• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Lifestyle (জীবনযাপন )

আপনার ব্যক্তিগত অংশ শেভ করার আগে আপনার যা জানা উচিত

by রূপকথন ডেস্ক

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে আমরা প্রায় সকলেই অতিরিক্ত কাজ করতে পছন্দ করি, বিশেষ করে, যখন এটি আমাদের ব্যক্তিগত অংশগুলির  রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আসে। যদিও এটি আজ অনেক মহিলাদের জন্য সহজ, কিনো এটি সবসময় সহজ ছিল না।

প্রকৃতপক্ষে, কয়েক দশক আগে প্রাকৃতিক ভাবেই থাকতে দেওয়া হতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই চুল অপসারণকে নারীত্ব এবং নারীসুলভ স্বাস্থ্যবিধির আদর্শ হিসাবে প্রচার করা হয়েছিল।

ব্যক্তিগত অংশ শেভ

আপনার পিউবিক চুল শেভ করা একটি ব্যক্তিগত পছন্দ হতে পারে এবং এটি করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি ক্লিন শেভ চান বা শুধু আপনার চুল ট্রিম করতে চান, আমরা এখানে একটি পছন্দকে অন্যের উপরে সঠিক হিসাবে চাপিয়ে দিতে আসিনি। আমরা আপনাকে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে চেয়েছি। 

এই নিবন্ধে, আমরা পিউবিক চুল শেভ করার বিভিন্ন পদ্ধতি, সেইসাথে জ্বালা এবং ইনগ্রউন চুল প্রতিরোধ করার জন্য কিছু টিপস আলোচনা করব। আমরা পিউবিক চুল শেভ করার সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি নিয়েও আলোচনা করব, যাতে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনার জন্য কোনটি সেরা।

পিউবিক চুলের কাজ কি? What is the function of pubic hair?

আমাদের বেশিরভাগ অঙ্গ এবং শরীরের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মানব জাতি বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে, মানবদেহে অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য বিকাশ করেছে যা পরিবর্তিত সময়ে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। শরীরের লোম অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে, কিন্তু এটিরও কারণ রয়েছে।

আসলে, আমাদের শরীরের চুল আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে, এবং ঘামের বাষ্পীভবনকে সহজ করে ।

শেভিং এর অসুবিধা

পিউবিক চুলগুলি নীচের অঞ্চলগুলির ত্বকের জন্য একটি কুশন হিসাবে কাজ করে এবং এটিকে ঘর্ষণ এবং কাটা থেকে রক্ষা করে। এই অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষণাবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে বাধা হওয়ার পরিবর্তে, এটি যোনিপথকে ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, নিজের ফাঁদে আটকে রাখে।

এটি সেই এলাকার ঘামের বাষ্পীভবনেও সাহায্য করে । সুতরাং, ঘটনাটি রয়ে গেছে যে যদিও আপনি এটিকে একটি হালকা অসুবিধা বলে মনে করতে পারেন, তবে পিউবিক চুল একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

কিভাবে পিউবিক চুল শেভ করবেন How to Shave Pubic Hair

নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে পিউবিক চুল শেভ করার কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল:

  • প্রথমে চুল ছেঁটে নিন। এটি শেভ করা সহজ করবে এবং নিক এবং কাটার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। আপনি এক জোড়া ছোট কাঁচি বা একটি বৈদ্যুতিক ট্রিমার ব্যবহার করতে পারেন।
  • ধারালো রেজার ব্যবহার করুন। সবসময় নতুন বা ধারালো রেজার ব্যবহার করুন। একটি নিস্তেজ/অধিক পুরোনো রেজার ত্বক কাটার বা রেজার বাম্পের কারণ হতে পারে।
  • শেভিং ক্রিম বা জেল লাগান। এটি আপনার ত্বককে রক্ষা করতে এবং শেভ করা সহজ করতে সাহায্য করবে।
  • চুলের বৃদ্ধির দিকে শেভ করুন। এটি জ্বালা কমাতে সাহায্য করবে।
  • ঘন ঘন রেজারটি ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল এবং শেভিং ক্রিম অপসারণ করতে এবং
    ব্লেডগুলিতে চুল আটকে থাকা থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
  • আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করুন। এটি মৃত ত্বকের কোষগুলিকে অপসারণ করতে এবং ইনগ্রউন চুল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। আপনি স্ক্রাবার, ওয়াশক্লথ বা এক্সফোলিয়েটিং স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন।
  • শেভ করার পরে ময়েশ্চারাইজ করুন। এটি আপনার ত্বককে প্রশমিত করতে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
পিউবিক

ব্যক্তিগত অংশ শেভিং এর সুবিধা কি কি?

