• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

রূপকথন

Healthier Lifestyljhhe Choices

  • Facebook
  • Home
  • Shop
  • Blog
    • মেকআপ
      • ব্রাইডাল মেকআপ
      • সেলিব্রিটি মেকআপ
      • চোখের সাজসজ্জা
      • মুখের রূপসজ্জা
      • লিপ মেকআপ
      • মেকআপের ধারণা
      • মেহেদী ডিজাইন
      • নখের ডিজাইন
    • চুলের যত্ন
    • ত্বকের যত্ন
    • চুল স্টাইল
    • স্বাস্থ্য ও সুখ
      • ফিটনেস
      • স্বাস্থ্যকর খাবার
      • ওজন বৃদ্ধি
      • ওজন কমানো
      • যোগ ব্যায়াম
      • ডায়েট টিপস
      • আয়ুর্বেদ
  • Contact Us

Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)

রুক্ষ চুলের জন্য ১০টি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

by রূপকথন ডেস্ক

অনেকের জন্মগত ভাবে আবার অনেকে যারা সারাদিন বাইরে থাকে তাদের চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক থাকে। রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার অনেক উপকারী হতে পারে। বাজারের কেমিক্যালযুক্ত কন্ডিশনারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং চুল কোমল ও ঝলমলে হয়ে ওঠবে।

নিচে ১০টি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের তালিকা দেওয়া হলো যা রুক্ষ চুলের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।

১. নারকেল তেল

নারকেল তেল চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ১ টেবিল চামচ করে নারিকেলের তেল, গোলাপজল শ্যাম্পু শেষে ভেজা চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করতে সহায়তা করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। সপ্তাহে ২-৩ বার নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল নরম ও মসৃণ হয়।

২. মধু

মধু চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক হিউমেকট্যান্ট যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। মধুর সাথে দুধ মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা দূর হয় এবং চুল হয়ে ওঠে নরম ও সিল্কি।

৩. দই

দই চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা চুলকে কোমল করে এবং শুষ্কতা দূর করে। সপ্তাহে একবার দই চুলে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৪. জবা ফুল

জবা ফুলের রস চুলে ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা কমে এবং চুল মসৃণ হয়। এছাড়াও, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৫. অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা চুলের জন্য একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এটি চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুল মসৃণ ও ঝলমলে রাখে। শ্যাম্পু করার পর চুলে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পুর পর ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়, যা সপ্তাহে ২-৩ বার করা যেতে পারে।

৬. কলা

কলা চুলের শুষ্কতা কমাতে কার্যকর। একটি পাকা কলা ম্যাশ করে চুলে লাগান এবং ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে মসৃণ করে এবং শুষ্কতা দূর করে।

৭. মেথি বীজ

মেথি বীজের পেস্ট চুলে ব্যবহার করলে চুল কোমল ও রেশমি হয়। মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা পেস্ট করে চুলে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৮. ডিম

ডিম চুলের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং চুলকে নরম করে তোলে। একটি ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ডিম মাসে ২ বার ব্যবহার যথেষ্ট।

৯. আমলকী

আমলকী চুলের রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে এবং চুলকে ঘন ও মজবুত করে। আমলকীর রস চুলে ব্যবহার করলে চুলের শুষ্কতা দূর হয়।

১০. দুধ

দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং চর্বি চুলকে মসৃণ ও কোমল করে তোলে। চুলে দুধ লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

কতদিন পর পর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে?

