• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

ব্রণ দূর করতে ফেসিয়াল স্টিমের উপকারিতা এবং ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া দেওয়া হল

by Mohona

ব্রণের সঙ্গে কি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে ফেসিয়াল স্টিম আপনাকে এর সাথে মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে। আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার এবং ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উপায়। আমি জানি আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই প্রক্রিয়াটি করে দেখবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধাবোধ করবেন, কিন্তু আপনি যদি এটি সঠিক উপায়ে করেন, তাহলে ফেসিয়াল স্টিমিং আপনাকে খুব ভালো ফলাফল প্রদান করবে। এবং আজকে আমি সঠিক উপায়ে করার পদ্ধতিটি আলোচনা করবো।

কিভাবে ফেসিয়াল স্টিমিং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে

কোন স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে কেন এবং কিভাবে এটি আপনাকে সাহায্য করবে। ব্রণ তখনি হয় যখন আপনার ত্বকের লোমকুপ গুলো তেল, চর্বি অথবা মৃত চামড়ার কোষ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বন্ধ হয়ে যায়। PubMed Health এর প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হয় ত্বক গরম পানি অথবা ফেসিয়াল ষ্টীম দিয়ে ট্রিট্মেন্ট করালে এটি লোমকূপ পরিষ্কার এবং ধুলাবালি মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি আপনার ত্বকে যে অয়েন্টমেন্ট অথবা ক্রিম ব্যবহার করেন, ফেসিয়াল স্টিমিং এদের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্টিম নেওয়ার পর আপনার ত্বক আরো নরম হয়, এবং এরপর আপনি আপনার ত্বকে যাই ব্যবহার করেন তা আরো ভালো কাজ করে।

এখন আপনি জানেন যে কেনো ব্রণ দূর করতে অয়েন্টমেন্ট এবং ক্রিমগুলো কাজ করতো না! এরা যদি ত্বকের গভীর স্তরে প্রবেশ করতে না পারে, তারা কোন মতেই কাজ করবেনা – এবং ফেসিয়াল স্টিমিং এটি করতে সাহায্য করে। এছাড়া যখন আপনার লোমকুপগুলো পরিষ্কার থাকবে তখন আবার সেই কুৎসিত ব্রণগুলো ফিরে আসা নিয়ে আপনাকে কোনো চিন্তাই করতে হবে না। ব্রণের জন্য ফেসিয়াল স্টিমিং এর ব্যবহার সম্পর্কে আরো কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

ব্রণের জন্য  ফেসিয়াল স্টিম ব্যবহারের উপকারিতা

১. এটি ভালোভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে

মখে স্টিমের ব্যবহার আপনার ত্বকের লোমকুপ গুলো খুলতে সাহায্য করে, ধুলাবালি পরিষ্কার করে এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস (বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপের কারণে সৃষ্ট) নরম করে তুলে এদের থেকে সহজে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

২. রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে

ফেসিয়াল স্টিম মুখের ঘাম ঝরায়। যার ফলে, এটি আপনার রক্তনালী প্রসারিত করে এবং মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। রক্ত আপনার মুখে অক্সিজেন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যসম্মত এবং উজ্জ্বল করে তুলে।

৩. এটি ত্বককে হাইড্রেট করে

ফেসিয়াল স্টিমিং আপনার ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। যখন আপনার লোমকূপগুলো খোলা থাকে, তখন এরা প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ করে যা আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখে এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৪. এটি কোলাজেনের প্রবাহ বাড়ায়

স্টিম নেওয়ার পর আপনার মুখে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে আপনার ত্বকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন পৌছায়। এটি কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, ত্বকের নমনীয়তা উন্নত করে, এবং বয়সের ছাপ এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

৫. এটি আপনাকে রিল্যাক্স হতে সাহায্য করে

ব্যতিক্রমীভাবে ফেসিয়াল স্টিমিং আপনার ত্বককে শীতল এবং সতেজ করে তুলে। এবং যখন আপনি পানিতে এসেনশিয়াল তেল যোগ করেন, এটা একটি পরিপূর্ণ এ্যারোমা থেরাপি সেশনের মত কাজ করে যা আপনার ত্বককে শুধু উজ্জলই করে না, আপনার ইন্দ্রিয়গুলোকে শীতল করে।

সবচেয়ে সেরা বিষয়টি হলো আপনি এসকল উপকারিতাগুলো ঘরে বসেই উপভোগ করতে পারবেন! ঘরেই আপনার মুখ স্টিম করার প্রক্রিয়াটি নিম্নে ধাপে ধাপে দেওয়া হলোঃ

কিভাবে ঘরে বসেই ব্রণের জন্য ফেসিয়াল স্টিমিং করতে হবে

ঘরেই ফেসিয়াল স্টিমিং করার জন্য কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে, এবং এদের নিয়ে নিছে আলোচনা করা হলোঃ

একটি পাত্রের ব্যবহার

ধাপ ১. টেবিলে একটি বড় পাত্র নিন। একটি চেয়ার নিন এবং এর উচ্চতা টেবিলে রাখা পাত্রের সাথে সমন্বয় করে নিন।

অথবা

আপনি এটি আপনার সিঙ্কেও করতে পারেন। পানি বের হওয়ার স্থানটি বন্ধ করে নিন এবং এর কাছে একটি চেয়ার নিন। আপনার সুবিধা মত উচ্চতা সমন্বয় করে নিন।

ধাপ ২. একটি রাবার ব্যান্ড বা তোয়ালে দিয়ে আপনার চুল বেধে নিন। একটি ক্লিনজার দিয়ে আপনার মুখ এবং ঘাড় পরিষ্কার করে নিন।

ধাপ ৩. পানি গরম করুন। পানির পরিমান পাত্র অথবা সিঙ্ক এর আকারের উপর নির্ভর করে।

ধাপ ৪. আপনি গরম পানির সাথে কিছু হারবাল পাতা যোগ করতে পারেন, যেমন পেপারমিন্ট, ইউক্যালিপ্টাস, রোজমেরি, ল্যাভেন্ডার এবং ক্যামোমিল। অথবা আপনার পছন্দের যেকোন এসেনশিয়াল তেল যোগ করতে পারেন। যদি আপনি হারবাল পাতা ব্যবহার করেন, আপনার প্যান চুলা থেকে নামানোর আগেই তা মিশাবেন, এবং যদি আপনি এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার করেন তাহলে পাত্রে/সিঙ্কে পানি ঢালার পর এটি যোগ করবেন।

ধাপ ৫. পাত্র/সিঙ্কে পানি ঢেলে ফেলার পর এবং এসেনশিয়াল তেল যোগ করার পর (আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন), তোয়ালে আপনার মাথার উপর দিন এবং মুখ তোয়ালের ভিতরে রেখে তোয়ালের বাকি অংশ দিয়ে পাত্র/সিঙ্ক ঢেকে দিন। আপনার মুখ পাত্র/ সিঙ্ক থেকে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।

ধাপ ৬. আপনি কতটা উত্তাপ সহ্য করতে পারেন তার উপর ভিত্তি করে দূরত্ব নির্ধারণ করুন। মুখ ঠান্ডা করার জন্য আপনার যতবার ইচ্ছা ততবার তোয়ালের এক কোণা উঠাতে পারেন।

ধাপ ৭. এটি ১০ মিনিটের বেশি করবেন না।

তোয়ালের ব্যবহার

উপরে বর্ণিত ১ থেকে ৪ ধাপ পর্যন্ত অনুসরন করুন। এরপর, নিম্নলিখিত কাজগুলো অনুসরন করুন।

ধাপ ১. একটি নরম এবং পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন এবং ভালোভাবে নিঙরে নিন।

ধাপ ২. আপনি যদি একটি চেয়ারে বসে থাকেন তাহলে পেছনের দিকে হেলান দিয়ে বসুন এবং আপনার মুখে গরম তোয়ালেটি রাখুন। তোয়ালেটি যাতে আপনার মুখটি ভালোভাবে ঢেকে রাখে। আপনি শুয়ে থেকেও একই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ ৩. সেশনটি ১০ মিনিটের বেশি কখনো করবেন না। প্রতিবার ২ মিনিট পর পর তোয়ালে মুখ থেকে সরিয়ে নিবেন।

ফেসিয়াল স্টিমারের ব্যবহার

ধাপ ১. একটি ফেসিয়াল স্টিমার কিনে নিন। এগুলো অনলাইন শপিং এ কিনতে পাবেন।

ধাপ ২. কতটুকু পানি ব্যবহার করতে হবে তা জানতে নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ুন। তদানুসারে স্টিমারে পানি ভরে নিন এবং টেবিলে বসান।আপ্নি যে চেয়ারে বসে স্টিম নিবেন ওই চেয়ারের দূরত্ব স্টিমারের সাথে ঠিক করে নিন।

ধাপ ৩. চুল নিরাপদে রাখতে একটি তোয়ালে বা ব্যান্ড দিয়ে ছুল বেঁধে নিন। একটি ভালো ক্লিনজার দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ধাপ ৪. স্টিমারের উপরে কৌণিক স্থানটিতে আপনার মুখ বসান। নির্দেশাবলী অনুযায়ী স্টিমার থেকে আপনার মুখের দূরত্ব ঠিক করে নিন।

ধাপ ৫. একনাগাড়ে ২-৩ মিনিট স্টিম নিন। আপনার ত্বকে মানিয়ে নিচ্ছে কিনা তা দেখতে এর মধ্যে একবার বিরতি নিন। আপনাকে এটা করতে হবে কারন, অন্যান্য প্রক্রিয়ার তুলনায় , ফেসিয়াল স্টিমার শক্তিশালী স্টিম প্রদান করে।

স্টিমিং প্রক্রিয়া নিয়ে নেওয়ার পর  আপনার মুখ শুকিয়ে নিন অথবা প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন। এরপর ত্বকের সিরাম বা অথবা ক্রিম আপনার মুখে লাগিয়ে নিন।

এখন পরবর্তী প্রশ্নটি হলো, আপনি ঘরে কতবার ফেসিয়াল স্টিমিং করতে পারবেন? এখানে আপনার উত্তরটি দেওয়া হলোঃ

কতবার আপনি ফেসিয়াল স্টিমিং করতে পারবেন এবং কতখনের জন্য?

