• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Mohona

ডিম কিভাবে চুল ঝরা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে (১৩ টি উপায়)

by Mohona Leave a Comment

স্বাস্থ্যকর, লম্বা এবং ঘন চুল বেশিরভাগ সময়ই অসাধ্য স্বপ্ন বলে মনে হয়। বিশেষ করে তখনই, যখন আপনার চুল ঝরে পড়া এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যা আছে। কিন্তু, আপনি কি জানেন একটি সহজলভ্য উপকরণ ডিম আপনার সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে? ডিম শুধু চুলের ক্ষতি এবং ঝরে পরাই প্রতিরোধ করে না, তারা চুলের বৃদ্ধির জন্যও উত্তম। কেন? তা নিচে দেওয়া হলঃ

ডিম কি আপনার চুলের জন্য ভালো?

ডিম প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দ্বারা পরিপূর্ণ যা চুলের পুষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টিগুণগুলো, বিশেষ করে বায়োটিন এবং অন্যান্য বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে ঝরে পরা রোধ করতে সাহায্য করে। এই পুষ্টিগুলো নতুন চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চুলের ঘনত্ব বাড়ায় এবং চুলকে পুরু করে তুলে। ডিমের প্রোটিন চুল মজবুত করতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট চুলকে কন্ডিশন করে চুলের গঠন উন্নতি করে।

চুলের জন্য ডিমের উপকারিতা

যখন আপনি চুলে ডিম লাগাবেন তখন এর উপকারিতা কতটা মূল্যবান তা বুঝতে পারবেন। কিভাবে ডিম আপনার চুলের উপকার করে তা দেওয়া হলঃ

১. চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ডিম প্রচুর প্রোটিন এবং পুষ্টির উৎস যা “চুলের খাদ্য” হিসেবে পরিবেশিত হয়। এই পুষ্টিগুলো আপনার চুলের বৃদ্ধির হার বাড়াতে সাহায্য করে যা আপনার চুল বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

২. চুলের ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে

ডিম আপনার স্ক্যাল্পে পুষ্টি জুগিয়ে চুলের ঝরে পড়া প্রতিরোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।

৩. চুলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে

ডিমের কুসুমে প্রচুর লুটিন আছে, যা আপনার চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং চুলের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

৪. চুলের ভাঙন প্রতিরোধ করে

ডিমের কুসুমে থাকা লুটিন ভঙ্গুর চুলের চিকিৎসা করে, আপনার চুলের গঠন উন্নতি করে ভেঙে যাওয়া এবং চুলের আগা ফেঁটে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৫. উজ্জ্বলতা প্রদান করে

ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন আপনার চুলে পুষ্টি জোগায় এবং একটি স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা প্রদান করে।

৬. ক্ষতি নিরাময় করে

চুলের ৭০% প্রোটিন হওয়ার কারণে, ডিমের ভেতর থাকা প্রোটিন আপনার চুলের গঠনের ক্ষতিগ্রস্থ কেরাটিন পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

ডিমের কোন অংশটি আপনার চুলের জন্য ভালো?

যখন আপনি ডিমের কোন অনশ আপনার চুলের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে কথা বলেন, তখন আপনাকে আপনার চুলের ধরণ কেমন তা জানতে হবে। তৈলাক্ত চুলের নারীরা ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পছন্দ করে অপরদিকে শুষ্ক চুলের নারীরা ডিমের কুসুম ব্যবহার করেন। নিচে কারণ দেওয়া হলো;

ডিমের সাদা অংশ – একটি ডিমের সাদা অংশে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে মিনারেল আছে যেমন নিয়াসিন, রিবোফ্লেবিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম, এদের সবগুলোই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত চুলের মানুষেরা শুধুমাত্র সাদা অংশটি ব্যবহার করতে পছন্দ করে কারন তারা তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। সাদা অংশটি হলুদ অংশের মত চুল কন্ডিশন করে না।

কুসুম – কুসুমও প্রোটিন সমৃদ্ধ (সাদা অংশ থেকে কম) এবং প্রচুর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ফলিক এসিডে পরিপূর্ণ, যা প্রায়ই “চুলের খাদ্য” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কুসুমের চর্বিজাতীয় বস্তু একে খুবই ভালো একটি কন্ডিশনিং উপকরণ বানিয়েছে, যার কারণে এটি প্রায়ই শুষ্ক চুলের মানুষেরা ব্যবহার করে।

পুরো অংশ – সাদা অংশ এবং কুসুম দুইটিই প্রোটিনের খুব ভালো উৎস; কিন্তু সাদা অংশ বেশি পুষ্টিকর। পুরো ডিম ব্যবহারে আপনি আপনার চুলে সাদা অংশ এবং কুসুম দুইটির মিশ্রিত উপকারিতা পাবেন। এটি স্বাভাবিক এবং মিশ্রিত চুলের জন্য আদর্শ।

কিভাবে চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করতে ডিমের ব্যবহার করবেন?

১. স্বাভাবিক এবং মিশ্রিত চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিমের মাস্ক

উপকরণ

  • ১ টি সম্পূর্ণ ডিম (আপনার লম্বা চুল হলে ২ টি নিবেন)
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • এটি পাত্রে ডিম এবং অলিভ অয়েল ফাটিয়ে নিন। সাদা অংশ এবং কুসুম একসাথে ভালোভাবে মিশাবেন।
  • আপনার চুলে ফ্যাটানো ডিম লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

এই চুলের মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্পের তেলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে আপনার চুলকে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলের গোড়া এবং আগা পুষ্টিকর করে তুলবে, চুলের গঠন উন্নত করবে এবং চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ঘটাবে। আপনি চাইলে অলিভ অয়েল বাদ দিতে পারেন, কিন্তু তেল আপনার চুলকে আরো নরম করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত কন্ডিশনিং এ সাহায্য করে।

২. শুষ্ক চুলের জন্য ডিমের কুসুমের চুলের মাস্ক

date: 2007/04/25 | release status: MR | release references: mr32.jpg | notes: Dos NumÈrique P21 | date created: 2007:06:15

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের কুসুম
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

অলিভ অয়েল এবং ডিমের কুসুমের মিশ্রণ সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলোর মধ্যে একটি। শুধু আপনার চুলকে নরম এবং মশ্রিণই করে না, চুল পুনরায় বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পে পুষ্টিও জোগায়।

৩. তৈলাক্ত চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশের মাস্ক

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের সাদা অংশ
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

এই চুলের প্যাকটি চুলের গঠন এবং আয়তনের উন্নতি করে তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মিশ্রণে থাকা অলিভ অয়েল আপনার চুলকে তৈলাক্ত না করে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে।