প্রাকৃতিক কন্ডিশনারগুলো সাধারণত সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে চুলের অবস্থা এবং প্রয়োজনের উপর।

যদি চুল খুব বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়, তাহলে প্রথমদিকে একটু বেশি ঘন ঘন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, যাতে সঠিকভাবে উপকারিতা পাওয়া যায় এবং চুলের কোনো ক্ষতি না হয়।

১. চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার নির্বাচন করুন

প্রত্যেকের চুলের ধরন আলাদা, তাই চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার নির্বাচন করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, তেলতেলে চুলের জন্য খুব বেশি ভারী কন্ডিশনার না ব্যবহার করে হালকা কিছু ব্যবহার করা উচিত, যেমন অ্যালোভেরা।

২. পরিমাণে সঠিক ব্যবহার

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় পরিমাণে অতিরিক্ত না ব্যবহার করা ভালো। চুলের দৈর্ঘ্য ও ঘনত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।

৩. কন্ডিশনারের সময় ঠিক রাখা

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার সাধারণত চুলে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিতে হয়। তবে কিছু উপাদান যেমন মধু বা নারকেল তেল সারারাত রেখে দিতে পারেন, যা আরও কার্যকর হতে পারে।

৪. খুব বেশি ঘন ঘন ব্যবহার নয়

যদিও প্রাকৃতিক উপাদান চুলের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে খুব বেশি ঘন ঘন ব্যবহার করলে চুল ভারী ও তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। সঠিক ব্যবহারের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার যথেষ্ট।

৫. শ্যাম্পু পরিহার করতে পারেন

কিছু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার যেমন নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার পর খুব বেশি শ্যাম্পু করা প্রয়োজন হয় না। শ্যাম্পু করার পরিবর্তে হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা যেতে পারে।

৬. এলার্জির পরীক্ষা করুন

যেকোনো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের আগে স্কিন প্যাচ টেস্ট করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের এলার্জি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়। যদি কোনো অস্বস্তি বা চুলকানি দেখা দেয়, তবে সেই উপাদান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

৭. হালকা ম্যাসাজ করুন

কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় চুলের গোড়ায় হালকা ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং কন্ডিশনারের কার্যকারিতা ভালোভাবে প্রকাশ পাবে।

৮. তাজা উপাদান ব্যবহার করুন

প্রাকৃতিক উপাদান সবসময় তাজা ব্যবহার করা উচিত। পুরোনো বা নষ্ট হয়ে যাওয়া উপাদান ব্যবহার করলে চুলের উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।

কি কি কারণে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়

চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সঠিক যত্ন না নিলে এবং কিছু অভ্যাস বজায় রাখলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়, যার ফলে চুল রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে। নিচে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

১. অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং: চুলে বারবার হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার বা কার্লার ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ফলে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।

২. সঠিক পুষ্টির অভাব: সঠিক খাবার না খাওয়া বা শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান না পাওয়া চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে ভিটামিন এ, সি, ডি, এবং ই, জিঙ্ক, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে চুল শুষ্ক হতে পারে।

৩. অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার
অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার বা খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়, ফলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে।

৪. পানি কম পান করা
পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরের সাথে সাথে চুলও আর্দ্রতা হারায়। এতে চুল শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।

৫. সূর্যের অতিরিক্ত সংস্পর্শ
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুলের প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা শুষে নেয়, যার ফলে চুল শুকিয়ে রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে ওঠে।

৬. রাসায়নিকযুক্ত পণ্য ব্যবহার
চুলে অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী, যেমন রঙ, ব্লিচ, বা কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং চুল রুক্ষ হয়ে যায়।

৭. দূষণ
ধুলাবালি এবং বায়ুদূষণের কারণে চুলের ত্বকে এবং শুষে নেয়া তেলে খারাপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে চুলে শুষ্কতা ও রুক্ষতা বাড়ে।

৮. হরমোনের পরিবর্তন
হরমোনের পরিবর্তন যেমন গর্ভাবস্থা, মেনোপজ বা থাইরয়েডের সমস্যা চুলের আর্দ্রতার অভাবের কারণ হতে পারে।

৯. সঠিক যত্নের অভাব
যথাযথ চুলের যত্ন না নিলে, যেমন চুল নিয়মিত তেল না লাগানো বা মাস্ক না করা হলে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।

১০. কঠোর পানি (হার্ড ওয়াটার)
হার্ড ওয়াটার বা কঠোর পানিতে মিনারেল জমা থাকে যা চুলকে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চুল শুষ্ক এবং রুক্ষ হওয়ার এ ধরনের কারণগুলো থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে এবং সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