ব্যক্তিগত অংশ শেভিং করার কিছু সুবিধা রয়েছে। নিচে এর কিছু সাধারণ সুবিধা তুলে ধরা হলো:

১. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি: ব্যক্তিগত অংশ শেভিং করলে ঘাম ও ময়লা জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে, যা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সহায়ক।

২. দুর্গন্ধ কমানো: চুলের উপস্থিতি ঘামের কারণে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। শেভিং করলে দুর্গন্ধ কমানো সহজ হয় এবং ত্বক আরও তাজা থাকে।

৩. ত্বকের সমস্যা কমানো: শেভিং করে ত্বকের চুলকানি, র‍্যাশ, এবং অন্যান্য সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ চুলের অভাবে ময়লা কম জমে।

৪. যৌন স্বাস্থ্য এবং অভিজ্ঞতা: অনেক মানুষ মনে করেন যে শেভিং করা যৌন অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক এবং পরিচ্ছন্ন করে তুলতে সহায়ক।

৫. চেহারার সৌন্দর্য: অনেকের মতে, ব্যক্তিগত অংশ শেভিং করে রাখলে সেটি দেখতে আরও পরিপাটি এবং আকর্ষণীয় হয়, যা ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

৬. স্নানের সময় আরাম: শেভিং করা ত্বকে পরিষ্কার এবং আরামদায়ক স্নানের অভিজ্ঞতা দেয়, বিশেষত গরমের সময়।

তবে শেভিং করার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, যেমন ত্বকের ক্ষতি এড়াতে শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা এবং পরিষ্কার রেজার ব্যবহার করা।

শেভিং এর অসুবিধা কি কি?

পিউবিক চুল অপসারণের অনেক উপায় আছে। আছে ওয়াক্সিং, ইলেক্ট্রোলাইসিস, লেজার রিমুভাল, ওভার-দ্য-কাউন্টার রাসায়নিক ডিপিলেটরি ক্রিম এবং শেভিং। যদিও এই সমস্ত পদ্ধতির নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, মহিলারা শেভিং রুটে যেতে পছন্দ করেন, কারণ এটি সস্তা এবং নিজের সুবিধামত করা যেতে পারে।

অন্যান্য চিন্তাধারাও রয়েছে যা এটি করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে কারণ তারা দাবি করে যে সেখানে চুল শেভ করার ফলে এটি ঘন হয় এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই দাবির সত্যতার কোন ভিত্তি নেই এবং সর্বোপরি, এটি কেবল একটি মিথ। যাইহোক, শেভিংয়ের সাথে যুক্ত অন্যান্য অসুবিধা রয়েছে এবং আমরা সেগুলি সম্পর্কে আপনাকে একটি ধারণা দিতে চাই। 

  • একটি মসৃণ পিউবিক অঞ্চল বজায় রাখার জন্য, আপনাকে ঘন ঘন শেভ করতে হতে পারে যার ফলে ত্বকে মাইক্রো-ঘর্ষণ বা কাটা হতে পারে, যা এলাকাটিকে সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।
  • তারপর রেজার এর পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি রয়েছে।
  • আপনার সেখানে জমে থাকা চুল থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে যা শুধুমাত্র এলাকার চেহারাই নষ্ট করবে না, এটি আপনাকে অনেক অস্বস্তিও দেবে।
  • চুল অপসারণ করলে আপনার STI হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে কারণ চুল অপসারণের ফলে ত্বকের ঝিল্লি অপসারণ হয়ে যায় যা ব্যাকটেরিয়াদের শরীরে প্রবেশ করা সহজ করে তোলে। যাইহোক, এই ঝুঁকি চুল অপসারণের অন্যান্য পদ্ধতিতেও রয়েছে।
  • আপনি আপনার যৌনাঙ্গে ফলিকুলাইটিসও অনুভব করতে পারেন। ফলিকুলাইটিস এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। এই বাম্পগুলিতেও পুঁজ থাকে। যদিও অবস্থাটি সহজেই চিকিৎসাযোগ্য এবং তুলনামূলকভাবে ক্ষতিকারক, এটি দাগ হতে পারে।

আপনি কিভাবে অস্বস্তি কমাতে পারেন?

