• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

১০ টি সহজ কৌশলে ঘরে তৈরি করুন ফেইস প্যাক যা আপনাকে দিবে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা এবং আকর্ষণীয় ত্বক [১০০% প্রাকৃতিক]

by Mohona Leave a Comment

প্রতিটি মানুষ উজ্জ্বল ত্বক পেতে চায়। স্ক্রিনের সামনে মডেল এবং নায়িকারা মেকআপের সাহায্যে এই উজ্জ্বলতা পায়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই উজ্জ্বলতা পাওয়ার প্রাকৃতিক উপায়ও আছে? আমরা রান্নাঘর থেকে কিছু উপকরণ নির্বাচন করেছি এবং সেগুলো দিয়ে কিছু কার্যকরী ফেইস প্যাক বানিয়েছি যা আপনার ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা দিবে।

কসমেটিক ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সমাধান দিবে, কিন্তু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ত্বক উজ্জ্বল করা সব সময়ই স্বাস্থ্যকর উপায়। কসমেটিক প্রোডাক্টে আছে তীব্র মাত্রার কেমিক্যাল সাময়িকভাবে কাজ করতে পারে কিন্তু একটা সময় এগুলো আপনার ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়। এবং এই প্রোডাক্টগুলো অনেক দামীও বটে!

তাই এখনি সময় আপনার ত্বককে ঘরোয়া ফেইস প্যাক দিয়ে উজ্জ্বল করার। আর এতে আপনার খরচও খুব কম এবং আপনি আপনার টাকা অন্য কোন ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই ফেইস প্যাকগুলো সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন…

তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য ঘরে তৈরি শীর্ষ ১০ টি প্রাকৃতিক ফেইস প্যাক

১. পেঁপের ফেইস প্যাক

২. লাল মাটির ফেইস প্যাক

৩. কলার ফেইস প্যাক

৪. ওটমিল ফেইস প্যাক

৫. টমেটো ফেইস প্যাক

৬. গোলাপের পাঁপড়ি এবং দুধের ফেইস প্যাক

৭. বাদামের ফেইস প্যাক

৮. বেসনের ফেইস প্যাক

৯. ডিমের ফেইস প্যাক

১০. শসার মাস্ক

১. পেঁপের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১/৪ কাপ পেঁপে
  • ১/২ চা চামচ চন্দন কাঠের গুড়ো
  • ১/২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • পেঁপে গুলো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে চন্দন গুড়ো এবং অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশান।
  • এর সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশান এবং সবকিছু একসাথে ভালোভাবে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে শুকিয়ে নিন।
  • পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ২-৩ বার ফেইস প্যাকটি আপনার মুখে লাগান।

এটা কিভাবে কাজ করে?

পেঁপে প্রচুর পরিমাণে পাপাইন বহন করে। তাই যখন ত্বক উজ্জ্বল করার কথা আসে তখন সেরা ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের থেকেও এই পেঁপে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। পাপাইন ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। চন্দন আপনার বাহ্যিক ত্বকের মৃত চামড়া অপসারণের কাজ করে এবং আপনার ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। যা আপনার বহিঃত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল করে তুলে।

২. লাল মাটির ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ লাল মাটির গুড়ো
  • ১/২ চা চামচ কমলার খোসার গুড়ো
  • ১ চিমটি হলুদ
  • ১/২ চা চামচ মধু
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • প্রয়োজনমত গোলাপ জল দিয়ে সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • মুখে পেস্টটি লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ফেইস প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।
  • এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ২ বার ফেইস প্যাকটি লাগাবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

লাল মাটিতে আয়রণ অক্সাইডের গুণাগুণ রয়েছে। এই আয়রণ অক্সাইড আপনার ত্বকের সকল দূষিত কণা শুষে নেয়, যা আপনার ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে রেখে ত্বককে মলিন করে দেয়। মধু এবং হলুদে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা প্রদান করে। কমলার খোসাতে ব্লিচিং এর বৈশিষ্ট্য আছে যা ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে।

৩ কলার ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১/২ কলা
  • ১/২ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ দই
  • কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • কলা ভর্তা করে নিন এবং অন্যান্য উপকরণগুলো যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং স্বাভাবিক বাতাসে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে শুকাতে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ২ বার ফেইস প্যাকটি লাগাবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

কলা এবং মধুতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। র‍্যাডিকেল আপনার ত্বকের কোষের ক্ষতি করে এবং ত্বক শুষ্ক, মলিন, বেমানান করে দেয় এবং বলিরেখা সৃষ্টি করে। কলা ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি করে এবং বলিরেখা কমায়। প্রথমবার ১৫ মিনিট মুখে রাখার পর পরই এর কার্যকারিতা পরিষ্কারভাবেই লক্ষ্য করা যায়।

সতর্কতা

দুগ্ধ পণ্যে এলার্জি থাকলে আপনি দই বাদ দিতে পারেন।

৪. ওটমিলের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ ওটমিল
  • ১ চা চামচ চন্দন গুড়ো
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • ওটমিল এবং চন্দন গুড়োর সাথে পরিমাণ মত গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • আপনার মুখে পেস্টটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট ফেইস প্যাকটি মুখে রাখুন এবং স্ক্রাব করার মত করে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ২ বার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

যখন ত্বকের যত্নের কথা আসে তখন ওটস ছবির নায়কের মত কাজ করে! ওটমিল হলো সবচেয়ে প্রাকৃতিক একটি স্ক্রাব যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ত্বক হাইড্রেট করার বৈশিষ্ট্য আছে। এবং এটি ব্যবহারে আপনি একটি পরিষ্কার উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।

৫. টমেটো ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টি ছোট টমেটো
  • ১ টেবিল চামচ চিনি

প্রক্রিয়া

  • টমেটো কেটে ভর্তা করে নিন। এতে চিনি যোগ করে ভালোভাবে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে লাগান।
  • ১০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • এরপর, আপনার আঙ্গুল ভিজিয়ে নিন এবং আঙ্গুল দিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য ঊর্ধ্বগামীভাবে আপনার ত্বক ম্যাসাজ করুন।
  • এখন, ঠান্ডা পানি দিয়ে টমেটো ফেইস প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

১ দিন পর পর ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২ বারের বেশি মুখ স্ক্রাব করবেন না।

এটা কিভাবে কাজ করে?