চুলের বৃদ্ধির জন্য ডিমের মাস্ক

১. চুলের বৃদ্ধির জন্য অ্যালোভেরা এবং ডিম

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের সাদা অংশ
  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল

প্রক্রিয়া

  • মশ্রিণ মিশ্রণ না পাওয়া পর্যন্ত কুসুম ও অলিভ অয়েল একটি পাত্রে ফাটাতে থাকুন।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ৩০-৬০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

অ্যালোভেরা জেলে প্রচুর পরিমানে এ্যামিনো এসিড, গ্লুকোমাননান্স, স্টেরোলস, লিপিডস এবং ভিটামিন আছে। এই পুষ্টিগুণ গুলো স্ক্যাল্প এবং চুলে পুষ্টি জোগায় এবং অ্যালোভেরার এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, এন্টিসেপ্টিক এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। যার ফলে স্বাস্থ্যকরভাবে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।

২. চুলের বৃদ্ধির জন্য মেহেদি এবং ডিম

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ
  • ১ কাপ বিশুদ্ধ মেহেদি গুড়ো
  • ১ টি ডিমের কুসুম

প্রক্রিয়া

  • মেথির বীজ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকালবেল, মশ্রিণ পেস্ট পাওয়ার জন্য মেহেদির গুড়োতে সামান্য পানি মিশান। (আপনি যদি এর রঙ উন্নত করতে চান তাহলে ২ ঘন্টার জন্য রেখে দিন।)
  • মেথির বীজ পেস্ট করে নিন এবং ডিমের কুসুমের সাথে মেহেদির পেস্টে যোগ করুন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এই মিশ্রণটি আপনার চুল ও স্ক্যাল্পে লাগান এবং এক ঘন্টার জন্য রেখে দিন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার।

কিভাবে কাজ করে?

মেহেদিতে শীতলকরণ বৈশিষ্ট্য আছে যা উত্তেজিত স্ক্যাল্পকে শীতল করে। এতে এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্যাকটি তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আপনার চুলে উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এটি খুশকি এবং চুল ঝরে পরা প্রতিরোধ করে চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলে।

৩. চুলের বৃদ্ধির জন্য নারিকেল তেল এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি পুরো ডিম
  • ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল

প্রক্রিয়া

  • ডিম এবং নারিকেল তেল একটি পাত্রে ফাটিয়ে নিন। সাদা অংশ এবং কুসুম যাতে ভালোভাবে মিশে যায়।
  • ফ্যাটানো ডিম আপনার চুলে লাগান। আপনার চুল মিশ্রন দিয়ে পুরোপুরি ঢেকে দিন।
  • ২০ মিনিটের জন্য এটি চুলে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি চুলের ভিতরেই ডিম পোচ করে দিবে। তখন চুলে গন্ধ হবে যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • চুল কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার।

কিভাবে কাজ করে?

নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড আছে যা চুল কন্ডিশন করতে সাহায্য করে, শুষ্কতা এবং ভাঙন থেকে রক্ষা করে। এতে শক্তিশালী এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে যা আপনার স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, আর এর ভিটামিন চুলের গোড়াতে পুষ্টি জোগাতে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে। এই চুলের প্যাকটি চুল ঝরে পরা প্রতিরোধ করে এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

Filed Under: Hair Fall ( চুল পড়া)

পেঁয়াজের রসের ১১ টি সহজ এবং কার্যকরি উপায় যা আপনাকে দিবে প্রথম দিন থেকে খুশকি মুক্ত চুল [আজই পছন্দের পদ্ধতি বেছে নিন]

by Mohona Leave a Comment

খুশকি খুব ভয়াবহ একটি সমস্যা। খুশকি আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার আগেই আপনাকে এর থেকে পরিত্রান পেতে হবে। স্ক্যাল্প চুলকানোর থেকেও বিব্রতকর বিষয় হলো খুশকির সাদা আঁশগুলো। এবং আপনি এই সমস্যার একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চান।

খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেঁয়াজের রস সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক সমাধান কারণ এটা সহজলভ্য এবং এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। খুশকি দূর করার জন্য আমরা আপনাদেরকে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর ১১ টি ঘরোয়া উপায় বলবো।

এর আগে, চলুন জেনে নেই খুশকি দূর করার জন্য কেন পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়।

পেঁয়াজের রস কিভাবে খুশকি কমাতে সাহায্য করে

খুশকি এবং চুল পরা সমস্যা দূর করার জন্য পেঁয়াজের রস একটি প্রাচীনতম সমাধান। এটি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং স্ক্যাল্পের সাদা আঁশ দূর করে। এছাড়াও এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় ও মজবুত করে এবং স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এছাড়াও চুল ঝরা বন্ধ করতে এটি খুবই উপকারি প্রতিকার।

এখন চলুন দেখে নেই পেঁয়াজের রস ব্যবহারে খুশকি দূর করার অনেকগুলো উপায়।

খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের কয়েকটি উপায়

১. পেঁয়াজের রস

২. মেথির বীজ এবং পেঁয়াজের রস

৩. অ্যালোভেরা এবং পেঁয়াজের রস

৪. সবুজ কলাইয়ের পাউডার এবং পেঁয়াজের রস

৫. বীটরুট এবং পেঁয়াজের রস

৬. চিচিঙ্গা এবং পেঁয়াজের রস

৭. লেবুর রস এবং পেঁয়াজের রস

৮. অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস

৯. নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস

১০. আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস

১১. আপেলের রস এবং পেঁয়াজের রস

১. পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • একটি বড় পেঁয়াজ
  • একটি ব্লেন্ডার

প্রক্রিয়া

  • পেঁয়াজটা টুকরো করে কেঁটে নিন এবং ব্লেন্ড করুন।
  • স্ক্যাল্পে জুসগুলো ম্যাসাজ করুন।। ৩০ মিনিট এগুলো চুলে রেখে দিন।
  • একটি কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. মেথির বীজ এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ মেথির বীজ
  • ১ বাটি পানি
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • মেথির বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
  • পরের দিন এদের মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান।
  • স্ক্যাল্পে পেস্টটি লাগান এবং আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে এক অথবা দুইবার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

মেথির বীজে এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এরা প্রচুর প্রোটিন এবং নিকোটিনিক এসিড সমৃদ্ধ, এই দুইটিই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩. অ্যালোভেরা এবং পেঁয়াজ রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • অ্যালোভেরা জেল পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান এবং আপনার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ১০ মিনিট মাথায় রেখে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

আপনি এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন।

কেন কাজ করে?