  • সবসময় লুব্রিকেন্ট বা একটি শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন যাতে কোন নিক না পাওয়া যায়, এছাড়াও জ্বালা কমাতে পরে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এর জন্য আপনি একটি ওভার-দ্য-কাউন্টার কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। যাইহোক, সতর্কতা অবলম্বন করুন যে এই পণ্যগুলির কোনওটি যোনি খোলার খুব কাছাকাছি প্রয়োগ করবেন না।
  • এলাকায় আরও বিরক্তিকর এড়াতে, ত্বক-আঁটসাঁট পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন বা অবিলম্বে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ত্বক তখন চাফিংয়ের জন্য আরও সংবেদনশীল।
  • আপনি একটি ধোয়া কাপড় ব্যবহার করে ঝরঝরে চুলের চিকিৎসা করতে পারেন যাতে স্নান করার সময় অংশটি আলতো করে এক্সফোলিয়েট করা যায়। আপনি যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হন, আবার শেভ করার আগে সেগুলি কমার জন্য অপেক্ষা করুন।
  • আপনার ত্বক উষ্ণ এবং আর্দ্র হলে গোসলের পরে শেভ করুন। এটি চুলকে নরম করতে এবং শেভ করা সহজ করতে সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও, চুল কেটে ফেলার সাথে সাথে দীর্ঘ গরম ​​ঝরনা, বা বাষ্প স্নান করা এড়িয়ে চলুন, কারণ গরম জল ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে, যার ফলে এটি বাধা হতে পারে।
  • একটি ভাল আলোকিত এলাকায় শেভ করুন। এটি আপনাকে আপনি কী করছেন তা দেখতে এবং ত্বক কাটা এড়াতে সহায়তা করবে।
  • শেভিং প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো করবেন না ধীরেসুস্থে করুন

শেষ পর্যন্ত, অবাঞ্ছনীয় চুল কেটে ফেলার, বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আপনার হাতে। যাইহোক, যতদূর স্বাস্থ্যবিধি যায়, চুল কেটে ফেলার সত্যিই আপনার স্বাস্থ্যবিধি ভালো রাখে তেমন না , বরং এটি আপনাকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রাখে। রাসায়নিক ডিপিলেটরি ক্রিম ব্যবহার করা সেই ঝুঁকি কমাতে পারে, কিন্তু তারপরে এটি যোনিপথে প্রবেশ করার সম্ভাবনা সবসময় থাকে।

Filed Under: Lifestyle (জীবনযাপন )

ব্যাক পেইন বা পিঠে ও কোমরে ব্যথার কারণ, উপসর্গ এবং ঘরোয়া প্রতিকার | Back Pain Home Remedies in Bengali

by লামিয়া তানজিন মাহমুদ

বর্তমানে পিঠ বা কোমর ব্যথা (back pain) এখন খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। এই ধরনের ব্যথা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের এই সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়। চলমান শীতে ওমিক্রন আর করোনার পাশাপাশি যদি আর কিছুর প্রকোপ বাড়ে, তবে সে হচ্ছে ব্যাক পেইন। আজকের আলাপন ব্যাক পেইন নিয়েই।

back pain

ব্যাক পেইন বা পিঠে ও কোমড়ে হওয়া ব্যথা নিয়ে কিছু কথা

প্রশ্ন আসতে পারে, শীতকালেই কি ব্যাক পেইনের আগমন? উত্তর হচ্ছে – না!

ব্যাক পেইন এমন এক ব্যথার নাম যা ঋতুর উপর নির্ভর করে না। অনেকটা স্বেচ্ছাচারী বলা যায়। আবার এও বলা যায়, মানবজাতি তাদের আয়েশি জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলেই এই ব্যাক পেইনকে রীতিমতো নিমন্ত্রণ দিয়ে ডেকে আনে। একটু অবাক লাগছে না? আসুন নিমন্ত্রণের বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলি-

কমবেশি সবারই ব্যথার অভিজ্ঞতা হয়। ছোটকালে হামাগুড়ি দেওয়ার আগে থেকে বার্ধক্যে উপনীত হয়েও এই ব্যথা থেকে মুক্তিলাভের যেন কোন পথ বাতলে দেওয়া হয়নি। আর হলেও বা, যা হওয়ার তা তো হবেই। বলছিলাম ব্যাক পেইন এর কথা। ইংরেজি এই (Back Pain) শব্দের আক্ষরিক অর্থ অনুযায়ী ব্যাক অর্থ পেছন আর পেইন অর্থ ব্যথা।

সে হিসেবে ব্যাক পেইন বলতে পেছনে ব্যথাকেই বোঝানো হয়। আর পেছন বলতে ঘাড়ের নিচ থেকে কোমড় পর্যন্ত অংশকে বোঝানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত ব্যাক পেইন বলতে কেবল পিঠ আর কোমড়ের ব্যথাকেই বোঝায়। এবার হয়তো আজকের আলাপনের বিষয় একটু সাবলীল হয়ে এসেছে, তাই নয়?