টক টমেটো যখন সঠিক উপকরণের সাথে ব্যবহার করা হয় তখন ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। চিনি এবং টমেটো একসাথে মিশে খুবই শক্তিশালী দাগ দূরকারী এবং তাৎক্ষণিক ত্বক উজ্জ্বলকারী ফেইস প্যাক তৈরি করে। টমেটোর কোমল এসিড ত্বক পরিষ্কার করে এবং ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স রক্ষা করে। এটি আপনার ত্বকের আসল রঙ ফিরিয়ে আনে এবং আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা প্রদান করে। চিনি এর ঘনত্বের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কারের প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। স্ক্রাবিং মুখের ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে যার ফলে আপনি দীপ্তিময় এবং রক্তিম আভার ত্বক পাবেন।

৬. গোলাপের পাঁপড়ি এবং দুধের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ চন্দন গুড়ো
  • ২ টেবিল চামচ দুধ
  • কিছু গোলাপের পাঁপড়ি

প্রক্রিয়া

  • সবকিছু একসাথে ব্লেন্ড করে নিন এবং একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট প্যাকটি শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

গোলাপকে ফুলের রানি বলার পেছনে কারণ আছে। এর সুন্দর পাঁপড়িগুলো আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এই পাঁপড়িগুলোতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বককে পুনরায় নবীন করে তুলে এবং ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এটি ভিটামিন ই বহন করে যা ত্বক হাইড্রেট করে এবং ত্বকের রঙের উন্নতি করে। দুধে ল্যাকটিক এসিড আছে যা ত্বকের টোনার এবং পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে, যা আপনাকে ক্লিওপেট্রার মত উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করবে।

৭. বাদামের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ৫-৬ টি বাদাম
  • ১ টেবিল চামচ দুধ

প্রক্রিয়া

  • বাদামগুলো সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • পরেরদিন ভিজানো বাদামগুলো ভেঙ্গে দুধের সাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • মুখ এবং ঘাড়ে এটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ২-৩ বার ফেইস প্যাকটি আপনার মুখে লাগান।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বাদাম আপনার ত্বককে নবীন এবন আদ্রতাপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এরা ত্বকের প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মলিন ত্বক এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

৮. বেসনের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ টেবিল চামচ দুধের ক্রিম (অথবা গোলাপ জল)
  • কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
  • ১ চিমটি হলুদ

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ পেস্ট না পাওয়া পর্যন্ত সব উপকরণগুলো মিশান। দুধ জাতীয় পণ্যে যদি আপনার এলার্জি থাকে তাহলে দুধের ক্রিমের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করুন।
  • আপনার মুখে সমানভাবে প্যাকটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ১-২ বার ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

বেসন প্রায়ই আয়ুরবেদিক এবং ইউনানী মেডিসিনে ব্যবহার করা হয় ত্বক পরিষ্কার করার জন্য এবং লোমকূপে জমে থাকা দূষিত কণা দূর করার জন্য। এটি জমে থাকা মৃত চামড়ার কোষের স্তর অপসারণ করে এবং লোমকুপ ছোট করে।

৯. ডিমের ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ
  • ১ টেবিল চামচ বেসন
  • কয়েক ফোঁটা লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ঘুটে নিন এবং এরপর এর সাথে বেসন ও লেবুর রস যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত আপনার মুখে রাখুন।
  • প্রথমে কুসুক গরম পানি দিয়ে মিশ্রণটি তুলে ফেলুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

নোটঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযুক্ত করতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

সপ্তাহে ১-২ বার ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ডিমের সাদা অংশ আপনার ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা দিবে। এরা আপনার ত্বকের লোমকূপ ছোট করে এবং ত্বক টোন করে।

১০. শসার মাস্ক

উপকরণ

  • ১/৪ কাপ শসা
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • শসা কেটে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • এতে অ্যালোভেরা জেল মিক্স করুন এবং ভালোভাবে মিশান।
  • ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট মুখে রাখুন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার আপনার ব্যবহার করা উচিত

এই প্যাকটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই লিস্টে এই ফেইস প্যাকটি সবচেয়ে বেশি সতেজকারী। শসা ত্বককে ঠান্ডা এবং কোমল রাখে। একই সময়ে, এটি প্রাণহীন ত্বক প্রাণবন্ত করে এবং একে উজ্জ্বল করে তুলে। অ্যালোভেরা জেলে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে। এই ফেইস প্যাকটি আপনি মাত্র কয়েকবার ব্যবহার করলেই সতেজ এবং দীপ্তিময় উজ্জ্বল ত্বক অনুভব করবেন।

এই ফেইস প্যাকগুলো বানানো খুবই সহজ কারণ এগুলোর বেশিরভাগ উপকরণ আপনার রান্নাঘরে খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাই, আপনার অবসর সময়গুলো ভালো কাজে ব্যবহার করুন এবং তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য আজই ঘরেই কিছু ফেইস প্যাক তৈরি করুন।

Filed Under: Face Packs and Masks

১২ টি আকর্ষণীয় গ্রিন টি ফেইস প্যাক যা বিভিন্ন ধরণের ত্বকের জন্য আজই ব্যবহার করতে পারেন (ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona Leave a Comment

বর্তমান সময়ে ত্বকের ক্ষতি হওয়া অনিবার্য। কারণ আপনার ত্বকে প্রতি মুহূর্তে বয়সের ছাপ পড়ছে, আরো বেশি সমস্যা হতে পারে যদি আপনি এটির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেন।