আমরা জানি যে কোন কিছুর বেশি বযবহার করা মোটেও ভালো না। মাত্রাতিরিক্ত স্টিমিং আপনার ব্রণের জন্য ক্ষতিকারক। তাই, সপ্তাহে একবার স্টিম করা আপনার মুখের জন্য উত্তম। যদি আপনার লোমকূপগুলো মাত্রাতিরিক্ত দূষিত হয়ে থাকে তাহলে আপনি সপ্তাহে ২ বার ফেসিয়াল স্টিমিং করতে পারেন – কিন্তু এর থেকে বেশি না। এভাবে আপনি দুই সপ্তাহের জন্য করতে পারেন এবং এরপর বার সপ্তাহে একদিন করে করতে পারেন।

সাধারনত, একনাগাড়ে ১০ মিনিটের বেশি স্টিমিং করা উচিত নয়। কিন্তু, আপনি আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সময় বাড়াতে বা কমাতে পারেন।

১. সাধারণ বা মিশ্র ত্বকের জন্যঃ সপ্তাহে একবার ১২ মিনিটের জন্য

২. শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ সপ্তাহে দুইবার ১০ মিনিটের জন্য

৩. তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ সপ্তাহে দুইবার ১২ মিনিটের জন্য

৪. সংবেদনশীল ত্বকের জন্যঃ আপনার ত্বক-বিশেষজ্ঞের সাথে কনসাল্ট করে জেনে নিন যে আপনার ত্বক স্টিমিং সহনশীল নাকি না।

আপনি যদি স্পা এর মত অনুভূতি পেতে চান, আপনি এ্যাসেনশিয়াল তেল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কোন এসেনশিয়াল তেলটি আপনি বেছে নিবেন?

ফেসিয়াল স্টিমিং এর জন্য এসেনশিয়াল তেল

যেই এসেনশিয়াল অয়েলটি কাজ করবে তা আপনার ত্বকের ধরণের উপর নির্ভর করে। (সাধারণত, সব এসেনশিয়াল তেল ভালো – যদি আপনি এলারজিক না হন)

ব্রণের জন্য টি ট্রি তেল এবং রোজমেরি তেল ব্যবহার করুন।

আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় এবং ব্রণ থাকে, টি ট্রি তেলের সাথে জেসমিন এবং রোজ এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। (যেকোন দুইটি অথবা তিনটি একসাথে)।

যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় এবং ব্রণ থাকে, টি ট্রি তেল, ল্যাভেন্ডার এবং জেরেনিয়াম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

এসেনশিয়াল তেল ২-৩ ফোঁটার বেশি ব্যবহার করবেন না (যদি আপনি পাত্র বা ফেসিয়াল স্টিমার ব্যবহার করেন)। পানির পরিমান যদি আরো বেশি হয় (সিঙ্ক বা বেসিনে হলে), প্রতিটি এসেনশিয়াল অয়েল ৪-৫ ফোঁটা ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এর থকে বেশি না।

প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ, কিন্তু আপনি যে ফলাফলটি পাবেন তা আর কোনটির মত হবে না, বিশেষ করে ত্বক পরিষ্কার এবং সুন্দর হবে। আপনার ত্বকের যত্ন নিতে আপনাকে সময় বের করে নিতে হবে। নিয়মিত ফেশিয়াল স্টিমিং আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল বৃদ্ধি করে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হতে দেয় না।

তাহলে আর দেরি কেন? ব্যবহার করে দেখুন, এবং আমি নিশ্চিত আপনি এটি পছন্দ করবেন।

Filed Under: Oily Skin

শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রতিদিনের কার্যকরী রুটিন

by Mohona

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়া যতটা কঠিন ঠিক তেমনি শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া ততটাই কঠি্ন। শুষ্ক ত্বকের সাথে নানা রকম সমস্যা জড়িত যেমন মৃত কোষ, চুলকানি এবং সংবেদনশীল ত্বক। কিন্তু, সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনি এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন। প্রতিদিন শুষ্ক ত্বকের যত্নের জন্য একটি রুটিন ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করলে ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে যা করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলোঃ

শুষ্ক ত্বকের জন্য দৈনিক স্কিন কেয়ার রুটিন

  1. সকাল
  2. দুপুর
  3. রাত

১. সকাল

ধাপ ১ঃ সবার প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরেই আপনার মুখমন্ডল ঠান্ডা পানি দিয়ে কিছুক্ষন ধুয়ে নিবেন। এটি আপনার ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সতেজ করে তুলে।

ধাপ ২ঃ এরপর, একটি ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার নিন এবং এটি দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এবং আপনি অবশ্যই একটি প্রাকৃতিক পণ্য বাছাই করবেন যাতে কেমিক্যালের মাত্রা অনেক কম থাকে।

ধাপ ৩ঃ ক্লিনজিং এর পর আপনার স্কিন টোন করুন। একটি টোনার নিন যেটি আপনার ত্বক শুষ্ক করে না। প্রাকৃতিক এবং ভালো উপায় হিসেবে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ ৪ঃ এরপরের ধাপ হলো ময়েশ্চারাইজিং – এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ত্বকে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ময়েশ্চারাইজার আপনার পুরো মুখে ভালোভাবে লাগান।

ধাপ ৫ঃ অতপর, আপনি যদি বাহিরে যান তাহলে সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাবেন। এবং এটি অবশ্যই এসপিএফ ৩০ অথবা এর থেকে বেশি হতে হবে। কয়েক ঘন্টা পর পর এটি লাগাবেন।

ধাপ ৬ঃ আপনি যদি মেকাপ ব্যবহার করতে চান তাহলে হালকা মেকাপ করাই উত্তম। ময়েশ্চারাইজার, বিবি ক্রিম এবং কনসিলার সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এগুলো অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হতে হবে যা যে কোন প্রকার শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে।

২. দুপুর

ধাপ ১ঃ আপনার সকালের রুটিন কয়েক ঘন্টার জন্য ভালভাবে স্থায়ী থাকে, কিন্তু তারপর আপনার চা নাস্তার বিরতিতে দুপুরের খাবার খাওয়ার আগে একবার টাচ আপ করে নেওয়া উত্তম। ময়েশ্চারাইজার নিয়ে আপনার পুরো মুখে লাগান অথবা শুষ্ক হয়ে যাওয়া স্থানে লাগান।

ধাপ ২ঃ আপনার ঠোঁটের যত্ন নেওয়া এবং তাদের ময়েশ্চারাইজড রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ঠোট সারাদিন কোমল রাখতে সবসময় একটি বাটার লিপ বাম সাথে রাখুন।

ধাপ ৩ঃ বাহিরের ত্বকের যত্ন ছাড়াও আপনার শরীরের ভিতরে কি প্রবেশ করছে তাতে লক্ষ্য রাখুন। অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন – এটি মৌলিক উপায়। যদি পানি পান করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানীয় এবং পানীয় জাতীয় খাবার খেতে হবে। সচেতন হন এবং সোডার পরিবর্তে সতেজ জুস বেছে নিন।

ধাপ ৪ঃ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান। এটি আপনার ত্বককে ভিতর থেকে দৃঢ়, উজ্জ্বল এবং ময়েশ্চারাইজড করে তুলবে। মাত্রাতিরিক্ত ভাজা খাবার পরিহার করুন এবং বেশিরভাগ কাঁচা এবং সিদ্ধ খাবার বেছে নিন।

ধাপ ৫ঃ এবং আপনি আপনার শিক্ষাক্ষেত্র/ কর্মক্ষেত্র থেকে বের হওয়ার আগে, আরেকবার ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৩. রাত

ধাপ ১ঃ আপনার রাতের স্কিন কেয়ার রুটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন যখন আপনি ঘুমান তখন ত্বকের সবচেয়ে বেশি কাজ হয়, এবং এই সময় আপনি যদি আপনার ত্বকে সঠিক পণ্যটি ব্যবহার করেন, আপনার ত্বক আরো দ্রুত নিরাময় হবে এবং সুস্থ থাকবে।

ধাপ ২ঃ ঘরে ফিরে আসার পর, উষ্ণ পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন এবং একটি ক্লিনজিং তেল অথবা মেকাপ রিমুভার দিয়ে মেকাপ তুলে নিন।

ধাপ ৩ঃ তারপর, আপনার মুখ সকালে যেভাবে পরিষ্কার করেছেন ঠিক সেভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর একটি ভারি এবং নারিশিং নাইট ক্রিম লাগান যা আপনার ত্বককে সারারাত ময়েশ্চারাইজড রাখবে।