পিঠ কিংবা কোমড়ের ব্যথা অথবা উভয় অংশেরই ব্যথা মূলত কোন বয়স মানে না। যে-কোন বয়সেই হতে পারে। যে-কোন বয়সের যে-কেউই আক্রান্ত হতে পারে এই ব্যথায়। তবে মাঝামাঝি বয়স থেকে শুরু হওয়া এই ব্যথা জীবনের অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত টিকে যাওয়ার ঘটনাই এখন পর্যন্ত বিদ্যমান।

অর্থাৎ এই ব্যথা শুরুর ঠিক সময় হলো মাঝামাঝি বয়স। যদি জিজ্ঞাসা করেন, পিঠে ব্যথা কিংবা কোমড়ে ব্যথা এটা কেমন ধরণের ব্যথা? তাহলে এক শব্দে বলা যায়- সাধারণ। আদতে অতি সাধারণ এই ব্যথাটাকে তাই অনেকেই আমলে নেন না। যার পরিণতি হিসেবে অনেককেই করাতে হয় অপারেশন! আঁৎকে ওঠার মতো সংবাদ নয়?

অথচ এক চিমটি সচেতনতাই পারে অপারেশন কিংবা মেডিসিন এর মতো কৃত্রিম উপায়ে সুস্থ হওয়া থেকে বিরত থাকতে। একটু বিশদ জানানোর প্রয়োজন আছে বইকি। চলুন বিশদ আলাপনের গভীরে ডুব দেই একযোগে!

ব্যাক পেইন এর কারণ (Cause of Back Pain)

সরাসরি কিছু পয়েন্ট তুলে ধরছি-

  • ভারি বস্তু ক্রমাগত ওঠানামা করা।
  • দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে একটানা কাজ করলে।
  • অস্টিওপরোসিস রোগের কারণে পিঠ ও কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  • ভুল ভঙ্গিমায় কাজ করা।
  • হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে স্থান পরিবর্তন করা। যেমন- শোওয়া থেকে উঠে বসা কিংবা বসা থেকে দাঁড়িয়ে যাওয়া।
  •  দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিমায় স্থির থাকা।
  • বেশি নরম বিছানায় ঘুমালে।
  • হুট করে কোন পেশিতে টান লাগলে কিংবা প্রসারিত হয়ে গেলে। সায়টিক বা এক শিরার সমস্যা হলেও ব্যাক পেইন দেখা দেয়।
  • কোন দূর্ঘটনার কারণে শরীরের পেছনে আঘাত পেলে।
  • উচ্চতা ও শারীরিক গড়নের স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ওজন বেড়ে গেলে।
  • হুট করে শারীরিক কোন কসরত করলে। ধরুন হুট করেই জিম করলেন, বা ব্যায়াম শুরু করলেন। এগুলোর সরাসরি প্রভাব পিঠ বা কোমড়ের উপরে পরে।
  • বাতের সমস্যা যদি থাকে কিংবা বয়সের কারণে।
  • হবু মায়েদের হতে পারে। হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

প্রিয় পাঠক, ব্যাক পেইন অর্থাৎ পিঠে ও কোমড়ে ব্যথার এই কারণগুলো কি মিল খাচ্ছে আপনাদের সাথে? যদি মিলেই যায় তাহলে করণীয় কী বলুন তো? সব জানাচ্ছি কিন্তু তার আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জানানোর আছে আপনাদের। শেষ পর্যন্ত থাকুন।

ব্যাক পেইন এর লক্ষণ বা উপসর্গ (What are the Symptoms of Back Pain)

এবার সরাসরি পয়েন্ট আকারে না দিয়ে একটু বিশদের দিকে হাঁটবো আমরা, প্রয়োজন আছে এর।