Filed Under: Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার), HAIR CARE (চুলের যত্ন) Tagged With: অ্যালোভেরা চুলের জন্য, চুল কোমল করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুলের ঘরোয়া উপায়, চুলের যত্ন টিপস, নারকেল তেল চুলে ব্যবহার, প্রাকৃতিক কন্ডিশনার, মধু ও দই চুলে, রুক্ষ চুলের যত্ন, শুষ্ক চুলের উপায়

১০ টি ঘরোয়া উপায় আপনি আজ থেকে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি দিবে

by Mohona Leave a Comment

শুষ্ক এবং চুলকানী সৃষ্টিকারি স্ক্যাল্প আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে? শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণে আপনার মাথায় সারাদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত চুলকানো শুরু হলে কতটা কষ্ট হয় তা আমরা জানি। আপনি এই সমস্যাটি ঘরে তৈরি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন।

শুষ্ক স্ক্যাল্প খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। কিন্তু আপনাকে আর এই অসুবিধা নিয়ে সারাজীবন কাটাতে হবে না। শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার অনেকগুলো সহজ পদ্ধতি আছে যা আপনার সমস্যা দূর করতে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে। টিপস এবং প্রতিকার যেগুলো যেগুলো আমাদের শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করেতে সাহায্য করবে তা শিখার আগে এই সমস্যার মূল কারণ বুঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণ কি?

মাথার ভিতর থাকা সুপ্ত এবং নিষ্ক্রিয় তেল গ্রন্থিই স্ক্যাল্পের শুষ্কতার কারন, যা আপনার ত্বকের ভেতর প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল উৎপাদনে সক্ষম নয়। স্ক্যাল্পের শুষ্কতার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলোঃ

  • রুক্ষ প্রকৃতির শ্যাম্পু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যাতে প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে
  • ছত্রাকের সংক্রমণ
  • রাসায়নিকযুক্ত পানির বেশি ব্যবহার
  • অনুপযুক্ত খাদ্যের কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব
  • মাত্রাতিরিক্ত খারাপ আবহাওয়া
  • স্টাইলিং পণ্যের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার
  • চুলের যত্নে অবহেলা, সেই সাথে অস্বাস্থ্যকর রূপচর্চার অভ্যাস, তেলের অভাব এবং কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট

তাই, শুষ্ক স্ক্যাল্প ঠিক করার প্রথম পদক্ষেপটি হল এর কারণ সবার আগে খুঁজে বের করা। একবার আপনি কারণ জেনে গেলে, আপনি আপনার চুলের যত্ন করার রুটিনে কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবেন।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শুষ্ক স্ক্যাল্প থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

১. টি ট্রি শ্যাম্পু

২. আপেল সিডার ভিনেগার

৩. তেল

৪. জুসিং (ফল অথবা সবজির রস)

৫. দই এবং ডিম

৬. লিসট্রিন

৭. মেয়োনিজ

৮. বেকিং সোডার ব্যবহার

৯. ভিটামিন ই

১০. অলিভ অয়েল এবং ডিম

শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি শীর্ষ প্রতিকার

১. টি ট্রি শ্যাম্পু

উপকরণ

  • টি ট্রি অয়েল
  • শ্যাম্পু

প্রক্রিয়া

  • আপনার নিয়মিত শ্যাম্পুতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশান এবং বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
  • চুল ধুতে শ্যাম্পুটি যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবেই করুন সবসময়।

কতবার?

এই তেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুটি দিয়ে সপ্তাহে দুইবার চুল ধুবেন।

কিভাবে কাজ করে?

