
জোজোবা অয়েল, জোজোবা উদ্ভিদ থেকে আসে। উদ্ভিদটি দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ অ্যারিজোনা এবং উত্তর-পশ্চিম মেক্সিকোর স্থানীয় একটি গুল্ম। এর মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো আপনার ত্বক দারুনভাবে এই তেল শুষে নেয়।
এর চমকপ্রদ কিছু উপকারিতাও রয়েছে। আপনার কি ব্রণ আছে? অথবা আপনি কি অনুভব করতে পারছেন যে আপনার ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে? এছাড়াও আপনার ত্বক বা চুলের অন্য যে কোনো সমস্যা যা নিয়ে আপনি খুব উদ্বিগ্ন? ঠিক এখানেই জোজোবা অয়েল আপনার সকল উদ্বেগ দূর করতে পারে।
সুচিপত্র
- জোজোবা অয়েল কি? এই তেল কিভাবে কাজ করে?
- জোজোবা অয়েল কিভাবে আপনার উপকার করে?
- জোজোবা অয়েলের গঠন কিরূপ?
- কিভাবে আপনি সঠিক জোজোবা অয়েল কিনবেন
- আপনার কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
জোজোবা অয়েল কি? এই তেল কিভাবে কাজ করে?
যা আমারা বলেছিলাম যে, জোজোবা অয়েল, জোজোবা উদ্ভিদ থেকে আসে। এই তেল জোজোবা গাছের বাদাম থেকে নিষ্কাশিত করা হয়।
এই তেলটি অন্য তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহারের জন্য খুব উপযুক্ত। তাছাড়াও আপনি তেলটি সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। এই তেলের বৈজ্ঞানিক নাম সিমন্ডসিয়া চিনেসিস। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় জোজোবা অয়েল প্রায় দুই বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
জোজোবা অয়েলে সামান্য মাত্রায় বাদামের মত গন্ধ পাওয়া যায়। এই তেলে অলিক, স্টেরিক অ্যাসিড এবং প্যালমেটিক অ্যাসিড সহ কয়েকটি শক্তিশালী ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এছাড়াও এই তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো ত্বকের অনেক রকম ইনফেকশন এবং ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি তাড়াতাড়ি না আস্তে সাহায্য করে।
এছাড়াও আরো অনেক রকম উপায়ে এই তেল আপনার ত্বক ও চুলের সমস্যাগুলো সমধান করতে পারে। এবং এদের বেশিরভাগই গবেষণার মাধ্যমে সমর্থন করা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে জোজোবা অয়েল নিয়ে খুব ভালোভাবে গবেষণা করা হয়েছে, এবং এর উপকারিতা বা সুবিধাগুলো পরীক্ষা করে দেখার মত।
জোজোবা অয়েল কিভাবে আপনার উপকার করে?
ত্বক এবং চুলের একদম সাধারন সমস্যাগুলো জোজোবা অয়েলে থাকা ময়েশ্চারাইজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে নিরাময় করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করা খুব সহজ – শুধু মাত্র কয়েক ফোঁটার ব্যবহারই আপনার মুখের ব্রণ, শুষ্ক ত্বক এবং ফাংগাল ইনফেকশন দূর করতে পারে। জোজোবা অয়েল আপনার চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি এবং ঝরে যাওয়া চুল ফিরে পেতেও সাহায্য করে।
১. জোজোবা অয়েল ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে

বিভিন্ন রকম ত্বকের যত্নের পণ্যে জোজোবা অয়েল খুব সাধারণ একটি উপাদান। গবেষণাতে এই তেলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
একটি জার্মান সমীক্ষা তাদের গবেষণায় জোজোবা অয়েল থেকে তৈরি “ফেইস মাস্কের” মুখের সমস্যা দূর করার নিরাময় বৈশিষ্ট্য দেখায়। এই ক্লে মাস্কগুলো প্রসাধনী প্রক্রিয়ার একটি অংশ ছিলো এবং এই তেল ক্ষত যুক্ত ত্বক এবং হালকা ব্রণ দূর করতে পারে।
জোজোবা অয়েলে ওয়্যাক্স এস্টার রয়েছে যা ব্রণের মত নানা রকম ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণের চিকিৎসার জন্য জোজোবা অয়েল ব্যবহার করা খুব সহজ। জোজোবা অয়েল এবং বেন্টোনাইট মাটি সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশানোর পর যখন একটি মস্রিণ পেস্ট তৈরি হবে তখনেই পেস্ট আপনার মুখে এবং ফেইসে লাগাবেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখবেন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