ধাপ ৪ঃ আপনাকে অবশ্যই ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

এবং মনে রাখবেন সপ্তাহে একবার অবশ্যই একটি ময়েশ্চারাইজিং ফেইস মাস্ক লাগাবেন এবং ত্বকে স্ক্রাবিং করবেন।

এখন, আপনার শুষ্ক ত্বকের যত্নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

শুষ্ক ত্বকের যত্নের জন্য টিপস

  • . মাত্রাতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে দূরে থাকুন। এটা আপনার ত্বককে আরো শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলে।
  • . সবসময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, এবং এটি আপনার জন্য উত্তম।
  • আপনার ত্বকে ক্লিনজিং করার পর খালি রেখে দিবেন না। সাথে সাথে একটি ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
  • আপনার ব্যাগে সবসময় একটি ময়েশ্চারাইজিং ফেশিয়াল মিস্ট রাখা খুবই উত্তম বুদ্ধি। এটি ব্যবহার করা এবং সাথে রাখা সহজ।
  • যে সকল পণ্যে অনেক বেশি কেমিক্যাল এবং মাত্রাতিরিক্ত সুগন্ধ রয়েছে তা শুষ্ক ত্বকের মানুষের জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ। এরা ত্বককে শুষ্ক, লাল, আঁশযুক্ত এবং চুলকানি প্রবণ করে তুলে।
  • আরামদায়ক কাপড় পরিধান করুন যা আপনার ত্বকে চুলকায় না। হালকা সুতি এবং খাদি কাপড় ভালো বিকল্প।
  • বেশিক্ষণ রোদে থাকা থেকে বিরত থাকুন। ট্যানিং এবং শুষ্কতা একটি মারাত্মক সংমিশ্রণ হতে পারে।
  • আপনার হাতের তালু এবং আঙ্গুল প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজড করবেন কারন এদের দ্বারা সকল প্রকার কাজ করা হয়। আপনার পায়ের তালু ও ময়েশ্চারাইজড করার কথা অবশ্যই মনে রাখবেন।

প্রতিনিয়ত যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে, আপনি আপনার শুষ্ক ত্বককে হারাতে পারেন। আর তার জন্য লক্ষ্যে অটল থাকা এবং হার না মানাই আসল। উপরে উল্লিখিত রূটিনটি অনুসরন করুন, এবং কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার ত্বকে পার্থক্য নিজেই লক্ষ্য করবেন।

Filed Under: Dry Skin

চুল পড়া রোধে ১৫ টি কার্যকরী হেয়ার মাস্ক

by Mohona Leave a Comment

সারা বিশ্ব জুড়ে বেশিরভাগ নারীদের জন্য চুল পড়া একটি বিশাল উদ্বেগের কারন, এবং আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন তাহলে আপনার জেনে রাখা ভালো যে এই সমস্যা সমাধানের অনেকগুলো উপায় আছে।

কিন্তু একটা মাত্র সমস্যা হল পার্লারে গিয়ে এই সব ট্রিটমেন্ট নেওয়ার মত যথেষ্ট সময় সবার থাকে না। আপনার ব্যস্ত সময়সূচির কারণে আপনার চুলের ট্রিটমেন্টের জন্য সময় বের করা খুব কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।

যাইহোক, এখানে আরো অনেক উপায় রয়েছে। চুল পড়া স্থায়ীভাবে বন্ধ ও প্রতিরোধ করার একটি ফলপ্রসূ এবং স্মার্ট পথ হলো ঘরে তৈরি কিছু মাস্ক ব্যবহার করা।

আমরা প্রাকৃতিক ট্রিটমেন্টের কিছু কৌশল একসাথে তুলে ধরলাম যা আপনি আপনার রান্না ঘরের কিছু উপকরণ দিয়ে বানাতে পারবেন।

চুল পড়া প্রতিরোধের কার্যকর হেয়ার মাস্ক

১. ডিমের চুলের মাস্ক

২. কলার মাস্ক

৩. দইয়ের মাস্ক

৪. অ্যাভাকাডো মাস্ক

৫. স্ট্রবেরি মাস্ক

৬. কারি পাতা এবং নারিকেলের হেয়ার মাস্ক

৭. ক্যাস্টোর অয়েল হেয়ার মাস্ক

৮. রোজমেরি মাস্ক

৯. গ্রিন টি মাস্ক

১০. ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাস্ক

১১. দারচিনির মাস্ক

১২. লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেলের মাস্ক

১৩. শুষ্ক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১৪. স্বাভাবিক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১৫. তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

১. চুলের জন্য ডিমের মাস্ক

ডিমে প্রচুর পুষ্টি এবং প্রোটিন আছে যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য খুবই ভালো।

ডিম সকল ধরণের চুলে খুব ভালো কাজ করে এবং আপনার চুলে খুব ভালো পুষ্টি প্রদান করে। যার ফলে চুল পড়া কমে।

এছাড়াও এতে প্রচুর ভিটামিন বি আছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য ঘরে তৈরি কার্যকর হেয়ার মাস্কগুলোর মধ্যে এটি একটি।

কিভাবে আপনি আপনার চুলের জন্য ডিমের মাস্ক তৈরি করবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ১ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়া

  • ডিম ফাটিয়ে নিন এবং অন্যান্য উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রণটি আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে দিন এবং আপনার চুলে মিশ্রণটি ২০ মিনিট রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বিকল্পভাবে, আপনি শুধুমাত্র ডিম চুলে ব্যবহার করতে পারেন নিচের কয়েকটি ধাপের মাধ্যমেঃ

  • কয়েকটি ডিম একসাথে ফাটিয়ে নিন। কুসুম এবং সাদা অংশ ভালোভাবে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
  • আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
  • ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের মাস্কের উপকারিতা

  • প্রোটিন এবং অ্যামিনো সমৃদ্ধ, যা চুলে পুষ্টি জোগায়
  • উজ্জ্বলতা প্রদান করে
  • চুল পড়া কমায়
  • চুল বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগায়

২. কলার হেয়ার মাস্ক

কলা পটাশিয়াম, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক তেল এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ, যা চুল পড়া রোধের জন্য আদর্শ উপকরণ।

কলা সারা বছর ধরে পাওয়া যায় এবং চুল পড়ার জন্য চমৎকার হেয়ার মাস্ক হিসেবে কাজ করে।

নিচে উল্লেখিত কলার হেয়ার মাস্কগুলো অনুসরণ করে আপনার চুল পড়া রধ করতে পারেন।

ঘরেই কিভাবে আপনি আপনার চুল পড়া রোধে কলার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ টি পাকা কলা
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একটি পাত্রে মিশান এবং একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। পুরো মাথা মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে ফেলুন।
  • ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এখানে আরেকটি হেয়ার মাস্কের রেসিপি দেওয়া হল যেটি কলা এবং বাদাম তেল দিয়ে তৈরিঃ

  • কয়েকটি কলা নিন এবং এগুলোর মশ্রিণ পেস্ট করে নিন।
  • এই পেস্টে ৫ থেকে ৮ ফোঁটা বাদাম তেল মিশান।
  • আপনার চুলে মাখুন। চুল বাধুন এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ঢেকে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এরপর অনেক কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা

  • আপনার চুলকে উজ্জ্বল করে
  • আপনার চুল নরম করে
  • খুশকি কমায়
  • ক্ষতি হওয়া কমায়
  • আপনার চুল ময়েশ্চারাইজ করে

৩. দইয়ের হেয়ার মাস্ক

দই ভিটামিন বি, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি দ্বারা গঠিত, যা এটিকে চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বানিয়েছে।

কিভাবে দইয়ের হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ কাপ দই
  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে উপকরণগুলো মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • ১৫ মিনিট মাথায় রাখুন, এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দইয়ের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে।
  • চুলে পুষ্টি জোগায়।
  • চুল মজবুত করে এবং চুলের ভাঙন কমায়।

৪. অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্ক

অ্যাভাকাডো ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ, যা চুল জন্মাতে উৎসাহ জোগায় এবং চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর করে। এতে  এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য আছে, যা একে স্ক্যাল্পের জন্য আদর্শ করে তুলেছে।

আপনার চুলের গঠন উন্নত করা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে এক অথবা দুইবার অ্যাভাকাডো মাস্ক ব্যবহার করুন।

কিভাবে ঘরেই অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ছোট পাঁকা অ্যাভাকাডো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে মশ্রিণ ঘনত্বের একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
  • চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • ১৫ মিনিট চুলে রেখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

অ্যাভাকাডো হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • আগা ফাঁটা কমায়
  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে
  • কোঁকড়াভাব কমায়

৫. স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক

আপনার চুল যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক সবচেয়ে ভালো উপায়। দূষিত লোমকূপের ফলে সৃষ্ট চুল ঝরা কমাতে এই মাস্কটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

চুল জন্মানোর জন্য কিভাবে স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্ক বানাতে হবে?