অ্যালোভেরা চুলকানি যুক্ত স্ক্যাল্পে প্রশান্তি দেয়। এটি আপনার চুলকে হাইড্রেটেড রাখে এবং এর উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর প্রদান করে। এটি প্রোটোলাইটিক এনজাইমও বহন করে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৪. সবুজ কলাই পাউডার এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ সবুজ কলাই পাউডার
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • কলাই পাউডার নিন এবং এতে পেঁয়াজের রস মিশান। মশ্রিণ পেস্ট না পাওয়া পর্যন্ত খুব ভালোভাবে মিশান।
  • চুলের মাস্কের মত করে পেস্টটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে রাখুন।
  • পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য আপনাকে এই পেস্টটি সপ্তাহে ২ বার লাগাতে হবে।

কেন কাজ করে?

সবুজ কলাই ভিটামিন এবং এনজাইম বহন করে যা চুলকে পুনর্যৌবন করে তুলে এবং চুলের বৃদ্ধিতে উৎসাহ জোগায়। পেঁয়াজের রস খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে।

৫. বীটরুট এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২-৩ টি বীটরুট
  • পানি
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • পানিতে বীটরুট সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন। তাদের ভর্তা করে পেস্ট করে নিন।
  • বীটরুটের পেস্ট পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে মিশ্রণটি আপনার আঙুলের সাহায্যে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।

কতবার?

খুশকির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আপনি এটি প্রতিদিন করতে পারেন।

কেন কাজ করে?

বীটরুট পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস, যা চুলের ঝরে পরা প্রতিরোধ করে এবং চুল বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার চুলে উজ্জ্বলতাও প্রদান করে।

৬. চিচিঙ্গা এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ চিচিঙ্গার রস
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • চিচিঙ্গার রস এবং পেঁয়াজের রস একসাথে মিশান এবং আপনার পুরো মাথায় লাগান।
  • আধা ঘন্টা চুলে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য মিশ্রণটি সপ্তাহে ২-৩ বার লাগাবেন।

কেন কাজ করে?

চিচিঙ্গার রস আপনার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড করে এবং স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি করে। এটি শুধু খুশকি থেকে মুক্তি দেয় না, এটি খুশকির বার বার ফিরে আসাও প্রতিরোধ করে।

৭. লেবুর রস এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • পেঁয়াজের রসের সাথে লেবুর রস মিশান এবং স্ক্যাল্পে লাগান।
  • শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে রাখুন (প্রায় ২০ মিনিট) এবং ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য দুই দিন পর পর ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

লেবুর রস চুলের থেকে পেঁয়াজের দুর্গন্ধ দূর করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি খুশকি দূর করে এবং স্ক্যাল্পের চুলকানি কমায়।

৮. অলিভ অয়েল এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
  • ৩ চা চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • অলিভ অয়েল পেঁয়াজের রসের সাথে মিশান। মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • একটি গরম তোয়ালে আপনার মাথায় আধা ঘন্টা পেঁচিয়ে রাখুন।
  • একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

কার্যকর ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

অলিভ অয়েল চুলকে মজবুত, কোমলতা এবং উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এই মিশ্রণটি চুল এবং স্ক্যাল্পে আদ্রতা প্রদান করে এবং আপনার স্ক্যাল্প চুলকানিমুক্ত এবং খুশকিমুক্ত রাখে।

৯. নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ চা চামচ লেবুর রস
  • ৫ চা চামচ নারিকেল তেল
  • ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • একটি মিক্সারে লেবুর রস, নারিকেল তেল এবং পেঁয়াজের রস মিশান।
  • এই মিশ্রণটি আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

এটি খুশকি কমায়, আঁশ পরিষ্কার করে, চুলে আদ্রতা দেয় এবং চুলকে সতেজ এবং গন্ধমুক্ত রাখে ।

১০. আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেল সিডার ভিনেগার এবং পেঁয়াজের রস একসাথে মিশান।
  • ৫-৭ মিনিট আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।

কতবার?

সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

আপেল সিডার ভিনেগারে প্রাকৃতিক এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং খুশকি কমায়। এটি স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরে ভারসাম্য প্রদান করে এবং ফাংগাস বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

১১. আপেলের রস এবং পেঁয়াজের রস

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ আপেলের রস
  • ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেলের রসের সাথে পেঁয়াজের রস মিশান এবং আপনার স্ক্যাল্পে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫-২০ মিনিট এটি আপনার চুলে রাখুন এবং এরপর আপনার চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

কতবার?

কার্যকর ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

কেন কাজ করে?

আপেলের রস স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং মৃত চামড়ার কোষ ও খুশকির আঁশ দূর করে।

খুশকি একটি ভয়াবহ সমস্যা যা আপনাকে হতাশাগ্রস্থ করে দিতে পারে। কিছু সহজ টিপস এবং পদ্ধতি প্রতিদিন ব্যবহার করলে খুব সহজেই খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই আপনার সমস্যা ভয়াবহ হওয়ার আগেই পেঁয়াজের রস ব্যবহারের এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করুন এবং আপনার চুলে পরিবর্তন দেখুন।

Filed Under: Dandruff (খুশকি)

১০ টি ঘরোয়া উপায় আপনি আজ থেকে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি দিবে

by Mohona Leave a Comment

শুষ্ক এবং চুলকানী সৃষ্টিকারি স্ক্যাল্প আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে? শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণে আপনার মাথায় সারাদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত চুলকানো শুরু হলে কতটা কষ্ট হয় তা আমরা জানি। আপনি এই সমস্যাটি ঘরে তৈরি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন।

শুষ্ক স্ক্যাল্প খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। কিন্তু আপনাকে আর এই অসুবিধা নিয়ে সারাজীবন কাটাতে হবে না। শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার অনেকগুলো সহজ পদ্ধতি আছে যা আপনার সমস্যা দূর করতে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে। টিপস এবং প্রতিকার যেগুলো যেগুলো আমাদের শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করেতে সাহায্য করবে তা শিখার আগে এই সমস্যার মূল কারণ বুঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণ কি?