যদিও, ত্বকের ক্ষতি এবং বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করা এতটা কঠিন কিছু নয় যতটা কঠিন করে রূপচর্চার প্রতিষ্ঠানগুলো দেখায়। ত্বকের ক্ষতি এবং বয়সের ছাপ দূর করতে আপনাকে বিশেষ কোন পণ্য বা সিরাম ব্যবহার করতে হবে না।

আপনার ত্বকের সাথে মানানসই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি অতি সাধারণ ত্বকের যত্ন করার রুটিন অনুসরণ করলে আপনার ত্বকের অকালে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং ক্ষতিমুক্ত করা সম্ভব।

এবং, আমরা প্রায় সবাই জানি যে, গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর মধ্যে একটি। এই পোস্টটিতে আমি বিভিন্ন রকম ত্বকের জন্য ১২ টি গ্রিন টির ফেইস প্যাক নিয়ে আলোচনা করেছি।

ত্বকের জন্য গ্রিন টি এর উপকারিতা

  • গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক বড় উৎস যা আমাদের ত্বক এবং দেহের জন্য ক্ষতিকারক র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি আপনার ত্বকের কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
  • এই উপকরণটি দেহের টক্সিন অপসারণে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রঙ উন্নত করে। গ্রিন টি ফেইস প্যাক আপনার গায়ের রঙ ঠিক করতে সাহায্য করে, আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করবে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নিচের কালিও কমাতে সাহায্য করে। এরা আপনার চোখের চারপাশের রক্তনালী সংকুচিত করে চোখের চারপাশের কালি দূর করে।
  • গ্রিন টি আপনার মুখের ছিদ্র থেকে দূষিত কণা বের করে আনে, আপনার ত্বককে টোন করে এবং মুখের ছিদ্রগুলো ছোট করে।

বিভিন্ন রকম ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

  • স্বাভাবিক এবং সমন্বিত ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক
  • অন্যান্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

স্বাভাবিক এবং সমন্বিত ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

১. হলুদ এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ চা চামচ ছোলার বেসন
  • ১/৪ কাপ হলুদ
  • ১ চা চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ পেস্ট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত উপকরগুলো মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান। চোখের এবং মুখের খুব কাছে লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
  • ১৫-২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

আপনার ত্বকে ব্যবহারের জন্য হলুদ খুবই চমৎকার একটি উপকরণ। এটা সকল প্রকার ত্বকে মানিয়ে যায়। ব্রণ দূর করার জন্য এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল আছে। এটা রোদের পোড়া ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।

২. কমলার খোসা এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি
  • ১ টেবিল চামচ কমলার খোসার গুড়ো
  • ১/২ চা চামচ মধু

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • সব গুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • পেস্টটি আপনার মুখে লাগান এবং বৃত্তাকারভাবে আপনার ত্বক স্ক্রাব করুন।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রনটি আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন।
  • গরম পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ২-৩ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

কমলার খোসা ব্রণের দাগে ম্লান হয়ে যাওয়া ত্বক উজ্জ্বল করে, কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজড করে। এই ফেইস প্যাকে মধু হিউমেকট্যান্ট হিসেবে কাজ করে, যা আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজারে পরিপূর্ণ করে।

৩. পুদিনা এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ গ্রিন টি
  • ২ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা
  • ১ টেবিল চামচ অপরিশোধিত মধু

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ মিশ্রণ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত উপকরনগুলো মিশাতে থাকুন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে পানি যোগ করুন।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান। মুখ এবং চোখের খুব কাছে লাগাবেন না।
  • ১৫-২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

গ্রিন টি এবং পুদিনা পাতার এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং টান টান করতে সাহায্য করে। এটা ত্বকের জ্বালা-পোড়া ভাব কমায় এবং ত্বকে একটি সতেজ শীতল প্রভাব ফেলে। উপকরণগুলো ত্বকের জ্বালা-পোড়া দূর করে ত্বকের রঙ উন্নত করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

৪. চালের গুঁড়ো এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ চালের গুড়ো
  • ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ মিশ্রণ পাওয়া পর্যন্ত উপকরণগুলো একসাথে মিশাতে থাকুন।
  • আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন অথবা শুকানো পর্যন্ত মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বক শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার

এটা কিভাবে কাজ করে?

লেবুর রস ত্বকে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণ এবং মলিন ত্বক প্রতিরোধ করে। অপরদিকে চালের গুঁড়োর অনেক ভালো তেল শোষন ক্ষমতা রয়েছে এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভালো পরিষ্কারক।

৫. লেবু এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

১ টেবিল চামচ গ্রিন টি

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১০ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো দিয়ে একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রয়োজনে পানি মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান।
  • ১০ মিনিট মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন এবং মুখ শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকে ভিটামিন সি প্রদানে সহায়তা করে। যখন লেবুর রস আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে তখন গ্রিন টি আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। লেবুতে হালকা ব্লীচের বৈশিষ্ট্য আছে যা ত্বককে মলিন হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৬. মুলতানি মাটি এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • উপকরনগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে পেস্টটি লাগান। লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনার চোখের খুব কাছে এবং মুখের ভিতর না যায়।
  • ১৫-২০ মিনিট পেস্টটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

মুলতানি মাটিতে প্রচুর মিনারেল রয়েছে যা আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এটি আপনার ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে এবং ত্বক পরিষ্কার করার মাধ্যমে ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এই প্যাকটি আপনার মুখে একটি তাত্ক্ষণিক উজ্জ্বলতা যোগ করে এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

৭. মধু এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ কাঁচা মধু
  • ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

মধুতে সূক্ষ ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার ত্বক ফর্সা করে এবং মলিনতা দূর করে। এটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে, যা শুষ্ক তকের জন্য একটি আদর্শ উপাদান। গ্রিন টি যখন আপনার ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণ করে তখন মধূ ময়েশ্চারাইজারের ভারসাম্য পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই প্যাক ব্রণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সহায়তা করে এবং আপনার মুখ পরিষ্কার করে।

