্বক পাওয়া কোন ব্যয়বহুল কাজ নয়। শুধুমাত্র মুলতানি মাটি এবং ডিমের সাদা অংশের প্যাক লাগান এবং কয়েক দিনের মধ্যে ত্বকে পার্থক্য লক্ষ্য করুন।

উপকরণ

  • ১/৪ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ দই
  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ (ভালোভাবে মিশানো)

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি, দই এবং ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই পেস্টটি আপনার মুখে লাগান। ২০ মিনিট এটি আপনার মুখে রাখুন এবং গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাকটি আপনার ত্বককে মসৃণ করে এবং ত্বককে আরো নিঁখুত করে তুলে।

৯. পিগমেন্টেড ত্বকের জন্য

মুলতানি মাটি এবং গাজরের ফেইস প্যাক

ত্বকে সামান্য ফ্রেকলেস ভালো লাগে, কিন্তু অতি মাত্রায় ফ্রেকলেস ভালো লাগে না। ফ্রেকলেস হলো ত্বকের উপর হালকা বাদামী রঙের আভা থাকা, যা সূর্যের তাপে আরো বেড়ে যায়। তখন ত্বকে এই ফ্রেকলেস দেখতে খুব খারাপ দেখায়।

পিগমেন্টেড এবং কুৎসিত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র মুলতানি মাটি এবং গাজরের প্যাক ব্যবহার করুন এবং নিজের চোখে তফাৎ লক্ষ্য করুন।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ গাজরের পেস্ট
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়া

  • মুলতানি মাটির সাথে গাজরের পেস্ট এবং অলিভ অয়েল মিশান।
  • আপনার মুখে মিশানো প্যাকটি লাগান এবং কিছু সময়ের জন্য এটা মুখে রেখে দিন।
  • এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভালো ফলাফলের জন্য এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করুন।

১০. রোদে পোড়া ভাব দূর করতে

মুলতানি মাটি এবং নারিকেল পানির ফেইস প্যাক

রোদে পুড়ে যাওয়া মুখ থেকে রেহাই পাবার উপায় খুজছেন?

ট্যানিং সারা বিশ্বের একটি ফ্যাশন হিসেবে মনে করা যেতে পারে, কিন্তু কখনও কখনও এটি সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। যাইহোক, আপনি মুলতানি মাটি এবং নারিকেল পানির মিলিত শক্তির কারণে এই ট্যান থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মুলতানি মাটি এবং নারিকেল উভয়ই তাদের শীতলকারী প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। তাই, এই প্যাকটি আপনার মুখের রোদে পুড়া ভাব দূর করে এবং আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে।

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল পানি
  • ১ চা চামচ চিনি

কিভাবে বানাবেন

  • মুলতানি মাটি সাথে নারিকেল পানি মিশান এবং সামান্য চিনি মিশিয়ে নিন।
  • আক্রান্ত জায়গা গুলোতে লাগান এবং গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার লাগান।

১১. ব্রণের দাগের জন্য

মুলতানি মাটি এবং লেবুর রসের ফেইস প্যাক

অবাধ্য ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে চান? মুলতানি মাটিই আপনাকে মুক্তি দিবে।

আপনার ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত তেল নিঃসরণের ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্রণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আপনি এই বিশেষ ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করে ব্রণকে চিরবিদায় জানাতে পারেন।

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল

কিভাবে বানাবেন

  • সব উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • পানি দিয়ে আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর এই ফেইস প্যাকটি আপনার মুখে লাগান। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এটি শুকাতে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে এটি ধুয়ে ফেলুন।

প্রতিদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বকে তেলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করবে এবং ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করবে।

বিঃদ্রঃ আরো ভালো ফলাফলের জন্য আপনি নিম পাতার পাউডার এবং লবঙ্গের পাউডার এই পেস্টের সাথে মিশাতে পারেন।

কিভাবে সঠিকভাবে মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক বানাবেন

ফেইস প্যাক বানানো সহজ কাজ এবং এটার জন্য খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। এটা অনেকটা জুস তৈরি করার মতই – শুধু আপনাকে আপনার উপকরণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং এটি তৈরি। সবচেয়ে সেরা অংশটি হলো আপনি আপনার ঘরে বসেই অনায়াসে এটি বানাতে পারবেন।

সঠিকভাবে মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক বানানোর জন্য একটি প্লাস্টিকের বাটি নিন এবং তাতে মুলতানি মাটি ঢালুন। এখন, এতে বিভিন্ন উপকরণ ঢালুন (যেমন দুধ, মধু বা গোলাপ জল) এবং একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন যাতে কোন বুদবুদ না থাকে।