উপকরণ

  • ৩-৪ টি তাজা স্ট্রবেরি
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু_বাদাম

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • আপনার চুলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্কটি লাগান।
  • ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

স্ট্রবেরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • তৈলাক্ততার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
  • লোমকূপ দূষণমুক্ত করে
  • চুল মজবুত করে
  • চুল পড়া কমায়

৬. কারিপাতা এবং নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্ক

কারি পাতায় প্রচুর প্রোটিন এবং বেটা ক্যারোটিন আছে, যা চুল ঝরার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। নারিকেল তেলের তীব্র বৈশিষ্ট্য এবং এর ফ্যাটি এসিড চেইন একটি সঠিক কম্বো যা চুলের পাতলা হয়ে যাওয়ার বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে। এই মাস্কটি ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার বযবহার করুন।

কিভাবে নারিকেল তেল দিয়ে কারি পাতার হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১০-১২ টি তাজা কারি পাতা
  • ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

প্রক্রিয়া

  • নারিকেল তেলে কারি পাতাগুলো শব্দ না হওয়া পর্যন্ত গরম করুন।
  • তেল সহনীয় পর্যায়ের গরম তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তেলটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • ২০ মিনিটের জন্য মাথায় রাখুন এবং একটি শযাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কারি পাতা এবং নারিকেল তেলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল ঝরা কমায়
  • চুল ময়েশ্চারাইজড করে
  • চুলে পুষ্টি জোগায়

৭. ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার মাস্ক

ক্যাস্টর অয়েল প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। এটি ক্ষতিগ্রস্থ চুল ঠিক করে এবং চুল পুনরায় জন্মাতে উৎসাহ জোগায়।

কিভাবে ক্যাস্টোর অয়েল হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টোর অয়েল
  • ২ টেবিল চামচ ব্র্যান্ডি (এক ধরণের করা মদ)
  • ১ টি ডিম

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে ম্যাসাজ করুন।
  • ৩০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ক্যাস্টর অয়েল হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • কোঁকড়াভাব হ্রাস করে।
  • চুল জন্মাতে সাহায্য করে।
  • চুল পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৮. রোজমেরি হেয়ার মাস্ক

যদি আপনি চুল জন্মানোর জন্য সেরা হেয়ার মাস্কটির সন্ধান করে থাকেন, তাহলে এটিই সেই হেয়ার মাস্ক। অনেক বছর ধরেই চুলের বৃদ্ধির জন্য রোজমেরি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে যা র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ ভালোভাবে কুচি করা রোজমেরি
  • ১ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • এক কাপ পানিতে কুচি করা রোজমেরি কয়েক মিনিট সেদ্ধ করে নিন।
  • পানিটা ছেঁকে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
  • ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর, লিকুইডটি আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
  • ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রোজমেরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুল পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে
  • চুল মজবুত করে
  • র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

৯. গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক

গ্রিন টি এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং র‍্যাডিকেলের কারণে চুল ঝরা প্রতিরোধের সহজ সমাধান।

কিভাবে ঘরেই গ্রিন টি হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টি ডিমের কুসুম
  • ২ টেবিল চামচ গ্রিন টি

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো একসাথে নিয়ে একটি ক্রিমি গঠন না হওয়া পর্যন্ত মিশান।
  • একটি ব্রাশ দিয়ে মিশ্রণটি আপনার চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শ্যাম্পু করার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গ্রিন টি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • প্রোটিন চুল এবং স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায়
  • চুল ঝরা কমায়
  • এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

১০. ভিটামিন ই ক্যাপসুল হেয়ার মাস্ক

ভিটামিন ই তেল এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি এ্যান্টি-ফাংগাল এবং এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে এবং চুল ঝরা কমায়। এই মাস্কটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

কিভাবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ২ ভিটামিন ই ক্যাপসুল
  • ১ টেবিল চামচ বাদাম তেল
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
  • ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল
  • কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এ্যাসেন্সিয়াল তেল

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণ একসাথে মিশান। আপনি চাইলে বেশি পরিমাণে বানিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।
  • আপনার সম্পূর্ণ চুলে তেলটি লাগান।
  • তেলটি সারারাত চুলে রাখুন এবং পরের দিন সকালে শ্যাম্পু ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ভিটামিন ই হেয়ার প্যাকের উপকারিতা

  • এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্যে স্ক্যাল্প সুস্থ রাখে।
  • এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
  • গোড়া মজবুত করে।
  • চুল পড়া কমায়।

১১. লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেল

লেবু আপনার কোষ এবং চুল পরিষ্কার করার জন্য উপযুক্ত এবং ধুলাবালি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি ভালো উপায়।

কিভাবে ঘরে লেবুর হেয়ার মাস্ক তৈরি করবেন?

উপকরণ

  • ২ টি লেবু
  • ১/৪ কাপ টক ক্রিম
  • ১/৪ কাপ গম বীজের তেল

প্রক্রিয়া

  • লেবুর রসগুলো বের করে নিন এবং সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান এবং এক ঘন্টা রেখে দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগান।

লেবু, ক্রিম এবং গম বীজের তেলের মাস্কের উপকারিতা

  • গ্রন্থিগুলো দূষনমুক্ত করে
  • জমে থাকা ধুলাবালি দূর করে
  • গোড়া মজবুত করে
  • বিভিন্ন রকম চুলের জন্য এটি আদর্শ হেয়ার মাস্ক

১২. শুষ্ক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

এই হেয়ার মাস্কটি আপনার চুলকে খুবই ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে, নরম করে এবং কোঁকড়াভাব কমায়। এটি একটি উপযুক্ত কন্ডিশনিং মাস্ক।

শুষ্ক চুলের জন্য কিভাবে ঘরেই হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মধু
  • ১ চা চামচ বাদামের পেস্ট (৪ টি বাদাম ১/২ টেবিল চামচ গোলাপজল দিয়ে ব্লেন্দ করে নিন)
  • ২ টেবিল চামচ ক্রিম

প্রক্রিয়া

  • মধু এবং বাদামের পেস্ট একটি পাত্রে একসাথে মিশান।
  • ক্রিম সামান্য ফুলে না যাওয়া পর্যন্ত ফাটিয়ে নিন এবং মধু-বাদামের মিশ্রণে মিশিয়ে নিন।
  • আপনার চুলে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাস্কটি লাগান। ৩০ মিনিট পর্যন্ত মাথায় রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন। একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং আপনার চুলকে স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন।

নোটঃ আপনি ক্রিমের পরিবর্তে দই ব্যবহার করতে পারেন, ফলাফল সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

শুষ্ক চুলের জন্য ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুলকে ময়েশ্চারাইজড করে
  • স্ক্যাল্পকে শীতল করে
  • স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদান করে

১৩. স্বাভাবিক চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

এটি সম্ভবত বানাতে সবচেয়ে সহজ হেয়ার মাস্ক, এবং এটি আপনি এক সপ্তাহ ধরে রেখে দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই ফ্রিজে রাখতে হবে। এই মাস্ক চুল থেকে হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও এই মাস্ক চুলের কোমলতা পুনরুদ্ধার করে।

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ বাদাম তেল
  • ১ চা চামচ মধু
  • ৪ টেবিল চামচ ফ্ল্যাট বিয়ার

প্রক্রিয়া

  • ডিম এর কুসুমটি সাদা অংশ থেকে আলাদা করে নিন এবং বাকি উপকরণগুলোর সাথে মিশান।
  • মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান।
  • এখন ডিমের সাদা অংশটির সাথে ৪ টেবিল চামচ ফ্ল্যাট বিয়ার মিশান। ফুলে না উঠা পর্যন্ত ফ্যাটাতে থাকুন।
  • এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান।
  • একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার চুল ঢেকে দিন এবং ৩০-৪০ মিনিট আপনার চুলে মিশ্রণটি রাখুন।
  • একটি ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং চুল স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন।

স্বাভাবিক চুলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চুলকে রেশমি এবং ঘন করে
  • চুলে উজ্জ্বলতা প্রদান করে
  • চুলে পুষ্টি জোগায়
  • স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে

১৪. তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক

অনেক মানুষ তৈলাক্ত চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে ভয় পায় কারণ তখন হয়ত চুল আরো তৈলাক্ত হয়ে যাবে। তৈলাক্ত চুলের মাস্কের জন্য এমন উপকরণ খুঁজতে হবে যা তেলের নিঃসরণ কমায়, এবং আপনার চুলের পুষ্টিগুণ দূর করে দেয় না। এই হেয়ার মাস্কটি তৈলাক্ত চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এবং নিখুঁতভাবে কাজ করে।

কিভাবে ঘরে তৈলাক্ত চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক বানাবেন?