যখন শুষ্কতা ছত্রাকের সংক্রমণের কারনে হয় তখন টি ট্রি অয়েল খুব ভালো কাজ করে কারণ এই তেলটি খুব ভালো ছত্রাকবিরোধী প্রতিনিধি। এটি চুলের গ্রন্থিগুলো খুলে দেয় এবং প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।

২. আপেল সিডার ভিনেগার

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • তুলার সাহায্যে আপনার স্ক্যাল্পে ভিনেগারটা লাগান।
  • আঙ্গুল দিয়ে ২-৩ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
  • ১০ মিনিট ভিনেগারটি মাথায় রেখে দিন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।

কিভাবে কাজ করে?

অ্যাসট্রিনজেন্ট হওয়ার কারণে আপেল সিডার ভিনেগার স্ক্যাল্পের ক্ষতিকারক জীবাণু পরিষ্কার করে এবং ত্বকের পিএইচ স্তর ব্যালেন্স করে।

সতর্কতা

আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে তারপর চুলে লাগান। এছাড়াও আপনি ভিনেগারের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারবেন।

৩. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য তেল

উপকরণ

  • নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল অথবা বেবী অয়েল অথবা অরগান অয়েল অথবা ক্যাস্টর অয়েল অথবা মরোক্কান অয়েল
  • কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল (ঐচ্ছিক)

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে আপনার পছন্দমত তেল নিন এবং সামান্য গরম করে নিন।
  • টি ট্রি অয়েলটি মিশান
  • আপনার স্ক্যাল্পে লাগান এবং ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • চুল ধোয়ার আগে তেলটি এক ঘন্টা মাথায় রাখুন। তবে সারারাত তেল মাথায় রাখাটা অনেক বেশি ভালো।

কতবার?

তেলের এই ট্রিটমেন্টটি সপ্তাহে দুইবার করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

শুষ্ক ত্বকে গরম তেলের ট্রিটমেন্ট বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এই তেলগুলোর বেশিরভাগই ঘরে সবসময় থাকে এবং এগুলো স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে এবং খুশকি ও স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে। তেল শুধু স্ক্যাল্পে আদ্রতা প্রদান করে না, এটা স্ক্যাল্পের আদ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। যদি স্ক্যাল্প প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদন করতে সক্ষম না হয় তাহলে বাহ্যিক তেল স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগাতে এবং শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।

৪. জুসিং (ফল অথবা সবজির রস)

ক. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লেবুর রস

উপকরণ

  • একটি লেবুর অর্ধেক

প্রক্রিয়া

  • যখন লেবুর রস বের করার জন্য লেবুতে চাপ প্রয়োগ করবেন তখন আপনার স্ক্যাল্পে হালকাভাবে লেবুটি ঘষুন।
  • ৫ মিনিট রস মাথায় রাখুন।
  • ধুয়ে সবসময়ের মত চুলে কন্ডিশনিং করে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার

কিভাবে কাজ করে?

লেবুর রস একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্ক্যাল্পের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খুশকির সাথে সম্পর্কিত ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে।

খ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য আপেলের রস

উপকরণ

  • ১-২ টি আপেলের রস

প্রক্রিয়া

  • আপেলের থেকে রস নিন এবং রসগুলো দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে রসগুলো ১০ মিনিট চুলে রেখে দিন।

কতবার?

সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে?

আপেলের রসে সামান্য এসিড রয়েছে যা স্ক্যাল্পকে স্ক্রাব করে সকল মৃত, শুষ্ক এবং আলগা চামড়া দূর করে। এটি স্ক্যাল্পের পিএইচ পূনরুদ্ধার করে, এরপর তেল উৎপাদনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে।

গ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য পিয়াঁজের রস

উপকরণ

  • ১/৪ কাপ পিয়াঁজের রস
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • তুলা

প্রক্রিয়া

  • একটি পিয়াঁজ কুচি করে নিন এবং এর থেকে রস বের করে নিন।
  • এতে মধু যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • তুলো দিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে এটি লাগান এবং ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • আপনার নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

প্রাথমিকভাবে আপনি পিয়াঁজের রস সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করবেন। একবার শুষ্ক স্ক্যাল্পের অবস্থার উন্নতি হলে, চুলের বৃদ্ধির জন্য আপনি ১৫ দিন পর পর এই রস ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে কাজ করে?