আপনার পেস্টটি যাতে খুব বেশি ঘন বা খুব বেশি পাতলা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনি এতে বার বার আপনার আঙ্গুল ডুবিয়ে এর ঘনত্ব পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যদি প্যাকটি খুব বেশি দানাদার এবং আঠালো হয় তাহলে আপনাকে এতে আরো মুলতানি মাটি যোগ করতে হবে। আর যদি এটা খুব রুক্ষ মনে হয়, তাহলে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল এতে মিশিয়ে নিন।

মনে রাখবেন, মুলতানি মাটি মুখে লাগানোর পরপরই আপনার বাটিটা ধুয়ে ফেলবেন। কারন, মুলতানি মাটি খুব তাড়াতাড়ি শক্ত হয়ে যায়, যা পরে ধুতে গেলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক ব্যবহারের উপকারিতা

মুলতানি মাটি খুবই জনপ্রিয় একটি ফেইস প্যাক। যা কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে, যেগুলো অন্য কোন মার্কেট প্রোডাক্টে পাওয়া যায় না। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এবং এটি খুবই সস্তা, তাই আপনাকে আপনার বাজেট নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।

চলুন মুলতানি মাটি ব্যবহারের উপকারিতাগুলো দেখে নেইঃ

  • এই উপাদানের বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলো খুলে দিতে সাহায্য করে এবং আপনার ত্বক পরিষ্কার করে।
  • মুলতানি মাটি মৃত কোষগুলো অপসারণ করে এবং আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে।
  • জানা গেছে, মুলতানি মাটি সবসময় ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের গঠনকে অনেকগুলো ভাগে উন্নতি করে।
  • ফেইস প্যাকটি আপনার মুখে সমানভাবে ম্যাসাজ করলে আপনার মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে যা আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং ত্বককে দীপ্তিময় করে তুলবে।
  • এর প্রাকৃতিক শোষন ক্ষমতার জন্য মুলতানি মাটি তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী মানুষের কাছে এক রকম আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল বের করে ফেলে এবং আপনার ত্বককে মসৃণ করে তুলে।
  • এটি ব্রণ কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মুলতানি মাটি সকল ধরণের ত্বকের জন্যই আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই প্রতিদিন মুলতানি মাটি ব্যবহার করে আপনার ত্বককে আরো উজ্জ্বল, কোমল ও প্রাণবন্ত করে তুলুন। আর তার জন্য উপরে উল্লেখিত ফেইস প্যাকগুলো আপনার অনেক কাজে আসবে।

Filed Under: Beauty Secrets

খুব সহজে কারি পাতা ব্যবহার করে চুলের বৃদ্ধির এবং চুল পড়া রোধে করুন ঘরে বসে! (আলটিমেট গাইড)

by Mohona Leave a Comment

কারি পাতা

বেশিরভাগ সময়, চুল ঝরে পড়ার কারন চুলের গ্রন্থিকোষের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়। মাথার তৈলাক্ত ত্বক, ধূলাবালি এবং বিভিন্ন রকম হেয়ার প্রোডাক্ট মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুলের গ্রন্থিকোষ গুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর এই বন্ধ গ্রন্থিকোষ গুলো মাথার ত্বকে জালা-পোড়া, চুলকানি, খুশকি এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করে।

কারি পাতা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারনে কার্যকরভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেঃ

  • কারি পাতাতে প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে চুলের মৃত কোষগ্রন্থি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে।
  • এরা প্রোটিন এবং বিটা-ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস, এর দুটিই চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া প্রতিরোধ করে।
  • এই পাতা গুলোতে প্রচুর এ্যামিনো এসিডও রয়েছে যা কোষগ্রন্থি গুলোকে মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর হতে সাহায্য করে।

কারি পাতা ব্যবহার করার বিভিন্ন উপায়

কারি পাতা আপনি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ

  • হেয়ার টনিক হিসেবে।
  • হেয়ার মাস্ক হিসেবে।
  • আপনার খাদ্যে যোগ করে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য কারি পাতার ব্যবহার

সতর্কতা: কারি পাতার পেস্ট ব্যবহারে আপনার ত্বকে এলার্জি হতে পারে। তাই মাথার তালুতে দেওয়ার আগে সামান্য একটু ত্বকে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। কারি পাতার বীজ থাকে, কিন্তু সেগুলো খাবেন না কারন এগুলো বিষাক্ত।