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ পানি
  • ১ চিমটি ফ্রুট সল্ট
  • ২ টি আমলকির পেস্ট
  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ

প্রক্রিয়া

  • ডিমের সাদা অংশ ফ্যাটিয়ে নিন যতক্ষণ পর্যন্ত না সাদা অংশ ফুলে উঠে এবং অন্যান্য উপকরণগুলো মিশান।
  • চুলে মিশ্রণটি লাগান।
  • ২০-৩০ মিনিট চুলে রাখুন এবং ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
  • একটি ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন এবং বাতাসে শুকিয়ে নিন।

তৈলাক্ত চুলের হেয়ার মাস্কের উপকারিতা

  • চিটচিটে ভাব দূর করে
  • চুলকে ঘন করে।
  • লোমকূপ ধুলাবালি মুক্ত করে এবং চুল পড়া কমায়

কার্যকর এবং প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্কগুলোর মধ্যে এখানে কিছু দেওয়া হল যা আপনি আপনার চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সহায়তা করে।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া)

৭ টি সহজ উপায়ে আপনার চুলকে করে তুলার সিল্কি, লম্বা এবং কোমল

by Mohona Leave a Comment

যখন আপনি কারো লম্বা ও সুন্দর চুল দেখেন তখন নিজেকে ঈর্ষান্বিত না হওয়া থেকে বিরত রাখাটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।

আর যখন আপনি জানতে পারেন তারা জন্মই হয়েছে এরকম সুন্দর চুল নিয়ে আর আপনি আঁটকে আছেন আপনার সেই শুষ্ক, রুক্ষ, কোঁকড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণ অসাধ্য চুল নিয়ে যেই চুলে কোন উজ্জ্বলতাই নেই তখন কষ্টটা আরো বেশিই হয়।

কিন্তু, অনেক নারী জানেই না যে এই সমস্যাগুলোর সমাধানও আছে। সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার চুলকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। নিচে আমি ৭ টি সহজ উপায়ের তালিকা দিয়েছি যা আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর, লম্বা, রেশমি এবং কোমল করে তুলবে।

কিভাবে আপনার চুলকে রেশমি, লম্বা এবং কোমল করে তুলবেন | Chul Lomba Korar Upay

১. অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • অ্যালোভেরা পাতা
  • ২ টেবিল চামচ পানি
  • স্প্রে বোতল

প্রক্রিয়া

  • অ্যালভেরা পাতা থেকে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ জেল নিন। অবশ্যই পরিষ্কার জেলটি ব্যবহার করবেন, হলুদটি না।
  • মশ্রিণ ঘনত্ব পাওয়ার জন্য ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
  • জেলে ২ টেবিল চামচ পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশান।
  • একটি স্প্রে বোতলে লিকুইডটি ঢালুন এবং ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • চুল ধুয়ে শুকানোর পর অ্যালোভেরা সল্যুশনটি আপনার চুলে স্প্রে করুন।
  • আবার চুল ধোয়া লাগবে না। অর্থাৎ, চুলের স্প্রের মত করেই ব্যবহার করুন।

কতবার?

সপ্তাহে ৩-৪ বার।

কেন কাজ করে?

অ্যালোভেরাতে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম রয়েছে যা আপনার স্ক্যাল্পের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ পুনরায় ঠিক করে। এটি গ্রন্থিকোষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে এবং আপনার চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এই উপকরণের আদ্রতা বৈশিষ্ট্য আপনার চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন চুলকে কন্ডিশনড রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলকে একটি মসৃণ গঠন প্রদান করবে এবং কোঁকড়াভাব কমাবে।

২. নারিকেল তেল/অলিভ অয়েল দিয়ে গরম তেল ম্যাসাজ

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল/অলিভ অয়েল
  • গরম তোয়ালে

প্রক্রিয়া

  • ২-৩ টেবিল চামচ (আপনার চুলের লম্বার উপর পরিমাণ নির্ভর) আপনার পছন্দের তেল নিন এবং হালকা গরম না হওয়া পর্যন্ত কয়েক সেকেন্ড তেলটি গরম করুন।
  • আপনার স্ক্যাল্পে তেলটি ম্যাসাজ করুন এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেলটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন এবং এবং আরো ৩০ মিনিট তেলটি মাথায় রাখুন।
  • তেল মাথায় রেখে অপেক্ষা করার সময় আপনার চুল একটি গরম তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • একটি সালফেট মুক্ত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুয়ে প্রক্রিয়া শেষ করুন।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ২ বার।

কেন কাজ করে

গরম তেলের ম্যাসাজ আপনার চুলের কোষগুলোকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি আপনার চুলের জন্য একটি কার্যকর কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট যা খুশকি এবং চুলকানির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে। এটির আপনার চুলের গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা আছে, যা আপনার চুলে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি জোগায়। অলিভ অয়েল এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই তে পরিপূর্ণ যা আপনার চুলকে কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে, সেই সাথে চুলের ক্ষয় প্রতিরোধ এবং সংশোধন করতে সাহায্য করে।

৩. দই

উপকরণ

  • ১ কাপ দই
  • ২ টেবিল চামচ আমলকি গুড়ো

প্রক্রিয়া

  • দুইটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • উপকরণগুলো আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • আপনার চুল উপকরণগুলো দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে যাওয়ার পর ৩০ মিনিট মাস্কটি মাথায় রাখুন।
  • একটি সালফেট মুক্ত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • কন্ডিশনার লাগান।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ১-২ বার।

কেন কাজ করে

দই ভিটামিন বি৫ এবং ডি বহন করে যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার চুলগুলোকে মজবুত করতে সাহায্য করে, সেই সাথে খুশকির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। মাস্কে থাকা আমলকি আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে স্ক্যাল্পে প্রচুর ভিটামিন সি প্রদান করে।

৪. ডিম

উপকরণ

  • ১ টি পুরো ডিম
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • শাওয়ার ক্যাপ

প্রক্রিয়া

  • ডিমটি ফাটিয়ে নিয়ে সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল পুরোপুরি ঢেকে গেলে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • চুল থেকে পেস্টের গড়িয়ে পরা এড়ানোর জন্য আপনি একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে দিন।
  • ঠান্ডা পানি এবং সালফেট মুক্ত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ১-২ বার।

কেন কাজ করে

ডিম সবচেয়ে বেশি প্রোটিনের উৎসগুলোর মধ্যে একটি। এটি আপনার চুলে পুষ্টি এবং উজ্জ্বলতা প্রদানে সহায়তা করে এবং চুলের গঠন উন্নত করে। এটি ক্ষতিগ্রস্থ চুল ঠিক করে এবং নিষ্প্রাণ চুলে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়। সবসময় এই চুলের মাস্কটির ব্যবহারে আপনার চুলকে মজবুত এবং কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে এবং চুলকে আরো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৫. মেথির বীজ

উপকরণ

  • ১/৪ কাপ মেথির বীজ
  • ১ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • মেথির বীজ পানিতে ভিজান এবং সারারাত রেখে দিন।
  • পরেরদিন সকালে সামান্য পানি দিয়ে বীজগুলো ব্লেন্ড করে নিন যাতে মশ্রিণ একটি মিশ্রণ তৈরি হয়।
  • পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • মেথির বীজ ৩০ মিনিট আপনার চুলে রাখুন।
  • একটি সালফেট মুক্ত কোমল শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ১ বার।

কেন কাজ করে

মেথির বীজে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং লিকিথিন আছে। চুলের এই প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলো চুল ঝরে পরা, খুশকি হওয়া, ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া এবং চুল পেঁকে যাওয়া প্রতিরোধে একসাথে কাজ করে, সেই সাথে চুল ঘন ও মজবুত করতে সাহায্য করে।

৬. পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • একটি বড় আঁকারের পেঁয়াজের রস
  • ৩-৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এ্যাসেন্সিয়াল তেল

প্রক্রিয়া

  • সকল উপকরণ একসাথে মিশান।
  • সল্যুশনটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ম্যাসাজ করুন।
  • ১০-১৫ মিনিট পেঁয়াজের রস মাথায় রাখুন।
  • একটি সালফেট মুক্ত কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • কন্ডিশনার লাগিয়ে প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত করুন।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ২ বার।

কেন কাজ করে

পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুল পুনরায় জন্মাতে সাহায্য করে। এতে সম্ভবত উচ্চ সালফার বৈশিষ্ট্য আছে যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ভালো পুষ্টি প্রদান করে। এছাড়াও পেঁয়াজ বায়োটিন, ম্যাংগানিজ, ফ্লেভানয়েডস, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ফলিক এসিড এবং কপারের খুব ভালো উৎস যা চুলের স্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বলতা পুণরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • এক কাপ পানির সাথে আপেল সিডার ভিনেগার মিশান এবং একটি জগে নিন।
  • একটি সালফেট মুক্ত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • আপনার চুল কন্ডিশন করুন।
  • চুল কন্ডিশন করার পর আপেল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণটি চুলে ঢালুন।
  • চুল আবার ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

কতবার?

