• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

৭ টি আলুর রসের রেসিপি : যা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী

by Mohona

আপনি কি জানেন আলুর মত খুব সাধারণ একটি সবজি আপনার ত্বকের সৌন্দর্যের অনেকগুলো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে?

আলুর রসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, পটাশিয়াম, কপার এবং সালফার যা বিউটি রেসিপি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো আপনার ত্বকের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে এবং সহজে দূর করতে পারে।

ত্বকের যত্নে ৫ টি আলুর জুসের রেসিপি

প্রতিদিন যদি মুখে আলুর রস লাগানো হয় তাহলে এটি ত্বকে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। মুখের দাগ, সানবার্ন, ডার্ক সার্কেল, বলি রেখা এবং নিস্তেজ ত্বক দূর করতে এটি খুব কার্যকর। আর, বিউটি রেসিপি তৈরি করতে আলুর রস ব্যবহার করা হয়, যা আপনার ত্বকের সমস্যাগুলো খুব সহজে দূর করতে পারে।

১. অ্যান্টি-এজিং এর জন্য

যদিও মানব দেহে এজিং একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া কিন্তু এই এজিং অনেক রকম সমস্যার জন্ম দেয় যেমন বলিরেখা, শুষ্কতা এবং ত্বকে ভাজ পরা, এজিং এর সমস্যাগুলো দূর করতে আলুর রস আপনার রক্ষক হিসেবে কাজ করে।

দই এবং আলুর রস সমপরিমানে একসাথে মিশান। এক চামচ অলিভ অয়েল যোগ করুন। আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখার জন্য এই ফেইস মাস্কটির ব্যবহার একটি অসাধারন উপায় এবং এজিং এর লক্ষণগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস আনে। আলুর রসের সাথে অলিভ অয়েলের ব্যবহার ডার্ক সার্কেলের জন্য খুবই কার্যকরী।

২. ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতার জন্য

আলুর রস এবং লেবুর রস সমপরিমাণে মিশান। আলুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই, আলুর রস লেবুর রসের সাথে একসাথে প্রাকৃতিকভাবে আপনার কালো ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, কারন, লেবুর রসেও ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার ত্বকে যেই কালো দাগগুলো রয়েছে তাতে মিশ্রণটি লাগান। প্রতিদিন ব্যবহার করুন, দেখবেন আপনার ত্বকের কালো অংশগুলো আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

৩. ত্বকের লোমকূপের পরিষ্কার করা

৫ চামচ আলুর রস এবং ১ চামচ বেকিং সোডা ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার তৈরি করুন।  আপনার ত্বকের লোমকূপগুলো পরিষ্কার করতে মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগান।

৪. ফুলে যাওয়া চোখের জন্য

আলুর রস এবং শসার রস সমপরিমাণে মিশান। আপনার চোখের চারপাশের ত্বকে রসের মিশ্রণটি লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিন। আলুর রস এবং শসার রস দুইটিতেই শীতলতার প্রভাব রয়েছে। তাই এরা একসাথে ক্লান্ত চোখকে শীতল করে। এই প্রক্রিয়াটি চোখের ফুলে উঠা দূর করতে কার্যকর।

৫. ত্রুটিহীন ত্বকের জন্য

আলুর রসের সাথে লেবুর রস এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন। এই ফেইস প্যাকটি ত্রুটিমুক্ত, তৈলাক্ততামুক্ত, চিটচিটেভাব, দাগ এবং ব্রণহীন ত্বক পেতে ব্যবহার করুন।

চুলের যত্নে আলুর রসের ২ টি রেসিপিঃ

১. চুলের উজ্জ্বলতার জন্য

আপনার চুল কি শুষ্ক, নিস্তেজ এবং জট লেগে যায়? তাহলে আলুর রসের সাথে অ্যালোভেরা মিশান এবং আপনার চুলে লাগান, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুলে উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।

২. চুলের ঝরে পরা দূর করার জন্য

যখন মাথার মূল্যবান চুলগুলো ঝরে যাওয়া শুরু করে, তখন এর থেকে বেশি হতাশাজনক বিষয় জীবনে আর কিছুই থাকে না। চুল পড়া রোধ করতে আলুর রস, মধু এবং ডিমের সাদা অংশ মিশান। মিশ্রণটি আপনার চুলে এবং চুলের গোড়ায় লাগান এবং প্রায় ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

বিউটি রেসিপির জন্য কিভাবে আলুর রস নিবেন?

বিউটি রেসিপিতে আলুর রস ব্যবহার করার জন্য অরগ্যানিক আলুর রস ব্যবহার করুন, কারণ এগুলো কীটনাশকমুক্ত থাকে। ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এবং ছোট টুকরো করে কেটে নিন।একটি জুস মিক্সারে এগুলো ঢালুন, যাতে আপনি খুব সহজে রস সংগ্রহ করতে পারেন। যদি আপনার জুস মিক্সার না থাকে তাহলে আলু গুলো কুচি করে কেটে নিন, তারপর এগুলো চিপে রস বের করে নিন।

আপনি কি কখনো ভেবেছিলেন আপনার বিউটি রেসিপিতে আলু ব্যবহার করা কতটা ফলপ্রসূ? আমি জানি, আপনি তা কখনোই ভাবেননি। আপনার বিউটি রেসিপিতে আলুর রস নেওয়ার সবচেয়ে সেরা বিষয়টি হলো আলু খুব সহজেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এবং এগুলো খুব কম খরচে পাওয়া যায়। আর তাছাড়া ঘরে সবসময়ই আলু থাকেই। তাই, কোন খরচ ছাড়াই সুন্দর ত্বক পাওয়া – এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে?

Filed Under: Homemade Tips

সানস্পট থেকে মুক্তির ১২ টি সহজ উপায়

by Mohona

সানস্পট কি আপনাকে রোদে বের হতে বাঁধা দিচ্ছে?

এগুলো (চেহারার কালো কালো দাগ ) ঢেকে রাখা অনেক কঠিন, এবং যদি আপনি মেকাপ করতে পছন্দ না করেন তাহলে এই স্পটগুলো খুব সহজে আপনার ফেইস নষ্ট করতে পারে। চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরা অনেকগুলো ঘরে তৈরি প্যাক নিয়ে এসেছি যা সানস্পট দূর করতে সাহায্য করবে।

সানস্পট কি? এর হওয়ার কারণ কি?