১. হেয়ার টনিক হিসেবে

চুলের বৃদ্ধির জন্য কারি পাতার ব্যবহার

আপনার যা যা প্রয়োজন

  • এক মুঠো সতেজ কারি পাতা
  • ২-৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

আপনার যা করতে হবে

  • একটি প্যানে নারকেল তেল ঢালুন এবং কারি পাতা গুলো এর মধ্যে ঢেলে দিন।
  • পাতার চারপাশ কালো না হওয়া পর্যন্ত নাঢ়তে থাকুন। প্যান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন কারন যখন আপনি কারি পাতা ভাজবেন তখন প্যান থেকে তেল ফুটে এর ছিটা গায়ে আসার সম্ভবনা থাকে।
  • চুলার আঁচ বন্ধ করুন এবং মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন।
  • টনিকটি ঠান্ডা হয়ে গেলে তেল গুলো ছেঁকে নিন। আপনি এখন আপনার চুলে মিশ্রণটি লাগাতে পারবেন।
  • তেল আঙ্গুলের অগ্রভাগে লাগিয়ে আপনার মাথার ত্বকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। আপনার চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগাবেন।
  • ম্যাসাজের পর ১ ঘন্টা তেলটি মাথায় রাখুন এবং এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এটা কেন কাজ করে

নারিকেল তেল তীক্ষ্ন গুণ সম্পন্ন চুলের তেল হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত এবং এই তেল আপনার চুল পরিপুষ্ট এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। আর যখন এই তেল কারি পাতার সকল পুষ্টিগুণ এবং এর ভিটামিন বি-৬ এর সাথে মিশে যায়, তখন এটি একটি মিশ্রণে পরিণত হয়ে চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং চুলের ঝড়ে পরা প্রতিরোধ করে।

সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করা উচিত

এক মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে সপ্তাহে ২-৩ বার আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং প্রতিবার লাগানোর পর চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন মাথার তালুতে তেল লাগালে এবং ম্যাসাজ করলে এটি আপনার চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

২. চুলের মাস্ক হিসেবে

চুলের মাস্ক

আপনার যা যা প্রয়োজন

  • এক মুঠো কারি পাতা
  • ৩-৪ টেবিল চামচ দই

আপনাকে যা করতে হবে

  • কারি পাতাগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • ৩-৪ টেবিল চামচ দইয়ের সাথে ১ টেবিল চামচ কারি পেস্ট যোগ করুন। (দই এবং কারি পাতার পেস্টের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার চুল কতটুকু লম্বা তার উপর)
  • এই দুইটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই হেয়ার মাস্কটি দিয়ে আপনার মাথার তালু এবং চুল ম্যাসাজ করুন। এই পেস্টটি দিয়ে আপনার চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত ঢেকে দিন।
  • ৩০ মিনিট মাথায় রেখে দিন এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনি চাইলে দইয়ের বিকল্প হিসেবে ২ টেবিল চামচ দুধ মিশাতে পারেন।

এটা কেন কাজ করে

দই মাথার ত্বকে একটি খুব ভালো হাইড্রেটিং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি মৃত কোষ ও খুশকি দূর করে এবং আপনার মাথার ত্বক এবং চুল অনেক নরম এবং সতেজ করে। এতে অপরিহার্য পুষ্টিগুণ রয়েছে যা কোষল্গ্রন্থির উন্নয়ন করে মাথার তালুকে দূষনমুক্ত করতে সাহায্য করে। দই মিশানোর ফলে এই মিশ্রণটি অকালে পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করা উচিত

আপনার মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে সপ্তাহে ওকবার এই মাস্কটি ব্যবহার করুন এবং আপনার চুল কোমল এবং উজ্জ্বল করে তুলুন।

৩. আপনার খদ্যে যোগ করুন

চুলে কারি পাতা ব্যবহারের উপকারিতা

চুলের যত্নের মানে হলো আপনি আপনার শরীর যে খাদ্য গ্রহণ করবে তাই আপনার চুলও গ্রহণ করবে। চুল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করতে এবং চুলের বৃদ্ধি জন্য একটি আদর্শ উপায় হলো আপনার খাদ্যে কারি পাতা যোগ করুন। আপনি কারি পাতার পাউডার বানিয়ে ভাত অথবা তরকারির সাথে খুব সহজেই মিশিয়ে খেতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি কুচি কুচি করা পুদিনা পাতা এবং কারী পাতার মিশ্রণের সাথে দুধ অথবা বাটারমিল্ক মিশিয়ে খেতে পারেন।