প্রতি সপ্তাহে ১ বার।

কেন কাজ করে

এই ট্রিটমেন্টটি চুলের ধূলাবালি, তেল, ময়লা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তীব্র রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ছাড়াই এটি আপনার চুল পরিষ্কার করে, আপনার চুলকে নরম এবং রেশমি করে তোলে।

অতিরিক্ত কিছু টিপস

১. একটি সুষম খাদ্যতালিকা অনুসরণ করুন

আপনার চুলে যথেষ্ট পুষ্টির যোগান দেওয়াই স্বাস্থ্যকর চুল পাওয়ার মূল চাবিকাঠি। আপনার চুল যদি ভেতর থেকে পুষ্টিকর না হয় তাহলে আপনি আপনার চুলে কি দিচ্ছেন তা মোটেও গুরুত্ব পাবেনা। নিশ্চিত করুন যে আপনি প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং পুষ্টি পাচ্ছেন। এছাড়াও, নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন।

২. সঠিক পণ্য বাছাই করুন

যখন আপনার চুলের স্বাস্থ্যের কথা আসে তখন প্রাকৃতিক অথবা হারবাল শ্যাম্পু যাতে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক যেমন এস.এল.এস এবং সালফেট নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এর কারণ হল সালফেট চুলের জন্য ক্ষতিকর এবং আপনার চুলের প্রাকৃতিক তেল মুছে ফেলে। একটি ভালো চুলের কন্ডিশনার যা সিলিকন মুক্ত তাতে বিনিয়োগ করা খুব ভালো একটি চিন্তা।

৩. তেল ম্যাসাজ

সপ্তাহে অন্তত একবার নিজেকে (অথবা কারো মাধ্যমে) একটি চমৎকার এবং আরামাদায়ক তেলের ম্যাসাজ প্রদান করুন। তেলের ম্যাসাজ শুধু চিন্তা মুক্ত করতেই সাহায্য করে না, এটি মাথার রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা আপনার কোষগ্রন্থি গুলোতে পুষ্টি জোগায়।

৪. বড় দাঁতযুক্ত কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন

বড় দাঁতযুক্ত কাঠের চিরুনি চুলের ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে। চুল আচড়ানোর জন্য এটি একটি আদর্শ চিরুনি। প্রতিদিন কয়েকবার চুল আচাড়ানো উচিত এতে স্ক্যাল্পের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ভিজা অবস্থায় চুল আচড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ ভিজা চুল খুব নরম এবং ভঙ্গুর থাকে।

৫. কন্ডিশনিং কখনো বাদ দিবেন না

যখন চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার কথা আসে তখন কন্ডিশনিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্যাম্পুর করার পর চুল কন্ডিশনিং করা কখনোই বাদ দিবেন না। সপ্তাহে অন্তত একবার ঘরে তৈরি খুবই হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করে চুলের গভীর কন্ডিশনিং করা খুবই ভালো একটি উপায়। যদি আপনার চুল খুবই শুষ্ক হয়, তাহলে খুব ভালো আদ্রতা সম্পন্ন কন্ডিশনার ব্যবহার করা উত্তম উপায়।

৬. সবসময় ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুবেন

ঠান্ডা পানি আপনার চুলের কোষগুলো বন্ধ করতে সাহায্য করে, আপনার চুল কোমল এবং রেশমি করতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুল থেকে আদ্রতা হারিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৭. নিয়মিত চুল ট্রিম করুন

৬-৮ সপ্তাহ পর পর আপনার চুল ট্রিম করা আবশ্যক। এটি চুলে দুমুখো আগা হওয়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের আগার অন্যান্য ক্ষতিও প্রতিরোধ করে।

৮. চুলে হিট প্রদানের সরঞ্জামগুলোর ব্যবহার বন্ধ করুন

প্রতিদিন চুলে হিট প্রদান করা আপনার চুলের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি আপনার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে আসক্ত হন, তাহলে এমন কিছু চুলের স্টাইল ব্যবহার করতে হবে যাতে কোন প্রকার হিট ব্যবহার করা লাগে না।

৯. চুল মাত্রাতিরিক্ত পরিষ্কার করবেন না

প্রতি সপ্তাহে তিন বারের বিশি চুল ধুলে চুল নিস্তেজ, শুষ্ক এবং প্রাণহীন হয়ে পড়ে। তাই সপ্তাহে শুধুমাত্র ২-৩ বার চুল পরিষ্কার করবেন।

১০. আপনার চুল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শুকাতে দিন

ব্লো-ড্রায়ার ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার চুল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শুকাতে দিন। শুধুমাত্র আলতো করে আপনার চুলের অতিরিক্ত পানি একটি তোয়ালে দিয়ে নিঙরে নিন এবং পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত খোলা রাখুন। তোয়ালে দিয়ে খুব জোরে আপনার চুল ঘষবেন না কারণ এতে আপনার চুলের ক্ষতি হতে পারে।

এখন আপনি জানেন কিভাবে আপনি আপনার চুল রেশমি, লম্বা এবং কোমল করবেন। তাহলে আর দেরি কেন? এখনি সময় এই প্যাকগুলো পরীক্ষা করে দেখার। সুন্দর চুল পাওয়া অসাধ্য কিছু নয়, সঠিক রুটিন অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বপ্নের চুল পাবেন।

Filed Under: Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)

খুশকি দূর করতে মেহেদির ব্যবহার (বিস্তারিত নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona Leave a Comment

খুশকি স্ক্যাল্পের একটি সাধারণ সমস্যা যা শুষ্কতা এবং চুলকানির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

স্ক্যাল্পে থাকা ক্ষুদ্র, আলগা সাদা আঁশগুলো চুলকানির মূল কারণ। যদি আপনার খুশকি শুষ্ক হয় তাহলে যখন আপনি চুল আঁচড়াবেন তখন এই আঁশগুলো আপনার পিঠে এবং কাঁধে ঝরে পরবে। তৈলাক্ত আঁশগুলো স্ক্যাল্পে লেগে থাকে এবং ওখানেই জমতে থাকে।

খুশকি বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন, হরমোনের পরিবর্তন, সঠিকভাবে চুল না ধুলে ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর এবং ঘন চুল পাওয়ার জন্য খুশকি দূর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খুশকির চিকিৎসায় মেহেদি

মেহেদির উপকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি বহু বছর ধরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এটি চুলের প্রাকৃতিক রং হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং চুলের গভীর কন্ডিশনিং করে। এটি কঠিন খুশকি থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে।

আমি কিছু মেহেদি প্যাকের তালিকা করেছি যেগুলো আপনাকে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং খুশকির বার বার ফিরে আসা প্রতিরোধ করবে। মেহেদির প্যাক চুলে পনেরো দিন পর পর ব্যবহার করা উচিত।

কারন, মেহেদি আপনার চুলকে শুষ্ক করে দিতে পারে তাই এটি সবসময় ব্যবহার করবেন না। আরেকটি নোট হল, খুশকি দূর করতে চুলের মেহেদি প্যাকগুলো তেল দেওয়া চুলে কাজ করে না।

প্যাক ১ঃ মেহেদি, লেবু এবং দই

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • একটি লেবুর রস
  • দই

মেহেদির গুড়ো লেবুর রস এবং দইয়ের সাথে মিশান। ভালোভাবে মিশান যাতে দলা পাকিয়ে না যায়। মশ্রিণ একটি পেস্ট বানান যা গড়িয়ে পরবে না। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এই মেহেদির পেস্টটি লাগান। ৩০ মিনিট প্যাকটি মাথায় রাখুন এবং একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ২ঃ মেহেদি, অলিভ অয়েল এবং মেথির চুলের প্যাক

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • একটি লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার এবং মেথির বীজের গুড়ো
  • ২ টেবিল চামচ দই

একটি পরিষ্কার কাঁচের পাত্রে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং ১২ ঘন্টা রেখে দিন। সারারাত এটিকে রেখে দিন, যাতে আপনি পরেরদিন সকালে এটি সবার প্রথমে লাগাতে পারেন। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত সব জায়গাতে লাগান। ২-৩ ঘন্টা পেস্টটি চুলে রেখে দিন এবং হালকা শ্যম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ৩ঃ ডিম এবং মেহেদির প্যাক

উপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ মেহেদির গুড়ো
  • মিশানোর জন্য পানি
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ২ টেবিল চামচ ফ্যাটানো ডিমের সাদা অংশ

সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশান যাতে দলা পাকিয়ে না যায়। আপনার স্ক্যাল্পে লাগান, চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। পেস্টটি মাথায় ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় তাহলে প্যাকটি ব্যবহারের পর চুলে কন্ডিশনার দিবেন।

প্যাক ৪ঃ সরিষার তেল এবং মেহেদি

উপকরণ

  • ২৫০ মিলি সরিষার তেল
  • ২ মুঠো তাজা মেহেদি পাতা
  • ১ চা চামচ মেথির বীজ
  • একটি শুকনো পাত্র

এটি সবচেয়ে কার্যকরী তেলগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্যানে তেল ঢালুন এবং গরম করে নিন। গ্যাস বন্ধ করুন। যখন তেল সামান্য ঠান্ডা হবে তখন মেহেদি পাতা এবং মেথির বীজ এতে ঢালুন। কৌশলটি হল তেলের রং পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত মেহেদি পাতা তেলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তেল ঠান্ডা হতে দিন এবং সারারাত প্যানে রেখে দিন।

পরের দিন সকালে তেল ছেঁকে নিয়ে একটি বায়ুরোধী বোতলে বা পাত্রে ঢেলে সংরক্ষণ করুন। চুলের ম্যাসাজ করতে এই তেলটি ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার আগে এই তেল ১ ঘন্টা মাথায় রাখুন। একটি হালকা শ্যম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং কন্ডিশনার লাগান।

তাহলে আর দেরি কেনো? খুশকি দূর করার এই ৪ টি মেহেদি প্যাকের যে কোন একটি আজই ট্রাই করুন এবং খুশকিকে বিদায় জানান।

Filed Under: Dandruff (খুশকি)

খুব সহজে ঘরে বসেই এখন আপনি আপনার চুলের তৈলাক্ততা দূর করতে পারবেন (বিস্তারিত নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona Leave a Comment