মাথার ভিতর থাকা সুপ্ত এবং নিষ্ক্রিয় তেল গ্রন্থিই স্ক্যাল্পের শুষ্কতার কারন, যা আপনার ত্বকের ভেতর প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল উৎপাদনে সক্ষম নয়। স্ক্যাল্পের শুষ্কতার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ

  • রুক্ষ প্রকৃতির শ্যাম্পু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাতে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে
  • ছত্রাকের সংক্রমণ
  • রাসায়নিকযুক্ত পানির বেশি ব্যবহার
  • অনুপযুক্ত খাদ্যের কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব
  • মাত্রাতিরিক্ত খারাপ আবহাওয়া
  • স্টাইলিং পণ্যের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার
  • চুলের যত্নে অবহেলা, সেই সাথে অস্বাস্থ্যকর রূপচর্চার অভ্যাস, তেলের অভাব এবং কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট

তাই, শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার প্রথম পদক্ষেপটি হল এর কারণ সবার আগে খুঁজে বের করা। একবার আপনি কারণ জেনে গেলে, আপনি আপনার চুলের যত্ন করার রুটিনে কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবেন।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

১. টি ট্রি শ্যাম্পু

২. আপেল সিডার ভিনেগার

৩. তেল

৪. জুসিং (ফল অথবা সবজির রস)

৫. দই এবং ডিম

৬. লিসট্রিন

৭. মেয়োনিজ

৮. বেকিং সোডার ব্যবহার

৯. ভিটামিন ই

১০. অলিভ অয়েল এবং ডিম

শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি শীর্ষ প্রতিকার

১. টি ট্রি শ্যাম্পু

উপকরণ

  • টি ট্রি অয়েল
  • শ্যাম্পু

প্রক্রিয়া

  • আপনার নিয়মিত শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশান এবং বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • চুল ধুতে শ্যাম্পুটি যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবেই করুন সবসময়।

কতবার?

এই তেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুটি দিয়ে সপ্তাহে দুইবার চুল ধুবেন।

কিভাবে কাজ করে?

যখন শুষ্কতা ছত্রাকের সংক্রমণের কারনে হয় তখন টি ট্রি অয়েল খুব ভালো কাজ করে কারণ এই তেলটি খুব ভালো ছত্রাকবিরোধী প্রতিনিধি। এটি চুলের গ্রন্থিগুলো খুলে দেয় এবং প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।

২. আপেল সিডার ভিনেগার

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • তুলার সাহায্যে আপনার স্ক্যাল্পে ভিনেগারটা লাগান।
  • আঙ্গুল দিয়ে ২-৩ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
  • ১০ মিনিট ভিনেগারটি মাথায় রেখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।

কিভাবে কাজ করে?

অ্যাসট্রিনজেন্ট হওয়ার কারণে আপেল সিডার ভিনেগার স্ক্যাল্পের ক্ষতিকারক জীবাণু পরিষ্কার করে এবং ত্বকের পিএইচ স্তর ব্যালেন্স করে।

সতর্কতা

আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে তারপর চুলে লাগান। এছাড়াও আপনি ভিনেগারের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য তেল

উপকরণ

  • নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল অথবা বেবী অয়েল অথবা অরগান অয়েল অথবা ক্যাস্টর অয়েল অথবা মরোক্কান অয়েল
  • কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে আপনার পছন্দমত তেল নিন এবং সামান্য গরম করে নিন।
  • টি ট্রি অয়েলটি মিশান
  • আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • চুল ধোয়ার আগে তেলটি এক ঘন্টা মাথায় রাখুন। তবে সারারাত তেল মাথায় রাখাটা অনেক বেশি ভালো।

কতবার?

তেলের এই ট্রিটমেন্টটি সপ্তাহে দুইবার করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

শুষ্ক ত্বকে গরম তেলের ট্রিটমেন্ট বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এই তেলগুলোর বেশিরভাগই ঘরে সবসময় থাকে এবং এগুলো স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে এবং খুশকি ও স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে। তেল শুধু স্ক্যাল্পে আদ্রতা প্রদান করে না, এটা স্ক্যাল্পের আদ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। যদি স্ক্যাল্প প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদন করতে সক্ষম না হয় তাহলে বাহ্যিক তেল স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগাতে এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।

৪. জুসিং (ফল অথবা সবজির রস)

ক. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লেবুর রস

উপকরণ

  • একটি লেবুর অর্ধেক

প্রক্রিয়া

  • যখন লেবুর রস বের করার জন্য লেবুতে চাপ প্রয়োগ করবেন তখন আপনার স্ক্যাল্পে হালকাভাবে লেবুটি ঘষুন।
  • ৫ মিনিট রস মাথায় রাখুন।
  • ধুয়ে সবসময়ের মত চুলে কন্ডিশনিং করে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার

কিভাবে কাজ করে?

লেবুর রস একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খুশকির সাথে সম্পর্কিত ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে।

খ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য আপেলের রস

উপকরণ

  • ১-২ টি আপেলের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেলের থেকে রস নিন এবং রসগুলো দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে রসগুলো ১০ মিনিট চুলে রেখে দিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে?

আপেলের রসে সামান্য এসিড রয়েছে যা স্ক্যাল্পকে স্ক্রাব করে সকল মৃত, শুষ্ক এবং আলগা চামড়া দূর করে। এটি স্ক্যাল্পের পিএইচ পূনরুদ্ধার করে, এরপর তেল উৎপাদনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে।

গ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য পিয়াঁজের রস

উপকরণ

  • ১/৪ কাপ পিয়াঁজের রস
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • একটি পিয়াঁজ কুচি করে নিন এবং এর থেকে রস বের করে নিন।
  • এতে মধু যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • তুলো দিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে এটি লাগান এবং ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • আপনার নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

প্রাথমিকভাবে আপনি পিয়াঁজের রস সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করবেন। একবার শুষ্ক স্ক্যাল্পের অবস্থার উন্নতি হলে, চুলের বৃদ্ধির জন্য আপনি ১৫ দিন পর পর এই রস ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে?

পিয়াঁজে থাকা উচ্চ মাত্রার সালফার খুশকির কারণে হওয়া শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মাথায় আর কখনো আলগা চামড়ার সৃষ্টি হবে না। এছাড়াও পিয়াঁজ স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই পরিচিত।

ঘ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য অ্যালোভেরার রস

উপকরণ

  • একটি অ্যালোভেরা পাতা
  • পানি

প্রক্রিয়া

  • পাতার ভেতর থেকে সতেজ অ্যালোভেরা জেল বের করে নিন।
  • এতে সামান্য পানি মিশান এবং ভালোভাবে মিশিয়ে জুসের মত করে নিন।
  • এই জুসটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। কয়েক মিনিটের জন্য আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
  • অ্যালোভেরা মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

শুষ্ক স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা খুব শীতল অনুভূতি প্রদান করে। এ্যামিনো এসিড, ভিটামিন, চিনি এবং ফ্যাটি এসিডের সাহায্যে এটি আপনার স্ক্যাল্পের ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এতে এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার সাপ্তাহিক চুলের যত্নের রুটিনে অ্যালোভেরা যুক্ত করে একটি স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প এবং উজ্জ্বল চুল খুব সহজেই পেতে পারেন।

৫. দই এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ২-৩ টেবিল চামচ দই
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ পেস্ট পাওয়ার জন্য ডিমটি দইয়ের সাথে ফাঁটিয়ে নিন।
  • মধু যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এই মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • আধা ঘন্টার জন্য এটিকে বসতে দিন এবং এরপর আপনার নিয়মিত ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

কিভাবে কাজ করে?