কারিপাতা একটি সুন্দর গন্ধ আছে যা খিদে বাড়ানোর উপাদান বা এপেটাইজার (appetizer) হিসেবে কাজ করে। কিছু কারিপাতা ভেজে নিয়ে তার মধ্যে সেদ্ধ করা সবজি মিশিয়ে নিলে আপনার রোজকার একঘেয়ে খাবারে একটি সুন্দর গন্ধ যোগ হয় এবং একইসাথে এটি আপনার চুলের উপকারেও আসে।

চুলে কারি পাতা ব্যবহারের উপকারিতা

  • কারি পাতা মৃত কোষ, ধূলাবালি এবং চিটচিটে ভাব দূর করে চুলের কোষগ্রন্থির উন্নতি করে। এদের মধ্যে প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে যা চুলের গোঁড়া শক্ত করে এবং চুল পরা প্রতিরোধ করে।
  • বিভিন্ন রকম হেয়ার প্রোডাক্টের ব্যবহারও মাথার ত্বকের জ্বালা-পোড়ার অনেক বড় বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি। আপনার হেয়ার প্রোডাক্ট গুলো আপনার মাথার বহিঃত্বকের ঠিক নিচে জমা হতে পারে, যা আপনার চুলকে অনুজ্জ্বল এবং নিস্তেজ করে দেয়। এই সব প্রোডাক্টের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আপনার চুলকে রুক্ষ করে দেয় যার ফলে আপনার চুলে জট বাঁধে এবং চুল ভেঙ্গে যায়। কারি পাতা চুলের বহিঃত্বকের ভিতর প্রোডাক্টের জমে থাকা প্রতিরোধ করে আপনার মাথার ত্বক এবং চুল সতেজ ও স্বাস্থ্যকর করে তুলে।
  • কারি পাতা ভিটামিন-বি এর খুব ভাল একটি উৎস, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি অপরিহার্য ভিটামিন। ভিটামিন-বি এর অভাবে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কারি পাতা নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে এবং আপনার চুল স্বাস্থ্যকর ও মজবুত করে তুলে।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার চুলও প্রাণহীন এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া শুরু করে। একবার যদি আপনার মাথার কোষগ্রন্থির রঞ্জক পদার্থ নিঃশেষ হয়ে যায়, আপনার চুল সাদা হয়ে যাওয়া শুরু করে। কখনও কখনও তরুণদের চুলও পেঁকে যেতে পারে এবং তাদের চুল পাকার কারন গুলো হলো মাত্রারিক্ত চাপ নেওয়া, ধূমপান করা, বংশগত কারণ অথবা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা ইত্যাদি। কারি পাতাতে উপস্থিত ভিটামিন-বি চুলের অকালে পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং যার ফলে আপনার চুল নিজের রঙ ধরে রাখতে পারে এবং চুল দীর্ঘকাল উজ্জ্বল থাকে।
  • কারি পাতাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে ক্ষতিকারক র‍্যাডিকালের সাথে যুদ্ধ করে।
  • কারি পাতা আপনার চুলের স্থিতিস্থাপকতা এবং বৃদ্ধি শক্তির উন্নতি করে। যখন ক্ষতিগ্রস্থ চুল যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি এবং ময়েশ্চার পায়, তখন চুল তার পূর্ববর্তী শক্তি এবং দীপ্তি পুনরায় ফিরে পেতে শুরু করে। নারিকেল তেলের সাথে মিশ্রিত কারি পাতা, আপনার চুলকে সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন এবং পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করে।
  • কারি পাতাতে উপস্থিত ভিটামিন-বি৬ হরমোনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে যা আপনার চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুলের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

চুল ঝরে পড়ার সাথে যুদ্ধ করা কঠিন কাজ মনে হতে পারে, অনেক সময় অসম্ভবও মনে হতে পারে। কিন্তু, আপনাকে যা করতে হবে তা হলো সঠিক সমাধান বের করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিদিন রুটিন করে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন কারি পাতা দিয়ে আপনার চুলের যত্ন নিতে হবে যা আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া মহিমা এবং উজ্জলতা পূনরুদ্ধার করবে।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া), Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)

প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়ানোর ১০ টি বিস্ময়কর উপায়

by Mohona Leave a Comment

বর্তমানে সবাই যখন ওজন কমানোর পিছনে ছুটছে তার মাঝে অনেকেই আছে যার ওজন বাড়াতে আগ্রহী। কিন্তু অনেক সময় অনেকের কাছে প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়ানো অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

আপনার হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা নেই তারপরেও ওজন বাড়াতে পারছেন না। কিংবা ওজন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখার আশা করছেন।

তাই, আমরা আপনার কাছে প্রাকৃতিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করার সবচেয়ে উপযুক্ত ১০ টি পদ্ধতি তুলে ধরবো এবং পদ্ধতি গুলো অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। আশাকরি এই পদ্ধিতি গুলো অনুসরন করার মাধ্যমে আপনি কিছু কেজি ওজন বাড়াতে পারবেন!