প্রতিদিন সকালে আপনি আপনার চুল ধুয়ে নেন এবং খুব সুন্দরভাবে চুল স্টাইল করে নেন, এবং আপনি প্রস্তুত সারাদিন সুন্দরভাবে থাকার জন্য। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর আয়নাতে একবার নজর দিলে আপনি অন্য কাউকে আবিষ্কার করবেন। আপনার চুল তৈলাক্ত এবং চিটচিটে হয়ে গেছে, যা দেখে মনে হবে আপনি এর আগে সকালে চুল একবারের জন্য পরিষ্কার করেননি।

এর মানে হলো আপনার চুল তৈলাক্ত। তেলগ্রন্থির কারণে চুলের আগা ভাঙন থেকে রক্ষা পায় এবং আপনার স্ক্যাল্প ভালো অবস্থায় থাকে। নানা রকম কারণে যেমন হরমোনের ঊঠা-নামা, বংশগত কারণ অথবা আপনার চুলের প্রাকৃতিক গঠনের কারণে এই গ্রন্থিগুলো মাত্রাতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে। চিন্তার কোন কারণ নেই। আমাদের কাছে তৈলাক্ত চুলের জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় আছে।

তেলের নিঃসরণ চুলের জন্য ভালো কারণ এটা চুলের গোড়া শক্ত করে কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, এবং এর প্রমান তৈলাক্ত চুল দেখেই পাওয়া যায়। আর, এই সমস্যা বর্তমান নারীদের অনেক বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলছে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রতিযোগীতা করে অনেক পণ্য উৎপাদন করছে যা অতিরিক্ত তেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এদের মধ্যে কয়টা যে কাজ করে তা কেউ বলতে পারেনা।

আজ আমরা আপনাদের কিছু টিপস দিব যা আপনাদের চুলের তেলতেলে ভাব কমিয়ে আনবে এবং আপনার চুল আরো বাউন্সি করবে। নিচে তৈলাক্ত চুলের জন্য ঘরে তৈরি কিছু টিপস দেওয়া হলো।

১. তৈলাক্ত চুলের জন্য শ্যাম্পু

যদি আপনার চুল তৈলাক্ত হয় তাহলে চুল পরিষ্কার এবং তেলতেলে মুক্ত রাখার জন্য প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করাটাই উত্তম।

আপনার তৈলাক্ত চুলের জন্য একটি শ্যাম্পু বাছাই করে নিন। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয়, তাহলে চুল ময়েশ্চারাইজড এবং নরম রাখার জন্য একটি পুষ্টিকর কন্ডিশনার শুধুমাত্র আপনার চুলের আগাতে ব্যবহার করুন। যদি আপনার চুলের সাথে সাথে আপনার স্ক্যাল্পও তৈলাক্ত হয় তাহলে শ্যাম্পুই আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল দুইটিরই একসাথে যত্ন নেয়। একটি পিএইচ ব্যালেন্স শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা হালকা এবং যা তৈলাক্ত চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।

শ্যাম্পু করার সময় আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করবেন। আপনার স্ক্যাল্পে লেগে থাকা তেল এবং ধুলাবালি পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক। সবসময় একটি হালকা শ্যাম্পু কিনবেন যা সবসময় ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত।

২. ভালোভাবে ধুয়ে নিন

যখন শ্যাম্পু করবেন, তখন অবশ্যই চুল ভালোভাবে ধুবেন। ভালোভাবে চুলের শ্যাম্পু পরিষ্কার না করলে লেগে থাকা অবশিষ্ট শ্যাম্পু আরো তেল এবং ময়লা বাড়াবে। চুলে কখনোই কোন সাবান বা শ্যাম্পু লেগে থাকতে দিবেন না। আপনার চুলে লেগে থাকা প্রতিটি সাবানের ফেনা ভালোভাবে ধোয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলে লেগে থাকা শ্যাম্পু শুধু আপনার চুল তৈলাক্ত এবং চিটচিটেই করেনা, এটি চুলের জন্য খুব ক্ষতিকরও।

৩. প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন

তেল নিঃসরণের ফলে ধুলাবালি এবং দূষিত কণা আপনার স্ক্যাল্পে জমে যায়। তাই প্রতিদিন আপনি আপনার চুল শ্যাম্পু করুন। আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে শ্যাম্পুটি খুব রুক্ষ না হয়। কারণ, রুক্ষ প্রকৃতির শ্যাম্পু প্রাকৃতিক তেল তুলে ফেলে যা মোটেও ভালো না। প্রতিদিন শ্যাম্পু করা আপনার স্ক্যাল্পকে সতেজ এবং পরিষ্কার রাখবে। শ্যাম্পু লাগানোর সময় আপনার আঙ্গুল দিয়ে আলতোভাবে স্ক্যাল্প ঘষুন এতে করে স্ক্যাল্পে তেল হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকবেনা।

৪. বিশেষ ভাবে বানানো শ্যাম্পু ব্যবহার করুন

তৈলাক্ত চুলের জন্য বিশেষভাবে বানানো শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। স্বাভাবিক চুলের শ্যাম্পুর পিএইচ ৪.৫ এবং ৬.৭ এর ভেতর হয়, কিন্তু তৈলাক্ত চুলের শ্যাম্পুর পিএইচ এর থেকে আরো বেশি হয়।

৫. সপ্তাহে একবার তেল ম্যাসাজ করুন

চুলের যত্নে তেল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারিকেল তেলের সাথে বাদাম তেল মিশান। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল যোগ করুন। স্ক্যাল্প এবং মাথা ম্যাসাজ করার জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এক ঘন্টার জন্য তেল মাথায় রেখে দিন। একটি ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং নিশ্চিত করুন আপনি ভালোভাবে আপনার চুল পরিষ্কার করেছেন। তেলের কোন চিহ্ন যাতে থেকে না যায়। এটা আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। একই সময়ে, যেহেতু আপনি এই তেল এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে রাখতে পারবেন না, তাই এটি আপনার চুলে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। সারারাত চুলে তেল লাগিয়ে রাখবেন না কারণ তখন এই তেল আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

গরম তেলের ট্রিটমেন্ট সরাসরি স্ক্যাল্পে লাগানো তৈলাক্ত এবং চিটচিটে চুলে খুবই চমৎকার কাজ করে। আমি নিশ্চিত আপনি আশ্চর্য হয়ে বলছেন, কিভাবে? এখানে একটি সহজ কৌশল দেওয়া হল।

  • আস্তে আস্তে তেল আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
  • এরপরে তৈলাক্ত চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার দিয়েও আপনি চুল ধুতে পারেন অথবা এক মগ পানিতে সাদা ভিনেগার গুলে নিয়ে তা মাথায় লাগাতে পারেন।

এটি আপনার চুলের গোড়া হাইড্রেট করে চুলকে ভালোভাবে কন্ডিশনিং করে। এবং এরপর পরেই চুল ধুয়ে ফেলার ফলে, আপনার চুলের অতিরিক্ত তেল চলে যায় এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল চুলে রয়ে যায়।

৬. অ্যালোভেরা

তৈলাক্ত চুলের জন্য অ্যালোভেরা সবচেয়ে উত্তম প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে একটি। তার জন্য, ১ কাপ হালকা শ্যাম্পু নিন এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল এতে ঢালুন। এটিকে মিশিয়ে নিন এবং একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এই মিশ্রণটি প্রায় ১ সপ্তাহ ভালো থাকবে। তৈলাক্ততা দূর করতে প্রতিদিন শ্যাম্পুর এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুতে হবে।

আপনি একটি কন্ডিশনার বানাতে পারেন তাজা অ্যালোভেরা জেল (অথবা ভালো ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল) ব্যবহার করে এবং এর সাথে শুধু ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার অথবা ২ টেবিল চামচ লেবুর রস অথবা দুইটির প্রতিটি ১ টেবিল চামচ করে মিশাতে হবে। এটা সবধরণের চুলের জন্য খুবই ভালো।

৭. সতর্কভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন

আপনার চুলের শুধুমাত্র অগ্রভাগেই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যদি চুল শুষ্ক হয় তাহলেই ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার তৈলাক্ত চুলে ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় না কারণ এরা চুলকে কোট করে ফেলে। অর্থাৎ, কন্ডিশনারে ময়েশ্চারাইজার থাকে। এই ময়েশ্চারাইজার শুধু চুল তৈলাক্ত এবং চিটচিটে করে তুলে।

৮. সিরাম এবং গ্লসি জেল পরিহার করুন

তৈলাক্ত চুলের একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আছে। তাই চুলে উজ্জ্বল সিরাম এবং গ্লসি জেল ব্যবহার করা পরিহার করুন। এগুলো আপনার চুলের জন্য প্রয়োজনীয় না। এগুলো শুধু আপনার চুলে সমস্যা বাড়াবে।

৯. চুলে অতিরিক্ত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন

আপনার চুল অতিরিক্ত ব্রাশ করবেন না। কারণ যতবার আপনি চুল ব্রাশ করবেন ততবার আপনার স্ক্যাল্প থেকে তেল নিঃসরণ হবে।

১০. স্ক্যাল্প নখ দিয়ে আঁচড়ানো অথবা ঘষবেন না

কখনো খুব জোরে তোয়ালে স্ক্যাল্পে ঘষবেন না অথবা নখ দিয়ে আঁচড়াবেন না। এটা আপনার স্ক্যাল্পে ক্ষত, তৈলাক্ত খুশকি অথবা তেল গ্রন্থিকে আরো তেল নিঃসরণে উৎসাহিত করতে পারে।