পিয়াঁজে থাকা উচ্চ মাত্রার সালফার খুশকির কারণে হওয়া শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে মাথায় আর কখনো আলগা চামড়ার সৃষ্টি হবে না। এছাড়াও পিয়াঁজ স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই পরিচিত।

ঘ. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য অ্যালোভেরার রস

উপকরণ

  • একটি অ্যালোভেরা পাতা
  • পানি

প্রক্রিয়া

  • পাতার ভেতর থেকে সতেজ অ্যালোভেরা জেল বের করে নিন।
  • এতে সামান্য পানি মিশান এবং ভালোভাবে মিশিয়ে জুসের মত করে নিন।
  • এই জুসটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান। কয়েক মিনিটের জন্য আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।
  • অ্যালোভেরা মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার লাগাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

শুষ্ক স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা খুব শীতল অনুভূতি প্রদান করে। এ্যামিনো এসিড, ভিটামিন, চিনি এবং ফ্যাটি এসিডের সাহায্যে এটি আপনার স্ক্যাল্পের ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এতে এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার সাপ্তাহিক চুলের যত্নের রুটিনে অ্যালোভেরা যুক্ত করে একটি স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প এবং উজ্জ্বল চুল খুব সহজেই পেতে পারেন।

৫. দই এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি ডিম
  • ২-৩ টেবিল চামচ দই
  • ১ টেবিল চামচ মধু

প্রক্রিয়া

  • মসৃণ পেস্ট পাওয়ার জন্য ডিমটি দইয়ের সাথে ফাঁটিয়ে নিন।
  • মধু যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এই মাস্কটি আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে লাগান।
  • আধা ঘন্টার জন্য এটিকে বসতে দিন এবং এরপর আপনার নিয়মিত ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

কিভাবে কাজ করে?

দই স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং স্ক্যাল্পের মরা ও শুষ্ক চামড়া দূর করে। এটি চুলের গোড়ার গ্রন্থি খুলে দেয় এবং তেল গ্রন্থির স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ডিম স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় এবং এতে থাকা ফ্যাট ও প্রোটিনের সাহায্যে আপনার চুল কন্ডিশন করে।

৬. শুষ্ক স্ক্যাল্পের জন্য লিসট্রিন

উপকরণ

  • ১/২ কাপ লিসট্রিন
  • ১/২ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • আপনার চুল পরিষ্কার করে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি ঝরিয়ে নিন।
  • এখন, লিসট্রিন পানির সাথে মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান।
  • আপনার আঙ্গুলের অগ্রভাগ দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন এবং এরপর ৫ মিনিটের জন্য মাথায় লিসট্রিন রাখুন।
  • পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।

কতবার?

সপ্তাহে একবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

লিসট্রিন একটি শক্তিশালী এন্টিসেপ্টিক এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। শুষ্ক এবং আলগা চামড়া সৃষ্টিকারি সকল ক্ষতিকর জীবাণু লিসট্রিন মেরে ফেলে। এটি আপনার স্ক্যল্পের চুলকানির অনুভূতিও কমিয়ে আনে।

৭. মেয়োনিজ

উপকরণ

  • ১/২ কাপ মেয়োনিজ
  • শাওয়ার ক্যাপ

প্রক্রিয়া

  • আপনার স্ক্যাল্পে মেয়োনিজ লাগান এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে দিন।
  • মেয়োনিজ পরিষ্কার করার জন্য গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

কয়েক সপ্তাহ ধরে সপ্তাহে ১ দিন করে মেয়োনিজ লাগালে শুষ্ক স্ক্যাল্পের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

কিভাবে কাজ করে?

মেয়োনিজে প্রচুর তেল এবং ফ্যাট রয়েছে যা আপনার স্ক্যাল্প এবং চুল কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। মেয়োনিজ ব্যবহারে সকল শুষ্কতা থেকে কার্যকরভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৮. বেকিং সোডার ব্যবহার

উপকরণ

  • ৩-৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা
  • গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • বেকিং সোডা এবং গোলাপ জলের একটি পেস্ট তৈরি করুন।
  • স্ক্যাল্পে লাগান এবং ২-৩ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে দুইবার করবেন।

কিভাবে কাজ করে?

