অ্যালোভেরার সৌন্দর্যের উপকারিতা সারা বিশ্ব জুড়ে খুবই পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় এই উদ্ভিদটি উত্তর আফ্রিকা, মাদাগাস্কার এবং আরব উপসাগর এলাকাতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। এর রসালো উদ্ভিদটি এর পাতা, কান্ড এবং শিকরে পানি সংরক্ষণ করে যার ফলে এটি অনেক মাংশল প্রকৃতির হয়।
অ্যালোভেরার আদ্রতা, নিরাময়ক এবং শীতলকরণ বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি ময়েশ্চারাইজার, ফেইস ওয়াশ, সাবান এবং সানস্ক্রিন লোশনে একটি সক্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন গ্রিক এবং রোমানরা ক্ষত, কাঁটা এবং প্রদাহের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মিশরীয় রানী ক্লিওপেট্রা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতেন।
অ্যালোভেরা কি ব্রণের জন্য ভালো?
চলুন জেনে নেই কিভাবে এই উদ্ভিদ ব্রণের চিকিৎসা করে এবং ব্রণ থেকে সৃষ্ট দাগ দূর করে।
- অ্যালোভেরা জেলের এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের চিকিৎসায় এবং ব্রণের কারনে সৃষ্ট জ্বলন কমানোয় খুবই কার্যকরী। এটি ব্রণের ক্ষত থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং দ্রুত গতিতে ব্রণ নিরাময় করে। এর এ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রদাহ যেমন ফোঁড়া এবং পূঁজকোষ নিরাময়ের জন্য খুবই উপকারী।
- অ্যালোভেরা জেলে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম ল্যাকটেট ব্রণের কারণে হওয়া চুলকানির সমস্যা কমায়। এটি ত্বকে হওয়া ফুসকুরি এবং রোদে পোড়াভাব দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী।
- অ্যালোভেরাতে থাকা এসট্রিনজেন্ট ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল এবং ধুলোবালি দূর করে। এটি ব্রণের ব্যাথা দূর করতে পূঁজকোষের আকার কমিয়ে আনে।
- শুধু ব্রণ নয়, অ্যালোভেরা জেল ব্রণের দাগ কমাতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে দাগের উপস্থিতি কমিয়ে আনে।
- ত্বকে ধুলাবালি জমলে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং ব্ল্যাকহেডস হয়। প্রতিদিন এই জেলের ব্যবহার মুখের লোমকূপ আঁটসাঁট করে, যার ফলে, লোমকূপে জীবাণুর সংক্রমণ হ্রাস পায়।
- অ্যালোভেরা জেল এবং অ্যালোভেরা রস ব্যবহারের উপকারিতা ব্যাপকভাবে বিজ্ঞানীদের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং কিভাবে অ্যালোভেরা একটি স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সাহায্য করে তা উপরে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
ব্রণের জন্য কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন?
ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহারের অসংখ্য উপায় আছে। এদের সম্পর্কে আরো জানার জন্য পড়তে থাকুন।
৪. টি ট্রি তেল এবং অ্যালোভেরা।
৬. অ্যালোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই।
৭. আপেল সিডার ভিনেগার এবং অ্যালোভেরা।
৮. অ্যালোভেরা, দুধ এবং চিনির মাস্ক।
৯. ব্রণের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা এবং কসমেটিক কাদামাটি।
ব্রণের চিকিৎসায় কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলোঃ
১. মধু এবং অ্যালোভেরা
উপকরণ
- ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ১ টেবিল চামচ অপরিশোধিত মধু
- ১-২ চা চামচ গোলাপ জল
প্রস্তুতি
অ্যালোভেরা জেল, মধু এবং গোলাপ জল একসাথে ব্লেন্ড করে একটি মশ্রিণ পেস্ট তৈরি করুন। আপনি আপনার মুখের রঙ উজ্জ্বল করতে মুখের মাস্কটিতে এক চিমটি হলুদ যোগ করতে পারেন।
কিভাবে লাগাবেন?
- ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মাস্কটি লাগান এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
- ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এই মাস্কটি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
মধু একটি এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট এবং মধু নানা রকম এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বহন করে। এটি আপনার ত্বককে পুনরায় হাইড্রেট করে এবং এতে উৎপাদিত অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। মধুতে পরিষ্কারক এবং নিরাময়ক বৈশিষ্ট্য আছে যা ব্রণ ছাড়াও ত্বকের আরো অনেক সমস্যা সমাধানে খুবই উপকারী।
২. অ্যালোভেরা এবং লেবুর রস
উপকরণ
- ১-২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
- কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
প্রস্তুতি
অ্যালোভেরা জেলে লেবুর রস যোগ করুন এবং পেস্ট তৈরি করতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- আপনার মুখে এবং গলাতে মাস্কটি লাগান এবং সারারাত রেখে দিন।
- যদি আপনার কাছে মাস্কটি খুব আঠালো মনে হয়, তাহলে অন্তত ১ ঘন্টা মাস্কটি মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাতে এই মাস্কটি ব্যবহার করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
লেবু এবং মধুর এ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করে এবং ব্রণের বার বার ফিরে আসা প্রতিরোধ করে। লেবুর রস আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং দূষনমুক্ত করে, এবং লোমকূপগুলো ছোট করে তাদের দূষণ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
সতর্কতা
যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে লেবুর রসের পরিবর্তে টমেটোর রস ব্যবহার করুন কারন টমেটো কোমল প্রকৃতির।
৩. অ্যালোভেরা এবং হলুদ
উপকরণ
- ১-২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুড়ো
- ১ চা চামচ বেসন
প্রস্তুতি
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্ট বেশি ঘন হয়ে গেলে কয়েক ফোঁটা পানি যোগ করুন।
কিভাবে লাগাবেন?
- পেস্টটি মুখে লাগান এবং ১৫-২০ মিনিট শুজিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রাখুন।
- পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
ব্রণের চিকিৎসার জন্য হলুদ খুবই শক্তিশালী একটি ঔষধ। এর এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে এবং এবং এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য ফোলা ভাব কমিয়ে আনে। হলুদের বহনকারী এ্যন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রণ নিরাময় প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং ব্রণের দাগ হওয়া প্রতিরোধ করে।
সতর্কতা
হলুদের কারণে আপনার ত্বকে হলুদ দাগ পরতে পারে। এই হলুদ দাগ থেকে মুক্তি পেতে সামান্য লেবুর রস আলতোভাবে মুখে ঘষে নিতে পারেন।
৪. টি ট্রি অয়েল এবং অ্যালোভেরা
উপকরণ
- ২-৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ৩-৪ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল
প্রস্তুতি
তেলটি অ্যালোভেরা জেলের সাথে যোগ করে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগান এবং সারারাত রেখে দিন।
- সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এই অ্যালোভেরা জেলের পেস্টটি প্রতিদিন লাগান যতদিন না পর্যন্ত আপনার ব্রণ চলে যায়।
এটা কিভাবে কাজ করে?
টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিকভাবেই এ্যন্টি-মাইক্রোবিয়াল। এটি ত্বকে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাংগাস ধ্বংস করে। এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য আছে যা আক্রান্ত স্থানকে প্রশমিত করে। এই তেল মেদ গ্রন্থি থেকে রসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের।
সতর্কতা
সংবেদনশীল ত্বকে টি ট্রি অয়েল ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিবেন।
৫. বেবী অয়েল এবং অ্যালোভেরা
উপকরণ
- ১-২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
- কয়েক ফোঁটা বেবী অয়েল
প্রস্তুতি
সব উপকরণ গুলো একসাথে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- খুব সতর্কভাবে তরলটি আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগান, কারণ এটি গড়িয়ে পরার সম্ভবনা আছে।
- ১ ঘন্টা মুখে রাখুন এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- প্রতিদিন একবার ব্যবহার করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
শিশুর তেল মূলত ভিটামিন ই সমৃদ্ধ একটি খনিজ তেল যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ত্বক সুস্থ রাখে এবং ত্বককে হাইড্রেট করে। অতিরিক্ত তেল যা উত্পাদিত হচ্ছে এবং ব্রণ সৃষ্টি করছে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল ত্বকে যোগান দিতে হবে।
সতর্কতা
নেই।
৬. অ্যালোভেরা জেলের সাথে ভিটামিন ই
উপকরণ
- ১ টেবিল চা চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
প্রস্তুতি