সানস্পট তখনই হয় যখন আপনার ত্বক দীর্ঘক্ষন ধরে সূর্যের ক্ষতিকারক রঞ্জকরশ্মি দ্বারা আক্রান্ত হয়। এগুলোকে সোলার লেন্টিনও বলা হয়। এই স্পটের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা রঙ নেই এবং যা আপনার শরীরের যে অংশে সূর্যের তাপ লেগেছে সেই অংশেই দেখা দিতে পারে। আর তা হতে পারে আপনার গাল, নাক, ঠোঁটের উপরের অংশ, কান, কনুই, হাত ইত্যাদি। মাঝে মাঝে, এগুলো অনেক খসখসে থাকে, আবার মাঝে মাঝে এগুলো মসৃণ।

ত্বকের সমস্যা যেমন সানস্পটের সাথে যুদ্ধ করতে ঘরে তৈরি প্যাকগুলো সবচেয়ে স্মার্ট এবং সস্তা পদ্ধতি। এগুলোর মাধ্যমে আপনি সানস্পট থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

কিভাবে সানস্পট থেকে মুক্তি পাবেন

১. লেবু

২. ক্যাস্টর অয়েল

৩. অ্যালোভেরা

৪. আপেল সিডার ভিনেগার

৫. গ্রিন টি

৬. বাটার মিল্ক

৭. মুলতানি মাটি

৮. বেসন

৯. শসার প্যাক

১০. নারিকেলের পানি

১১. পেঁপের রস

১২. চন্দন কাঠ

সানস্পট দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি

১. লেবু

উপকরণ

  • ১ টি লেবু
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • লেবুর রস চিপে বের করে নিন এবং তুলার সাহায্য আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন।
  • ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • শুকিয়ে নিন এবং একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

বিকল্প প্রক্রিয়া

১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে ১ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। সানস্পটে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন.১ বা ২ মিনিট স্ক্রাব করার পর, মিশ্রনটি ১০ মিনিট রেখে দিন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

শুধুমাত্র লেবুর রস প্রতিদিন লাগাতে পারেন। লেবু এবং চিনির স্ক্রাব সপ্তাহে ২-৩ বার লাগাতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে

লেবুতে ব্লিচিং এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সানস্পট দূর করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে দাগ্মুক্ত উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে।

২. ক্যাস্টর অয়েল

উপকরণ

  • কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল

প্রক্রিয়া

  • তেলটি আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • কমপক্ষে ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

প্রতিদিন এক বা দুইবার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে

ক্যাস্টর অয়েল আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায় কারণ এতে ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এটি দাগ হালকা করতে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে এটি ত্বকের রঙ সমান করে।

৩. অ্যালোভেরা

উপকরণ

  • অ্যালোভেরা জেল অথবা অ্যালো জুস।

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান
  • আধা ঘন্টা রেখে দিন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

প্রতিদিন করবেন।

কিভাবে কাজ করে

অ্যালভেরাতে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কালো দাগ এবং রোদে আক্রান্ত স্থান হালকা করে। এটা ত্বকের পুনরূদ্ধার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের গুনমান ঠিক করে।

৪. আপেল সিডার ভিনেগার

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ পানি
  • ১ চা চচমচ মধু

প্রক্রিয়া

  • উপকরণগুলো মিশান এবং আপনার ত্বকে মিশ্রন্টি লাগান।
  • ১০ মিনিট রেখে দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।
  • কমলার রস মিশিয়ে আরো দ্রুত এবং ভালো ফল পেতে পারেন।

কতবার করবেন

প্রতিদিন একবার করবেন।

কিভাবে কাজ করে

বিভিন্ন রকম ত্বকের সমস্যার জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী, আর এটি সানস্পট ও দূর করে। এতে এসিড রয়েছে যা ক্ষতিগ্রস্থ এবং কালো ত্বকের কোষ দূর করে দেয় এবং সব রকম দাগ, স্কার এবং সানস্পট দূর করে দেয়।

৫. গ্রিন টি

উপকরন

  • একটি গ্রিন টি ব্যাগ
  • এক কাপ গরম পানি

প্রক্রিয়া

  • ১০ মিনিট টি ব্যাগটি এক কাপ গরম পানিতে রেখে দিন।
  • টি ব্যাগটি সরিয়ে ফেলুন, ঠান্ডা করে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান।

কতবার করবেন

প্রতিদিন একবার অথবা দুইবার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে

যদি আপনি ভেবে থাকেন যে গ্রিন টি শুধু মেটাবোলিজম এবং মেদ হ্রাস করতে সাহায্য করে, তাহলে আবার ভাবুন। আপনি জেনে অবাক হবেন গ্রিন টি ত্বকে ব্যবহারের কত অসাধারন উপকারিতা রয়েছে। এটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউজ হিসেবে পরিচিত যা ত্বকের সমস্যা যেমন ট্যান এবং দাগ দূর করে।

৬. বাটার মিল্ক

উপকরণ

  • ১-২ টেবিল চামচ বাটার মিল্ক
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • পাত্রে রাখা বাটার মিল্কে তুলা ডুবিয়ে নিন এবং আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন।
  • ১০ মিনিট রেখে দিন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন দুই বার করুন।

কিভাবে কাজ করে

এটা ত্বকে প্রশান্তি আনে এবং কালো সানস্পট ব্লিচ করে।

৭. মুলতানি মাটি

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • মুলতানি মাটির সাথে পরিমানমত গোলাপজল এবং অ্যালোভেরা জেল  মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • আক্রান্ত স্থানে এটি লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

সপ্তাহে ২-৩ বার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে

মুলতানি মাটি প্রতিটি মেয়েরই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য খুব পছন্দের একটি উপাদান। এটি ত্বকে জাদুর মত কাজ করে। যদিও এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, এটি আপনার ত্বকের সানস্পট দূর করতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকের ভেতরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, লোমকূপের ময়লা দূর করে, এবং আপনার ত্বকের নিস্তেজ কোষ দূর করে, আপনার ত্বকের রঙ কালো হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি আপনার সানস্পট গুলোকে হালকা করে দূর করে ফেলে।

৮. বেসন

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ চিমটি হলুদের গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ দুধ

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • প্যাকটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুধ ব্যবহারে যদি আপনার এ্যালার্জি হয় তাহলে দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।