একটি এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট হওয়া ছাড়াও, বেকিং সোডা একটি মৌলিক যৌগ যা স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালেন্স পুনরুদ্ধার করে। এটি শুধু স্ক্যাল্পে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদনই করে না, সেই সাথে চুল লম্বা হতেও সাহায্য করে।

৯. ভিটামিন ই ক্যাপ

উপকরণ

  • ৫-১০ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল

প্রক্রিয়া

  • সাবধানে ক্যাপসুলের ভেতর থেকে তেল বের করে একটি পাত্রে নিন।
  • আপনার স্ক্যাল্পে ভিটামিন ই তেল লাগান এবং ৫-১০ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
  • ১ ঘন্টা এই তেল মাথায় রাখুন এবং এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কতবার?

সপ্তাহে অন্তত একদিন ভিটামিন ই তেল দিয়ে আপনার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন।

কিভাবে কাজ করে?

ভিটামিন ই তেল আপনার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেটেড রাখে এবং র‍্যাডিকেলের ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এটি মাথার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

১০.অলিভ অয়েল এবং ডিম

উপকরণ

  • ১ টি ডিমের কুসুম
  • ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ চা চামচ লেবুর রস

প্রক্রিয়া

  • ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন এবং অন্যান্য উপকরণ এর সাথে ভালোভাবে মিশান।
  • স্ক্যাল্পে এটা লাগান এবং এই হেয়ার মাস্কটি ৩০ মিনিট চুলে ভালোভাবে সেট হতে দিন।
  • শ্যাম্পু এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়ার বেলায়ও একইভাবে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

কতবার?

এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

কিভাবে কাজ করে?

ডিমের কুসুম ভিটামিন এ এবং লিকিথিন স্টেরোল বহন করে বিধায় এটি শুষ্ক ত্বকের সমস্যার জন্য খুবই উত্তম একটি প্রতিকার। এটি ত্বককে মসৃণ করে। অলিভ অয়েল ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ যা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়।। এতে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা র‍্যাডিকেল, জীবাণু এবং দূষণের ফলে সৃষ্ট যে কোন ক্ষতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

এই প্রতিকার গুলো ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে এই পানিও আপনার ত্বক এবং চুল হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। তাই সবসময় আপনার চুলের যত্নের জন্য অন্যান্য উপায়ের সাথে পানিও রাখবেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প পেতে আপনার খাবারে বাদাম, ডিম, সামুদ্রিক খাবার, মুরগির মাংস, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, সয়াবিন, পেঁপে, কমলা এবং সবুজ শাক-সবজি যোগ করুন। এগুলো আপনার স্ক্যাল্পে জিংক, আয়রন, ভিটামিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের অভাব পূরণ করবে। যদি আপনার স্ক্যাল্পের শুষ্কতা পুষ্টির অভাবের কারণে হয়ে থাকে তাহলে এই কৌশলটি নিশ্চিতভাবে আপনাকে সাহায্য করবে।

Filed Under: Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)

সহজে ঘরে তৈরি ৮ টি অসাধারণ কন্ডিশনার যা আপনার শুষ্ক চুলকে করবে আরো আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত (নিয়ম দেওয়া হলো)

by Mohona 1 Comment

শুষ্ক চুলের জন্য একটি ভালো মানের কন্ডিশনারের ব্যবহার সবার আগে প্রাধান্য পায়। কন্ডিশনার ছাড়া আমাদের জীবনটাই এলোমেলো হয়ে যাবে। অনিয়ন্ত্রিত রুক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় টেক্সচার এবং অবাঞ্চিত ভাঙন এই সব জিনিষগুলো থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। কন্ডিশনার চুল মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং চুল হাইড্রেট করতে সাহায্য করে, যা আপনার চুলকে নরম করে, রুক্ষতা নিয়ন্ত্রন করে এবং জট লাগা থেকে মুক্তি দেয়।