৮. ক্রিম এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ২ চা চামচ গ্রিন টি
  • ১ চা চামচ ক্রিম
  • ১ চা চামচ মিহি চিনি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান এবং আলতো করে বৃত্তাকারভাবে মুখে স্ক্রাব করুন।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রেখে দিন।
  • গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ২-৩ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ত্বকের চামড়া উঠা শুষ্ক ত্বকের মানুষদের মধ্যে খুবই সাধারণ একটি বিষয়। ফেইস প্যাকে ব্যবহৃত চিনি এই শুকনো চামড়া তুলে ফেলতে সাহায্য করে, নতুন এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক প্রকাশ করে। গ্রিন টি এবং ক্রিম একসাথে কাজ করে ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে এবং পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

৯. আভাকাডো এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টি পাকা আভাকাডো – ভর্তা করা।
  • ২ চা চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • মিশ্রনটি আপনার মুখে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট এটি মুখে রাখুন।
  • ২০ মিনিট পর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

আভাকাডো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আরেকটি বড় উৎস। এই ফলটিতে প্রচুর ভিটামিন বি এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড এবং পুষ্টিকর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই প্যাকটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড ও করে।

অন্যান্য গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

১০. সকল প্রকার ত্বকের জন্য গ্রিন টি এবং কলার ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টি পাকা কলা – ভর্তা করা
  • ২ চা চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট এটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

আপনার ত্বক যদি ক্লান্ত এবং নিষ্প্রাণ হয়ে পরে, তাহলে এই ফেইস প্যাকটি আপনার জন্য খুবই উপযুক্ত। কলাতে প্রচুর পটাশিয়াম আছে যা ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন বি নমনীয়তা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। গ্রিন টি এর সাথে সমন্বিত হয়ে কলা একটি ফেইস মাস্ক তৈরি করে যা সকল ত্বকের জন্য উপযুক্ত।

১১. ত্বক ফর্সা করার জন্য গ্রিন টি ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ বেসন

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরনগুলো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • পেস্টটি আপনার মুখে লাগান।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন অথবা শুকানো পর্যন্ত মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বক শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

বেসন রোদে পোড়া ভাব দূর করে, ত্বক ফর্সা করে, তৈলাক্ততা কমায় এবং সামগ্রিকভাবে ত্বকের রঙ্গের উন্নতি করে। গ্রিন টি এর সাথে সমন্বিত হয়ে ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করে ত্বককে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলে। লেবুতে হালকা ব্লীচের বৈশিষ্ট্য আছে যা ত্বকের প্রাকৃতিক রূপ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং আপনার মুখকে অনেক উজ্জ্বল করে তুলে।

১২. সংবেদনশীল ত্বকের জন্য দই এবং গ্রিন টি এর ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • ১ চা চামচ দই
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ গ্রিন টি

প্রস্তুতি সময়

২ মিনিট

কার্যকরণ সময়

১৫ মিনিট

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরনগুলো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • পেস্টটি আপনার মুখে লাগান।
  • ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ত্বক শুকিয়ে নিন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ১-২ বার।

এটা কিভাবে কাজ করে?

দইয়ে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আছে এছাড়াও ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে, ব্রণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, মলিনতা দূর করে এবং রোদে পোড়া ভাব কমায় এবং ত্বকের বিবর্ণতা দূর করে। দই খুবই কোমল একটি জিনিষ এবং যার কারণে এটি ত্বকের যেকোন জ্বালা-পোড়া সহজে দূর করে, তাই সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি খুবই আদর্শ উপকরণ। লেবুর রস ত্বকে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণ দূর করে।

আমাদের বর্তমান জীবনধারার সাথে ত্বকের ক্ষতি হওয়া একটি অনিবার্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু আপনি আপনার রান্নাঘরের কিছু উপকরণ দিয়ে ত্বকের এই ক্ষতি এবং বয়সের ছাপ পরা খুব সহজেই দূর করতে পারেন। গ্রিন টি এর এই ফেইস প্যাকগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রাণবন্ত এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন। তাহলে আজই আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে গ্রিন টি যোগ করুন এবং নিজেই পার্থক্য লক্ষ্য করুন।

Filed Under: Homemade Tips

২ টি সহজ ও কার্যকরী উপায়ে বীটরুট ফেইস প্যাক তৈরি করে আজই ব্যবহার করুন যা আপনাকে করবে আরো উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয়

by Mohona Leave a Comment

আপনি হয়ত খুব ভালো করে জানেন বীটরুট কতটা উপকারী সবজি!

কিন্তু আপনি কি কখনো কল্পনা করেছেন যে এই বীটরুট ফেইস প্যাক হিসেবেও ব্যবহার হতে পারে?

যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন! কারণ, একটি বীটরুটের ফেইস প্যাক আপনার ত্বকের খুব ভালো উপকার করতে পারে!

বীটরুটের অনেক স্বাস্থ্য সম্মত উপকারীতা আছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কাঁচা বীটরুট ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

কাঁচা বীটরুট ব্যায়ামের জন্য খুব ভালো সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। তারা পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে, অতি মাত্রার ব্যায়ামের তীব্রতা সহ্য করতে সাহায্য করে।

বীটরুটে শক্তিশালী এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারা গেঁটো বাত এবং গাল ব্লেডারের চিকিৎসার জন্য পরিচিত। এতে হোমোসিটেইনি (Homocycteine) রয়েছে, এটি একটি যৌগ যা পাকস্থলির অ্যাসিড পুনরুৎপাদন করে এবং কোলেস্টেরল হ্রাস করে।

বীটরুট চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অনেক সংস্কৃতিতে এটি ফেইস মাস্ক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আপনার ত্বকে গোলাপী আভা সৃষ্টি করে। যদিও উজ্জ্বল ত্বকের মানুষের গায়ে ফলাফল বেশি দৃশ্যমান হয়, প্রতিদিন বীটরুটের মাস্ক ব্যবহারে এটি আপনাকে মুখের দাগ এবং গর্ত কমিয়ে নিখুঁত ত্বক দিতে সাহায্য করে।

তাই, এই লিখাটি পরার পর আপনি বীটরুটের ফেইস প্যাক ব্যবহার করা থেকে নিজেকে আটকাতে পারবেন না। তাই এখনি পড়ুন!!!