কতবার করবেন

সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

কিভাবে কাজ করে

ইংরেজিতে ছোলার আটা হিসেবে পরিচিত এই বেসন আপনার রান্না ঘরের অন্যান্য উপকরণের মত সাধারন কোন উপদান নয়। এটা বেশিরভাগ সময় ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহৃত হয় এবং ত্বকের সঠিক রঙ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং কালো স্পট এবং সানস্পট কমিয়ে ফেলে।

৯. শসার প্যাক

উপকরণ

  • ১/২ শসা
  • ১ টেবিল চামচ টক দই

প্রক্রিয়া

  • শসাগুলো পেস্ট করে নিন এবং দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিন।
  • আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন এবং কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • ভালোভাবে স্ক্রাব করুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

প্রতিদিন একবার করুন এবং সপ্তাহ শেষে দেখবেন আপনার সানস্পটগুলো আস্তে আস্তে হালকা হওয়া শুরু করবে।

কিভাবে কাজ করে

যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে শসার প্যাক আপনার জন্য সেরা প্যাক। এটা আপনার খাদ্যের একটি অংশ হতে পারে কারণ ত্বককে শীতল রাখার চমৎকার বৈশিষ্ট্য শসার রয়েছে। শসা আপনাকে নিশ্চিন্ত এবং সতেজ অনুভব করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা সানস্পট দূর করতে সাহায্য করে।

১০. নারিকেলের পানি

উপকরণ

  • সতেজ নারিকেলের পানি

প্রক্রিয়া

  • সানস্পটে সরাসরি লাগান এবং শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

প্রতিদিন ১-২ বার এটি করবেন।

কিভাবে কাজ করে

গ্রীষ্মকালের তপ্ত গরমে ঠান্ডা নারিকেলের পানি পান করার ব্যাপারটা অনেক সতেজতাপূর্ণ। এটি আপনার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরন করে এবং আপনার দেহ থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেয়। যখন সানস্পট দূর করার কথা আসে তখন নারিকেলের পানি সমানভাবে কাজ করে কারণ এর মধ্যে ব্লিচিং এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

১১. পেঁপের পেস্ট

উপকরণ

  • ২-৩ টুকরো পাঁকা পেঁপে

প্রক্রিয়া

  • পেঁপেটি পেস্ট করে নিন এবনফ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন।
  • ১০-১২ মিনিট রেখে দিন
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার করবেন

সপ্তাহে ২ বার পেঁপের রস লাগাতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে

যদি আপনার ঘরে পেঁপে থাকে তাহলে সানস্পট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি পেঁপের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে এনজাইম এবং পেপেইন রয়েছে যা ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। বয়সের ছাপ, সানস্পট, কালো হয়ে যাওয়া, স্কার ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।

১২. চন্দন কাঠ

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ চন্দন পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • চন্দন কাঠের পাউডারের সাথে গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে ফেইস প্যাক তৈরি করুন।
  • সানস্পটে প্যাকটি লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট শুকাতে দিন।
  • পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সানস্পট দূর করতে চন্দন কাঠ ব্যবহার করার আরেকটি উপায় হলো ১ঃ২ অনুপাতে চন্দন কাঠের তেল এবং জলপাই তেল মিশিয়ে নিন এবং প্রতিদিন রাতে সানস্পটে লাগান।

কতবার করবেন

প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যের জন্য চন্দন কাঠ বিশেষভাবে পরিচিত। এটি ত্বকের নিস্তেজভাব দূর করে এবং হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে।

সানস্পট দূর করতে আরো কিছু টিপস

১. কেমিক্যাল পিল অথবা অ্যান্টি-ট্যান ফেসিয়াল

একটি ভালো অ্যান্টি-ট্যান ফেসিয়াল আপনাকে সানস্পট এবং পিগমেন্টেশন থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কেমিক্যাল পিল ফেসিয়ালও উপকারী। আর এগুলো পেশাদার বা অভিজ্ঞ ডার্মাটোলোজিস্ট দ্বারা করা সম্ভব। আর এটির একমাত্র পার্শ্বপতিক্রিয়া হলো এই প্রক্রিয়াটি আপনার ত্বককে কয়েকদিনের জন্য লাল করে রাখে। যদি আপনি এটি সহ্য করতে পারেন তাহলে করতে পারেন।

২. সূর্য থেকে দূরে থাকুন

যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। তাই বাহিরে বের হতে হলে সবসময় ছাতা সাথে রাখুন। ঢিলা-ঢালা জামা পরিধান করুন। খুব গাঢ়ো অথবা খুব হালকা রঙের কাপড় পরা থেকে দূরে থাকুন। আপনার কাপড় যত সাদামাটা ও হালকা হবে তত আপনার ত্বকের জন্য ভালো। চোখকে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে রোদচশমা ব্যবহার করুন।

৩. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

পুরো গ্রীষ্মকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে এখনি সময় এটি কিনে ফেলার। সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রঞ্জকরশ্মি থেকে রক্ষা করে। এমন সানস্ক্রিন কিনবেন যার এসপিএফ ৩০ বা তার উপরে। এবং আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী আপনার সানস্ক্রিনের এসপিএফ ৪০ অথবা ৫০ হওয়া ভালো।

এখন আপনি জানেন কিভাবে রোদের তাপ থেকে এবং সানস্পট থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। তাহলে আর দেরি কেনো? এই রিমেডিগুলো আপনার ত্বককে দাগ্মুক্ত এবং উজ্জ্বল করে তুলবে। এই ঘরে তৈরি ফেইস প্যাকগুলো থেকে চন্দন কাঠের ফেইস প্যাক এবং মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক আপনি আপনার সাপ্তাহিক ত্বকের যত্নের রুটিনে যোগ করতে পারেন, যা সানস্পট দূর করে আপনার ত্বককে আরো নিখুঁত করে তুলবে।

Filed Under: Skin Care Ideas

ডার্ক সার্কেলঃ চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার

by Mohona

আপনার চোখগুলো কি দেখতে অবিকল রেকুনের (আমেরিকান স্তন্যপায়ী প্রাণী যার চোখের চারপাশ অনেক কালো) মত কালো হয়ে গেছে?

