আমি ব্যক্তিগতভাবে শীতকাল ভালবাসি। ঠান্ডার দমকা হাওয়ায় আমার মন হয় সতেজ, তাজা এবং জীবন্ত। কোমল জাম্পার, বুট, স্কার্ফ, এবং কি নাই, সব কিছু রয়েছে! কিন্তু দুঃখজনকভাবে, শীতকালে আমাদের ত্বক আমাদের সহযোগিতা করতে পছন্দ করে না।
এই মাসগুলোতে, আমাদের ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। আর্দ্রতার অভাবে আমাদের ত্বক ফেটে যায় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আমরা সাধারণত শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজ করতে ভাল কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করে থাকি।
আমাদের অনুসন্ধানে সেরা সমাধান হল, রান্না ঘরে পাওয়া যায় এমন সব উপাদান দ্বারা আমাদের ত্বকের যত্ন নিলে শীতের প্রখরতার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারবো এবং শীতকালকে উপভোগ করা যাবে।
আপনাদের শীতকালে ত্বকের যত্নের জন্য ১৩ টি হোম রেমেডিস এর তালিকা দেয়া হল। টিপসগুলো ব্যবহার করুন, কেননা বার বার আপনি আপনার ত্বকের প্রেমে পড়বেন।
শীতকালীন ত্বকের যত্নে ঘরোয়া প্রতিকার
১. পেপেঁ ফেইস প্যাক (Papaya Face Pack)
২. দুধ এবং আমন্ড ফেইস প্যাক (Milk And Almond Face Pack)
৩. দই এবং বাটার মিল্ক ফেইস প্যাক (Yogurt And Buttermilk Face Pack)
৪. গ্লিসারিন (Glycerine)
৫. পেট্রোলিয়াম জেলি (Petroleum Jelly)
৬. অলিভয়েল এবং ডিমের ফেইস প্যাক (Olive Oil And Egg Yolk Face Pack)
৭. আভোকাডো এবং মধু ফেইস প্যাক (Avocado And Honey Face Pack)
৮. নারকেল তেল (Coconut Oil)
৯. লেবু এবং মধু সমাধান (Lemon And Honey Solution)
১০. সূর্যমুখীর তেল (Sunflower Oil)
১১. স্ট্রবেরি মাস্ক (Strawberries Mask)
১২. কলার মাস্ক (Banana Mask)
১৩. মধু এবং কাঁচা দুধ (Honey And Raw Milk)
এই টিপসের মাধ্যমে শীতকালে আপনি আপনার ত্বকে ফাটল এবং আর্দ্রতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
১. পেপেঁ ফেইস প্যাক (Papaya Face Pack)
উপাদানসমূহঃ
- ১ টুকরা পাকা পেঁপের
- ১ টি কলা
- ২ টেবিল চামচ মধু
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- পেপেঁ এবং কলা ভালভাবে মিশ্রণ করুন যাতে মসৃণ পেস্ট হয়ে যায়।
- মিশ্রণটিতে মধু দিন এবং প্যাকটি আবার ভালভাবে মিশ্রণ করুন।
- আপনার মুখে এই প্যাকটি আলতোভাবে ব্যবহার করুন এবং আপনার শরীরে শুষ্ক স্থানে লাগান।
উপকারীতাঃ
পেঁপেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (antioxidants) এবং কলায় ভিটামিনের উপাদানের জন্য পরিচিত। এই দুটি ফল ত্বককের বয়সের ছাপ দূর (anti-aging) করতে সাহায্য কাজ। মধু ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ হিসাবে কাজ করে থাকে। এই প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। এটি আপনার ত্বককে দৃঢ় এবং ত্বককের বয়সের ছাপ দূর করবে।
সতর্কতাঃ
দরকার নেই।
২. দুধ এবং আমন্ড ফেইস প্যাক (Milk And Almond Face Pack)
উপাদানসমূহঃ
- ১ টেবিল চামচ আমন্ড গুঁড়া।
- ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- আমন্ডের গুড়া এবং কাচাঁ দুধ মিশ্রণ করুন।
- পেস্টটি আপনার মুখের উপর ব্যবহার।
- এটি ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারীতাঃ
আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং অপরিহার্য ফ্যাট এসিড সমৃদ্ধ। দুধ ত্বকের জন্য একটি বিস্ময়কর ময়শ্চারাইজার। এতে অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং এনজাইম রয়েছে যা আপনার ত্বকের বড়াতি আশঁ তুলে আপনার ত্বককে করে আরো নরম, মসৃন আর উজ্জ্বল। এই ফেইস প্যাক ব্যবহারে আপনার ত্বকের শুষ্কতা কমাবে এবং ত্বককে আরো নমনীয় করে তুলবে।