আপনি এই পদ্ধতিটি প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করতে পারেন। মাটির মিস্রণটি ধুয়ে ফেলার পর আপনার ত্বক কিছুক্ষণের জন্য লালচে দেখাতে পারে। তাই, রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি এই পেস্টটি লাগাতে পারেন।
জোজোবা অয়েলের তৈলাক্ততা নিয়ে আপনার কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনার মুখে যে তেল তৈরি হয় ঠিক ওই তেলের মতই এর তৈলাক্ততা। তাই, আপনার ত্বক এই তেল মুখে উপর লেগে থাকতে না দিয়ে শোষণ করে নিবে।
জোজোবা অয়েল নন-কমেডোজেনিক, তাই এটি মুখের পোরস বন্ধ করে না।
২. আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজড করে

জোজোবা অয়েল প্রায়শই ত্বকের যত্নের পণ্যগুলিতে হিউম্যাক্ট্যান্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি আপনার ত্বকে প্রতিরক্ষামূলক বাঁধা তৈরি করে সীল করে দেয় এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে।
আর এই তেল সম্পর্কে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মৌলিক সত্যটি হলো এটি আপনার ত্বকের পোরসগুলোকে বন্ধ না করেই ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করে। এমনকি, এই তেল বেশিরভাগ ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর ব্যবহারও অনেক সহজ। আপনার মুখ ক্লিনজিং এবং টোনিং করার পর, হাতের তালুতে ৫ থেকে ৬ ফোঁটা তেল নিন এবং আপনার মুখে বৃত্তাকারভাবে লাগান।
আপনি এই তেল ফেঁটে যাওয়া ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল ত্বকে ভালোভাবে শোষিত হয় এবং বাষ্পীভূত হয় না, অন্যান্য কেমিক্যাল মিশ্রিত পণ্যের মত নয়।
জোজোবা অয়েল ত্বকের কোষগুলোর মধ্যে সঞ্চালিত হয় এবং ত্বকের ভেতরের পানি হারিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে ত্বককে সিল করে। এই বৈশিষ্ট্যটি একজিমাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
জোজোবা অয়েল রোসেসিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যদিও এই বিষয়টি সমর্থন করার জন্য কোনও নিরপেক্ষ গবেষণা বিদ্যমান নেই, জোজোবা অয়েলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যগুলি ঈই চিকিৎসাতে সহায়তা করতে পারে এমনটি ধরে নেওয়া যায়। তবে এই রোসেসিয়া রোগের চিকিৎসাতে এই তেল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
৩. ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে
জোজোবা অয়েলকে বিভিন্ন রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিফাংগাল কার্যক্রম করতে দেখা গেছে। গবেষণায়, জোজোবা অয়েল কিছু ছত্রাকের প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা দেখিয়েছিল – সালমনেলা এবং ই. কোলাই সহ।
চর্মরোগ সংক্রান্ত গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে যে জোজোবা অয়েল ছত্রাক সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
যদিও এর সরাসরি কোনো গবেষনা নেই, তারপরও আপনি জোজোবা অয়েল নখ এবং পায়ের ছত্রাকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার কয়েক ফোঁটা এই তেল লাগান।
৪. বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিকে দেরিতে আস্তে সহায়তা করে

জোজোবা অয়েলের ময়েশ্চারাইজিং এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি বৈশিষ্ট্যগুলি বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিকে দেরিতে আস্তে সহায়তা করে। জোজোবা অয়েলের গঠন মানব দেহের সেবামের মতই এবং অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে – ফাইন লাইন এবং বলিরেখার বিরুদ্ধেও কাজ করে।
শুষ্ক ত্বক আরেকটি গুরুতর সমস্যা যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আরো বাড়তে থাকে। আর এই তেলের ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য এই সমস্যা সমাধানে ভালো ভূমিকা নিতে পারে। বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা পেতে জোজোবা অয়েলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ত্বকে কোলাজেনের সংশ্লেষণ উন্নত করার ক্ষমতা। এই বৈশিষ্ট্যটি ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে।