১. লাল মাংস (Red Meat)

গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া প্রভৃতি পশুর মাংসকে রেড মিট বা লাল মাংস বলে। লাল মাংসে প্রচুর পরিমান কলেস্টেরল, প্রোটিন, ভিটামিন বি, জিংক এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীর গঠনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত লাল মাংস খেতে পারেন। মনে রাখবেন ভালো করে রান্না করে খাবেন। প্রক্রিয়াজাত বা বাসি খাবেন না।

মাংসের সবচেয়ে ভাল অংশ গুলো, যেমন পাঁজরের টুকরো (rib), টি-বোন (t-bon), স্ট্রিপ (strip) এবং হাঁড় ছাড়া মাংস, এগুলো চর্বির সবচেয়ে ভালো উৎস।

কিন্তু মনে রাখবেন উচ্চ মাত্রার চর্বিযুক্ত মাংস আপনার খাদ্যতালিকাতে রাখবেন না কারন এটি কোনভাবেই ওজন লাভ করার স্বাস্থ্যকর উপায় নয়।

২. পিনাট বাটার (Peanut Butter)

স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা খেতে চাইলে অবশ্যই পিনাট বাটারকেও আপনার সকালের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পিনাট বাটার তৈরী করা হয় বাদাম থেকে। বাদামে প্রোটিন এবং ফ্যাটে পরিপূর্ণ।

যারা প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। মাত্র ১ টেবিল চামচ পিনাট বাটারে প্রায় ১০০ ক্যালোরি থাকে। পিনাট বাটারে ভিটামিন যেমন ম্যাগ্নেসিয়াম, ফলিক এ্যাসিড, ভিটামিন “বি” এবং ভিটামিন “ই” রয়েছে।

পিনাট বাটার সাধারণত আমরা পাউরুটি দিয়ে খাই তাই খাওয়ার সময় পাউরুটিতে পিনাট বাটারের অনেক পুরু প্রলেপ লাগান এবং আপনার দেহে ক্যালোরি বৃদ্ধি করুন।

৩. ফ্যাটযুক্ত দুধ (Full Cream Milk)

ওজন বাড়ানোর একটি সহজ সমাধান হলো আপনি পাস্তুরিত দুধের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ গ্রহন করুন। প্রতি গ্লাস ফ্যাটযুক্ত দুধ আপনাকে পাস্তুরিত দুধের চেয়ে ৬০ ভাগ বেশি ক্যালোরি প্রদান করবে। দুধে প্রচুর ভিটামিন এবং পুষ্টি রয়েছে।

এছাড়াও এটি একটি ভিটামিন “ডি” এবং “এ” সমৃদ্ধ উৎস। ওটমিল এবং সিরিয়ালের সাথে আপনি এই দুধ খেতে পারেন। আপনি এটি যেভাবেই গ্রহন করুন না কেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যকে অনেক সুন্দর করবেই।

৪. ফল (Fruits)

সাধারনত, গ্রীষ্মকালীন ফল আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আম, কলা, পেঁপে এবং আনারসে ভালো প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যেটি ওজন বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত এই ফল গুলো আপনার পেট পরিপূর্ণ করবে এবং আপনাকে তাত্ক্ষণিক শক্তি প্রদান করবে।

আপনি এই ফল গুলো দিয়ে খুব সহজ মিষ্টি জাতীয় খাবার বানাতে পারবেন এবং যার ফলে আপনি কৃত্রিম চিনি বাদ দিতে পারবেন। যদি আপনার কাছে ফল বিরক্তিকর মনে হয়, তাহলে আপনার পছন্দের ফল বা কয়েকটি ফল একসাথে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করুন।

৫. আভাকাডো (Avocado)

আপনার খাদ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আভাকাডো চমৎকার একটি উপায়। আভাকাডোর ১০০ গ্রামে প্রায় ১৬০ ক্যালোরি থাকে।