হ্যাঁ, আমি আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি। ডার্ক সার্কেল লুকিয়ে রাখা বা মেইকাপ দিয়ে ঢেকে রাখা অনেক কঠিন। এবং, তখন ব্যাপারটা কেমন হয় যখন আপনি মেইকাপ লাগাতে পছন্দ না করেন? এটা ভাবাটা অনেকটা দুঃস্বপ্নের মত, যার সবচেয়ে বড় কারণ হলো ডার্ক সার্কেল।

ঠিকমত না ঘুমানো, দুশ্চিন্তা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং চোখের নিচের সংবেদনশীল ত্বকের যত্ন না নেওয়া সহজেই আপনার ত্বক নিস্তেজ এবং কালো করে তুলে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক এর উজ্জলতা এবং নমনীয়তা হারাতে থাকে। এই মুখ্য সমস্যাটি সমাধান করার জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো চোখের নিচের স্থানের যত্ন নেওয়া শুরু করা। আর তাই আমি আপনার জন্য একটি শক্তিশালী উপাদান নিয়ে এসেছি – ক্যাস্টর অয়েল।

এই তেলটি কিভাবে আপনার ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে তা সম্পর্কে আরো জানতে চান? এর উপকারীতা এবং ডার্ক সার্কেল দূর করতে ঘরে কিভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন তা জানতে নিচে পড়তে থাকুন।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা

সাময়িক ব্যবহারের জন্য অরগ্যানিক ক্যাস্টর অয়েল সেরা। ডার্ক সার্কেল, শুষ্কতা, চুলকানি, একজিমা সোরিয়াসিস ইত্যাদি দূর করতে এটি খুব ভালো প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। ত্বকের জন্য এর উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • এটি খুব ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার। এতে প্রচুর পরিমানে
    ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
  • এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে যা আপনার ত্বককে র‍্যাডিকেল
    দ্বারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
  • সকল প্রকার দূষণ এবং ময়লা শুষে নেয়, এবং ত্বককে
    পরিষ্কার এবং সতেজ করে তুলে।
  • ক্যাস্টর অয়েল কোলাজেন এবং স্থিতিস্থাপকতার সমন্বয় বৃদ্ধি
    করে। এটি মুখের চামড়া ঝুলে পরা এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে পুনরায়
    নবীন করে তুলে এবং ত্বককে আরো প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করে তুলে।
  • এটি প্রাকৃতিকভাবেই ফাংগাস এবং সংক্রামক রোগের জীবাণুনাশক
    হিসেবে কাজ করে।

ক্যাস্টর অয়েলের এই বৈশিষ্ট্যগুলো ডার্ক সার্কেলের প্রধান কারণগুলো খুঁজে বের করে তা দূর করে। এটি ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হলো এর বলিরেখা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। চলুন দেখে নেই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করার বিভিন্ন পদ্ধতি।

ডার্ক সার্কেলের জন্য ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করার পদ্ধতি

১. সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার

২. ক্যাস্টর অয়েল এবং দুধ

৩. ক্যাস্টর অয়েল এবং বাদাম তেল

৪. ক্যাস্টর অয়েল এবং নারিকেল তেল

এই রেসিপি গুলো বযবহারে আর কোনো ডার্ক সার্কেল থাকবে না

১. সরাসরি ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার

উপকরণ

  • কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল

প্রক্রিয়া

  • আপনার আঙ্গুলের অগ্রভাগে তেলটি নিন এবং ঘষতে থাকুন যাতে তেলটি
    হালকা গরম হয়।
  • আপনার চোখের নিচে তেলটি লাগান।
  • এক থেকে দুই মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • সারারাত চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন।

কতবার ব্যবহার করবেন

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করবেন ।

এটি কিভাবে কাজ করে

উপরে বর্ণিত অনেকগুলো উপকারিতা থেকেই বোঝা যায় যে ক্যাস্টর অয়েল একাই ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারে।

২. ক্যাস্টর অয়েল এবং দুধ

উপকরণ

  • ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল
  • ১ চা চামচ দুধ

প্রক্রিয়া                                                                                                             

  • একটি ছোট পাত্রে দুধ এবং তেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন যাতে তেল
    দুধের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
  • মিশ্রনটি আপনার চোখের নিচে লাগান এবং এক ঘন্টার জন্য রেখে
    দিন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার ব্যবহার করবেন

প্রতিদিন একবার লাগাবেন।

এটি কিভাবে কাজ করে

দুধে থাকা ল্যাকটিক এসিড আপনার ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করবে। এটি ত্বকের মৃত এবং মরা কোষগুলো দূর করে প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল ত্বক বের করে আনে।

৩. ক্যাস্টর অয়েল এবং বাদাম তেল

উপকরণ

  • ৩-৪ ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল
  • ৩-৪ ফোঁটা বাদাম তেল

প্রক্রিয়া

  • তেলগুলো মিশিয়ে নিন এবং এটি আপনার চোখের চারপাশে লাগান।
  • আপনার আঙ্গুল দিয়ে চোখের নিচের ত্বক আলতোভাবে চাপুন।
  • সারারাত তেলটি চোখে লাগিয়ে রাখুন।
  • আপনি চাইলে এই তেলটি বেশি করে বানিয়ে একটি বায়ুরোধী জারে
    রেখে দিতে পারেন।

কতবার ব্যবহার করবেন

ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন রাতে লাগাবেন।

এটি কিভাবে কাজ করে

বাদাম তেল ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লক করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন ক্যাস্টর অয়েলের ১১ টি উপকারিতা, ব্যবহার বিধি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

৪. ক্যাস্টর অয়েল এবং নারিকেল তেল

উপকরণ

  • ক্যাস্টর অয়েল
  • নারিকেল তেল

প্রক্রিয়া

  • সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল এবং নারিকেল তেল নিন। ভালোভাবে
    মিশিয়ে নিন।
  • মিশ্রনটি ডার্ক সার্কেল এবং চোখের পাতার উপরে লাগান।
  • এক অথবা দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং সারারাত রেখে দিন।

কতবার ব্যবহার করবেন

আশানুরূপ ফল না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাতে লাগান।

এটি কিভাবে কাজ করে

ক্যাস্টর অয়েলের মত নারিকেল তেলেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এছাড়াও এটি প্রদাহ প্রতিরোধক। এটি রক্তের শিরা এবং কৈসিক নাড়ীতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।

যদিও ক্যাস্টর অয়েল এবং অন্য উপকরণগুলো ব্যবহার করা নিরাপদ, তারপরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মনে রাখা ভালো।