  • ঘাড় থেকে শুরু হওয়া ব্যথাটা নিতম্ব পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। কখনও কখনও এই দুই জায়গায় ব্যথা স্থায়ী হয় অথবা পুরো মেরুদন্ডটিতে ব্যথা থাকে।
  • এই ব্যথার ফলাফলে এক পা, কখনওবা দুই পায়েই ব্যথা অনুভূত হতে পারে। কোমড়ের ব্যথা যাদের আছে তারা জানেন, ব্যথা ধীরে ধীরে নিচের দিকে ধাবিত হয়। অর্থাৎ কোমড় থেকে হাঁটু এবং সর্বশেষ গোড়ালিতে গিয়ে ঠেকে।
  • দীর্ঘসময় টানা বসে থাকার ফলে ব্যথা ক্রমশই বাড়ে। একটা পর্যায়ে তা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।
  • যাদের শুধু কোমড় ব্যথা হয়, তাদের ক্ষেত্রে কোমড়ের সামান্যতম নড়াচড়া মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে কোমড় বাঁকানো, উঠা বসা সবকিছুতেই ব্যথা অনুভূত হয়।
  • ব্যথার প্রভাবে পিঠে বা কোমড়ে ফুলে যেতে পারে। অনেকক্ষেত্রে ব্যথার জায়গার মাংস শক্ত হয়ে যায়, এতে ব্যথা আরও বাড়ে।
  • এটা মোটামুটি সবাই জানেন যে ব্যথার জায়গা তুলনামূলক গরম থাকে। তাছাড়াও শরীরের যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে, তা ছাপিয়ে যেতে পারে ব্যথার প্রভাবে।
  • মনের সাথে শরীরের সংযোগ প্রবল থাকার কারণে মনের সামান্যতম এদিকওদিকে শরীরের উপর ধকল পড়ে বেশি। এক্ষেত্রে মেজাজ এর পরিবর্তনে ব্যাক পেইন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
  • ব্যথার জায়গাগুলোতে চাপ দিল কিংবা ছুঁলে ব্যথা হুট করেই বাড়ে।
  • কিছু নতুন সমস্যা যুক্ত হতে পারে। যেমন- অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, মনোযোগ এর অভাব, মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
  • শারীরিক আরও কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে, যেমন- ঘাড়ে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, বুকে ব্যথা, পায়ের তালুতে ব্যথা, চোখ ব্যথা, কখনও বা চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যারাও দল বেঁধে হানা দেয়।
  • অনেকের পায়ে ক্রমাগত ঝিনিঝিন ও অবশ ভাব দেখা দেয়।
  • কিছু মানুষের ক্ষেত্রে জ্বর, কাঁপুনি, বমি, ঘোলা প্রস্রাব হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব, জ্বালাপোড়া সহ প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা অনুভূত হয় অনেকের। ( একটি কথা এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, এই পয়েন্টটি সবার জন্য নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হয় অনেকের। তাই বলে এটা যে সবার হতেই হবে, তা কিন্তু নয়। বা এই সমস্যা না হলে যে তা আদতে ব্যথার যোগ্যতা হারায়, তাও কিন্তু নয়।)

ব্যাক পেইন এর ঘরোয়া প্রতিকার (Back Pain Home Remedies)

Back Pain Home Remedies

দেখুন পাঠক, ব্যথা কিন্তু কোন রোগ নয় বরং এটি রোগের একটা অনুভবযোগ্য অবস্থা মাত্র। তাই ব্যথাকে অবহেলা করাটা নিতান্তই বোকামি। মূল আলাপনে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় একটু জানিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। সমস্যা যেমন  আছে, সমাধানও তেমন আছে। তবে চেষ্টা থাকা লাগবে ঘরোয়া প্রতিকারে সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে। কেন বলছি এই কথা?

ঔষধ কিংবা অপারেশন কি প্রাকৃতিক কোন ব্যাপার? অবশ্যই না। অন্যদিকে ঘরোয়া প্রতিকার বলতে আমরা কিন্তু প্রাকৃতিক বিষয়টাকেই বুঝে থাকি। কি তাই তো? প্রকৃতিতে আমাদের যাবতীয় রোগ বালাই থেকে শুরু করে যেকোন শারীরিক সমস্যার ঔষধ দেওয়া আছে। যা আহরণ করে নেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।

প্রাকৃতিক পন্থা অর্থাৎ ঘরোয়া প্রতিকারে আপনার লাভ এখানেই যে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আর এ কারণেই দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রাকৃতিক সহ ঘরোয়া সব প্রতিকার মূলক ব্যবস্থাগুলো। আলাপনের এ পর্যায়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি ব্যাক পেইন এর ঘরোয়া প্রতিকারে-