কিভাবে ঘরেই বীটরুটের ফেইস প্যাক বানাবেন?

ঘরেই বীটরুটের ফেইস প্যাক বানানোর জন্য এই ২ টি পদ্ধতির যে কোন একটি অনুসরণ করুন।

১. গরম পানি দিয়ে বীটরুট ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • বীটরুটের রস (৫-৬ চা চামচ)
  • গরম পানি
  • তুলা
  • গামছা অথবা ন্যাপকিন
  • সুতির তোয়ালে

প্রক্রিয়া

  • গরম পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন এবং শুকাতে দিন। গরম পানি মুখের ময়লা ও ধুলাবালি মুছে যেতে সাহায্য করবে।
  • কিছু বীটরুট কেটে জুস করে নিন এবং একটি তুলার বল জুসে ডুবিয়ে নিন।
  • বীটরুটের রসে ভিজানো তুলার বলটি আপনার মুখে লাগান। আপনার চোখে এবং মুখের ভিতর যাতে না লাগে সেই দিকে সতর্ক থাকবেন, কারণ আপনি নিশ্চই গোলাপি দাঁত চাইবেন না। সাবধানে প্রয়োজনমত আপনার ত্বক ভিজাবেন, কিন্তু আপনার মুখ থেকে এর রস যাতে গড়িয়ে না পরে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
  • তুলো দিয়ে আবার আরেক পড়ত রস মুখে লাগানোর আগে প্রথমবার লাগানো রস শুকাতে দিন। দ্বিতীয় স্তর নিশ্চিত করে যে আপনি পুরো মুখ বীটরুট রস দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন।
  • ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন।
  • মুখে হাত দিবেন না কারণ এতে লাগানো রস মুছে যাবে এবং এমনকি আপনার হাতেও দাগ লেগে যাবে। ২০ মিনিট পরেই এটা ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না কারণ এটা দাগ ছড়াতে পারে।
  • একটি গামছা বা ন্যাপকিন গরম পানিতে ডুবিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভিজানো গামছাটি দিয়ে বৃত্তাকারভাবে রসগুলো মুছে ফেলুন।
  • একটি তোয়ালে দিয়ে আপনার মুখ মুছে নিন।
  • আপনি আপনার মুখে তাৎক্ষণিক একটি গোলাপী আভা লক্ষ্য করবেন। সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য এই ফেইস প্যাকটি মাসে ২ বার ব্যবহার করুন।

২. দই এবং লেবু দিয়ে বীটরুট ফেইস প্যাক

উপকরণ

  • বীটরুট রস (২ চা চামচ)
  • দই (১ চা চামচ)
  • লেবু (১ চা চামচ)
  • মুলতানি মাটি/বেসন (২ টেবিল চামচ)

প্রক্রিয়া

  • একটি ছোট পাত্রে কাঁটা বীটরুট থেকে রস চিপে বের করে নিন।
  • একটি পাত্রে বীটরুটের রসের সাথে ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি/বেসন, দই, লেবুর রস যোগ করুন।
  • উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে সমানভাবে পেস্টটি লাগান এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনার মুখ মুছে ফেলুন। আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার মুখে তাত্ক্ষণিক গোলাপী আভা ছড়িয়েছে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়েছে। নিখুঁত ত্বক পাওয়ার জন্য ৫-৭ বার এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করুন।

তাহলে আর দেরি কেন? উজ্জ্বল গোলাপী আভাযুক্ত নিখুঁত ত্বক পাওয়ার জন্য আজকে থেকেই বীটরুটের এই ফেইস প্যাকগুলো ব্যবহার শুরু করুন।

Filed Under: Face Packs and Masks

৮ টি মসুরের ডালের ফেইস প্যাক যা প্রাকৃতিক ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির এবং ত্বকের যত্নে সেরা উপাদান (নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona Leave a Comment

ডাল, যা সবসময় আমাদের রান্নাঘরে পাওয়া যায়, এই ডাল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ত্বকের যত্নের সেরা উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন রকম ডাল যেমন মুগ ডাল, চনার ডাল, বেসন, মসুরের ডাল ইত্যাদি আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর করতে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। আজকে আমরা “মসুরের ডালের” ফেইস প্যাক এবং এদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো।

আপনি লাল মসুরের ডাল ভেঙ্গে গুঁড়ো করতে পারেন এবং একটি বায়ুরোধী পাত্রে শুকনো এবং পরিষ্কার স্থানে সংরক্ষণ করতে পারেন। যখনই আপনি ফেইস প্যাক বানাতে যাবেন তখন এই ডাল ব্যবহার করতে পারবেন।

নিচে ত্বকের যত্নে কিছু মসুর ডালের ফেইস প্যাক দেওয়া হলোঃ

১. সব ত্বকের উপকারী ফেইস প্যাক

মসুর ডালের এই ফেইস প্যাকটি ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করতে, মুখের ছিদ্র ছোট করতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয়। ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য এই মাস্কটি ত্বক পরিষ্কার করবে, ত্বককে নরম করবে, ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং ত্বককে তেল মুক্ত করবে।

প্রক্রিয়া

  • কিছু মসুরের ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালবেলা মসুরের ডালগুলোর ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • ১/৩ কাপ কাঁচা দুধ যোগ করুন।
  • ডালের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • পেস্টটি বৃত্তাকারভাবে পুরো মুখে লাগাতে থাকুন।
  • ২০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন।
  • ধুয়ে ফেলুন এবং মুখ শুকাতে দিন।