টিপস এবং সতর্কতা

  • তেল ব্যবহারে সতর্ক থাকুন যাতে তেল কোনভাবেই চোখের মধ্যে না
    যায়। আর যদি চলে যায় তাহলে তুলোর সাহায্যে চোখ থেকে বের করে ফেলুন এবং এরপর
    পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
  • সবসময় আপনার অনামিকা আঙ্গুল দিয়ে ছোখের চারপাশে ম্যাসাজ
    করুন। এই আঙ্গুলটি চোখের নিচে চাপ সৃষ্টি করে এবং চোখের নিচের সংবেদনশীল ত্বকের
    জন্য উপযোগী।
  • ধুয়ে ফেলার পর,
    ত্বক শুকিয়ে নিন এবং একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
  • আপনি যদি কখনো ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে না থাকেন, তাহলে আপনার
    হাতের কনুইয়ে অল্প একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এটি করার কারণ হলো আপনি
    এই তেলের সংস্পর্শে এলারজিক বা আপনার ত্বক এই তেলে সনবেদনশীল কিনা তা দেখা।

ক্যাস্টর অয়েল অনেক বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, বিশেষ করে আয়ুরবেদিক ঔষধে ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক রকম ত্বকের সমস্যা দূর করতে। এর উপাদানগুলো ত্বককে সর্বোত্তম রাখতে সাহায্য করে।

এটি আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে যোগ করে, আপনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডার্ক সার্কেল দূর করতে পারেন। এবং এর প্রভাব অবশ্যই দীর্ঘস্থায়ী হবে যদি সঠিক জীবনধারা এবং খাওয়া-ডাওয়ার অভ্যাস করা হয়।

Filed Under: Skin Care Problems

৫ টি জাদুকরী ভেষজ ফেইস প্যাক যা বিভিন্ন রকম ব্যবহার করতে পারেন

by Mohona

বর্তমানে নানা রকম ক্রিম, লোশন, জেল ইত্যাদি আমাদের ত্বকের যত্নের রুটিন দখল করে আছে। এধরণের বেশিরভাগ কৃত্রিম পণ্য কেমিক্যালে পরিপূর্ণ যা আমাদের ত্বকে অনেক গভীর ক্ষতি করে। বাজারে যেসব হারবাল পণ্য পাওয়া যায় তাতেও সিনথেটিক উপকরণ রয়েছে কিন্তু পণ্যের গায়ে “হারবাল” নামক লেবেল লাগানো দেখে যা আমরা বেশিরভাগ সময়ই অবহেলা করি।

যাই হোক, আমদের আয়ুরবেদাতে প্রচুর হারবাল ফেইস প্যাকের সংগ্রহ রয়েছে যা খুব ভালো কার্যকরী, যাতে কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই এবং কম ব্যয়বহুল। ঘরে বানানো হারবাল ফেইস প্যকটি প্রতিদিন ব্যবহারে আপনি পাবেন পরিষ্কার, মসৃণ এবং উজ্জ্বল ত্বক।

আমদের ৫ টি খুব ভালো হারবাল ফেইস প্যাকঃ

১. তাতক্ষণিক ফেয়ারনেসের জন্য তুলসি ফেইস প্যাক

অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্যের জন্য নিম খুবই পরিচিত। তুলসি এবং নিমের হারবাল ফেইস মাস্ক নিস্তেজ ত্বককে পুন্রুজ্জীবিত করে, রোদে পোড়া ভাব দূর করে, ত্বকের রঙ ঠিক করে এবং মুখে তৎক্ষণাৎ উজ্জলতা প্রদান করে।

  • ১ চা চামচ তুলসি পাউডার এবং ২ চা চামচ নিম পাউডার নিন।
  • এতে ১ চা চামচ মুলতানি ,আটি, কয়েক ফোঁটা গোলাপজল এবং হাফ চা চামচ লেবুর রস মিশান।
  • ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট করুন। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা এতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশাতে পারেন ত্বক আদ্র রাখার জন্য।
  • প্যাকটি লাগানোর আগে, আপনার মুখের ছিদ্রগুলো খোলার জন্য ৩ মিনিট মুখে স্টীম দিয়ে নিন এবং প্যাকটি ত্বকের ভিতর ভালোভাবে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিন।
  • আপনার পুরো মুখে প্যাকটি লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন। উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

২. রোদে পোড়াভাব বা ট্যান দূর করতে অ্যালোভেরা

গ্রীষ্মকালে রোদের প্রখর তাপ আপনার চুল এবং ত্বকের অনেক ক্ষতি করে, এমনকি ট্যান বাড়ায়। শুধুমাত্র ৫ মিনিট সরাসরি রোদে থাকলে তকে ট্যান হতে পারে। তবে আপনি চাইলেই আপনার ত্বকের ক্ষতিকারক এই ট্যান দূর করে আপনার ত্বকের আসল রঙ ফিরিয়ে আনতে পারবেন অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে।

  • ভালো অ্যালোভেরা জেল নিন এবং ২ চা চামচ লেবুর রস এবং ২ চা চামচ গোলাপ জল মিশান।
  • এই পেস্টটি ট্যানে আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং ৩০ মিনিট রেখে দিন।
  • আপনি তুলোর বল পেস্টে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আক্রান্ত স্থানে বরফ আস্তে আস্তে লাগান। এটি একটি খুব ভালো টোনার ফিসেবে কাজ করবে যা আপনার মুখের সকল ছিদ্র বন্ধ করে দিবে।

৩. ত্বক ফর্সা করতে হলুদের ফেইস প্যাক

ত্বক ফর্সা করতে হলুদ সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ফেইস প্যাকটি নববধুর ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে যা বলিরেখা এবং ত্বকে ভাজ পরার কারন।

  • ২ চা চামচ বেসনের সাথে এক চিমটি হলুদের গুড়া মিশান।
  • ১ চ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
  • পুরো মুখে প্যাকটি লাগান এবং পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মুখে রাখুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এই প্রক্রিয়াটি ৩০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে দুইবার পুনরাবৃত্তি করুন মুখের দাগ এবং ট্যান দূর করার জন্য।

৪. অ্যান্টি-এজিং এর জন্য চন্দন কাঠ

চন্দন কাঠের গুঁড়োতে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ত এবং প্রদাহ দূর করার এজেন্ট রয়েছে যা ত্বকের রক্ত প্রবাহ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি আপনার মুখের ত্বক থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে ত্বককে ডিটক্স করতে সাহায্য করে এবং র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যা বলিরেখে সৃষ্টির কারণ। এচ্ছাড়াও এটি খুব ভালো অ্যান্টি-এজিং এর ট্রিট্মেন্ট হিসেবে কাজ করে।