বর্তমানে বাজারে অনেকগুলো বিভিন্ন ধরণের কন্ডিশনার পাওয়া যায় যেগুলোর মধ্যে একটি আপনি চুল ধোয়ার আগে ব্যবহার করতে পারবেন, আরেকটি চুল ধোয়ার পরে ব্যবহার করতে পারবেন এবং কিছু কিছু কন্ডিশনার সারারাত ধরে লাগিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি ঘরেই নিজের জন্য কন্ডিশনার বানাতে পারেন? এগুলো বানানো খুব সহজ এবং আপনার তেমন কোন খরচও করা লাগবে না, কিন্তু এগুলো দোকান থেকে আনা কন্ডিশনারের মতই কার্যকরী, এবং এতে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যালও নেই।

প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি ৮ টি চুলের কন্ডিশনারের একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

শুষ্ক চুলের জন্য ঘরে তৈরি কন্ডিশনার

নোটঃ আপনার চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে একই অনুপাতে উপকরণের পরিমাণ আপনি বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। নিচের তালিকাতে দেওয়া পরিমাণগুলো মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য উপযুক্ত।

১. নারিকেল তেল এবং মধুর কন্ডিশনিং

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ খাঁটি নারিকেল তেল
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
  • ২ টেবিল চামচ দই (না দিলেও চলবে)
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সবগুলো উপকরণ ঢালুন এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  • এই কন্ডিশনিং মিশ্রণটি শ্যাম্পু করার পর পরই চুলে লাগাতে থাকুন।
  • ১০-১৫ মিনিট মাথায় রেখে দিন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. গভীর থেকে কন্ডিশনিং এর জন্য নারকেল দুধ

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ নারকেল দুধ
  • ২ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল
  • ১ চা চামচ ভেজিটেবল গ্লিসারিন

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সবগুলো উপকরণ ঢালুন এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  • আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে সম্পূর্ণ মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন।
  • একটি প্লাস্টিক ক্যাপ দিতে আপনার মাথা ঢেকে দিন এবং ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। ঢেকে রাখার ফলে আপনার মাথায় একটি উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা আপনার চুলের আগা এবং গোড়াকে আদ্রতা ও পুষ্টি শুষে নিতে সাহায্য করবে।
  • তারপর আপনার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. নারকেল দুধ এবং বাদাম তেলের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ১ টেবিল চামচ দুধ
  • ১ টেবিল চামচ নারকেল দুধ
  • ১ চা চামচ বাদাম তেল
  • ১ চা চামচ গোলাপ জল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণগুলো মিশান এবং মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • আপনার চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন এবং আপনার ভিজা চুল ভাগ ভাগ করে প্রতি ভাগে মিশ্রণটি লাগান।
  • ১৫ মিনিট রেখে দিন। এই সময়ে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়ার জন্য একটি তোয়ালে অথবা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে রাখুন।
  • ঠান্ডা পানি দিয়ে কন্ডিশনারটি ধুয়ে ফেলুন।

৪. অ্যালোভেরা কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ১ টি লেবু
  • ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • ৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট এ্যাসেনশিয়াল অয়েল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণগুলো মিশান এবং মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং ভিজা চুলে কন্ডিশনারটি লাগানো শুরু করুন।
  • ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. ডিমের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ২ টি ডিমের কুসুম

প্রক্রিয়া

  • ডিমের কুসুম গুলো ফাটিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ বসতে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং এরপর ডিমের কুসুমগুলো চুলে লাগান।
  • ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম পানি ভুলেও ব্যবহার করবেন না। কারন গরম পানির তাপে ডিমগুলো চুলের ভিতর রান্না হওয়া শুরু হবে।

৬. অলিভ অয়েল কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ২-৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • আপনার পছন্দের যেকোন একটি এ্যাসেনশিয়াল অয়েলের ৫ ফোঁটা