  • এ ধরণের ব্যথা গুলোতে সাধারণত শরীরচর্চা খুব কাজে দেয়। মানে সাধারণ ব্যায়াম আর কী। এর মানে আবার এই না যে আপনি জিমে গিয়ে ভারি ভারি জিনিস টানাহেঁচড়া করবেন!
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হুটহাট ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাবেন না। খাওয়ার প্রয়োজনিয়তা অনুভব করলে চিকিৎসক এর পরামর্শ মেনেই তবে খাবেন। তবে ব্যথার জন্য ঔষধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। এটাও মাথায় রাখবেন। অতিরিক্ত ব্যথার ঔষধ কিডনির সমস্যা করে।
  • ব্যাক পেইন হওয়ার কারণ হিসেবে কী কী পয়েন্ট লিখেছিলাম, মনে আছে? একটানা যদি কোন অবস্থানে আপনি আঁটকে থাকেন এটা আপনার পিঠে আর কোমড়ে ব্যথা সৃষ্টি করবেই। সেক্ষেত্রে একটানা বসে থাকবেন না। ২০/৩০ মিনিট অন্তর অন্তর উঠবে, হাঁটবেন।
  • যাদের অতিরিক্ত ওজন, তাদের তো ভয় আছেই। একটু একটু করে ওজন ঝেড়ে ফেলুন। কী করে ওজন কমাবেন তার জন্য পুষ্টিবিদ এর সাথে আলাপ করতে পারেন।
  • ধরুন আপনি টিভি দেখছেন কিংবা বসে বসে কোন কাজ করছেন। কী করবেন জানেন এই সময়টায়? গরম পানি ভর্তি হট ওয়াটার ব্যাগ পিঠের পেছনটায় দিয়ে রাখবেন কুশনের মতো। গরম পানির ভাপ যে-কোন ব্যথা কমাতে সিদ্ধহস্ত।
  • শৈশবে আমাদের দাদি, নানি, মা, খালারা একটা কাজ করতেন। সরষের তেল আমাদের গায়ে মেখে দিয়ে আমাদেরকে রোদে শুইয়ে রাখতেন। সরষের তেল এর উপকারিতা যে কতখানি তা লিখে শেষ করা নিতান্তই অসম্ভব। তবে হ্যাঁ, এই বয়সেও সেই শৈশবের কাজটার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। ব্যথার জায়গায় সরষের তেল সামান্য গরম করে মেখে রাখবেন। এক ঘন্টা পর কুসুম গরম পানিতে গোসল করবেন। কয়েকদিন করতে পারেন। ফলাফল নিজেই দেখুন।

backpain exercise

এছাড়াও ভেষজ তেলগুলো মালিশের জন্য কিন্তু বেশ উপকারি। যে-কোন ব্যথাতে ভেষজ তেল গায়ে মাখার বেশ সুফল রয়েছে।

  • ব্যথার জন্য গরম দুধ খুব কার্যকর, এ আপনারা জানেন। আমাদের মায়েরা কিন্তু এখনও আমাদের যে-কোন রোগ কিংবা ব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে আগেই গরম দুধ খেতে দেন। এবং আশ্চর্যজনকভাবে এটা কাজেও দেয়। একটা ছোটো কাজ করবেন। এখন থেকে দুধ খাওয়ার আগে সামান্য হলুদ আর মধু মিশিয়ে নেবেন। হলুদ, দুধ আর মধুর ভেতরকার ক্ষমতা আপনার শরীরের ভেতরের জন্য বেশ কার্যকর। বিশ্বাস না হলে খেয়েই দেখুন।
  • চায়ের নেশা আছে প্রায় অনেকের। এই শীতে চা তো আরও বেশিই দরকারের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এক্ষেত্রে এই চা দিয়েই একটা প্রতিষেধক করতে পারেন। চা যখন বানাবেন, তখন সেই পানিতে কয়েক টুকরো আদা একটু ছেঁচে দিয়ে দেবেন। এরপর রস বেরোলে সামান্য চা পাতা দিয়ে ঢেকে দেবেন। প্রয়োজন মতো চিনি কিংবা মিছরি দিয়ে এই চা পান করুন। যেকোন ব্যথাতে আদার রস বেশ কার্যকরী একটা উপাদান।
  • সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন আমরা বিছানার কাছে ফিরি তখন একদম গা এলিয়েই শুয়ে পড়ি কিংবা ঘুমিয়ে যাই। এই সময়টায় স্বাভাবিকভাবেই আমরা কেউই মাথায় রাখি না যে শোয়ার কিছু নিয়ম আছে। হাত পা যাচ্ছেতাইভাবে পেঁচিয়ে অথবা ছড়িয়ে ঘুমান অনেকেই আর ভুলটা এখানেই হয়। শোয়ার কিংবা ঘুমের কিন্তু সুন্দর কিছু নিয়ম আছে। ইউটিউব ঘাটলেই সে-সব আপনারা পেয়ে যাবেন।
  • চেষ্টা করবেন শরীরের বাইরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো যাতে নড়াচড়ার উপরে থাকে। অর্থাৎ হাত, পা, মাথা, ঘাড় কোন কিছু বেশিক্ষণ স্থির হয়ে না থাকে। নড়াচড়া করলে ব্যথা জেঁকে বসে থাকে না।
  • যদি ভারি কাজ কিংবা অতিরিক্ত ওজন বহনের অভ্যাস না থাকে তাহলে এড়িয়ে যান দয়া করে। এগুলো আপনার ব্যাক পেইন সহ শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা সৃষ্টির অন্যতম কারণ।