সতর্কতাঃ
দুধ এবং দুধজাতীয় পণ্যে আপনার এলার্জি হলে এই ফেইস প্যাক ব্যবহার করবেন না।
৩. দই এবং বাটার মিল্ক ফেইস প্যাক (Yogurt And Buttermilk Face Pack)
উপাদানসমূহঃ
- ১ কাপ দই।
- ১ কাপ বাটার মিল্ক।
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- উপাদান ২টি ভালভাবে মিশ্রণ করুন।
- আপনার পুরো শরীরে আলতো করে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারীতাঃ
দইয়ে দস্তা, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, এবং অন্যান্য দরকারী এনজাইম (enzymes) আছে । এই প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করে এবং কালো দাগগুলোকে হালকা করে তোলে। বাটার মিল্কে ল্যাকটিক এসিড (lactic acid) এবং হালকা পিলিং (peeling) থাকে এবং যেটি শীতকালে শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি শুষ্ক ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ
দুধ এবং দুধজাতীয় পণ্যে আপনার এলার্জি হলে এই ফেইস প্যাক ব্যবহার করবেন না।
৪. গ্লিসারিন (Glycerine)
উপাদানসমূহঃ
- গ্লিসারিন (Glycerin)
- তুলার বল(Cotton ball)
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- আপনার মুখ পানি দিয়ে পরিস্কার করুন এবং শুকিয়ে নিন।
- তুলার বল গ্লিসারিনে ভিজিয়ে নিন এবং মুখের উপর ব্যবহার করুন। চোখ এবং ঠোঁট এড়িয়ে চলুন। পুরো মুখে লাগিয়ে নিন এবং শুকানোর জন্য রেখে দিন।
- মুখ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুতে হবে না।
উপকারীতাঃ
গ্লিসারিন সহজেই পাওয়া যায় এবং শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজ এবং খুব সহজেই ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এই প্যাকটি ত্বককে নরম করার প্রচুর ক্ষমতা রাখে।
সতর্কতাঃ
দরকার নেই।
৫. পেট্রোলিয়াম জেলি (Petroleum Jelly)
উপাদানসমূহঃ
পেট্রোলিয়াম জেলি
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
আপনার পুরো শরীরে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান এবং ১/২ মিনিট ম্যাসেজ করুন যাতে তা ত্বক শুষে নেয়।
উপকারীতাঃ
পেট্রোলিয়াম জেলি বাজারে খুব সস্তা দামে সহজেই পাওয়া যায়। এটি শুধু শুষ্ক ত্বকের জন্য নয় বরং শীতকালে শুষ্ক ঠোঁট এবং ত্বকের ফাটল থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। পেট্রোলিয়াম জেলি আমাদের ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তুলে এবং এতে ত্বক ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য আছে। পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের ক্ষতিকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ
আপনার ত্বকে যদি ব্রেকআউটের (breakouts) প্রবণতা থাকে থাকে তবে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করবেন না।
৬. অলিভয়েল এবং ডিমের ফেইস প্যাক (Olive Oil And Egg Yolk Face Pack)
উপাদানসমূহঃ
- ২টি ডিমের কুসুম
- ৩-৪ ড্রপ অলিভ অয়েল
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- ডিমের কুসুমের মধ্যে অলিভ অয়েল দিয়ে উপাদানগুলো ভালভাবে মিশ্রণ করুন।
- আপনার মুখে এটি ব্যবহার করুন এবং ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে এবার পরিষ্কার করে ফেলুন।
উপকারীতাঃ