২. প্রতিদিনের ফেইস ওয়াশঃ

এই ফেইস প্যাকটি সকল ধরণের ত্বকে মানানসই। এটি প্রতিদিনের ফেইস ওয়াশ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রক্রিয়া

  • ১ টেবিল চামচ মসুর ডালের গুড়ো, ২ টেবিল চামচ দুধ এবং এক চিমটি হলুদের সাথে ৩ ফোঁটা নারিকেল তেল মিশান।
  • আপনার মুখে সমানভাবে লাগান।
  • ২ মিনিট রেখে দিন।
  • আস্তে আস্তে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

বিঃদ্রঃ আপনার ত্বক শুষ্ক হলেই নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন।

৩. ত্বকের উজ্জ্বলতার ফেইস প্যাক

মসুর ডালের এই ফেইস প্যাকটি ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়, কালো দাগ দূর করে, ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে ৫০ গ্রাম মসুরের ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকাল বেলা ভিজানো মসুরের ডালের পেস্ট তৈরি করুন।
  • ১ চা চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ চা চামচ বাদাম তেল পেস্টটিতে মিশান।
  • আপনার মুখে ফেইস প্যাকটি সমানভাবে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. শুষ্ক ত্বকের ফেইস প্যাক

মসুর ডালের এই ফেইস প্যাকটি শুষ্ক ত্বকে খুব ভালো কাজ করে।

প্রক্রিয়া

  • ২ চা চামচ মসুর ডাল দুধের মধ্যে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকাল বেলা এর ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখ এবং ঘাড়ে সমানভাবে পেস্টটি লাগান।
  • ২০ মিনিট রেখে দিন।
  • ধুয়ে ফেলুন এবং মুখ শুকিয়ে নিন।

বিঃদ্রঃ আপনার ত্বক তৈলাক্ত হলে দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।

৫. মেথির ফেইস প্যাক

মেথির এবং মসুর ডালের উপকারিতা প্রায় একই।

প্রক্রিয়া

  • ২-৩ চা চামচ মসুর ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালবেলা এর ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
  • পেস্টের সাথে মেথি যোগ করুন।
  • আপনার পুরো মুখে সমানভাবে পেস্টটি লাগান।
  • এটি শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।

৬. ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভাল ফেইস প্যাক

মসুর ডালের এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং মুখের লোম দূর করতে সাহায্য করে। এই প্যাকে থাকা কমলালেবুর খোসা আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে।

প্রক্রিয়া

  • ১০০ গ্রাম মসুর ডাল, ৫০ গ্রাম চন্দন কাঠের পাউডার এবং কমলার খোসার পাউডার দুধের মধ্যে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সব উপকরণ একসাথে ভেঙ্গে পেস্ট করে নিন।
  • আপনার মুখে পেস্টটি সমান স্তর করে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট মুখে রাখুন এবং শুকাতে দিন।
  • শুকনো স্তর বৃত্তাকারভাবে আস্তে আস্তে স্ক্রাব করে তুলে ফেলুন।
  • স্ক্রাব করার জন্য আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৭. অনুজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেইস প্যাক

এই ফেইস প্যাকটি অনুজ্জ্বল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

প্রক্রিয়া

  • মসুর ডাল ভেজে নিন।
  • ডালের সমপরিমাণ শুকনো কমলার খোসা নিন।
  • এর সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে সমানভাবে লাগান।
  • ১৫ মিনিট মুখে রাখুন।
  • ধুয়ে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।

৮. মুখের ছিদ্র ছোট করার ফেইস প্যাক

আপনার মুখের ছিদ্রগুলো ছোট করার জন্য মসুর ডালের ফেইস প্যাক খুবই উপকারী।

প্রক্রিয়া

  • মশুর ডালের পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে এবং ঘাড়ে সমানভাবে পেস্টটি লাগান।
  • শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Filed Under: Face Packs and Masks

৫ টি সহজ গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাক যা তৈলাক্ত এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকরী এবং সহজে ঘরে বানাতে পারবেন [উপকরণ দেওয়া হল]

by Mohona Leave a Comment

শাস্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে সবসময়ের মত আবারো গ্রীষ্মকাল চলে এসেছে। এই মৌসুমে দিনের বেলা এত তাপমাত্রা থাকে যে মাত্রাতিরিক্ত ঘামানো শুরু হয়ে যায়। ঘরের বাহিরে এক কদম পা রাখার সাথে সাথে ঘামানো শুরু হয়ে যায়, এমনকি ঘরের ভিতরেও অনবরত সবাই ঘামতে থাকে। সকল প্রকার ত্বকের সমস্যার জন্য এই মৌসুমটি প্রধান সময়, বিশেষ করে তৈলাক্ত এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য।

গ্রীষ্মকাল তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী মানুষদের ত্বকে তেলের নিঃসরণ বাড়িয়ে তুলে। এই সময় ত্বকে প্রচুর ধূলাবালি এবং ঘামের সমন্বয় ঘটে, যা ত্বকে সব ধরণের সমস্যাকে সুনিশ্চিতভাবে আমন্ত্রন জানায়। এবং এর জন্য ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ত্বকের সমস্যার সমাধান করা খুবই ব্যয়বহুল হতে পারে!

তাই গ্রীষ্মকালে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা সমাধানে ঘরে তৈরি ফেইস প্যাক কেমন হবে?