ভিন্ন আলাপন!

লেখনের এ পর্যায়ে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে একটু ভিন্ন আলাপনের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি। আলাপনের শিরোনাম- এই ব্যাক পেইন কাদের বেশি হয়? একটু করে জানিয়ে রাখি, উপকারে এলেও আসতে পারে।

★ প্রথমে আসি কোমড়ে ব্যথার দিকে। সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোমড়ে ব্যথা বাড়ে। তবে হ্যাঁ, ৩০ এর পর থেকে কোমড় সহ নানান ধরণের ব্যথা বাড়ার উৎকর্ষ সময়। অনেকের ক্ষেত্রে এ ব্যথার বিষয়টা ৪০ এর পর গিয়ে শুরু হয়।

★ কায়িক পরিশ্রমের অভাবে যে অনেকের নানান ধরণের শারীরিক ব্যথা হতে পারে, এ কি আপনারা জানেন?

নিয়মিত কিছু ব্যায়াম, কায়িক শ্রমের অভাবে পেট ও পিঠের মাংসপেশিতে এক ধরণের চাপ পড়ে। ফলে সামান্য পরিশ্রমে ব্যথা হুট করেই বেড়ে যায়।

★ ওবেসিটি অর্থাৎ অতিরিক্ত ওজন যাদের, তাদের কোমড় আর পিঠের মাংসপেশিসহ হাড়গুলোতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যখন তারা কোন কাজ করতে নেন।

★গর্ভকালীন সময়ে অনেক হবু মায়েদের পিঠে এবং কোমড়ে ব্যথা হয়ে থাকে। এর কারণ জানেন? গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বেড়ে ভারি হয়ে যায়। শরীরের এই ভারিক্কি ভাবের কারণে পেশিতে চাপ পরে। অতঃপর….কোমড়ে ব্যথা।

★ কিডনির সমস্যা যাদের আছে কিংবা যাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন আছে, তাদের অনেকের ক্ষেত্রে কোমড় ব্যথা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। (একটু বলে রাখা ভালো, কিডনির সমস্যা কিংবা প্রস্রাবের ইনফেকশনে শুধু কোমড় ব্যথাই একমাত্র ব্যথা না বরং আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোমড়ে ব্যথা হলেই যে সেটা কিডনির সমস্যা কিংবা প্রস্রাবের ইনফেকশন, এটা ভাবার কোন কারণ নেই। )

★ আপনি কি বিষন্নতা প্রেমি? অর্থাৎ ডিপ্রেসড? একটু সাবধানতার প্রয়োজন আছে যদি উত্তর হ্যাঁ হয়। কেমন!

★ মদ, সিগারেটের অভ্যাস থাকলে ঝেড়ে ফেলে দিন। এ অভ্যাসগুলো কোমড়ে ব্যথার কারণ হতে পারে।

এখানে একটা তথ্য জানিয়ে দেই – যারা ধুমপান করেন তাদের জন্য সতর্কবার্তা বলতে পারেন। ধুমপানে রক্তনালী ধীরে ধীরে চিকন হতে থাকে। এর প্রভাবে কোমড় থেকে রক্ত প্রবাহ ঠিক ভাবে নিচের দিকে নামতে পারে না। এতে কী হয় জানেন? হাড়গুলো ঠিকঠাক পুষ্টি পায় না। ফলাফল – কোমড়ে ব্যথা, দুর্বলতা।

★ আরেকটা তথ্য দিয়ে রাখি- পুরুষের তুলনায় মেয়েরা ব্যাক পেইন অর্থাৎ পিঠে ব্যথা এবং কোমড়ে ব্যথার ক্ষেত্রে বেশি ভুক্তভোগী!