১১. অতিরিক্ত তেল অপসারণে বেবী পাউডার

আপনার যদি খুব তাড়া থাকে যার কারণে চুল ধোয়ারও সময় হচ্ছে না, তাহলে কিছু বেবী পাউডার ছিটিয়ে দিন। ৫ মিনিট এটিকে বসতে দিন এবং ভালোভাবে চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে নিন। পাউডার অতিরিক্ত তেল শুষে নিবে এবং আপনার চুলে ভালো সুগন্ধ দিবে।

১২. ভিনেগার এবং লেবুর রসের মিশ্রণ

চিটচিটে ভাব দূর করার আরেকটি উপায় হল শ্যাম্পু করার পর ভিনেগার এবং লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়া। এর জন্য, ২ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার অথবা একটি লেবুর রস এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। শ্যাম্পু করার পর, এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল অবশ্যই ধুতে হবে এবং এর পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল আরেকবার ধুয়ে নিতে হবে।

১৩. চা

শ্যাম্পু করার পর চুল চা এর মিশ্রণ দিয়েও ধোয়া যাবে। চাতে ট্যানিক এসিড আছে যা এ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে, তৈলাক্ততা কমায়। এক গ্লাস পানিতে চা পাতা সিদ্ধ করে নিন। যখন এটি কুসুম গরম হবে, তখন চায়ের পানিটা স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান এবং কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। পানি এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১৪. পুদিনা

পুদিনা পাতাও চুলের তৈলাক্ততা দূর করতে ব্যবহার হয়। একমুঠো পুদিনা পাতা দুই গ্লাস পানিতে ১৫-২০ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুতে মিশান এবং আপনার চুলে লাগান। পুদিনাতে এ্যাসট্রিনজেন্ট আছে যা চুলে লাগালে অতিরিক্ত তেল দূর করে।

১৫. ডিমের কুসুম এবং লেবুর রসের মাস্ক

অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করার আরেকটি উপায় হল ডিমের কুসুম ব্যবহার করা। এটা শুধু তৈলাক্ততা দূর করে না, এটা চুলে উজ্জ্বলতাও প্রদান করে। এটি তৈরি করতে দুইটি ডিমের কুসুম নিন; কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এতে ঢালুন এবং একসাথে ফাটিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি আপনার ভিজা চুলে লাগান এবং ৫-৭ মিনিট রেখে দিন। এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। চুলের তৈলাক্ততা থেকে মুক্তি পেতে একজনকে এই মিশ্রণটি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে।

 

১৬. ওটমিল

ওটমিল তৈলাক্ত চুলের জন্য খুব ভালো। এটি ঘন হওয়ার কারনে স্ক্যাল্পের তেল শুষে নেয় এবং চুলকানি কমায়। এটি তৈরি করতে, ওটমিল তৈরি করুন এবং যখন এটি ঠান্ডা হবে স্ক্যাল্পে লাগান এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর যথারীতি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

১৭. বেকিং সোডা

চিটচিটে ভাব দূর করার আরেকটি উপায় হলো বেকিং সোডা। কিন্তু এটির তরল রূপ ব্যবহার করা উচিত। বেকিং সোডা চুলের চিটচিটে ভাব হওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দুই থেকে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা এক লিটার পানিতে মিশান। এই তরলটি আপনার চুলে লাগান এবং ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর সবসময়ের মত শ্যাম্পু করে ফেলুন। তৈলাক্ত চুলের এই ট্রিটমেন্টটি প্রতি সপ্তাহে তিনবার করতে পারেন।

১৮. মেহেদি ট্রিটমেন্ট

আপনার চুল কন্ডিশনিং করতে মেহেদি ব্যবহার করুন। মেহেদিতে শুষ্কতার প্রভাব আছে, যা তৈলাক্ত স্ক্যাল্পের জন্য উপযুক্ত। আপনার মেহেদি প্যাকে দই মিশিয়ে নিন। দুই সপ্তাহ পরপর একবার মেহেদি ব্যবহার করুন।

১৯. সঠিক খাবার গ্রহণ করুন

যতটা সম্ভব তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন, আপনি যেই খাবার গ্রহণ করবেন তার প্রভাব আপনার চেহারা এবং শরীরের উপর পরবে। ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়া অথবা ফাস্টফুড দোকানের খাবার আপনার স্ক্যাল্পের অবস্থা আরো খারাপ করে তুলে। ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস এবং বার্গারের পরিবর্তে তাজা ফল এবং সবজি খাওয়া শুরু করুন। আপনার প্রতিদিনের খাবারে বাদাম, খেজুর, কিশমিশ এবং জাম রাখুন। ক্যানড এবং প্রক্রিয়াজাত অথবা বায়ুভর্তি পানীয় পানের পরিবর্তে তাজা ফলের রস পান করুন।

২০. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন

পানি আপনার শরীর থেকে জীবাণু এবং দূষণ নিঃশেষিত করতে সাহায্য করে। একটি স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প এবং চুল পেতে প্রচুর পানি পান করুন।

২১. লেবু

লেবু তৈলাক্ত চুলের মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে। এই লেবু ব্যবহারের জন্য, দুইটি লেবুর রস বিশুদ্ধ পানিতে মিশান এবং সংরক্ষণ করে রাখুন। প্রতিবার চুল ধোয়ার পর, আপনার চুল হালকা শুকিয়ে নিন এবং এই সল্যুশনটি দিয়ে আপনার চুল এবং স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট মাথায় রেখে দিন এবং ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

২২. ঘামানোর পর শ্যাম্পু করুন

যদি আপনি সব সময় কাজ করেন তাহলে আপনার চুলে ঘাম থাকতে দিবেন না। কাজের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করে ফেলবেন।

২৩. ঝুটি আলগা করে বাধুন

কিছু মানুষের অভ্যাস আছে চুল সবসময় খুব শক্ত এবং টানটান করে ঝুটি বেঁধে রাখার। আপনি যত আপনার চুলের গোড়াতে চাপ দিবেন, আপনার চুল তত তৈলাক্ত হবে কারণ এটি গোড়ার গ্রন্থিগুলোকে আরো উত্তেজিত করে তুলে। এটি এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে আপনার চুল আলগা করে বাঁধুন।

খুশকিযুক্ত তৈলাক্ত চুলের জন্য ঘরে তৈরি উপায়

তৈলাক্ত চুলের কারনে সৃষ্ট খুশকিযুক্ত স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখানে আরো কিছু ঘরে তৈরি রেসিপি দেওয়া হলো।

২৪. লেবু

আবার লেবুর কথা বলা হচ্ছে, কারণ খুশকিযুক্ত এবং ময়লা স্ক্যাল্পের চিকিৎসা করার জন্য লেবু সর্বাধিক ব্যবহৃত এবং পরীক্ষিত পদ্ধতি।

এটি ব্যবহার করতেঃ

  • গোসলের আগে একটি লেবুর অর্ধেক আপনার স্ক্যাল্পে ঘষে নিন।
  • ১০-১৫ মিনিট এটি মাথায় রাখুন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল স্বাভাবিক নিয়মে ধুয়ে নিন।
  • এই উপায়টি মাঝে মাঝে ব্যবহার করবেন।

২৫. চা পাতা এবং লেবুর রস

খুশকি দূর করার জন্য চা পাতা এবং লেবুর রস আরেকটি ভালো উপায়। এটি উজ্জ্বল চুল পাওয়ার জন্যও উত্তম।

এটি বানাতেঃ

  • শুকনো চা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে নিন।
  • চা পাতা থেকে পানিগুলো ছেকে নিন এবং পানি পুরোপুরি ঠান্ডা করে নিন।
  • একটি লেবুর অর্ধেক এই পানিতে মিশান।
  • স্ক্যাল্প এবং চুলে মিশ্রিত পানি লাগান এবং এক ঘন্টা রেখে দিন।
  • আপনার চুল স্বাভাবিক নিয়মে ধুয়ে ফেলুন।

২৬. লবণ

সাধারণ লবণ খুশকি এবং স্ক্যাল্পের শুকনো আলগা চামড়া তুলে ফেলে।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

  • গোসলের আগে আপনার শুকনো স্ক্যাল্পে লবণ ম্যাসাজ করুন।
  • এরপর আপনার চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

২৭. আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের রান্নাঘরের এমন একটি উপকরণ যা প্রায় সবকিছুর জন্য দরকারী। এটি খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকরী।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

  • ১/৪ কাপ আপেল সিডার ভিনেগার এবং এক কাপ পানি দিয়ে একটি সল্যুশন তৈরি করুন।
  • এই সল্যুশনটি দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
  • গোসল করার সময়ও এটি আপনার মাথায় রেখে দিন।
  • গোসল শেষে বের হয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • পুরোপুরি খুশকি দূর করতে এটি পুরো এক সপ্তাহ প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

আপনার স্ক্যাল্পে সবচেয়ে মানানসই এমন উপায়টি বেছে নিন এবং তৈলাক্ত চুলের সমস্যার কথা পুরোপুরি ভুলে যান।

আশা করি তৈলাক্ত চুলের জন্য ঘরে তৈরি কৌশলের এই আর্টিকেলটি আপনাকে তৈলাক্ত চুলের সমস্যার সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করবে।

Filed Under: Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Page 2
  • Page 3
  • Page 4
  • Page 5
  • Interim pages omitted …
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®