সুতরাং, সহজে পাওয়া যায় এমন সব উপকরণ দিয়ে তৈরি কিছু সহজ ফেইস প্যাক রেসিপি আমি নিচে একসাথে তুলে ধরলাম। এই প্যাকগুলো তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাক

১. নিম পাতা, গোলাপ জল এবং কমলালেবুর ফেইস মাস্ক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • নিম পাতা
  • কমলালেবু
  • চন্দন কাঠ
  • মুলতানি মাটি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • গোলাপ জল

বানানোর প্রক্রিয়া

  • সমপরিমাণে নিম পাতা, কমলালেবু, চন্দন কাঠ এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিন (পানি দিবেন না)। পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য একটি শুকনো বয়ামে সংরক্ষণ করুন।
  • ১/২ চা চামচ পরিমাণ মিশ্রণটি নিন এবং এর সাথে ১/৪ চা চামচ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন।
  • শেষে গোলাপ জল যোগ করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • মুখে ও গলায় মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন এবং এটি পুরোপুরি শুকিয়ে না গেলেও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • গ্রীষ্মকালে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেইস প্যাকটি আমার নিজেরো খুব পছন্দ কারন আমি নিজেও তৈলাক্ত এবং সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী।

২. কমলালেবু এবং ওটসের ফেইস প্যাক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • তাজা কমলা
  • ওটস
  • মধু
  • ডিমের সাদা অংশ অথবা টক দই

বানানোর প্রক্রিয়া

  • যদি আপনি তাজা কমলা খুঁজে পান তাহলে সেগুলো ব্যবহার করবেন। ৩ চা চামচ ওটস, ১ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ তাজা কমলার রস এবং ১ চা চামচ ডিমের সাদা অংশ অথবা টক দই মিশান এবং মুখে লাগান।
  • ধুয়ে ফেলার সময় হালকা করে বৃত্তাকার ভাবে মিশ্রণটি মুখে ঘষুন। তখন এটি স্ক্রাবের মত কাজ করবে।

৩. চালের গুঁড়ো এবং হলুদের ফেইস প্যাক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • চালের গুঁড়ো
  • হলুদ
  • মধু
  • শসার রস

বানানোর প্রক্রিয়া

  • ৩ চা চামচ চালের গুঁড়া, এক চিমটি হলুদ, ১ চা চামচ মধু এবং শসার রস মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান।
  • এই প্যাকটি সারা শরীরে লাগানোর জন্য আরো বেশি পরিমাণেও বানাতে পারেন।

৪. বাদাম এবং মধুর ফেইস মাস্ক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • বাদাম
  • মধু

বানানোর প্রক্রিয়া

  • ১০ টি বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরেরদিন সকালে বাদামগুলোর পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • পেস্টটিতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন এবং আপনার মুখে লাগান।
  • ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৫. টমেটোর রসের ফেইস প্যাক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • টমেটোর রস
  • চালের গুঁড়ো
  • মধু

বানানোর প্রক্রিয়া

  • টমেটো তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
  • ৩ চা চামচ চালের গুঁড়া এবং ১ চা চামচ মধুর সাথে তাজা টমেটোর রস মিশান।
  • আপনি যদি খুবই ব্যস্ত থাকেন তাহলে শুধু টমেটোর অর্ধেক অংশ (মাংশল অংশ) নিয়ে আপনার মুখে গোলাকারভাবে ১৫ মিনিট ধরে ঘষতে পারেন।

৬. মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • মুলতানি মাটি
  • গোলাপ জল

বানানোর প্রক্রিয়া

  • মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মিশান এবং আপনার মুখ অ ঘাড়ে লাগান।
  • শুয়ে থাকুন এবং গোলাপ জলে ভিজানো তুলার বল আপনার চোখে লাগিয়ে রাখুন।

লক্ষ্য করবেন ধুয়ে ফেলার পর আপনার ত্বক এবং আপনি কতটা সতেজ অনুভব করছেন!

কিছু কারণঃ

  • গোলাপ জল এবং শসার রস আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
  • নিম পাতা, হলুদ এবং চন্দন কাঠে এ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
  • মুলতানি মাটি, চালের গুঁড়ো, টমেটো এবং কমলা ত্বকের অতিরিক্ত তেক শুষে নেয় এবং তেলের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • মধু এবং লেবু ক্ষতচিহ্ন ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ডিমের সাদা অংশ এবং ওটস আপনার ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করবে।
  • বাদাম আপনার ত্বক মসৃণ এবং কোমল করে।

মুলতানি মাটির ১১ টি সহজ ফেইস প্যাক [যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গোপন রহস্য]

এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন এই প্যাকগুলো ত্বক সুন্দর করার এক একটি খাজানা। নিজের জন্য সঠিক ফেইস প্যাকটি বেছে নিন এবং পুরো গ্রীষ্মকাল ত্বকের সমস্যাকে বিদায় জানিয়ে দিন।

আপনার ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। মনে রাখবেন, প্যাকগুলো মুখে লাগানোর আগে হাতের এক কোনায় অল্প একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিবেন, যদি চুলকায় বা জ্বলে তাহলে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলবেন। এবং প্যাকটি ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন।

সবসময় সুন্দর থাকুন!!!

Filed Under: Face Packs and Masks

শুষ্ক ত্বকের জন্য ৫ টি চমৎকার গ্রীষ্মকালীন ফেইস প্যাক

by Mohona Leave a Comment

গ্রীষ্মকাল আনন্দ, হাসি এবং সুখের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। আমরা নারীরা এই সময় বেশি খুশি হই কারণ দীর্ঘ শীতের পর আমরা আবার গ্রীষ্মকালীন পোষাক পরতে পারি। দীর্ঘ শীতের ঠান্ডা পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গ্রীষ্ম আসে,  আমরা গ্রীষ্মকাল ভালোবাসি কারণ এই ঋতু আমাদের জন্য আনন্দ এবং উদ্দীপনা বয়ে আনে।

প্রতিটি মৌসুম কারো জন্য সুখের বার্তা আবার কারো জন্য দুঃখের বার্তা বয়ে আনে। আর গ্রীষ্মকাল শুষ্ক ত্বকের মানুষদের জন্য সবচেয়ে বড় সুখকর সময়।

উচ্চ মাত্রার ময়েশ্চার এবং আদ্রতা ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে দেয় যার ফলে ত্বকের চামড়া উঠা বা ত্বক ফাটা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ধূলাবালি, ইউভি রশ্মি এবং দূষণ দূশ্চিন্তার কারণ হতে পারে, কারণ এরা আমাদের ত্বক নিস্তেজ এবং দ্যূতিহীন করে তুলে। কোন প্রকার সুরক্ষা ছাড়া সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ দাড়ালেও আপনার ত্বকে বলিরেখা, বয়সের ছাপ এবং ফাইন লাইনস এগুলো দেখা দিবে।