৫. ক্র্যাডল ক্যাপ নিরাময় করতে সাহায্য করে
ক্র্যাডল ক্যাপ হ’ল বাচ্চার মাথার ত্বকে খসখসে এবং হলুদ রঙের আঁশের গঠন। এটি মাত্রাতিরিক্ত সেবামের নিঃসরণের কারণে হয়ে থাকে।
এখন পর্যন্ত কোন গবেষনা এটা সমর্থন করেনি যে জোজোবা অয়েল ক্র্যাডল ক্যাপের চিকিৎসা করতে পারে। কিন্তু এর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের সেবামের সাথে সাদৃশ্য ক্র্যাডল ক্যাপের লক্ষণ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কিন্তু, আপনার শিশুর ত্বকে জোজোবা অয়েল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই শিশুর চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
৬. মেকআপ অপসারণে সহায়তা করে

জোজোবা অয়েলের নন-কমেডোজেনিক এবং ময়াশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের কারণে এই তেল একটি আদর্শ মেকাপ রিমুভার হিসেবে কাজ করে।
মেকাপ অপসারণ করার জন্য এর ব্যবহার অনেক সহজ। একটি তুলার বলে কয়েক ফোঁটা জোজোবা অয়েল মিশান এবং আপনার মেকাপকৃত ত্বকে ঘষুন। যদি আপনি অনেক বেশি মেকাপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে বেশি কটন বল ব্যবহার করতে হবে।
আপনার মুখ থেকে সকল মেকাপ মুছে ফেলার পর পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনি একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আপনার মুখ মুছে ফেলতে পারেন এবং তারপর কয়েক ফোঁটা জোজোবা অয়েল মুখে লাগিয়ে নিন।
৭. চোখের পাপড়ি ঘন করা এবং লিপ বাম হিসেবে ব্যবহার
জোজোবা অয়েল খুব মৃদু এবং তাই কোনো সংশয় ছাড়াই আপনি চোখের চারপাশে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আঙ্গুলের অগ্রভাগে তেল লাগিয়ে আপনার চোখের পাপড়ির চারপাশে ভালোভাবে লাগান। আপনি লাগানোর জন্য তুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি আপনি আপনার চোখের ভ্রু ঘন করতেও ব্যবহার করতে পারেন।
জোজোবা অয়েল লিপ বাম হিসেবে খুবই অসাধারন। এটি শুষ্ক ঠোঁট ঠিক করে এবং একে নরম ও কোমল করে তুলে। ঠোঁটে লিপ্সটিক লাগানোর আগে আপনি হালকা করে জোজোবা অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন, এতে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হবে না।
নোটঃ এই পদ্ধতিগুলো কাজ করবেই এমন কোন গবেষনার প্রমাণ নেই। এই তথ্যগুলো অজানা প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি।
৮. চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
জোজোবা অয়েলে ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য আছে যার ফলে এটি চুলে ব্যবহার করা যায়।
আপনি আপনার চুলের কন্ডিশনারে জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার চুলকে শুষ্কতা এবং আগা ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।
জোজোবা অয়েলের ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য আপনার মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এই তেলে থাকা ভিটামিন ই আপনার মাথার চুল এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
জোজোবা অয়েল চুলকে মজবুত করে এর কোনো সঠিক প্রমাণ নেই। কিন্তু এখানে একটি যুক্তি আছে – এই তেল চুলের ফলিক্যালস ময়েশ্চারাইজ করে এবং শুষ্কতা রোধ করে, অন্যথায় চুল ঝরে যেতে পারে।
কিছু শ্যাম্পুতে জোজোবা অয়েল (অথবা এর মোম) একটি প্রধান উপাদান হিসেবে যোগ করা হয়।
কিছু কিছু উৎস জোজোবা অয়েলকে অ্যালোপেসিয়া (টাক পরা) রোগের চিকিৎসার জন্য কার্যকরী ভাবেন। তবে এটি গবেষণা দ্বারা এখনো সমর্থিত হয়নি। তাই, আমরা “টাক পরা” চিকিৎসা বা এর প্রতিরোধের জন্য এই তেলের উপর সম্পূরণরূপে নির্ভর না হওয়ার পরামর্শ দেই। তাই সবার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন।
জোজোবা অয়েলে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যাতে আরোগ্য লাভের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। আসুন এদের বিস্তারিতভাবে দেখে নেই।
জোজোবা অয়েলের গঠন কিরূপ?