  • ২ চা চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ো এবং মুলতানি মাটি নিন। আপনি চন্দন কাঠের পেস্টও বানাতে পারেন যদি আপনার কাছে এর গুঁড়ি থাকে।
  • এতে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং গোলাপজল মিশান এবং মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • পুরো মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার লাগান।

৫. পরিষ্কার ত্বকের জন্য আমলকির ফেইস প্যাক

আমলা আয়ুরবেদিক জগতে খুবই পরিচিত কারণ এটি ত্বক ফর্সা করে, ত্বকের ছিদ্র ছোট করে এবং দাগ দূর করে। এছাড়াও এটি তৎক্ষণাৎ সতেজতা প্রদান করে তাই গ্রীষ্মকালের জন্য এটি আদর্শ ফেইস প্যাক।

  • ২ চা চামচ দইয়ের সাথে ১ চা চামচ আমলকি পেস্ট এবং আধা চা চামচ মধু মিশান।
  • ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।
  • ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আপনি আমলকি এবং তেঁতুল দিয়ে একটি ফেসিয়াল স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন।

  • ১ চা চামচ তেঁতুলের পেস্ট এবং ১ চা চামচ আমলকি গুঁড়ো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • পুরো মুখে লাগিয়ে নিন এবং বৃত্তাকারভাবে স্ক্রাব করুন।
  • ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কেমিকযাল ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন এবং নরম ও মসৃণ ত্বকের জন্য এই হারবাল ফেইস প্যাকগুলো বেছে নিন।

Filed Under: Face Packs and Masks

১৫ টি উপায়ে কালো ঠোঁটে করুন নরম, মসৃণ এবং গোলাপী

by Mohona

গাঢ় এবং কালো ঠোঁটের সমস্যা বিরল নয়… বিশেষ করে তখন যখন আমরা সবাই নরম মসৃণ এবং গোলাপী ঠোঁট পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি।

কিন্তু কেন এই ঠোঁট কালো হয়ে যায়? কেনই বা ঠোঁটের এই তথাকথিত বিবর্ণতা ঘটে?

এর কয়েকটি কারণ হতে পারে, তার মধ্যে একটি হলো সঠিক যত্নের অভাব, পাশাপাশি রয়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। বলা হয় যে, ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ নষ্ট হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে যা ঠোঁটকে কালো করে ফেলে।

কালো ঠোঁটের সমস্যা দূর করার টিপসঃ

১. ধূমপানকে “না” বলুন

Young beautiful woman holding broken cigarette

ঠোঁটের জন্য প্রতিটি টিপস এটাই বলে যে নিকোটিন ঠোঁট কালো এবং বিবর্ণ করার জন্য দায়ী। এছাড়া ধূমপান ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগের জন্যও দায়ী।

২. কফি কম পান করুন

অতিরিক্ত চা এবং কফি পান করলে আপনার ঠোঁট কালচে হয়ে যাবে তাছাড়াও আপনার দাঁতে দাগ পরে যাবে। তাই, ক্যাফেইন গ্রহণ সীমাবদ্ধ করুন এবং আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন।

৩. সূর্যের তাপ থেকে দূরে থাকুন

সূর্যে প্রচুর মেলানিন রঙ্গক রয়েছে, তাই রোদে বের হলে আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাবে। তাই যদি আপনি বাহিরে সময় কাটান তাহলে অবশ্যই ঠোঁটে SPF/UV protector আছে এমন কসমেটিক ব্যবহার করুন।

৪. লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

দীর্ঘ সময় ধরে এবং মাত্রাতিরিক্ত লিপস্টিক এবং ঠোঁটের কসমেটিক্স এর ব্যবহার, বিশেষ করে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার ঠোঁটকে কালো করে তুলে।

তাই লিপস্টিক কম ব্যবহার করুন (তখনই ব্যবহার করুন যখন আপনার তা খুব দরকার) এবং সবসময় ভালো বা বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য কিনুন।

মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে কিনুন এবং মেয়াদ শেষ হওয়া লিপস্টিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

লিপস্টিক কিনার সময় আপনার লিপস্টিকে এই উপকরণগুলো অথবা এগুলোর যে কোনো একটি আছে কিনা দেখে কিনুনঃ শিয়া বাটার, ঘি, ভিটামিন ই এবং জজবা তেল। এগুলো আপনার ঠোঁটকে নমনীয় রাখে এবং শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।

আপনার ঠোঁটের মেইকাপ একটি ভালো লিপ মেইকাপ রিমুভার দিয়ে তুলে ফেলুন অথবা জলপাই/ বাদাম/ নারিকেল তেল দিয়ে তুলে ফেলুন।

৫. ঠোঁটের জন্য প্রাকৃতিক লিপ স্ক্রাব ব্যবহার করুন

ঠোঁটের শুষ্ক এবং মরা চামড়া দূর করার জন্য এবং রক্ত চলাচল প্রবাহ ঠিক রাখতে অন্তত সপ্তাহে একবার ঠোঁটের স্ক্রাব করা উচিত। স্ক্রাবের জন্য আপনি ৫-৬ ফোঁটা অলিভ অয়েলের সাথে ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলার পর, লিপ বাটার বা আপনার পছন্দের লিপ ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৬. ঠোঁটের মৃত কোষ তুলুন

বেবি টুথব্রাশে অল্প ভেসলিন লাগিয়ে নিন এবং আপনার ঠোঁটে আলতো করে ঘষুন। এটা আপনি প্রতিদিন করেত পারেন।

৭. সবসময় ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখুন

আপনার ঠোঁট সবসময় ময়েশ্চারাইজড এবং হাইড্রেট রাখুন। ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখার জন্য, আপনার ঠোঁটের হাইড্রেশন স্তর বজায় রাখতে সারাদিন ধরে পরিমিত পরিমান পানি পান করুন। শীতকালে যখন আমরা খুব কম পানি পান করি, তখনই ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। তাই শীতকালে পরিমিত পরিমান পানি পান করতে ভুলবেন না।

এছাড়াও আপনার খাবারে পানির পরিমান বেশি এমন ফল যেমন শসা, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি রাখুন।

আমাদের দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি কোমল। তাই, ঠোঁটের শুষ্কতা এবং ফেটে যাওয়া দূরে রাখতে সবসময় একে ময়েশ্চারাইজড রাখতে হবে, বিশেষ করে তখনই বেশি যত্ন নিতে হবে যখন ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।