গ্রীষ্মকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরোয়া ফেইস প্যাক

নিজেকে সতেজ এবং উজ্জ্বল রাখার বড় মন্ত্রটি হলো বাহিরে যাওয়ার আগে মুখে সযত্নে সানক্রিম দেওয়া এবং কিছু ঘরোয়া প্যাকের সাহায্য নেওয়া। নিচে কিছু ফেইস প্যাক দেওয়া হলো যেগুলো আপনি এই গ্রীষ্মে মুখে লাগাতে পারেন।

১. পেঁপের ফেইস প্যাক

পেঁপে একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের মৃত চামড়া পরিষ্কার করে এবং এর এ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য আছে। পেঁপে শুষ্ক ত্বকে আদ্রতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর সবচেয়ে সেরা অংশটি হলো এই মাস্কটিতে পেঁপে ছাড়া অন্য কোন উপাদান লাগে না, ফলে এটি খুবই কার্যকরী।

কিভাবে পেঁপের ফেইস প্যাক বানবেন?

  • কয়েক টুকরো পেঁপে নিয়ে ভালোভাবে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার মুখে পেস্টটি সমানভাবে লাগান। তুলার একটি বড় টুকরো নিন এবং মুখে লাগানো প্যাকের উপর তুলাটি লাগান যাতে পেস্টটি মুখ থেকে গড়িয়ে না পরে।
  • ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্প

  • মুখের গর্ত ছোট করার জন্য ১/৪ কাপ ভর্তা করা কাঁচা পেঁপের সাথে আনারসের রস মিশিয়ে নিন।
  • স্ক্রাব করার জন্য পেঁপে, গরম মধু এবং ওটমিলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ১০-১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন।
  • ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য পেঁপে ভর্তা করে মধু, দই এবং লেবুর রসের সাথে মিশান।

২. দইয়ের ফেইস প্যাক

দই ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের অনুজ্জ্বলতা কমায়। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও কাজ করে। মধু প্রাকৃতিকভাবে ত্বক কোমল এবং আদ্রতাপূর্ণ করে।

উপকরণ

  • দই
  • মধু

প্রক্রিয়া

  • ২ চা চামচ দইয়ের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশান।
  • মুখে প্যাকটি লাগান এবং এটিকে পুরোপুরি শুকাতে দিন।
  • স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্প

  • উজ্জ্বল ত্বকের মাস্কের জন্য খুব পাকা ২ টি স্ট্রবেরি, ১ চা চামচ কাঁচা মধু এবং ১ চা চামচ দই দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • ময়েশ্চারাইজিং এবং হাইড্রেটিং মাস্কের জন্য ১ চা চামচ দই, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১/৪ আভাকাডো দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

৩. চন্দন কাঠের ফেইস প্যাক

গোলাপ জল যখন ত্বককে টোন করে তখন চন্দন কাঠ ত্বককে শীতল করে। এটি অনেক পুরানো একটি পদ্ধতি এবং প্রতিটি উপকরণ খুব সহজে পাওয়া যায়। এটি গ্রীষ্মকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে উত্তম একটি ফেইস প্যাক।

উপকরণ

  • চন্দন কাঠের গুঁড়ো
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • সামান্য গোলাপ জলের সাথে ৩ চা চামচ চন্দন কাঠ মিশান।
  • আপনার মুখে সমানভাবে পেস্টটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্প

ব্রণ এবং ব্ল্যাক হেডস কমানোর জন্য – ২ চা চামচ হলুদ গুড়া এবং চন্দন কাঠের গুড়া গরম পানিতে মিশান। একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং ব্ল্যাক হেডসে আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং শুকাতে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

৪. ওটস এবং শসার ফেইস মাস্ক

ওটস শুষ্ক ত্বক নিরাময় করে এবং ত্বক কোমল করে। শসা একটি প্রাকৃতিক শীতল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাকৃতিক টোনার।

উপকরণ

  • ওটস
  • শসা
  • দই

প্রক্রিয়া

  • ৩ চা চামচ ওটস, ১ চা চামচ শসার রস এবং ১ চা চামচ দই একসাথে মিশান।
  • আপনার মুখে পেস্টটি লাগান এবং পুরোপুরি শুকাতে দিন।
  • শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্প

দই এবং শসা একসাথে মিশান। ঘন পেস্ট বানানোর জন্য মধু এবং ওটস যোগ করুন। মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কালো স্পট এবং ক্ষত দূর করার জন্য এটা খুব ভালো।

৫. বাদাম এবং গোলাপ জলের ফেইস মাস্ক

এই রাজকীয় ফেইস প্যাকটি শুষ্ক ত্বকে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। বাদামে প্রাকৃতিক ভিটামিন-ই তেল আছে যা শুষ্কতা দূর করে।

উপকরণ

  • বাদাম
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • ১০ টি বাদাম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে এদের মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • কিছু গোলাপ জল এতে যোগ করুন।
  • আপনার মুখে এটা লাগান।

বিকল্প

সতেজ এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এই মাস্কটি ব্যবহার করুন। ২ চা চামচ গোলাপ জল, ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ বাদাম তেল, ৩ ফোঁটা ভিটামিন-ই এর তেল একসাথে মিশান। মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট রেখে দিন। গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আশা করি গ্রীষ্মকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য কয়েকটি ঘরে তৈরি সেরা ফেইস প্যাক সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এগুলো ঘরে তৈরি করুন এবং লাগিয়ে দেখুন কোনটা আপনার ত্বকের সাথে মানানসই। সবসময় সুস্থ থাকুন।

Filed Under: Dry Skin

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Interim pages omitted …
  • Page 4
  • Page 5
  • Page 6
  • Page 7
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®