জোজোবা অয়েলে সর্বাধিক ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যে রয়েছে ওলিক, প্যালমেটিক এবং আইকোসেনোইক অ্যাসিড। অন্যান্য পুষ্টির মধ্যে ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্স, সিলিকন, কপার, জিংক এবং ক্রোমিয়াম অন্তর্ভুক্ত। এটিতে উচ্চ মাত্রায় আয়োডিন রয়েছে।
যদিও এই পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবুও এরা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অতএব, জোজোবা অয়েল ব্যবহার করার আগে সামান্য একটু লাগিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো।
এই পরীক্ষা করা খুব সহজ। আপনার কনুই অথবা হাতের উলটো দিকে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা জোজোবা অয়েল লাগান। একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে ওই অংশ ঢেকে রাখুন এবং পুরো একদিন (২৪ ঘন্টা) অপেক্ষা করুন। ব্যান্ডেজটি অপসারণ করুন এবং আপনার ত্বক ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। যদি আপনি অ্যালার্জির কোনও চিহ্ন খুঁজে না পান, তাহলে এটি বযবহার করতে পারবেন।
কিন্তু এই ছোট পরীক্ষাটি করার আগে, সঠিক জোজোবা অয়েলটি নেওয়া আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটে থাকা প্রচুর পণ্যের মধ্যে আপনাকে সতর্ক হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নিতে হবে।
কিভাবে আপনি সঠিক জোজোবা অয়েল কিনবেন
সঠিক জোজোবা অয়েল সনাক্ত করা খুব সহজ। ১০০% অরগ্যানিক জোজোবা অয়েল নিবেন। নিশ্চিত করুন এটি কোল্ড-প্রেসড (এর মানে হলো তেল এর কোন উপকারী বৈশিষ্ট্য হারায়নি)
তেলটি অবশ্যই ১০০% খাঁটি হতে হবে। এমন তেল নেবেন না যা অন্য তেলের সাথে মিশ্রিত বা পরিশোধিত করা।
তাছাড়া আপনি আপনার কাছের কোনো সুপার শপ বা সুপার মার্কেট অথবা ঔষধালয় অথবা অনলাইন শপ থেকে কিনে নিতে পারেন। আপনি এখনই এটি ব্যবহার শুরু করতে পারেন তবে কিছু সতর্কতা মনে রেখে।
আপনার কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সতর্কতাটি অবলম্বন করতে হবে তা হলো এই তেল আপনি কোনো ভাবেই পান করবেন না। জোজোবা অয়েলে এরুসিক (Erucic acid) অ্যাসিড রয়েছে, এটি একটি টক্সিন যা হৃদরোগে অবদান রাখে।
সাময়িকভাবে লাগানোর কারণে কিছু লোকের মধ্যে সামান্য অ্যালার্জি (র্যাশ) হতে পারে। একটি ছোট পরীক্ষা করে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
শেষ কথা
জোজোবা অয়েল নিয়ে আরও গবেষণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমান গবেষণা থেকে আমরা এটি অনুমান করতে পারি যে, এটি ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভবিষ্যতে আরো ভালো ফল আনবে। মনে রাখবেন এটি খেয়ে ফেলবেন না।
আমরা আশা করি ভবিষ্যতের গবেষণায় জোজোবা অয়েলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া যাবে।