ভিন্ন আলাপনের এ পর্যায়ে প্রাসঙ্গিকতা বজায় রেখে আরও একটা সমাধান দাঁড় করাতে চাচ্ছি। ধরুন, আপনার ব্যাক পেইন হয়েই গেলো। কিংবা যে অভ্যাসগুলো আপনার আছে তাতে যে-কোন সময়েই আপনি ব্যাক পেইনের একজন নিয়মিত রোগী হয়ে উঠতেই পারেন। এক্ষেত্রে একটু সাবধানতার প্রয়োজন আছেন না বলেন?

এবার তাহলে যে সমাধানটিতে যাবো তার শিরোনাম – সাবধান হওয়ার মূহুর্ত কোনটি? অর্থাৎ ঠিক কোন সময়টায় গিয়ে আপনার থামতে হবে চিরচেনা অভ্যাসগুলো থেকে। আবার ধরুন, আপনি হয়তো ভাবছেন এটা খুব স্বাভাবিক সাধারণ ব্যথা, অথচ এটি ক্রমশ তীব্রতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। জানার প্রয়োজন আছে বইকি, তাই না বলুন? তাহলে শুরু করা যাক –

★ ধরুন, আপনার কোমড় ব্যথা আছে তবে এর সাথে বাড়তি হিসেবে প্রস্রাব কিংবা পায়খানার ক্ষেত্রে যদি কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। তবে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং কালবিলম্ব না করে চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হতেই হবে।

★ ব্যাক পেইন এর সাথে গায়ে কি জ্বরাভাব থাকে আপনার? জি এক্ষেত্রেও আপনাকে চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হতে হবে।

★ অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় না? ধরুন কোন আঘাত পেলেন, আর সেই আঘাতের ফলাফল স্বরূপ ব্যাক পেইন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। হয় না এমন? এ-সব ক্ষেত্রে হেলাফেলা করার একদম উপায় নেই, জানেন? এমন হলে আপনাকেই বলছি, সতর্কতা অবলম্বন এর সময় আপনারও হয়েছে।

★ ব্যাক পেইন এর বিষয়টা এমন যে বিশ্রাম নিলে আর নিয়ম করেই কিছু নিয়ম মানলে এই ব্যথা থেকে মুক্তিলাভ সম্ভব। কিন্তু ধীরে ধীরে যদি এই ব্যথা তীব্রতার পথে এগোয় তবে সেই ব্যথাকে লালন-পালন করার চাইতে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া আপনার জন্য অবশ্য কর্তব্য।

★ পিঠে কিংবা কোমড়ের এই ব্যথা যদি নামতে নামতে এক পায়ে অথবা দুই পায়ে বিশেষ করে হাঁটুতে নেমে আসে তবে আপনার আর হেলা করার অবকাশ নেই।

★ মদ পান, ধুমপান ইত্যাদির বাজে অভ্যাস যাদের আছে তাদের আবার বলছি, সময় থাকতে একটু সাবধান, কেমন?

★ আবার ধরুন আপনার সাধারণ মাপের ব্যাক পেইনই আছে। কিন্তু বাড়তি হিসেবে যদি ধীরে ধীরে ওজন কমার ঘটনা ঘয়তে থাকে তবে সচেতনতার সময় ঘনিয়েই এসেছে, ধরে নিন।

★ শুধু ব্যাকপেইন হলে ঘরোয়া কিছু প্রতিকারেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু দুর্বলতা, শরীরে অবশভাব এবং পায়ের ঝিনঝিনভাব যদি দেখা দেয় তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত ঘরোয়াভাবে সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময় করা যায় কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত দয়া করে নিয়ম মেনে চলুন। নয়তো একবার যদি ঔষধ আর অপারেশনের দিকে এগোন, বিশ্বাস করুন ছাড়াছাড়ির সুযোগ আর পাবেন না। তাই অপারেশন কিংবা ঔষধের উপর নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর আগে প্রকৃতির উপরেই না হয় প্রথম নির্ভরতা বাড়ুক!

Image Source: pixabay.com

Filed Under: Lifestyle (জীবনযাপন )

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®