অলিভওয়েল এ প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই (E) এবং কে (K) সমৃদ্ধ। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ (A) এবং লেসিথিন রয়েছে যা ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং শুষ্কতা দূর করে। শীতের সময় সপ্তাহে দুইবার মুখে এই মাস্কটি ব্যবহার করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন।
সতর্কতাঃ
প্রয়োজন নেই।
৭. আভোকাডো এবং মধু ফেইস প্যাক (Avocado And Honey Face Pack)
উপাদানসমূহঃ
- ১/২ আভাকাডো
- ২ টেবিল চামচ মধু
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- আভোকাডো মিশ্রণ করুন এবং মিশ্রণ করা আভোকাডোতে মধু ব্যবহার করুন।
- আপনার মুখ এবং ঘাড়ের উপর মিশ্রণ ব্যবহার করুন।
- এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন, শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারীতাঃ
আভাকাডো এবং মধু উভয় ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা নিরামযয়ে সাহায্য করে। আভাকাডোতে সুস্থকর ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং সি, এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। আভাকাডো এবং মধু উভয়ই ত্বকের ভিতরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখে। ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সতেজ করে তুলে।
সতর্কতাঃ
প্রয়োজন নেই।
৮. নারকেল তেল (Coconut Oil)
উপাদানসমূহঃ
- ভার্জিন নারকেল তেল (Virgin coconut oil)
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- ত্বককের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে নারকেল তেল লাগান এবং আলতোভাবে ম্যাসেজ করুন যতক্ষণ পর্যন্ত না ত্বক শুষে নেয়।
- পানি দিয়ে ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।
উপকারীতাঃ
নারকেল তেল ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আর্দ্রতা সরবরাহ করে। এটি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং ত্বকের আর্দ্রতা কমাতে বাধা দেয়। শীতকালে, বিছানায় যাওয়ার আগে রাত্রে শরীরে নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
সতর্কতাঃ
প্রয়োজন নেই।
৯. লেবু এবং মধু সমাধান (Lemon And Honey Solution)
উপাদানসমূহঃ
- অর্ধেক লেবু
- ২ টেবিল চামচ মধু
- তুলার বল
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- অর্ধেক লেবু থেকে রস বের করে নিন এবং লেবুর রসে মধু ব্যবহার করুন।
- উপাদানগুলো ভালভাবে মিক্স করুন এবং তুলো দিয়ে আলতো করে মুখে লাগান।
- এটি ১০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন এবং তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারীতাঃ
লেবু ভিটামিন সি (C) সমৃদ্ধ, মধুতে এ্যান্টি-ইনফ্লোমেটরি বৈশিষ্ট্য গুলি রয়েছে এবং যা শীতে কালে ফাটা ত্বককে প্রশমিত করা, ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ
এই প্রতিকার ব্যবহার করার পর একটি ভাল ত্বকের ময়শ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন।
১০. সূর্যমুখীর তেল (Sunflower Oil)
উপাদানসমূহঃ
- কয়েক ফোটা সূর্যমুখী তেল।
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- প্যাকটি আপনার মুখে লাগান এবং আঙ্গুলের পেট দিয়ে আলতো করে ম্যাসেজ করুন।
- ত্বক যতক্ষণ পর্যন্ত তেল শোষণ করে না নেয় ততক্ষণ পর্যন্ত ম্যাসেজ করুন।
- মুখ ধোঁয়া থেকে বিরত থাকুন।
ইচ্ছে করলে আপনি আপনার পুরো শরীরে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করতে পারেন।
উপকারীতাঃ