দই স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং স্ক্যাল্পের মরা ও শুষ্ক চামড়া দূর করে। এটি চুলের গোড়ার গ্রন্থি খুলে দেয় এবং তেল গ্রন্থির স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ডিম স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় এবং এতে থাকা ফ্যাট ও প্রোটিনের সাহায্যে আপনার চুল কন্ডিশন করে।

৬. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লিসট্রিন

উপকরণ

  • ১/২ কাপ লিসট্রিন
  • ১/২ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • আপনার চুল পরিষ্কার করে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি ঝরিয়ে নিন।
  • এখন, লিসট্রিন পানির সাথে মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান।
  • আপনার আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন এবং এরপর ৫ মিনিটের জন্য মাথায় লিসট্রিন রাখুন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে একবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

লিসট্রিন একটি শক্তিশালী এন্টিসেপ্টিক এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। শুষ্ক এবং আলগা চামড়া সৃষ্টিকারি সকল ক্ষতিকর জীবাণু লিসট্রিন মেরে ফেলে। এটি আপনার স্ক্যল্পের চুলকানির অনুভূতিও কমিয়ে আনে।

৭. মেয়োনিজ

উপকরণ

  • ১/২ কাপ মেয়োনিজ
  • শাওয়ার ক্যাপ

প্রক্রিয়া

  • আপনার স্ক্যাল্পে মেয়োনিজ লাগান এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে দিন।
  • মেয়োনিজ পরিষ্কার করার জন্য গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

কয়েক সপ্তাহ ধরে সপ্তাহে ১ দিন করে মেয়োনিজ লাগালে শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

মেয়োনিজে প্রচুর তেল এবং ফ্যাট রয়েছে যা আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। মেয়োনিজ ব্যবহারে সকল শুষ্কতা থেকে কার্যকরভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৮. বেকিং সোডার ব্যবহার

উপকরণ

  • ৩-৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • বেকিং সোডা এবং গোলাপ জলের একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • স্ক্যাল্পে লাগান এবং ২-৩ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

একটি এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট হওয়া ছাড়াও, বেকিং সোডা একটি মৌলিক যৌগ যা স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালেন্স পুনরুদ্ধার করে। এটি শুধু স্ক্যাল্পে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদনই করে না, সেই সাথে চুল লম্বা হতেও সাহায্য করে।

৯. ভিটামিন ই ক্যাপ

উপকরণ

  • ৫-১০ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল

প্রক্রিয়া

  • সাবধানে ক্যাপসুলের ভেতর থেকে তেল বের করে একটি পাত্রে নিন।
  • আপনার স্ক্যাল্পে ভিটামিন ই তেল লাগান এবং ৫-১০ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ১ ঘন্টা এই তেল মাথায় রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে অন্তত একদিন ভিটামিন ই তেল দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।

কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন ই তেল আপনার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে এবং র‍্যাডিকেলের ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি মাথার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

১০.অলিভ অয়েল এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি ডিমের কুসুম
  • ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ চা চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন এবং অন্যান্য উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মিশান।
  • স্ক্যাল্পে এটা লাগান এবং এই হেয়ার মাস্কটি ৩০ মিনিট চুলে ভালোভাবে সেট হতে দিন।
  • শ্যাম্পু এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়ার বেলায়ও একইভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

কতবার?

এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

কিভাবে কাজ করে?

ডিমের কুসুম ভিটামিন এ এবং লিকিথিন স্টেরোল বহন করে বিধায় এটি শুষ্ক ত্বকের সমস্যার জন্য খুবই উত্তম একটি প্রতিকার। এটি ত্বককে মসৃণ করে। অলিভ অয়েল ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ যা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়।। এতে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা র‍্যাডিকেল, জীবাণু এবং দূষণের ফলে সৃষ্ট যে কোন ক্ষতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

এই প্রতিকার গুলো ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে এই পানিও আপনার ত্বক এবং চুল হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। তাই সবসময় আপনার চুলের যত্নের জন্য অন্যান্য উপায়ের সাথে পানিও রাখবেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প পেতে আপনার খাবারে বাদাম, ডিম, সামুদ্রিক খাবার, মুরগির মাংস, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, সয়াবিন, পেঁপে, কমলা এবং সবুজ শাক-সবজি যোগ করুন। এগুলো আপনার স্ক্যাল্পে জিংক, আয়রন, ভিটামিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অভাব পূরণ করবে। যদি আপনার স্ক্যাল্পের শুষ্কতা পুষ্টির অভাবের কারণে হয়ে থাকে তাহলে এই কৌশলটি নিশ্চিতভাবে আপনাকে সাহায্য করবে।

Filed Under: Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)

সহজে ঘরে তৈরি ৮ টি অসাধারণ কন্ডিশনার যা আপনার শুষ্ক চুলকে করবে আরো আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত (নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona 1 Comment

শুষ্ক চুলের জন্য একটি ভালো মানের কন্ডিশনারের ব্যবহার সবার আগে প্রাধান্য পায়। কন্ডিশনার ছাড়া আমাদের জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যাবে। অনিয়ন্ত্রিত রুক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় টেক্সচার এবং অবাঞ্চিত ভাঙন এই সব জিনিষগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। কন্ডিশনার চুল মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং চুল হাইড্রেট করতে সাহায্য করে, যা আপনার চুলকে নরম করে, রুক্ষতা নিয়ন্ত্রন করে এবং জট লাগা থেকে মুক্তি দেয়।

বর্তমানে বাজারে অনেকগুলো বিভিন্ন ধরণের কন্ডিশনার পাওয়া যায় যেগুলোর মধ্যে একটি আপনি চুল ধোয়ার আগে ব্যবহার করতে পারবেন, আরেকটি চুল ধোয়ার পরে ব্যবহার করতে পারবেন এবং কিছু কিছু কন্ডিশনার সারারাত ধরে লাগিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি ঘরেই নিজের জন্য কন্ডিশনার বানাতে পারেন? এগুলো বানানো খুব সহজ এবং আপনার তেমন কোন খরচও করা লাগবে না, কিন্তু এগুলো দোকান থেকে আনা কন্ডিশনারের মতই কার্যকরী, এবং এতে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যালও নেই।