এছাড়াও এই আভাকাডো ভিটামিন এবং মিনারেলের খুব ভালো উৎস, যেমন এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন “ই”, ফলিক এসিড এবং পটাশিয়াম। তাই, আভাকাডোকে সবসময় সালাদ হিসেবে খেতে ভুলবেন না। এমনকি আপনি আপনার টোস্টের উপরেও আভাকাডো ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন।

৬. গমের পাউরুটি (Wheat bread)

গমের পাউরুটিতে প্রচু পুষ্টি এবং ক্যালোরি রয়েছে তাই সকালের নাস্তাতে শুধুমাত্র এই পাউরুটি খাওয়াও যথেষ্ট। এছাড়াও এই পাউরুটিতে ফাইবার এবং মিনারেল রয়েছে যা সাধারণ সাদা পাউরুটিতে পাওয়া যায় না। তাই সকালের নাস্তায় এই গমের পাউরুটি খেলে এটি আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করবে।

৭. মাখন অথবা ঘি (Butter or Ghee)

মাখনে উচ্চ মাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে। যদি প্রতিদিন দুধ খেতে খেতে আপনি বিরক্ত হয়ে যান, তাহলে পাউরুটিতে মাখন লাগিয়ে মৃদু আঁচে ভালোভাবে ভেজে নিন। এটি সকালের নাস্তা হিসেবে খুব ভালো এবং সারাদিনে আপনার যতটুকু পুষ্টি প্রয়োজন তার সবটূকুই এর থেকে পাবেন। মনে রাখবেন, মাখনে অনেক বেশি ফ্যাট রয়েছে, তাই নিয়ন্ত্রনে রেখেই মাখন খান এবং উপভোগ করুন।

আপনি যদি মাখন পছন্দ না করেন, তাহলে আপনি বিকল্প হিসেবে ঘি খেতে পারেন। মাখনের পরিশোধিত রূপ হলো ঘি। আপনি রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন কারন এর একটি ভালো স্বাদ আছে যা খাবারকে আরো সুস্বাদু করে তুলে। মাখন অথবা ঘি তে ডিম হালকা ভাবে ভেজে নিয়ে ডিমকে আরো সুস্বাদু করতে পারেন, এটি আপনাকে স্বাস্থ্যকর নাস্তা গ্রহণের পাশাপাশি আপনার ক্যালোরিও বৃদ্ধি করবে।

৮. বাদাম (Nuts)

যখন ওজন বৃদ্ধির কথা আসে তখন বাদাম একটি দুর্দান্ত খাবার। এরা ফ্যাট এবং পুষ্টির জন্য খুব ভালো উৎস। এছাড়াও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের বাদামের মিশ্রণ একসাথে খেলে এটা আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ পূর্ণ রাখবে।

বর্তমানে নানা ধরনের বাদামের মিক্সড পাওয়া যাই আপনি চাইলে এই মিক্সড বাদাম ও খেতে পারেন। এগুলোকে আপনি ব্যাগে করে আপনার কর্মস্থলে অথবা কলেজে খুব সহজেই নিয়ে যেতে পারেন।

৯. পনির (Cheese)

পনির আমার খুব পছন্দ এবং আমি নিশ্চিত আপনিও পনির খুব ভালোবাসেন। এর সবচেয়ে সেরা বিষয়টি হলো আপনি আপনার প্রায় সকল পছন্দের রান্নায় এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আবার, আপনি যদি দুধ পান করা থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন, তাহলে পনির খুব ভালো একটি বিকল্প কারণ এতে দুধের সকল পুষ্টিগুণ আছে। সাধারণত, বেশিরভাগ পনিরে প্রচুর ফ্যাট থাকে, তাই একজন ব্যক্তি পনির খেলে এটা প্রাকৃতিকভাবে তার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

১০. আলু (Potatoes)

সবাই আলু খেতে ভালোবাসে। দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার খাদ্যে এই উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সবজিটি যোগ করতে পারেন। আলুতে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন “সি” রয়েছে। আমরা প্রায়ই আলু ছিলকা ছাড়াই খাই, কিন্তু মনে রাখবেন আলুর ছিলকাতেই সবচেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। তাই আপনি আলুর ছিলকা তুলে ফেলার মানে হলো আপনি আলুর প্রধান ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ অংশ তুলে ফেলছেন।

এগুলো হলো ওজন কমানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার। আপনি ওজন বাড়াতে বা কমাতে যেটাই করতে চান না কেন, এর জন্য আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন না। যদি কোন খাবারে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি থাকেও তার মানে এই না যে আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য এটি খেতে পারবেন।