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভিতরের তেল গুলো নিন এবং অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- আক্রান্ত স্থানে এটি লাগান এবং শুকাতে দিন।
- ১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি এই মাস্কটি সারারাতও মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
- ব্রণ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
ভিটামিন ই এর তেল এর এ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নিরাময়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রায়ই এটি ত্বকের যত্নের পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু ব্রণ নিরাময় করতে সাহায্য করে না, আপনার ত্বক সুস্থ এবং নিখুঁত রাখে।
সতর্কতা
নেই।
৭. আপেল সিডার ভিনেগার এবং অ্যালোভেরা
উপকরণ
- ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
- ১/২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
- ১/২ চা চামচ পানি
প্রস্তুতি
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- আপনার হাত অথবা তুলোর বল ব্যবহার করে মিশ্রনটি আপনার পুরো মুখে লাগান।
- ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটি শুকাতে দিন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
আপেল সিডার ভিনেগারে ম্যালিক এসিড আছে যা ত্বকের ধারক হিসেবে কাজ করে। এটি সকল ব্যাক্টেরিয়া অপসারণ করে এবং ত্বকের পিএইচ স্তর স্বাভাবিক রাখে। এটি ব্রণের মধ্যে জমে থাকা মৃত চামড়া তুলে ফেলে।
সতর্কতা
আপেল সিডার ভিনেগার সংবেদনশীল ত্বকে নাও মানাতে পারে।
৮. অ্যালোভেরা, দুধ এবং চিনির মাস্ক
উপকরণ
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- ১/২ টেবিল চামচ দুধ
- ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল
প্রস্তুতি
দুধে চিনি ঢালুন এবং চিনি মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। অ্যালোভেরা জেল মিশান এবং সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
কিভাবে লাগাবেন?
- আপনার মুখে এই মাস্কটি লাগান এবং ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন।
- কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- প্রতিদিন এটি লাগান।
এটা কিভাবে কাজ করে?
দুধ ত্বক কোমল এবং পরিষ্কার করে। এছাড়াও এটি ত্বককে হাইড্রেট করে। চিনি আপনার ত্বককে দীর্ঘক্ষণ হাড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত তেলের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। চিনির গ্লাইকলিক এসিড ত্বকের কোষগুলোকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
দুধে এলার্জি থাকলে এই মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।
৯. ব্রণের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা এবং কসমেটিক কাদামাটি
উপকরণ
- ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল অথবা জুস
- ১ টেবিল চামচ কসমেটিক কাদামাটি ( সাদা অথবা গোলাপী)
প্রস্তুতি
মাটির শুকনো গুঁড়োতে অ্যালোভেরা জেল যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এটা কিভাবে কাজ করে?
কসমেটিক মাটিতে এ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। এটি একটি ধারক হিসেবেও কাজ করে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।
সতর্কতা
আপনি যদি এর আগে কখনো কসমেটিক মাটি ব্যবহার করে না থাকেন তাহলে আপনার এতে এলার্জি আছে কিনা জানতে আপনার বাহুতে সামান্য পরিমাণ লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন। যদি আপনি কোন জ্বলাভাব অনুভব করেন অথবা ত্বকে যদি ফুসকুড়ি হয় তাহলে এই মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।
এই অ্যালো মাস্কগুলো ব্যবহার ছাড়াও আপনি প্রতিদিন ২ বার অরগানিক অ্যালোভেরা সাবান ব্যবহার করতে পারেন ব্রণ কমানো এবং মসৃণ ত্বক পাওয়ার জন্য। তবে আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে সাবানে কার্যকর উপকরণ হিসেবে গ্লিসারিন আছে, যাতে এটি শুষ্ক ত্বকেও কাজ করে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারে ব্রণ দূর হতে কতদিন সময় লাগে?
প্রতিদিন অ্যালোভেরা ব্যবহারে মাত্র কয়েকদিন সময় লাগে আপনার মুখের ব্রণে পার্থক্য লক্ষ্য করার জন্য। এগুলো খুব দ্রুত সেরে উঠা শুরু করবে কোন অস্বস্তি এবং জ্বালা-পোড়া না দিয়েই। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে, আপনি আপনার ব্রণের দাগেও পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
এটা জানা খুবই জরুরী যে অ্যালোভেরা ব্রণ নিরাময় করে না, কিন্তু এর সাথে যুক্ত সংক্রমণ, প্রদাহ, ফোলাভাব এবং ফুসকুড়ি কমিয়ে আনে। এর জৈবিকভাবে সক্রিয় উপাদানগুলির সাথে এটি নিরাময় প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করে। প্রতিদিন এই জেল ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে আবার ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ রোধ করে।
তাহলে আর দেরি কেনো? এখনি অ্যালোভেরাকে আপনার বন্ধু বানিয়ে ফেলুন এবং প্রতিদিন ব্যবহার শুরু করুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.