প্রক্রিয়া

  • তেলটি গরম করে নিন এবং আপনার স্ক্যাল্প এবং চুলে ম্যাসাজ করুন।
  • পুরো চুলে তেল ভালোভাবে লেগে গেলে একটি গরম তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুলের তেল ধুয়ে ফেলুন।

৭. আপেল সিডার ভিনেগার কন্ডিশনিং

উপকরণ

  • ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ টেবিল চামচ মধু
  • ২ কাপ পানি

প্রক্রিয়া

  • একটি জগে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • আপেল সিডার ভিনেগারের পানিটি আপনার ধোয়া চুলে ঢালুন।
  • আবার পানি দিয়ে ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

৮. দইয়ের কন্ডিশনার

উপকরণ

  • ৩ টেবিল চামচ দই
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
  • ১ চা চামচ নারকেল তেল
  • ৫ ফোঁটা পেপারমিন্ট এ্যাসেনশিয়াল অয়েল

প্রক্রিয়া

  • একটি পাত্রে সব উপকরণ একসাথে মিশান এবং কিছুক্ষণ রেখে দিন।
  • শ্যাম্পু এবং গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • আপনার চুল থেকে সব পানি নিঙরে নিন এবং চুলে কন্ডিশনারটি লাগানো শুরু করুন।
  • কন্ডিশনারটি চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এই সব উপকরণ শুষ্ক চুলে খুব ভালো কাজ করে, কারণ এগুলো আপনার চুলকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং চুলের ভেতরে ময়েশ্চারাইজার আঁটকাতে সাহায্য করে। এরা চুলের রুক্ষতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আপনার চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তুলে। তাই আজই ঘরে তৈরি এই কডিশনার গুলো ব্যবহার করে দেখুন।

Filed Under: Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক লেখা

১৬টি সেরা খাবার সকালবেলার দৌড়ের পর খাওয়ার জন্য – পোস্ট-রান রিকভারি পুষ্টি

ওজন কমাতে সেরা ২০টি ডিটক্স স্মুদি: উপাদান, প্রস্তুতি ও উপকারিতা

সহজে হজম হয় এমন ১৬টি হালকা খাবারের রেসিপি

Low FODMAP Diet: ৩ ধাপের পরিকল্পনা ও কোন খাবার খাবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন

প্যালিও ডায়েট: উপকারিতা, ঝুঁকি ও ৭ দিনের খাবার পরিকল্পনা

বিভাগ সমূহ

  • Fashion
  • HAIR CARE (চুলের যত্ন)
    • Basic Hair Care (বেসিক হেয়ার কেয়ার)
    • Dandruff (খুশকি)
    • Dry Hair Care (শুকনো হেয়ার কেয়ার)
    • Hair Care Ideas
    • Hair Fall ( চুল পড়া)
    • Hair Growth ( চুল বৃদ্ধি)
    • Hair Treatment (চুল চিকিৎসা)
    • Oily Hair Care ( তৈলাক্ত চুলের যত্ন)
  • HEALTH & WELLNESS (স্বাস্থ্য ও সুস্থতা)
    • Diet Tips
    • Fitness
    • Healthy Food
    • Home Remedies
    • Ingredients and Uses
    • Nutrition (পুষ্টি)
    • Weight Gain
    • Weight Loss (ওয়েট লস)
  • Lifestyle (জীবনযাপন )
  • MAKEUP (মেকআপ)
    • Bridal Makeup (ব্রাইডাল মেকআপ)
    • Eye Makeup (চোখের সাজসজ্জা)
    • Lip Make up (লিপ আপ করুন)
  • SKIN CARE (ত্বকের যত্ন)
    • Acne
    • Anti Ageing
    • Beauty Secrets
    • Dry Skin
    • Face Care Tips
    • Face Packs and Masks
    • Glowing skin
    • Homemade Tips
    • Oily Skin
    • Skin Care Ideas
    • Skin Care Problems
    • Sunscreen
  • Top 10's

Copyright © 2025 · RUP KOTHON · All rights reserved ®