আপনার ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড রাখতে যে সকল লিপ বামে মোম এবং কোকো বাটার রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন।

৮. আপনার ঠোঁটে জিহ্বা লাগাবেন না

ডারমাটলোজিস্ট ঠোঁট ভিজা রাখতে জিহ্বা দিয়ে চাটতে নিষেধ করেছেন। যদি এটি না মানা হয় তাহলে আস্তে আস্তে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাবে, যা ঠোঁটকে কালো করে ফেলবে। এমনকি ঠোঁটে কামড় দেওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে কারণ এতে ঠোঁটের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৯. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা

ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট বিবর্ণ হতে পারে। তাই, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে ভিটামিন সি খুব ভালো কাজ করে, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সম্পন্ন খাবার খেতে হবে।

১০. ক্লোরিনযুক্ত পানি বর্জন করতে হবে

কালো ঠোঁটের জন্য ক্লোরিনযুক্ত পানিও দায়ী। তাই এই পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. বংশগত

বংশগত কারণেও ঠোঁট কালো হতে পারে। তাই, যদি জন্ম থেকে আপনার ঠোঁট কালো হয়, তাহলে কসমেটিক সার্জারি করা ছাড়া এই ঠোঁট ঠিক করার আর কোন পদ্ধতি নেই।

কিছু প্রাকৃতিক টিপস যা আপনার ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবেঃ

১. ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার ঠোঁটে বাদাম তেল লাগান কারণ এটি আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং বিবর্ণতা দূর করে।

২. এছাড়াও আপনি লেবুর রসের সাথে বাদাম তেল মিশিয়ে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন।

৩. প্রতিদিন ঠোঁটে শসার রসের ব্যবহার আপনার কালো ঠোঁট উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

৪. আরেকটি পরীক্ষিত এবং বহুল ব্যবহৃত প্রতিকার হলো লেবুর রস, গ্লিসারিন এবং মধুর মিস্রন প্রতিদিন ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে।

Filed Under: Lip Make up (লিপ আপ করুন)

১০ টি আমের ফেইস প্যাক যা ত্বকে করবে স্বাস্থ্যজ্জল (ঘরে তৈরি নিয়ম)

by Mohona

কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেনো আমকে “ফলের রাজা” বলা হয়? এর কারণ হলো এর বহুমুখী গুণাবলী। এটা শুধুমাত্র স্বাদের মাধ্যমে আপনাকে খুশি করে না, আপনার ত্বকও এটি খুব ভালোবাসে। আম একটি শক্তিশালী উপকরণ যা আপনার ত্বকে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। তাই ফলের রাজাকে আপনার ত্বকে রাজত্ব করতে দিন। কিন্তু এই স্বর্গীয় ফল দ্বারা আপনি আপনার ত্বকের কিভাবে যত্ন নিবেন তা বলার আগে, চলুন দেখে নেই আম ঠিক কিভাবে আপনার ত্বকের যত্নে সাহায্য করে। আম আপনার ত্বকে অনেক বিস্ময়কর কাজ করে থাকে। এগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

১. ত্বকে ঝুড়ি পরা এবং ইউভিবি প্রতিরোধ করে

আম অ্যাান্টিআক্সিডেন্টে ভরপুর যা আপনার ত্বকের প্রদাহ দূর করে। একটি গবেষনাতে জানা গেছে আমের নির্যাস ত্বকের বলিরেখা দূর করে।

২. অ্যান্টিআক্সিডেন্ট বহন করে

এই তালিকাতে রয়েছে আপনার ত্বকের BFFs, যেমন বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি ও ই, যা আপনার ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা খুঁজে বের করে ধ্বংস করে। এছাড়া আমের নির্যাস ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধ করে।

৩. প্রদাহ প্রতিরোধের কাজ করে

আম দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহর চিকিৎসা খুব কার্যকরভাবে করতে পারে।

৪. অ্যাান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল

একেই বলা হয় একের ভিতর তিন উপকারিতা। গবেষনা প্রমান করেছে যে আম আপনার ত্বকের ব্যাক্টেরিয়াল, ফাংগাল এবং মাইক্রোবিয়াল আক্রমন প্রতিরোধ করে।

এর থেকে বোঝা যায় কেনো আমকে “ফলের রাজা” বলা হয়। এখন আপনি জানেন যে এটি আপনার ত্বকে কেমন জাদু তৈরি করতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ এবং সহজ আমের ফেইস প্যাকের রেসিপি দেওয়া হলো যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

আমের ফেইস মাস্কঃ উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য  ১০ টি আমের ফেইস প্যাক রেসিপি

১. আম এবং মুলতানি মাটির ফেইস প্যাকঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাঁকা আম
  • ১ চা চামচ দই
  • ৩ চা চামচ মুলতানি মাটি

প্রক্রিয়া

  • আমটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এতে মুলতানি মাটি মিশান এবং দইয়ের সাথে ঘনত্ব সমন্বয় করে নিন।
  • মুখমন্ডল পরিষ্কার করে নিন এবং প্যাকটি লাগিয়ে নিন।
  • এটি ২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন।
  • ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

আম আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল করে তুলে এবং এর সাথে মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত ধূলাবালি ও তেল দূর করে, দাগ কমায় এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে। এই আম এবং মাটির মাস্কটি বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরমের দিনে খুবই উপকারী।

২. আম এবং অ্যাাভাকাডোর ফেইস প্যাকঃ অতিরিক্ত হাইড্রেশনের জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাঁকা আম
  • ২ টেবিল চামচ পেস্ট করা অ্যাভাকাডো
  • ২ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • আমগুলো টুকরো করে কেটে নিন এবং পেস্ট করে নিন।
  • অ্যাভাকাডো এবং মধু এতে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
  • আপনার মুখমন্ডল এবং গলায় লাগিয়ে নিন। শুকাতে দিন।
  • ধুয়ে ফেলুন

কিভাবে কাজ করে

এই মাস্কটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড এবং নরম রাখে। মধু দাগ এবং স্কার হালকা করে। অ্যাাভাকাডো এবং আম সংবেদনশীল ত্বক সুস্থ রাখে এবং ত্বকের লোমকূপ দূষণমুক্ত করে।