প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি ৮ টি চুলের কন্ডিশনারের একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

শুষ্ক চুলের জন্য ঘরে তৈরি কন্ডিশনার

নোটঃ আপনার চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে একই অনুপাতে উপকরণের পরিমাণ আপনি বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। নিচের তালিকাতে দেওয়া পরিমাণগুলো মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য উপযুক্ত।

১. নারিকেল তেল এবং মধুর কন্ডিশনিং

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ খাঁটি নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ২ টেবিল চামচ দই (না দিলেও চলবে)
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সবগুলো উপকরণ ঢালুন এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  • এই কন্ডিশনিং মিশ্রণটি শ্যাম্পু করার পর পরই চুলে লাগাতে থাকুন।
  • ১০-১৫ মিনিট মাথায় রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. গভীর থেকে কন্ডিশনিং এর জন্য নারকেল দুধ

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ নারকেল দুধ
  • ২ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল
  • ১ চা চামচ ভেজিটেবল গ্লিসারিন

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সবগুলো উপকরণ ঢালুন এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  • আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে সম্পূর্ণ মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন।
  • একটি প্লাস্টিক ক্যাপ দিতে আপনার মাথা ঢেকে দিন এবং ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ঢেকে রাখার ফলে আপনার মাথায় একটি উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা আপনার চুলের আগা এবং গোড়াকে আদ্রতা ও পুষ্টি শুষে নিতে সাহায্য করবে।
  • তারপর আপনার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. নারকেল দুধ এবং বাদাম তেলের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ দুধ
  • ১ টেবিল চামচ নারকেল দুধ
  • ১ চা চামচ বাদাম তেল
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণগুলো মিশান এবং মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • আপনার চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন এবং আপনার ভিজা চুল ভাগ ভাগ করে প্রতি ভাগে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট রেখে দিন। এই সময়ে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়ার জন্য একটি তোয়ালে অথবা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে কন্ডিশনারটি ধুয়ে ফেলুন।

৪. অ্যালোভেরা কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ১ টি লেবু
  • ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট এ্যাসেনশিয়াল অয়েল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণগুলো মিশান এবং মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং ভিজা চুলে কন্ডিশনারটি লাগানো শুরু করুন।
  • ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. ডিমের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের কুসুম

প্রক্রিয়া

  • ডিমের কুসুম গুলো ফাটিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ বসতে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং এরপর ডিমের কুসুমগুলো চুলে লাগান।
  • ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি ভুলেও ব্যবহার করবেন না। কারন গরম পানির তাপে ডিমগুলো চুলের ভিতর রান্না হওয়া শুরু হবে।

৬. অলিভ অয়েল কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • আপনার পছন্দের যেকোন একটি এ্যাসেনশিয়াল অয়েলের ৫ ফোঁটা

প্রক্রিয়া

  • তেলটি গরম করে নিন এবং আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে ম্যাসাজ করুন।
  • পুরো চুলে তেল ভালোভাবে লেগে গেলে একটি গরম তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুলের তেল ধুয়ে ফেলুন।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার কন্ডিশনিং

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ২ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • একটি জগে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • আপেল সিডার ভিনেগারের পানিটি আপনার ধোয়া চুলে ঢালুন।
  • আবার পানি দিয়ে ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

৮. দইয়ের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ দই
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ চা চামচ নারকেল তেল
  • ৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট এ্যাসেনশিয়াল অয়েল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু এবং গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনার চুল থেকে সব পানি নিঙরে নিন এবং চুলে কন্ডিশনারটি লাগানো শুরু করুন।
  • কন্ডিশনারটি চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এই সব উপকরণ শুষ্ক চুলে খুব ভালো কাজ করে, কারণ এগুলো আপনার চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং চুলের ভেতরে ময়েশ্চারাইজার আঁটকাতে সাহায্য করে। এরা চুলের রুক্ষতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আপনার চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তুলে। তাই আজই ঘরে তৈরি এই কডিশনার গুলো ব্যবহার করে দেখুন।

Filed Under: Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)

৬ টি সহজ উপায়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে কিভাবে নিশ্চিত উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় ত্বক পাবেন (আলটিমেট গাইড)

by Mohona Leave a Comment

অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল চিনে না এমন ব্যক্তি পাওয়া খুব দুষ্কর। খাবারে অলিভ অয়েলের ব্যবহার যে কতটা উপকারী তা জানেনা এমন কেউ কি আছে? এটি একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক পণ্য যার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য উপকারী অসাধারণ গুণাবলী আছে।

উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই তেলটি পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরীয়দের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। খাদ্যে ভেজিটেবল তেল অথবা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করার জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রত্যেক পুষ্টিবিদ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আপনি কি জানেন অলিভ অয়েলে ত্বকের উপকারের জন্য অসাধারণ পুষ্টিগুণ আছে? এটি আপনাকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েলের উপকারিতা

অলিভ অয়েল এমন একধরণের তেল যা আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের রাসায়নিক কাঠামোর সাথে মিলে যায়। উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক প্রদান করা ছাড়াও, এটি ত্বকের অন্যান্য সমস্যা যেমন ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইট হেডস ইত্যাদির সাথে যুদ্ধ করে। অলিভ অয়েলের সবচেয়ে ভালো উপকারিতাগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

১. প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।

২. খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার।

৩. ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইট হেডস নিরাময়ক।

৪. ত্বকে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে।

৫. স্কিন সেলস রিপেয়ার করে।

৬. প্রাকৃতিকভাবে জীবাণু প্রতিরোধক।

৭. প্রদাহ কমায়।

আমাদের ত্বকের জন্য অলিভ অয়েলের উপকারিতাগুলো অবিশ্বাস্য। উজ্জ্বলতার জন্য মুখে অলিভ অয়েল না লাগানোটা কি এখন মোটেও যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে? যাই হোক, আপনি রূপচর্চার জন্য অবশ্যই “এক্সট্রা ভার্জিন” অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন।

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি তেলের পরিশোধিত রূপ নয়; যার ফলে, এর মধ্যে সকল পুষ্টিগুণ গুলো সংরক্ষিত থাকে। এতে এসিডের পরিমাণ ১ থেকে ২% থাকে।

উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের অনেকগুলো উপায় আছে। সর্বাধিক উপকারিতা আছে এমন উপায়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য কিভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন?

১. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

২. অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস

৩. অলিভ অয়েল এবং মধু

৪. অলিভ অয়েল এবং হলুদ

৫. অলিভ অয়েল এবং ক্যাসটোর অয়েল

৬. অলিভ অয়েল এবং ভিনেগার

ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের কার্যকরী উপায়

১. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
  • সুতার রুমাল
  • গরম পানি

প্রক্রিয়া

  • আপনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে আপনার মুখের সব জায়গায় তেলটি ম্যাসাজ করুন। আপনার নাক, গাল এবং কপালে দৃঢ়ভাবে ঘষার চেষ্টা করবেন।
  • এখন, রুমালটি গরম পানিতে চুবিয়ে নিন। মুখে রুমালটি চাপ দিয়ে ধরে রাখুন এবং রুমালটি রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় না আসা পর্যন্ত মুখেই ধরে রাখুন।
  • রুমাল সরিয়ে নিন এবং আবার গরম পানি দিয়ে রুমাল নিঙরে নিন। এইবার, রুমালটি চাপ দিয়ে ধরে রাখার বদলে আলতোভাবে পুরো মুখে ঘষার চেষ্টা করুন। এতে অলিভ অয়েলের উপরের স্তরটি মুছে যাবে।
  • একটি পেপার টাওয়েল দিয়ে আপনার মুখ মুছে নিন।

এটি কতবার করবেন?

প্রতিদিন সকালে এবং রাতে এর পুনরাবৃত্তি করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি ফলাফল দেখতে পাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা উপরে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, সকল অমসৃণ এবং শুষ্ক প্যাচেস দূর করবে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং পুনরায় তারুণ্যময় করে তুলবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে, আপনার ত্বকে অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং আপনার লোমকূপগুলো পরিষ্কার এবং ধূলাবালি মুক্ত হবে।

সতর্কতা

গরম পানির তাপমাত্রা অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে হতে হবে।

২. অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • অলিভ অয়েলে লেবুর রস ভালোভাবে মিশান।
  • আপনার পুরো মুখে এটি লাগান এবং ১-২ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন।
  • ৩০ মিনিট মুখে রেখে দিন এবং গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সবশেষে আরেকবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

এটি কতবার করবেন?

প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

লেবুর রস লোমকূপে জমে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার করে এবং আপনার গায়ের রং উজ্জ্বল করে তুলে। এটি খুব ভালো এ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং এ্যান্টিসেপ্টিক।

৩. অলিভ অয়েল এবং মধু

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ টি ডিমের কুসুম

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে অলিভ অয়েল, মধু এবং ডিমের কুসুম নিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • আপনার মুখে মিশ্রণটি লাগান এবং ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
  • এখন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এটি কতবার করবেন?

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

এটা কিভাবে কাজ করেন?

এই ফেইস মাস্কটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, মসৃণতা, আদ্রতা এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মধু একটি হিউমেকট্যান্ট এবং এছাড়াও এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে যা নিষ্প্রাণ ত্বক পুনরায় সতেজ করে তুলে। ডিমের কুসুমে পুষ্টিগুণ আছে যা ত্বক পুনর্গঠিত করে এবং ত্বককে টান টান করে এবং ত্বকে খুব সুন্দর উজ্জ্বলতা প্রদান করে।

৪. ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল এবং হলুদ

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
  • ২ টেবিল চামচ দই

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণগুলো একসাথে মিশান এবং আপনার মুখে লাগান।
  • ১০-১৫ মিনিট ফেইস প্যাকটি আপনার মুখে রাখুন।
  • পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি মুখ থেকে হলুদের দাগ দূর করার জন্য একটি ফেসিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারবেন।

এটি কতবার করবেন?

সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

হলুদ বেশিরভাগ সময় হারবাল ফেইস প্যাকগুলোতে শুধুমাত্র ত্বকের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার হয় না, ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ব্যবহার হয়। এই প্যাকের দই ত্বককে কন্ডিশন করে এবং এর ল্যাকটিক এসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

৫. অলিভ অয়েল এবং ক্যাসটোর অয়েল

উপকরণ

  • ১ চা চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ চা চামচ ক্যাসটোর অয়েল
  • কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল অথবা ল্যাভেন্ডার অয়েল (না দিলেও চলবে)
  • ওয়াশ ক্লথ
  • গরম পানি

প্রক্রিয়া

  • সব তেল একসাথে মিশিয়ে নিন এবং আপনার মুখে ম্যাসাজ করুন। আলতো করে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ২-৩ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে থাকুন।
  • পরবর্তী ১০ মিনিট তেল মুখে ব্লেন্ড হয়ে যেতে দিন এবং একটি ওয়াশ ক্লথ গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখের তেল এটা দিয়ে মুছে ফেলুন।

কতবার করবেন?

সপ্তাহে ৩-৪ বার এটা করবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

ত্বক ম্যাসাজ করার জন্য তেলের ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক স্তরে চলে আসে। আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং আপনার ত্বককে প্রতিদিন আরো নরম, কোমল এবং উজ্জ্বল করে তুলবে।

৬. অলিভ অয়েল এবং ভিনেগার

উপকরণ

  • ১/২ কাপ অলিভ অয়েল
  • ১/৪ কাপ ভিনেগার
  • ১/৪ কাপ পানি
  • একটি বোতল (সংরক্ষণের জন্য)

প্রক্রিয়া

  • সব উপকরণ বোতলে ঢালুন এবং ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • এই মিশ্রণটির কয়েক ফোঁটা আপনার মুখে লাগান। পুরো মুখে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন।
  • সারারাত মুখে রেখে দিন।

কতবার লাগাবেন?

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি মুখে লাগিয়ে ঘুমাবেন।

এটা কিভাবে কাজ করে?

যখন অলিভ অয়েল ত্বকে পুষ্টি জোগায় তখন ভিনেগার ত্বককে টোন করে এবং এর কোমল এসিডিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা পাওয়ার জন্য অলিভ অয়েল দিয়ে রূপচর্চার উপায়গুলো স্পষ্টভাবে খুবই উপকারি। তাছাড়া, আমরা সবাই ক্যামিকাল দেওয়া কসমেটিকস এর পেছনে বেশি ব্যয় না করেই উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাই। উপরে বর্ণিত উপায়গুলোর মাধ্যমে অলিভ অয়েল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াত সাহায্য করবে। এবং আমরা সবাই জানি প্রাকৃতিক উপায় সবসময় সুন্দর এবং সুরক্ষিত।

Filed Under: Glowing skin

১০টি সহজ উপায়ে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা এবং আকর্ষণীয় করার ঘরোয়া নিয়ম [উপকরণ দেওয়া হল]

by Mohona Leave a Comment

“তৈলাক্ত ত্বক” – যখনই আমরা এই শব্দটি শুনি তখনই আমরা দাগ, ব্রণ এবং প্যাচেসযুক্ত নোংরা মুখ কল্পনা করতে শুরু করি। যাই হোক, এটি একটি শ্রুতিকথা যে যার ত্বক তৈলাক্ত, সে কখনোই দেখতে ভালো হয় না। আমি এই শ্রুতিকথাটি ভুল প্রমাণ করতে পারব।