সূর্যমুখী তেল শীতকালে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী উপাদান। এটি ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি আপনার ত্বককে তরূণ ও হাইড্রিয়েড রাখে, কারণ এটি প্রলেপের মাধ্যমে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি সবচাইতে ভালো কাজ করে যদি আপনে রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করেন।
সতর্কতাঃ
প্রয়োজন নেই।
১১. স্ট্রবেরি মাস্ক (Strawberries Mask)
উপাদানসমূহঃ
- ২-৩ টি স্ট্রবেরি
- ১ চা চামচ মধু
- ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- স্ট্রবেরি ভালভাবে মাশ করুন এবং এতে মধু ব্যবহার করুন।
- উপাদানগুলো ভালভাবে মিশ্রণ করুন।
- মুখের চারপাশে এই প্যাকটি ভালভাবে লাগান, চোখ এবং ঠোঁটে যেন না লাগে।
- মুখে মাস্কটি ১০-১২ মিনিটের জন্য রেখে শুকিয়ে নিন। এবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারীতাঃ
স্ট্রবেরিতে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে নরম, মসৃণ এবং ময়শ্চারাইজ করে তোলে। এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে হালকা অ্যাসিড রয়েছে যা চামড়া মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে। এটার পর ভাল ক্রিম এবং মধু ময়শ্চারাইজিং ব্যবহার করলে ভাল।
সতর্কতাঃ
আপনার যদি দুগ্ধ থেকে এলার্জি হয়, তাহলে তাজা ক্রিমের পরিবর্তে অতিরিক্ত আরো ১ চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন।
১২. কলার মাস্ক (Banana Mask)
উপাদানসমূহঃ
- ১/২ টি কলা
- ১ চা চামচ মধু
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- কলা ভালভাবে মিশিয়ে ফেলুন, মেশানোর পর তাতে মদু মিক্স করুন। কলা এবং মধু ভালভাবে মিশ্রণ করুন যাত কোন ধরনের বড় আশঁ না থাকে।
- আপনার মুখে এটি ব্যবহার করুন এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য মুখে রেখে দিন।
- এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারীতাঃ
কলাতে ভিটামিন সি (C), বি৬ (B6) এবং এ (A) রয়েছে যা ত্বককে ময়শ্চারাইজিং করে এবং পুষ্টি যোগায়। এটি ত্বকের প্রয়োজনীয় পানি ব্যালেন্স করে এবং হাইড্রয়েড রাখতে সাহায্য করে। এই মাস্ক ব্যবহার করে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন যেমন এটি ত্বকের বার্ধক্য থেকে রক্ষা (anti-aging) করে এবং ত্বকের সূক্ষ্ম দাগ এবং বলি রেখা দূর করে।
সতর্কতাঃ
প্রয়োজন নেই।
১৩. মধু এবং কাঁচা দুধ (Honey And Raw Milk)
উপাদানসমূহঃ
- ১ টেবলি চামচ মধু
- ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ
- তুলা
কিভাবে ব্যবহার করবো ঃ
- মধু এবং দুধ মিশ্রিত করুন।
- এই মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে নিন এবং আপনার শরীরে, মুখে এবং অন্যান্য শুষ্ক জায়গায় এটা ব্যবহার করুন।
- প্রায় ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং স্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে ফেলুন।
- পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকারীতাঃ
মধুর ময়শ্চারাইজিং এর জন্য বেশ ভাল। দুধ ধীরে ধীরে শুষ্ক এবং আলগা চামড়া অপসারণ করে এবং ত্বক মসৃণ করে। এটি আপনার ত্বকের ময়শ্চারাইজিং করে।
সতর্কতাঃ
যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় বা দুধে এলার্জি থাকে তবে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করবেন না।
এই প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে, আপনি আপনার ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখতে পারেন, শীতকাল জুড়ে আপনি আপনার ত্বককে উজ্জ্ববিত রাখুন।
আপনার মতামত দিন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.