আমাদের শরীরের বেশিরভাগ পানি তাই সারা দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি খান। তবে, খেতে বসার ঠিক আগে পানি খাবেন না বা খাওয়ার মাঝখানেও পানি খাবেন না। এতে ক্ষিদা নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যত হালকা-পাতলাই হন না কেন ব্যায়ামে আপনিও দারুণ উপকৃত হবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। ফলে আপনার যদি ক্ষুধা মন্দা থাকে তা কাটিয়ে উঠে আপনি খেতে পারবেন।

ট্রান্স ফ্যাট, যেটি প্রধানত প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারে পাওয়া যায়, এই ধরণের খাবার সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো আসলে ভুল খাবার যেগুলো আপনাকে হৃদরোগের দিকে পরিচালিত করবে।

এটা সত্য যে চিনি জাতীয় পানীয় যেমন সোডা এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে, কিন্তু এগুলো কোন স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করাই হলো ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে উত্তম উপায়।

সবশেষ একটা কথা আপনার যদি কোনো বদ অভ্যাস থাকে তা পরিহার করুন এবং রাতে ঠিকঠাক ঘুমিয়ে পড়া আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মতো অভ্যাসের গড়ে তুলুন।

Filed Under: Weight Gain

ওজন বাড়ানোর জন্য ৫টি সেরা প্রোটিন শেইক

by Mohona 1 Comment

বর্তমানে প্রায় সবাই ওজন হ্রাস করতে চাই , তবে অনেকেই অনেকে আছেন যারা ওজন বাড়িয়ে নিতে চান।

যদিও পেশী অর্জনের জন্য সুষম খাদ্য এবং সঠিক ব্যায়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তবে ফুড সুপ্প্লিমেন্ট গুলি ক্যালরি এবং প্রোটিন সরবরাহ করে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

প্রোটিন শেইক সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুড সুপ্প্লিমেন্ট যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

কিন্তু, আমরা শুধু জানিনা না যে ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উত্তম প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট কোনটি! এছাড়াও, এই প্রোটিন শেইক গুলো কীভাবে আপনার শরীরকে প্রভাবিত করে এবং ওজন বাড়াতে এরা আসলে কিভাবে সাহায্য করে? এবং আপনি কিভাবে এই সকল সাপ্লিমেন্ট থেকে প্রোটিন শেইক তৈরি করবেন?

আপনি এই পোস্টটিতে এই সব প্রশ্নের সকল উত্তর পেয়ে যাবেন! সুতরাং, পড়তে থাকুন!

১. হোয়ে প্রোটিন পাউডার শেইক (Whey Protein Powder Shake)

হোয়ে প্রোটিন (Whey Protein) পেশী বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। সাধারণত, প্রোটিন পাউডার চর্বি হিসেবে আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে না। আমাদের দেহে যা বৃদ্ধি পায় তা হলো পেশী, এবং এই পেশী বর্ধনের জন্য হোয়ে প্রোটিন সবচেয়ে উত্তম একটি সাপ্লিমেন্ট। এই প্রোটিন অনেক কোম্পানি দ্বারা প্যাকেটজাত হয়, এবং ভ্যানিলা, চকলেট, স্ট্রবেরি, এবং আনারস এই কয়েকটি স্বাদে বাজারে পাওয়া যায়।

খাওয়ার পর পরই হোয়ে (Whey) খুব দ্রুত হজম হয় এবং আপনার পেশীতে দ্রুত পৌঁছে যায়। এই প্রোটিনে ছোট ছোট পেপ্টাইডস আছে, যা পেশীতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে। হোয়ে (Whey) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ২ চা চামচ হোয়ে প্রোটিন পাউডার মিশান এবং এরপর আপনার হোয়ে প্রোটিন শেইকটি উপভোগ করুন। ব্যায়াম করার পর পরই এই প্রোটিন শেইক খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

২. ক্যাসিন প্রোটিন পাউডার শেইক (Casein Protein Powder Shake)

ক্যাসিন হলো আরেকটি দুধ ভিত্তিক প্রোটিন। হোয়ে এর মতই এটিও ব্যায়ামের পর পরই খেলে আপনার পেশীতে প্রোটিন উত্পাদন হার বাড়াতে পারে। এতে এ্যামিনো এসিডের খুব পুষ্টিকর ভারসাম্য বজায় আছে। যদিও এটি খুব ধীরে হজম হয়, ক্যাসিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাওয়ার জন্য একটি আদর্শ খাবার কারন ঘুমন্ত অবস্থায় এটি আপনার শরীরে ক্যাটাবোলিজম প্রতিরোধ করে।