আমার নিজের ত্বক তৈলাক্ত এবং এই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা আমার বয়স যখন ১৩ ছিল তখন থেকেই শুরু হয়। অনেক বছর ধরে আমি ত্বকের নানা রকম সমস্যাতে ভুগি। আমি অনেক অয়েন্টমিন্ট (মেডিসিন জাতীয়), ক্রিম, টনিক ইত্যাদি ব্যবহার করেছি, কিন্তু কোনটাই আমার ত্বকে কাজ করেনি। যার ফলে, আমি আমার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি এবং বাহিরে অথবা কোন পার্টিতে যাওয়া কমিয়ে দিয়ে বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকা শুরু করি।

কিন্তু এখন আমি আমার মুখ নিয়ে খুবই খুশি কারণ আমি ঘরে তৈরি সঠিক প্রতিকার খুজে পেয়েছি যা আমার ত্বককে ভালো দেখাতে সাহায্য করে এবং ত্বক কিছুটা ফর্সা করে।

আজকে আমি রুপকথনের সকল পাঠকদের আমার এই গোপন পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে জানাবো। আমরা সাধারণত অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এবং অয়েন্টমিন্ট ব্যবহার করি, কারণ আমাদের মধ্যে এই গুজবটি খুব বেশি প্রচলিত যে এরা ঘরে তৈরি প্রতিকার থেকেও বেশি কার্যকরভাবে কাজ করে। কিন্তু এই কথাটা মোটেও সত্য নয়।

বিশ্বের সবাই ফর্সা, রূপবতী এবং দিপ্তীময়ী হতে চায়। তাই, এখানে ত্বক ফর্সা করার জন্য ঘরে তৈরি কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে ফর্সা এবং সুন্দর দেখাতে সাহায্য করবে। আশা করি আপনারা সকলে টিপসগুলো পছন্দ করবেন। আমি নিশ্চিত এই উপকরণগুলো আপনার ঘরেই সহজে পাওয়া যাবে।

তাই, নিম্নলিখিত টিপসগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হোনঃ

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার দ্রুত এবং সহজতম উপায়

১.  প্রথমত, দিনে ৭-৮ বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুবেন। তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী একটি ফেসিয়াল ক্লিনজার কিনুন। সবসময় এমন পণ্য কিনার চেষ্টা করবেন যেগুলোতে প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। অরগানিক পণ্য কিনার চেষ্টা করবেন। মুখ ধোয়ার সময় পানিতে এক চিমটি লবন মিশিয়ে নিন। কারণ, লবনাক্ত পানি অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।

২. মুখ ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চেপে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। কখনো খুব জোরে ঘষে ঘষে মুখ মুছবেন না কারণ, এটি আপনার ত্বক নষ্ট করে দিবে। এছাড়াও, যদি আপনার ব্রণ থাকে তাহলে ব্রণে আচড় পরবে। তাই যতটুকু সম্ভব আপনার ত্বকের প্রতি কোমল থাকুন।

৩. একটি টোনার কিনুন। প্রতিদিন ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং এই রুটিনটি সবসময় অনুসরন করুন। ক্লিনজার দিয়ে আপানার মুখ ক্লিন করে নিন, এরপর মুখে টোনার লাগান। টোনার সম্পূর্ণভাবে ত্বক ও লোমকূপ পরিষ্কার করে, এবং লোমকূপের আকার ছোট করে। এই উপায়টি ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া, তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী একটি ময়েশ্চারাইজার কিনবেন এবং টোনিং এর পর আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজারটি লাগাবেন।

৪. এখন আমি একটি আদর্শ ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলবো। একটি শসা নিন এবং এটিকে জুস করুন। এরপর, এর সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান। আপনি আপনার মুখে তাৎক্ষনিক উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।

৫. আপনি ঘরে বসে নিজেই একটি ফেইস ওয়াশ বানাতে পারেন, যেটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন। একটি পেঁপে নিন এবং এর পেস্ট করে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর, ২-৩ টেবিল চামচ দুধ যোগ করুন। এখন, মিশ্রণটি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং মুখ তুলো বা তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।

৬. আমিষভোজীদের জন্য একটি টিপস। আপনি সপ্তাহে ২ বার আপনার মুখে ডিমের সাদা অংশ লাগাতে পারেন। আপনি এটিকে ত্বক ফর্সাকারি মাস্ক হিসেবে লাগাতে পারেন।

৭. এছাড়াও, আপনি সপ্তাহে দুইবার আখরোটের স্ক্রাব মুখে লাগাতে পারেন। এটি আপনার মুখের লোমকূপে আটকে থাকা ধুলো-ময়লা দূর করে। এছাড়াও এই স্ক্রাব শুষ্ক এবং মৃত চামড়া ধুয়ে পরিষ্কার করে। সুতরাং, এই স্ক্রাবিং এর পর আপনি আরো ফর্সা ত্বক অর্জন করবেন।

৮. ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য কাঁচা দুধ খুবই কার্যকরী একটি উপায়। অনেক মায়েরা তাদের বাচ্চাদের জন্য এই ফর্মুলাটি ব্যবহার করেন।

৯. আলুর রস এবং লেবুর রস সমপরিমাণে মিশিয়ে, ত্বকে যেই কালো দাগগুলো রয়েছে তাতে লাগান। প্রতিদিন ব্যবহার করুন, দেখবেন আপনার ত্বকের কালো অংশগুলো আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। আরো পড়ুন : ৭ টি আলুর রসের রেসিপি

১০. শেষ কিন্তু সর্বশেষ নয়, বেসন নিন, এক চিমটি হলুদ, জাফরান এবং সামান্য দুধ এতে যোগ করুন। একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি আপনার মুখে লাগান এবং ২০-৩০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন তারপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি আপনার মুখের রঙে তাৎক্ষণিক একটি পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

আশা করি আপনার পোস্টটি ভালো লেগেছে। আমার দেওয়া তৈলাক্ত ত্বকের এই টিপসগুলো আপনাকে একটি সুন্দর ও ফর্সা ত্বক পেতে অবশ্যই সাহায্য করবে।

Filed Under: Glowing skin

  • « Go to Previous Page
  • Page 1
  • Page 2
  • Page 3
  • Page 4
  • Page 5
  • Page 6
  • Interim pages omitted …
  • Page 8
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®