৩. আম এবং ওটমিলের ফেইস মাস্কঃ আপনার ত্বককে সতেজ করার জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাঁকা আম
  • ৩ চা চামচ ওটমিল
  • ৭-৮ টি বাদাম (সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে)
  • ২ চা চামচ কাঁচা দুধ

প্রক্রিয়া

  • আমগুলো টুকরো করে কেটে নিন এবং পেস্ট করে নিন।
  • ওটমিল গুড়ো করে নিন এবং বাদামের পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
  • মাস্কটি আপনার মুখ এবং গলায় লাগান।

কিভাবে কাজ করে

এই ফেইস প্যাকটি মরা চামড়া দূর করতে ভালো কাজ করে। যখন আম ত্বক নরম করে, তখন ওটমিল এবং বাদাম প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। কাঁচা দুধ আপনার ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহারের পর আপনার ত্বকে তৎক্ষণাত সতেজতা অনুভব হবে।

৪. আম এবং গোলাপজলের ফেইস মাস্কঃ সংবেদনশীল ত্বকের জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাঁকা আম
  • ২ চা চামচ মুলতানি মাটি
  • ২ চা চামচ দই
  • ২ চা চামচ গোলাপজল

প্রক্রিয়া

  • আম কেটে ভর্তা করে নিন।
  • মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল মিশিয়ে নিন। দইয়ের সাথে এর ঘনত্ব সমন্বয় করে নিন।
  • মাস্কটি লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

গোলাপজল প্রদাহে শীতলতা প্রদানে খুব ভালো কাজ করে (যা গরমকালে খুবই সাধারণ ব্যাপার। এই ফেইস প্যাকটি আপনার ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ  পরা প্রতিরোধ করে। এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

৫. আম এবং বেসনের ফেইস প্যাকঃ রোদে পোড়াভাব দূর করে

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ আমের পেস্ট
  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ দই

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন।
  • একটি ঘন পেস্ট বানান এবং আপনার আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগান।
  • শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

বেসন শুধু একটি বিষ্ময়কর এক্সফ্লয়েটিং এজেন্ট না, এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে। দই পোড়াভাব এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। মধু ত্বককে হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে।

৬. আম এবং ডিমের সাদা অংশঃ অ্যাান্টি-এজিং এর জন্য

উপকরণ

  • ২ টাবিল চামচ পাঁকা আমের পেস্ট
  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ

প্রক্রিয়া

  • ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ঘুটে নিন এবং এতে আমের পেস্ট মিশিয়ে নিন।
  • ভালোভাবে মিশান এবং একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • ফেইস প্যাকটি লাগান। শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

ডিমের সাদা অংশ আপনার ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে। আম আপনার ত্বককে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং আপনার ত্বককে দৃঢ় করে। এটি বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ পরার অন্যান্য সমস্যা দূর করে।

৭. আম এবং দুধের ফেইস প্যাকঃ কালো দাগ দূর করার জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাকা আম
  • ২ চা চামচ কাঁচা দুধ

প্রক্রিয়া

  • দুধ গরম করে নিন এবং এটিকে হালকা ঠান্ডা করে নিন।
  • আম কেটে নিন এবং এটি পেস্ট করে নিন।
  • আমের পেস্ট গরম দুধে মিশান।
  • ফেইস প্যাকটি মুখে লাগান।
  • ৩০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

কাঁচা দুধ দাগ দূর করতে বিষ্ময়করভাবে কাজ করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এক ফেইস মাস্কটি ত্বকের স্পট এবং দাগ দূর করে এবং আপনার মুখ আরো উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তুলে।

৮. আম এবং গমের ময়দার ফেইস প্যাকঃ উজ্জ্বল ত্বকের জন্য

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ পাঁকা আম
  • ১ টেবিল চামচ ময়দা
  • ১ চা চামচ মধু (দুধ ও ব্যবহার করতে পারেন)

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানান।
  • যদি বেশি ঘন হয় তাহলে মধু বা দুধ মিশিয়ে ঘনত্ব ঠিক করে নিন।
  • পেস্টটি আপনার মুখে ম্যাসাজ করুন। মুখে এবং ঘারে পেস্টটি লাগান। আপনি এটি আপনার হাতেও লাগাতে পারেন।
  • পেস্টটি শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

ময়দা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে ত্বককে মসৃণ, কোমল এবং উজ্জ্বল করে তুলে। আম এবং মধু ব্রণ হওয়ার সুযোগ দূর করে, কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

৯. আম এবং চিনির ফেইস প্যাকঃ আপনার ত্বকের স্ক্রাবের জন্য

উপকরণ

  • ১ টি পাঁকা আমের পেস্ট
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • ১ চা চামচ কাঁচা দুধ

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে আমের পেস্ট নিন।
  • এতে দুধ মিশান এবং ব্লেন্ড করুন। চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিশান।
  • অল্প অল্প করে নিয়ে আপনার ফেইসে লাগান এবং স্ক্রাব করুন। এভাবে ১০ মিনিট করুন। তারপর শুকিয়ে নিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

চিনি খুব ভালো স্ক্রাব। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে যা আপনার ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ইনফেকশন ও প্রদাহ হওয়া প্রতিরোধ করে। কাঁচা দুধ এবং আম ত্বকের ভিতরের দূষিত পদার্থ বের করে আনে।

১০. আম দারচিনি এবং জায়ফলের ফেইস প্যাকঃ বিবর্ণতা দূর করতে

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ আমের পেস্ট
  • ১/২ চা চামচ দারচিনির পাউডার
  • ১/২ চা চামচ জায়ফলের পাউডার

প্রক্রিয়া

  • আমের পেস্ট দারচিনি ও জায়ফলের পাউডারের সাথে মিশিয়ে নিন।
  • একটি ক্লিনজারের সাহায্যে আপনার মুখ পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন।
  • ফেইস প্যাকটি লাগান এবং ২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কিভাবে কাজ করে

আমে ভিটামিন এ এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের বিবর্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। এই ফেইস প্যাকটি নতুন ত্বক হতে সাহায্য করে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে।

সুতরাং, এরপর যখন আপনার বাসায় আম আনা হবে তখন শেইকস এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বানানো ছাড়াও আপনার ত্বকের জন্যও কিছু আম রাখুন এবং এই রেসিপি গুলো ব্যবহার করেই দেখুন।

Filed Under: Face Packs and Masks, Homemade Tips

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Page 2
  • Page 3
  • Page 4
  • Interim pages omitted …
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®