ক্যাসিন সাপ্লিমেন্ট বিভিন্ন ধরণের স্বাদে খুব সহজেই পাওয়া যায়, অনেকটা হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের মতই। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ব্যায়াম করার পরে হোয়ে প্রোটিন এবং ক্যাসিন প্রোটিন একসাথে মিশিয়ে খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে পেশী খুব দ্রত বৃদ্ধি পায়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ হোয়ে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট, ১ চা চামচ ক্যাসিন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট মিশিয়ে নিন, আপনার প্রোটিন শেইকটি তৈরি।

৩. ক্রিয়েটিন প্রোটিন শেইক (Creatine Protein Shake)

ক্রিয়েটিন প্রোটিন শেইক তিনটি এ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পছন্দের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। এতে আর্জিনিন, মিথিওনিন এবং গ্লিসিন রয়েছে।

অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট মানুষের ওজন ৫-১০ পাউন্ডের মত বাড়াতে সাহায্য করে। ক্রিয়েটিন গ্রহণকারী মানুষের দেহে নাটকীয়ভাবে শক্তিমত্তার উন্নতি হয় এবং আরো বেশী কঠোর পরিশ্রমের ব্যায়াম করতে পারে এবং আরো দীর্ঘক্ষন ব্যায়ামে স্থায়ী হতে পারে। ক্রিয়েটিন পেশীর ভিতরে আই.জি.এফ-১ (IGF-1) এর মাত্রা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য, যা দেহের বৃদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে।

যদিও আপনি শুধু ক্রিয়েটিন গ্রহন করতে পারবেন কিন্তু কার্নোসিন সাপ্লিমেন্টের সাথে সমন্বয়ে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট এবং ১ চামচ কার্নোসিন সাপ্লিমেন্টে মিশান এবং আপনার তৈরি শেইকটি উপভোগ করুন।

৪. ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড শেইক {Branched-Chain Amino Acids (BCAAs) Shake}

সাধারনত, ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড আইসোলিউসিন (Isoleucine), লিউসিন (leucine) এবং ভ্যালাইনের (valine) সাথে সম্পর্কিত। এই এ্যামিনো এসিড গুলি কোলাজেন সৃষ্টি এবং পেশীর টিস্যুর ক্ষয়পূরণের জন্য অপরিহার্য। লিউসিন এখানে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কারণ এটি পেশীর বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এখানে উল্লিখিত তিনটি অ্যামিনো এসিডই আপনাকে শক্তি প্রদানের মাধ্যমে, পেশীর বিকাশ ঘটিয়ে এবং অবশ্যই পেশীর টিস্যুর ক্ষয়পূরণের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে কাজ করে। ব্রাঞ্চড-চেইন এ্যামিনো এসিড কর্টিসোলও (একটি হরমোন যা টেস্টোস্টেরনকে বাঁধা দেয় এবং পেশীর ভাঙন বৃদ্ধি করে) হ্রাস করে।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ২ চা চামচ বি.সি.এ.এ.এস. সাপ্লিমেন্ট মিক্স করুন এবং বি.সি.এ.এ.এস. প্রোটিন শেইক পান করুন।

৫. বিটা-অ্যালানিন/কার্নোসিন  শেইক (Beta-Alanine/Carnosine Shake)

বিটা-অ্যালানিন শেইক বিটা-অ্যালানিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত যা কার্নোসিন গঠন করার জন্য হিস্টিডিনের সাথে মেশে।

উচ্চ মাত্রার কার্নোসিন উচ্চ মাত্রার সহনশীলতার সমান। কার্নোসিন আপনার পেশীর তন্তু বৃদ্ধির ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।

সাধারণত, দু’টির পরিবর্তে একটি খাওয়ার চেয়ে বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট এবং ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট সমন্বয় করে খেলে এটি আপনার পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট নানা রকম স্বাদে কিনতে পাওয়া যায়।

২৫০ মি.লি. পানি অথবা দুধে (গরম অথবা ঠান্ডা) ১ চা চামচ বিটা-অ্যালানিন সাপ্লিমেন্ট এবং ১ চা চামচ ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট মিক্স করুন এবং আপনার বিটা-অ্যালানিন/কার্নোসিন এবং ক্রিয়েটিন শেইক উপভোগ করুন।

সুতরাং, এই প্রোটিন শেইক গুলো গ্রহণ করুন এবং ওজন বৃদ্ধি করুন।

Filed Under: Weight Gain

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Interim pages omitted …
  • Page 5
  • Page 6
  • Page 7
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®